Old/New Testament
হোমবলির জন্যে বেদী
27 প্রভু মোশিকে বললেন, “বাবলা কাঠের একটি বেদী বানাবে। বেদীখানা হবে চৌকো আকারের। বেদীটি উচ্চতায় হবে 3 হাত, লম্বায় হবে 5 হাত এবং চওড়ায় হবে 3 হাত। 2 বেদীর চার কোণার প্রত্যেকটির জন্য একটি করে শিখর বানাও এবং প্রত্যেকটি শিখর বেদীর কোনায় যুক্ত কর যাতে তারা অখণ্ড হয়। তারপর ওটিকে পিতলের পাত দিয়ে মুড়ে দাও।
3 “বেদীর সমস্ত যন্ত্রপাতি এবং বাসন-কোসন পিতল দিয়ে তৈরী কর। বেদী থেকে ছাই তুলে নেওয়ার জন্য পাত্র, তার বেলচাসমূহ, সিঞ্চনকারী পাত্রসমূহ, আঁকশি এবং উনুন তৈরী কর। ব্যবহারের পর বেদীর হোমবলির ছাই দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করবে। 4 বেদীর জন্য ছাকনীর আকারের একটি ঝাঁঝরি রাখবে। ঝাঁঝরির চারকোণার জন্য পিতলের আংটা বানাবে। 5 বেদীর নীচে এই ঝাঁঝরি রাখবে। কিন্তু এর উচ্চতা হবে বেদীর মধ্যভাগ পর্যন্ত।
6 “বেদীর জন্য পিতলে মোড়া বাবলা কাঠের খুঁটি ব্যবহার করবে। 7 বেদীর দুপাশে লাগানো আংটার মধ্যে খুঁটি ঢুকিয়ে বেদীকে যেখানে ইচ্ছে বয়ে নিয়ে বেড়াও। 8 খালি ধারগুলিতে কাঠের তক্তা ব্যবহার করে বেদীটি একটি শূন্য সিন্দুকের আকারে বানাও। এবং পর্বতে আমি যেভাবে দেখালাম ঠিক সেইভাবেই বানাবে।
পবিত্র তাঁবুর প্রাঙ্গণে আদালত চত্বর
9 “পবিত্র তাঁবুর জন্য একটি আদালত চত্বর বানাবে। দক্ষিণ দিকে 100 হাত লম্বা পর্দা দেওয়া দেওয়াল থাকবে। এই পর্দা মসৃণ শনের কাপড়ের তৈরী হওয়া চাই। 10 কুড়িটি খুঁটি এবং খুঁটিগুলোর নীচে 20টি পিতলের ভিত্তি তৈরী কর। আংটা এবং পর্দার দণ্ডগুলি রূপো দিয়ে তৈরী কর। 11 উত্তরদিকেও একইভাবে 100 হাত লম্বা একটি পর্দার দেওয়াল থাকবে। এর জন্য অবশ্যই 20টি খুঁটি ও 20টি পিতলের ভিত্তি থাকবে। এই খুঁটিগুলির জন্য আংটাসমূহ ও পর্দার দণ্ডগুলি হবে রূপোর তৈরী।
12 “আদালত চত্বরের পশ্চিম দিকে 50 হাত লম্বা পর্দা থাকবে। আর এর জন্য চাই দশটি খুঁটি ও পায়া। 13 পূর্ব দিকেও 50 হাত লম্বা পর্দা থাকবে। 14 এই পূর্ব দিকটিই হবে প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথের একদিকে থাকবে 15 হাত লম্বা পর্দা। তার জন্যও চাই তিনটি খুঁটি ও পায়া। 15 অন্যদিকেও করতে হবে একই ব্যাপার। সেই 15 হাত লম্বা পর্দা ও তার জন্য চাই 3টি খুঁটি ও 3টি পায়া।
16 “আদালত চত্বরের পথটি ঢাকতে বানাবে 20 হাত লম্বা পর্দা। পর্দা তৈরী হবে মিহি মসীনাবস্ত্রের এবং লাল, নীল, বেগুনী ও লাল সুতোর এবং তাতে সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তুলবে। পর্দাটি টাঙ্গানোর জন্য চারটি খুঁটি ও চারটি পায়া থাকবে। 17 উঠোনের চারিদিকের সমস্ত খুঁটি পর্দার রূপোর দণ্ড দিয়ে যুক্ত হবে। খুঁটির ওপর পর্দা টাঙ্গানোর আংটাগুলি হবে রূপোর এবং খুঁটির নীচে পায়াগুলি হবে পিতলের। 