Old/New Testament
যিহূদা কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করল
1 যিহোশূয় মারা গেলেন। ইস্রায়েলবাসীরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে জিজ্ঞাসা করল, “আমাদের পরিবার গোষ্ঠীদের মধ্যে সবচেয়ে আগে কে কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাবে?”
2 প্রভু তাদের বললেন, “সবচেয়ে আগে যাবে যিহূদা গোষ্ঠী। আমি তাদেরই এই দেশ জয় করতে দেবো।”
3 যিহূদার পুরুষরা তাদের শিমিয়োন পরিবারগোষ্ঠীর ভাইদের কাছ থেকে সাহায্য চাইল। যিহূদার লোকরা বলল, “ভাইসব, প্রভু আমাদের প্রত্যেককে কিছু জমিজায়গা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি তোমরা যুদ্ধের জন্য আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসো তাহলে আমরাও কনানীয়দের বিরুদ্ধে তোমাদের জমির লড়াইয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসব।” শিমিয়োনের লোকরা যিহূদার ভাইদের যুদ্ধে সাহায্য করতে রাজী হল।
4 প্রভুর সাহায্যে যিহূদার লোকরা কনানীয় ও পরিষীয়দের পরাজিত করল। তারা বেষক শহরের 10,000 লোককে হত্যা করেছিল। 5 বেষক শহরে যিহূদার লোকরা সেখানকার রাজাকে পেয়ে তার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। যিহূদার লোকরা কনানীয় এবং পরিষীয়দের পরাজিত করেছিল।
6 বেষকের শাসক পালাবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যিহূদার লোকরা তার পিছু নিয়ে তাকে ধরে ফেলেছিল। তারা রাজার হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে ফেলেছিল। 7 তখন বেষকের শাসক বলল, “আমি নিজে 70 জন রাজার হাত ও পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কেটে দিয়েছিলাম। আমার টেবিল থেকে যেসব খাবারের টুকরো পড়ে যেত তাই তাদের খেতে হত। আজ ঈশ্বর আমার সেই অধর্মের প্রতিফল দিলেন।” যিহূদার লোকরা বেষকের শাসককে জেরুশালেমে নিয়ে গেল। সেখানেই তার মৃত্যু হল।
8 যিহূদার লোকরা জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা অধিকার করল। জেরুশালেমের লোকদের তারা তরবারি দিয়ে হত্যা করেছিল এবং হত্যার পর জেরুশালেম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। 9 তারপর তারা আরও কিছু কনানীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করতে নেমে গিয়েছিল। এরা নেগেভের পাহাড়ি অঞ্চলে আর পশ্চিম পাহাড়তলিতে বাস করত।
10 হিব্রোণে যে সব কনানীয়রা বাস করত তাদের সঙ্গেও যিহূদা যুদ্ধ করেছিল। (হিব্রোণকে বলা হত কিরিয়ৎ অর্ব।) তারা শেশয়, অহীমান ও তলময় নামে তিন জনকে পরাজিত করেছিল।
কালেব এবং তাঁর কন্যা
11 যিহূদার লোকরা সেখান থেকে চলে গেল। তারা দবীর শহরের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেল, যে শহরকে আগে বলা হত কিরিয়ৎ-সেফর। 12 যুদ্ধের আগে কালেব যিহূদার লোকদের কাছে প্রতিশ্রুতি করে বলেছিল, “আমি কিরিয়ৎ সেফর আক্রমণ করতে চাই। যে এই শহরটি জিততে পারবে তার সঙ্গে আমি আমার কন্যা অক্ষারের বিবাহ দেব।”
13 কালেবের ছোট ভাইয়ের নাম ছিল কনস। কনসের পুত্র অৎনিয়েল কিরিয়ৎ সেফর দখল করল। সুতরাং কালেব অৎনিয়েলের সঙ্গে অক্ষার বিবাহ দিল।
14 অকষা অৎনিয়েলের ঘর করতে চলে গেল। অৎনিয়েল অক্ষাকে তার পিতার কাছ থেকে কিছু জমিজায়গা চাইবার জন্য বলেছিল। অক্ষা পিতার কাছে গেল। গাধার পিঠ থেকে যেই সে নেমেছে, অমনি কালেব জিজ্ঞাসা করল, “কি হয়েছে?”