18 আদালত চত্বরটি হবে 100 হাত লম্বা ও 50 হাত চওড়া। আদালত চত্বরের চারিদিকে 5 হাত উচ্চতার টানা পর্দার দেওয়াল থাকবে। পর্দাটি হবে মিহি মসীনা কাপড়ের। খুঁটির নীচের পায়াগুলি হবে পিতলের। 19 পবিত্র তাঁবু তৈরীর যাবতীয় জিনিসপত্র হবে পিতলের। উঠোনের চারিদিকের, পর্দায় ব্যবহারের জন্য কীলকগুলি পিতলের তৈরী হবে।
প্রদীপ জ্বালানোর তেল
20 “ইস্রায়েলের লোকদের আদেশ করো, তারা যেন প্রত্যেক সন্ধ্যায় যে প্রদীপ জ্বালানো হবে তার জন্য সব থেকে ভাল জলপাইয়ের তেল নিয়ে আসে। 21 হারোণ ও তার পুত্রদের কাজ হল প্রতি সন্ধ্যায় প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য প্রদীপ তৈরী করে রাখা। আর সাক্ষ্য সিন্দুকের ঘরের বাইরে পর্দা দিয়ে বিভাজন করা অন্য একটি ঘরে বা সমাগম তাঁবুর ঘরে তারা সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সর্বদা প্রভুর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে। ইস্রায়েলের লোকরা এবং তাদের পরবর্তী উত্তরপুরুষরা এই চিরস্থায়ী বিধি মেনে চলবে।”
যাজকের পোশাক
28 প্রভু মোশিকে বললেন, “তোমার ভাই হারোণ ও তার পুত্রগণ নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর এবং ঈথামরকে তোমার কাছে আসতে বলো। তারাই যাজকরূপে ইস্রায়েলের লোকদের হয়ে আমাকে সেবা করবে।
2 “তোমার ভাই হারোণের জন্য একটি বিশেষ ধরণের পোশাক বানাবে। ঐ পোশাক হারোণকে বিশেষ সম্মান ও গৌরব প্রদান করবে। 3 কয়েকজন দক্ষ দর্জি সেই পোশাক তৈরী করবে। আমি সেই দর্জিদের বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করেছি। সেই দর্জিদের বলো হারোণের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরী করতে। এই পোশাকই প্রমাণ করবে সেই যাজক আমাকে বিশেষ ভাবে সেবা করছে। তখন সে আমাকে যাজকের মতোই সেবা করবে। 4 তাদের যে পোশাকগুলি বানাতে হবে তা হল এই: একটি বক্ষাবরণ, একটি এফোদ, একটি নীল রঙের পরিচ্ছদ এবং একটি সাদা বোনা বস্ত্র, একটি পাগড়ি এবং একটি কোমর বন্ধনী। এই বিশেষ পোশাক পরিচ্ছদগুলি বানানো হবে হারোণ ও তার পুত্রদের জন্য। এই পোশাক পরার পরেই ওরা আমায় যাজক হিসেবে সেবা করতে পারবে। 5 পোশাকগুলিতে ব্যবহার হবে সোনার জরি, মসৃণ মসীনা এবং লাল, নীল, বেগুনী সুতো।
এফোদ এবং কোমর বন্ধনী
6 “এফোদ বানাতে সোনার জরি, মসৃণ শনের কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো ব্যবহার করবে। দক্ষতার সঙ্গে অতি যত্নে তা তৈরী করতে হবে। 7 এফোদের প্রতিটি কাঁধে একটি করে কাঁধ পট্টি থাকবে। এফোদের দুই কোণার সঙ্গে কাঁধ পট্টি সংযুক্ত হবে।