15 অক্ষা বলল, “আমায় একটি উপহার দাও। তুমি আমাকে নেগেভের শুকনো মরুভূমিটা দিয়েছিলে। এবার আমাকে এমন কিছু জায়গা দাও যেখানে জল পাওয়া যায়।” কন্যার কথামত কালেব তাকে সেই দেশ দিল যার ওপরে ও নীচে জলের ঝর্ণা আছে।
16 কেনীয় সম্প্রদায়ের লোকরা খেজুর গাছের শহর যেরিকো ছেড়ে যিহূদার লোকদের সঙ্গে যিহূদা মরু অঞ্চলের দিকে চলে গেল। তারা অরাদ শহরের কাছে নেগেভের স্থায়ী বাসিন্দা হল। (কনানীয়রা মোশির শ্বশুরকুল থেকে এসেছিল।)
17 কিছু কনানীয়রা সফাৎ শহরে বাস করত। তাই সেখানেও যিহূদা আর শিমিয়োন পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের আক্রমণ করল। তারা শহরটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলল এবং তার নাম রাখল হর্মা।
18 যিহূদার লোকরা ঘসা এবং ঘসার চারদিকের ছোটখাটো শহরগুলোও দখল করল। তারা অস্কিলোন, ইক্রোণ আর কাছাকাছি সব শহর দখল করল।
19 প্রভু যিহূদার যোদ্ধাদের সহায় ছিলেন। পাহাড়ি দেশের জমিগুলো তারা নিয়ে নিল। কিন্তু উপত্যকা অঞ্চলের জমি তারা নিতে পারল না, কারণ সেখানকার অধিবাসীদের লোহার রথ ছিল।
20 মোশি কালেবকে হিব্রোণের কাছাকাছি জমি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মত তার পরিবারকে সেই জমি দেওয়া হয়েছিল। কালেবের লোকরা অনাকের তিন পুত্রকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
21 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠী যিবূষীয়দের জেরুশালেম ছেড়ে যেতে জোর করে নি। তাই আজও জেরুশালেমে যিবূষীয়রা বিন্যামীনের লোকদের সঙ্গে বসবাস করছে।
যোষেফের লোকরা বৈথেল দখল করল
22 যোষেফের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা বৈথেল শহর আক্রমণ করতে গেল। প্রভু যোষেফের পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের সহায় ছিলেন। 23 তারা যোষেফের পরিবারের কয়েকজন গুপ্তচরকে বৈথেল (আগে বৈথেলের নাম ছিল লূস।) শহরটা কিভাবে দখল করা যেতে পারে তা দেখবার জন্য পাঠালো। 24 গুপ্তচররা যখন বৈথেল শহরটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তখন তারা সেখান থেকে একটি লোককে বেরিয়ে আসতে দেখল। তারা লোকটিকে বলল, “শহরে ঢোকার গুপ্ত পথটা আমাদের দেখাও। আমরা শহর আক্রমণ করব, কিন্তু তুমি আমাদের সাহায্য করলে তোমাকে আমরা কিছু করব না।”
25 লোকটি শহরে প্রবেশের গুপ্তপথ দেখিয়ে দিল। যোষেফের লোকরা তরবারি দিয়ে বৈথেলবাসীদের হত্যা করল। কিন্তু সাহায্যকারী ঐ লোকটিকে তারা কিছু করল না। লোকটির পরিবারকেও কিছু করল না। তাদের ছেড়ে দিল যাতে তারা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারে। 26 লোকটি তখন হিত্তীয়দের দেশে চলে গেল এবং সেখানে একটি শহর তৈরী করল। শহরের নাম দিল লূস। আজও সেই শহরটি আছে।
অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে কনানীয়দের যুদ্ধ
27 কনানীয়রা বৈৎশান, তানক, দোর, যিব্লিয়ম, মগিদ্দো এবং এদের চারপাশের ছোটছোট শহরগুলোতে বাস করত। মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের এসব জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে পারেনি বলেই তারা সেখানে থাকতে পেরেছিল। তারা সেখান থেকে চলে যেতে চায়নি। 28 পরবর্তীকালে ইস্রায়েলীয়রা শক্তিশালী হয়ে উঠলে তারা কনানীয়দের ক্রীতদাস করে রাখে। তারা সমস্ত কনানীয়দের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে পারল না।
29 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীকে নিয়েও একই ব্যাপার ঘটেছিল। গেষরে থাকত কনানীয়রা। ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর লোকরা কনানীয়দের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়নি। তাই তারা গেষরে ইফ্রয়িমদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকল।
30 সবূলূন সম্পর্কেও সেই একই কথা। কিটরোণ আর নহলোল শহরে কিছু কনানীয় বাস করত। সবূলূন তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়নি। তারা সবূলূনের সঙ্গেই থাকত। তবে তারা এদের ক্রীতদাস হয়েই থাকত।
31 আশের পরিবারগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তারা অন্যান্য জাতির লোকদের অক্কো, সীদোন, অহলব, অকষীব, হেল্বা, অফীক এবং রহোব শহর থেকে তাড়িয়ে দেয় নি। 32 আশেরের লোকরা সেই জায়গায় কনানীয়দের তাড়িয়ে দেয় নি। সুতরাং তারা কনানীয়দের মধ্যে বাস করত।
33 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীও বৈৎ-শেমশ এবং বৈৎ-অনাতের থেকে লোকদের সরিয়ে দেয় নি। তাই নপ্তালির লোকরা এসব শহরে লোকদের সঙ্গে বসবাস করতে লাগল। কনানীয়রা নপ্তালির লোকদের ক্রীতদাস হিসেবে থেকে গেল।
34 ইমোরীয় লোকরা দান পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের পাহাড়ী দেশে বাস করতে বাধ্য করল। দান পরিবারগোষ্ঠীর এইসব লোকরা পাহাড়ী জায়গায় বসবাস করতে বাধ্য হল, কারণ ইমোরীয়রা তাদের উপত্যকায় নেমে এসে বাস করতে দিল না। 35 ইমোরীয়রা ঠিক করল যে তারা হেরস পর্বতশৃঙ্গে, অয়ালোনে এবং শাল্বীমে থাকবে। পরবর্তীকালে যোষেফের পরিবারগোষ্ঠী শক্তিশালী হয়ে উঠল। তখন তারা ইমোরীয়দের ক্রীতদাস করে রাখল। 36 ইমোরীয়দের দেশ অক্রব্বাম গিরিপথ থেকে সেলা পর্যন্ত এবং ওপরে সেলাকে ছাড়িয়ে পাহাড়ি দেশ আছে।
বোখীমে প্রভুর দূত
2 প্রভুর দূত গিল্গল শহর থেকে বোখীম শহরে গিয়েছিলেন। ইস্রায়েলবাসীদের কাছে দূত প্রভুর একটি বার্তা শুনিয়েছিলেন। বার্তাটি ছিল এরকম: “আমি তোমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছি। আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে জমিজায়গার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেইখানে আমি তোমাদের নিয়ে এসেছি। আমি বলেছিলাম, আমি কখনই তোমাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করব না। 2 কিন্তু তাই বলে তোমরা অবশ্যই সে দেশের লোকদের সঙ্গে কখনও কোন চুক্তি করবে না। তাদের তৈরী সমস্ত বেদী তোমাদের ভেঙে ফেলতে হবে। একথা আমি তোমাদের আগেই বলেছি। কিন্তু তোমরা আমার কথা শোন নি। তোমরা করেছ কি?
3 “এখন আমি তোমাদের বলছি, ‘আমি এই জায়গা থেকে অন্যান্য লোকদের আর তাড়িয়ে দেব না। এরা তোমাদের কাছে সমস্যার সৃষ্টি করবে। এরা তোমাদের কাছে একটা ফাঁদের মতো হবে। তাদের ঐসব ভ্রান্ত দেবতারাই তোমাদের কাছে ফাঁদ হয়ে দাঁড়াবে।’”
4 ইস্রায়েলবাসীদের কাছে প্রভুর দূত এই বার্তা ঘোষণা করার পর তারা সকলে উচ্চস্বরে কাঁদল। 5 যে জায়গায় তারা কাঁদছিল সেই জায়গার নাম দিল বোখীম। বোখীমে তারা প্রভুর উদ্দেশ্যে অনেক কিছু বলি উৎসর্গ করল।
আদেশ অমান্য ও পরাজয়
6 যিহোশূয় তাদের যে যার নিজের জায়গায় চলে যেতে বলেছিলেন। সেই মত প্রত্যেক পরিবার নিজের নিজের জমির সীমার মধ্যে বসবাস করতে গেল। 7 যিহোশূয় যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুর সেবা করেছিল। যিহোশূয়ের মৃত্যুর পর যে প্রবীণরা বেঁচেছিলেন তাঁদের জীবনকালে তারা সমানে প্রভুর সেবা করেছিল। ইস্রায়েলের লোকদের জন্য প্রভু যা কিছু মহৎ কাজ করেছিলেন, এইসব প্রবীণরা তা দেখেছিলেন। 8 নূনের পুত্র প্রভুর সেবক যিহোশূয় 110 বছর বয়সে মারা গেলেন। 9 ইস্রায়েলবাসীরা যিহোশূয়কে তাঁর নিজের জমি গাশ পর্বতের উত্তরে ইফ্রয়িমের পাহাড়ী অঞ্চলে তিন্নৎ-হেরসে কবর দিল।
10 ঐ সম্পূর্ণ প্রজন্মটি মারা যাবার পর পরবর্তী প্রজন্ম বেড়ে উঠল। তারা প্রভুকে জানত না। প্রভু ইস্রায়েলবাসীদের জন্য কি করেছেন তারা সেসব জানত না। 11 তাই তারা মন্দ কাজ করতে শুরু করল এবং বালের মূর্ত্তির পূজা করতে লাগল। তারা সেই সব কাজ করেছিল যেগুলো প্রভুর দ্বারা মন্দ হিসেবে বিবেচিত ছিল। 12 প্রভু ইস্রায়েলবাসীদের মিশর দেশ থেকে বার করে এনেছিলেন। এদের পূর্বপুরুষরা প্রভুর সেবা করত। কিন্তু এখন তারা প্রভুকে ত্যাগ করল। তাদের চারিধারে বসবাসকারী লোকরা মূর্ত্তির পূজা করতে শুরু করল। এই কারণে প্রভু ক্রুদ্ধ হলেন। 13 ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুকে ত্যাগ করে বাল ও অষ্টারোতকে পূজা করতে লাগল।
14 প্রভু ইস্রায়েলবাসীদের উপর ক্রুদ্ধ ছিলেন তাই তিনি ইস্রায়েলবাসীদের শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হতে দিলেন। শত্রুরা ইস্রায়েলবাসীদের আক্রমণ করল এবং তাদের অধিকারের সব কিছু নিয়ে নিল। প্রভু তাদের ইস্রায়েলবাসীদের পরাস্ত করতে দিলেন যারা নিজেদের রক্ষা করতে অসমর্থ ছিল। 15 যখনই ইস্রায়েলীয়রা যুদ্ধ করত তারা হেরে যেত। কারণ প্রভু তাদের দিকে ছিলেন না। তিনি তো তাদের নিষেধ করে বলেছিলেন যে তাদের ঘিরে যে সব মানুষ রয়েছে তাদের দেবতাদের পূজা করলে তারা হেরে যাবে। এর ফলে ইস্রায়েলীয়দের চরম দুর্দশা হল।
16 তখন প্রভু কয়েকজন নেতা ঠিক করলেন। এদের বলা হত বিচারক। শত্রুরা যারা ইস্রায়েলবাসীদের আক্রমণ এবং লুট করতো তাদের হাত থেকে এরা তাদের রক্ষা করতো। 17 কিন্তু তারা এই বিচারকদের কথা কানে নিত না। তারা প্রভুর প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না এবং অন্যান্য দেবতাদের পূজা করতো। যদিও তাদের পূর্বপুরুষরা প্রভুর আজ্ঞা এবং নির্দেশ পালন করত, কিন্তু এখন তারা অচিরেই বিমুখ হয়ে গেল। তারা প্রভুকে মানতে চাইল না।
18 বারবার ইস্রায়েলের শত্রুরা তাদের ক্ষতি সাধন করত। আর তাই ইস্রায়েলীয়রা সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করত। প্রত্যেকবারই প্রভু তাদের দুর্দশায় কষ্ট পেয়ে তাদের বাঁচানোর জন্যে একজন করে বিচারক পাঠিয়েছিলেন। তিনি সবসময়েই এইসব বিচারকের সহায় ছিলেন। প্রত্যেকবার এদের সাহায্যেই ইস্রায়েলীয়রা রক্ষা পেত। 19 কিন্তু বিচারক মারা গেলেই তারা আবার তাদের পুরানো পথে ফিরে গিয়ে পাপ করত এবং মূর্ত্তি পূজায় মেতে উঠত। তারা ভীষণ একরোখা ছিল এবং তারা পাপের পথ ত্যাগ করতে অস্বীকার করল। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকেও খারাপ আচরণ করত।
20 তাই প্রভু ইস্রায়েলীয়দের ওপর ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি বললেন, “এই দেশের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমি যে চুক্তি করেছিলাম এরা তা ভেঙেছে। তারা আমার কথা শোনে নি। 21 তাই আমি আর অন্যান্য জাতিকে হারিয়ে ইস্রায়েলীয়দের পথ পরিষ্কার করব না। এইসব বিদেশী জাতি যিহোশূয়র মৃত্যুর সময়েও এই দেশে বসবাস করত। আমি তাদের এদেশেই থাকতে দেব। 22 ইস্রায়েলীয়দের পরীক্ষা করার জন্য আমি ঐ জাতিদের কাজে লাগাব। আমি দেখব ইস্রায়েলের লোকরা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো প্রভুর আজ্ঞা মানে কি না।” 23 সেই কথামত প্রভু ইস্রায়েলে অন্যান্য জাতির লোকদের থাকতে দিলেন। তিনি তাদের এদেশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য করলেন না। তিনি যিহোশূয়র সৈন্যবাহিনীকে শত্রু দমন করতে সাহায্য করলেন না।
3 1-2 প্রভু ইস্রায়েল থেকে অন্যান্য জাতির সমস্ত লোকদের সরিয়ে দিলেন না। তিনি ইস্রায়েলীয়দের পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এই সময়, কোন ইস্রায়েলবাসী কনান দেশ দখল করতে কোন যুদ্ধ করে নি। প্রভু এদেশে অন্যান্য বিদেশীদের থাকতে অনুমতি দিয়েছিলেন। (যারা কনান দখলের যুদ্ধগুলিতে ভাগ নেয়নি সেই ইস্রায়েলবাসীদের, তিনি কেমন করে যুদ্ধ করতে হয় সে শিক্ষা দেবার জন্যই এরকম ব্যবস্থা করেছিলেন।) এদেশে তিনি যেসব জাতিকে থাকতে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিল: 3 পলেষ্টীয় সম্প্রদায়ের পাঁচ জন শাসক, সমস্ত কনান জাতি, সীদোনীয় লোকরা এবং হিব্বীয় লোকরা থাকত বাল্-হর্ম্মোণ পর্বত থেকে লেবো-হমাত পর্যন্ত ছড়ানো লিবানোনের পর্বতগুলিতে। 4 ইস্রায়েলবাসীদের পরীক্ষা করার জন্য প্রভু তাদের থাকতে দিয়েছিলেন। তারা তাঁর আদেশ পালন করে কি না তিনি তা দেখতে চেয়েছিলেন। মোশির মাধ্যমে প্রভু সেইসব আজ্ঞা তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলেন।
5 ইস্রায়েলের লোকরা কনানীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, হিব্বীয়, যিবূষীয় এবং ইমোরীয়দের সঙ্গে পাশাপাশি বাস করত। 6 তারা এইসব সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে করত। তাদের মেয়েরা তাদের ছেলেদের বিয়ে করতে শুরু করল। ইস্রায়েলীয়রা ঐ সমস্ত লোকদের দেবতাদের পূজা করতে শুরু করল।
প্রথম বিচারক, অৎনীয়েল
7 প্রভুর দৃষ্টিতে ইস্রায়েলের লোকরা মন্দ কাজ করেছিল। তারা প্রভু, তাদের ঈশ্বরকে ভুলে গিয়ে বাল এবং আশেরার মূর্ত্তির পূজা করেছিল। 8 প্রভু তাদের ওপর ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি অরাম নহরয়িমের রাজা কূশন-রিশিয়াথয়িমকে ইস্রায়েলীয়দের হারিয়ে তাদের শাসন করবার জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। ইস্রায়েলীয়রা আট বছর সেই রাজার অধীনে ছিল। 9 কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য কাঁদল। তখন প্রভু কালেবের কনিষ্ট ভ্রাতা কনসের পুত্র অৎনীয়েলকে তাদের রক্ষার জন্য পাঠালেন। অৎনীয়েল ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করলেন। 10 প্রভুর আত্মা অৎনীয়েলের ওপর এল। তিনি ইস্রায়েলীয়দের বিচারক হলেন। যুদ্ধে তাদের নেতৃত্ব দিলেন। প্রভুর সাহায্যে অৎনীয়েল অরামের রাজা কুশন-রিশিয়াথয়িমকে পরাজিত করলেন। 11 এরপর 40 বছর ধরে দেশে শান্তি বজায় ছিল। এই অবস্থা ছিল কনসের পুত্র অৎনীয়েলের মৃত্যু পর্যন্ত।
বিচারক এহূদ
12 আবার ইস্রায়েলের লোকরা সেসব কাজ করল যা প্রভুর বিবেচনায় মন্দ। সেইজন্য তিনি মোয়াবের রাজা ইগ্লোনকে ইস্রায়েলীয়দের পরাজিত করবার জন্য শক্তি দিলেন। 13 ইগ্লোন অম্মোন এবং অমালেক সম্প্রদায়ের লোকদের কাছ থেকে সাহায্য পেল। তাদের নিয়ে ইগ্লোন ইস্রায়েলীয়দের আক্রমণ করল। ইগ্লোন তাদের হারিয়ে খেজুর গাছের শহর বা জেরিকো থেকে তাড়িয়ে দিল। 14 মোয়াবের রাজা ইগ্লোন 18 বছর ধরে ইস্রায়েলীয়দের শাসন করেছিল।
15 ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর কাছে কেঁদে পড়ল। তিনি তখন তাদের বাঁচানোর জন্য এহূদ নামে একজন লোককে পাঠালেন। এহূদ ছিল বাঁহাতি। তার পিতার নাম ছিল গেরা, বিন্যামীন বংশীয় লোক। ইস্রায়েলবাসীরা মোয়াবের রাজা ইগ্লোনকে উপহার দেবার জন্য এহূদকে পাঠালেন। 16 এহূদ নিজের জন্য একটি তরবারি তৈরী করল। তরবারিটির দুদিকেই ধার ছিল আর সেটা ছিল প্রায় 18 ইঞ্চি লম্বা। এহূদ তরবারিটি ডানদিকের উরুতে বেঁধে তার পোশাকের নীচে লুকিয়ে রাখল।
17 তারপর সে মোয়াবের রাজা ইগ্লোনের কাছে এসে উপহার দিল। ইগ্লোন ছিল মোটাসোটা লোক। 18 উপহার দেবার পর এহূদ সঙ্গের লোকদের বাড়ী পাঠিয়ে দিল। এরা উপহার বয়ে নিয়ে তার সঙ্গে এসেছিল। 19 তারা রাজার প্রাসাদ ছেড়ে চলে গেল। এহূদ গিল্গল শহরে শিলা মূর্ত্তিগুলোর কাছ থেকে ফিরে এসে ইগ্লোনকে বলল, “রাজা তোমার জন্য একটা গোপন খবর আছে।”
রাজা বলল “চুপ।” তারপর সে ঘর থেকে ভৃত্যদের সরিয়ে দিল। 20 এহূদ রাজা ইগ্লোনের কাছে এসেছিল। ইগ্লোন তখন গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদের উঁচুতলার একটা ঘরে একেবারে একা।
তারপর এহূদ রাজাকে বলল, “তোমার জন্য ঈশ্বরের একটা বার্তা আছে।” শুনেই রাজা সিংহাসন থেকে উঠে এহূদের কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল। 21 আর ঠিক এই সময় এহূদ বাঁ হাত দিয়ে ডান উরু থেকে তরবারি বার করে রাজার পেটে বিঁধিয়ে দিল। 22 রাজার পেটের ভেতর তরবারির বাঁট শুদ্ধ ঢুকে গেল। রাজার চর্বিতে সেটা পুরোপুরি ঢুকে গেল। এহূদ রাজার পেটেই তরবারিটা রেখে দিল। তরবারি বিদ্ধ হয়ে রাজা ইগ্লোন মলত্যাগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল এবং মল নির্গত হলো।
23 এহূদ ঘর থেকে বেরিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। 24 এহূদ চলে যাবার পর ভৃত্যরা ফিরে এলো। তারা দেখল ঘরের দরজা বন্ধ। তাই তারা নিজেরা বলাবলি করল, “রাজা নিশ্চয়ই ঘরের মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।” 25 তারা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করল। কিন্তু রাজা উপরের ঘরের দরজা খুললেন না। এবং শেষ পর্যন্ত তারা ভয় পেয়ে গেল। চাবি নিয়ে তারা দরজা খুলে দেখল রাজা মেঝের উপর মরে পড়ে রয়েছেন।
26 ভৃত্যরা যখন রাজার জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন এহূদ পালিয়ে যাবার যথেষ্ট সময় পেয়েছিল। সে মূর্ত্তিগুলোর পাশ দিয়ে যেতে যেতে সিয়ীরার দিকে পালিয়ে গেল। 27 সে সিয়ীরায় পৌঁছে ইফ্রয়িমের পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে শিঙা বাজাল। ইস্রায়েলবাসীরা শিঙার শব্দ শুনে পাহাড় থেকে নেমে এল। এহূদ তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। 28 এহূদ বলল, “আমাকে অনুসরণ কর। প্রভু আমাদের শত্রু মোয়াবের লোকদের পরাজিত করতে শক্তি দিয়েছেন।”
তাই ইস্রায়েলবাসীরা এহূদকে অনুসরণ করল। তারা সেইসব জায়গা দখল করল যেখান থেকে সহজেই যর্দন নদী পেরনো যায়। সেই সব জায়গা মোয়াবের দিকে গিয়েছে। তারা কাউকে যর্দন নদী পেরোতে দিল না। 29 তারা মোয়াবের 10,000 সাহসী ও শক্তিশালী লোককে হত্যা করল। তাদের কেউ পালাতে পারে নি। 30 সেদিন থেকে ইস্রায়েলীয়রা মোয়াবের লোকদের শাসন করতে লাগল। সে দেশে 80 বছর শান্তি ছিল।
বিচারক শম্গর
31 এহূদের পর আরও একজন লোক ইস্রায়েলবাসীদের বাঁচিয়েছিল। তার নাম অনাতের পুত্র শম্গর। শম্গর একটা গরু তাড়ানোর লাঠি দিয়ে 600 জল পলেষ্টীয়কে হত্যা করেছিল।
যীশু দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হন
(মথি 4:1-11; মার্ক 1:12-13)
4 এরপর যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে যর্দন নদী থেকে ফিরে এলেন: আর আত্মার পরিচালনায় প্রান্তরের মধ্যে গেলেন। 2 সেখানে চল্লিশ দিন ধরে দিয়াবল তাঁকে প্রলোভনে ফেলতে চাইল। সেই সময় তিনি কিছুই খাদ্য গ্রহণ করেন নি। ঐ সময় পার হয়ে গেলে যীশুর খিদে পেল।
3 তখন দিয়াবল তাঁকে বলল, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এই পাথরটিকে রুটি হয়ে যেতে বল।”
4 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘মানুষ কেবল রুটিতেই বাঁচে না।’”(A)
5 এরপর দিয়াবল তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল আর মুহূর্তের মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাল। 6 দিয়াবল যীশুকে বলল, “এইসব রাজ্যের পরাক্রম ও মহিমা আমি তোমায় দেব, কারণ এই সমস্তই আমাকে দেওয়া হয়েছে, আর আমি যাকে চাই তাকেই এসব দিতে পারি। 7 এখন তুমি যদি আমার উপাসনা কর তবে এসবই তোমার হবে।”
8 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘তুমি কেবল তোমার প্রভু ঈশ্বরকেই উপাসনা করবে,
কেবল তাঁরই সেবা করবে!’”(B)
9 এরপর দিয়াবল তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে মন্দিরের চূড়ার ওপরে দাঁড় করিয়ে বলল, “তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়। 10 কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে:
‘ঈশ্বর তাঁর স্বর্গদূতদের তোমার বিষয়ে আদেশ দেবেন
যেন তারা তোমাকে রক্ষা করে।’(C)
11 আরো লেখা আছে:
‘তারা তোমাকে তাদের হাতে করে তুলে ধরবে
যেন তোমার পায়ে পাথরের আঘাত না লাগে।’”(D)
12 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “শাস্ত্রে একথাও বলা হয়েছে: ‘তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরের পরীক্ষা করো না।’”(E)
13 এইভাবে দিয়াবল তাঁকে সমস্ত রকমের প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে, আরো ভাল সুযোগের অপেক্ষায় যীশুকে ছেড়ে চলে গেল।
যীশু লোকজনকে শিক্ষা দিলেন
(মথি 4:12-17; মার্ক 1:14-15)
14 যীশু পবিত্র আত্মার পরিচালনায় গালীলে ফিরে গেলে ঐ সংবাদ সেই অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। 15 তিনি তাদের সমাজ-গৃহে শিক্ষা দিতে লাগলেন, আর সবাই তাঁর প্রশংসা করতে লাগল।
যীশু তাঁর নিজের নগরে গেলেন
(মথি 13:53-58; মার্ক 6:1-6)
16 এরপর যীশু নাসরতে গেলেন, এখানেই তিনি প্রতিপালিত হয়েছিলেন। তাঁর রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে[a] গিয়ে সেখানে শাস্ত্র পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়ালেন।
17 তাঁর হাতে ভাববাদী যিশাইয়র লেখা পুস্তকটি দেওয়া হল। তিনি পুস্তকটি খুলে সেই অংশটি পেলেন, যেখানে লেখা আছে:
18 “প্রভুর আত্মা আমার ওপর আছেন
কারণ দীন দরিদ্রের কাছে সুসমাচার প্রচারের জন্য তিনিই আমায় নিযুক্ত করেছেন।
তিনি আমাকে বন্দীদের কাছে স্বাধীনতার কথা
ও অন্ধদের কাছে দৃষ্টি ফিরে পাবার কথা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন;
আর নির্যাতিতদের মুক্ত করতে বলেছেন।
19 এছাড়া প্রভুর অনুগ্রহ দানের বৎসরের কথা ঘোষণা করতেও পাঠিয়েছেন।”(F)
20 এরপর তিনি পুস্তকটি গুটিয়ে সেখানকার সহায়কদের হাতে দিয়ে বসলেন। সে সময় যারা সমাজ-গৃহে ছিল, তাদের সকলের দৃষ্টি তাঁর ওপর গিয়ে পড়ল। 21 তখন তিনি তাদের বললেন, “শাস্ত্রের এই কথা যা তোমরা শুনলে তা আজ পূর্ণ হল।”
22 সকলেই তাঁর খুব প্রশংসা করল, তাঁর মুখে অপূর্ব সব কথা শুনে তারা আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা বলল, “এ কি যোষেফের ছেলে নয়?”
23 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা নিশ্চয়ই আমার বিষয়ে প্রচলিত প্রবাদটি বলবে, ‘চিকিৎসক, আগে নিজেকে সুস্থ কর। কফরনাহূমে যে সমস্ত কাজ করেছ বলে আমরা শুনেছি সে সব এখন এখানে নিজের গ্রামেও কর দেখি!’” 24 তারপর যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কোন ভাববাদী তাঁর নিজের গ্রামে গ্রাহ্য হন না।
25-26 “সত্যি বলতে কি এলিয়র সময়ে যখন সাড়ে তিন বছর ধরে আকাশ রুদ্ধ ছিল এবং সারা দেশে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ চলছিল, সেই সময ইস্রায়েল দেশে অনেক বিধবা ছিল। কিন্তু তাদের কারো কাছে এলিয়কে পাঠানো হয় নি, কেবল সীদোন প্রদেশে সারিফতে সেই বিধবার কাছেই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল।
27 “আবার ভাববাদী ইলীশায়ের সময়ে ইস্রায়েল দেশে অনেক কুষ্ঠরোগী ছিল, কিন্তু তাদের কেউ সুস্থ হয় নি, কেবল সুরীয় নামান সুস্থ হয়েছিল।”
28 এই কথা শুনে সমাজ-গৃহের সমস্ত লোক রেগে আগুন হয়ে গেল। 29 তারা উঠে যীশুকে নগরের বাইরে বার করে দিল আর নগরটি যে পাহাড়ের ওপর ছিল তার শেষ প্রান্তে তাঁকে ঠেলে নিয়ে গেল, যেন পাহাড়ের চূড়া থেকে তাঁকে নীচে ফেলে দিতে পারে। 30 কিন্তু তিনি তাদের মাঝখান দিয়ে চলে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International