8 “এফোদের জন্য কোমর বন্ধনী তৈরীর সময় দর্জীদের সতর্ক থাকতে হবে। এফোদের মতো কোমর বন্ধনীতেও সোনার জরি, মসৃণ শণের কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো ব্যবহার করা হবে।
9 “দুটো গোমেদমনি নাও এবং তার ওপর ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম খোদাই কর। 10 ছয় জনের নাম এক মণিতে ও অন্য ছয় জনের নাম অপর মণিতে খোদাই করবে। নাম খোদাই করার সময় বয়স অনুযায়ীবড় থেকে ছোট এইভাবে পর পর সাজাবে। 11 শীলমোহরের মতো নামগুলো খোদাই করে সোনা দিয়ে বাঁধিযে নেবে। 12 এবারে ঐ দুটি মণি এফোদের দুই কাঁধে লাগাবে। হারোণ যখন প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন সে ইস্রায়েলের পুত্রদের নামের স্মারক হিসেবে ঐ বিশেষ আচ্ছাদনটি পরবে। 13 এফোদের দুই কাঁধে যাতে খোদাই করা মণি দুটি সঠিকভাবে আটকে থাকে তার জন্য খাঁটি সোনা ব্যবহার করবে। 14 খাঁটি সোনার দুটি শিকল তৈরী কর, প্রত্যেকটি দড়ির মত পাকানো এবং তাদের ঐ মণি দুটির সঙ্গে আটকে দাও।
বক্ষাবরণ
15 “মহাযাজকের জন্য বক্ষাবরণ তৈরী করবে। দক্ষ দর্জিরা এফোদের মতোই যত্ন করে বক্ষাবরণ তৈরী করবে। বক্ষাবরণ তৈরী হবে সোনার জরি, মসৃণ মসীনা কাপড় ও লাল, নীল, বেগুনী সুতো দিয়ে। 16 বক্ষাবরণটিকে চারকোণা করবার জন্য অবশ্যই দুবার ভাঁজ করতে হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে 1 বিঘৎ ও প্রস্থ হবে 1 বিঘৎ। 17 বক্ষাবরণে চার সারিতে মণিমানিক্য বসাও। প্রথম সারিতে থাকবে চূনী, পীতমণি ও মরকত। 18 দ্বিতীয় সারিতে থাকবে পদ্মরাগ, নীলকান্ত ও পান্না। 19 তৃতীয় সারিতে থাকবে পোখরাজ, যিস্ম ও কটাহেলা। 20 চতুর্থ সারিতে থাকবে বৈদুর্য্য, গোমেদ ও সূর্য্যকান্ত মণি। এই মণিগুলি নিজের নিজের সারিতে সোনায় আঁটা থাকবে। 21 বারোটি মণির ওপর ইস্রায়েলের সন্তানদের নাম আলাদা আলাদা করে খোদাই থাকবে। সীলমোহরের মতো ঐ মণিগুলিতে বারোজনের নাম খোদাই করা থাকবে।
22 “বক্ষাবরণের ওপরের অংশটির জন্য খাঁটি সোনা দিয়ে প্রত্যেকটিকে দড়ির মত পাকিয়ে শেকল তৈরী কর। 23 দুটো সোনার আংটা লাগানো থাকবে বক্ষাবরণের দুই কোণে। 24 দুটো সোনার চেন বক্ষাবরণের দুপাশের আংটায় লাগাবে। 25 পাকানো শেকল দুটির অন্য প্রান্ত এফোদের কাঁধের পট্টিগুলোর সঙ্গে অবশ্যই সামনে দিয়ে জোড়া থাকবে। 26 আরও দুটো সোনার আংটা বানিয়ে বক্ষাবরণের অন্য দুই প্রান্তে লাগাবে। এফোদের পরে বক্ষাবরণের ভিতর ভাগে এই আংটা থাকবে। 27 আরও দুটো সোনার আংটা এফোদের সামনের দিকে কাঁধের পট্টির নীচে লাগাবে। এফোদের কোমর বন্ধনীর ওপরে এই আংটা স্থাপন করতে হবে। 28 বক্ষাবরণ থেকে এফোদ যাতে খসে পড়ে না যায় তার জন্য বক্ষাবরণের আংটার সঙ্গে এফোদের আংটা নীল রঙের ফিতে দিয়ে বেঁধে নেবে। এইভাবে বক্ষাবরণ কোমর বন্ধনীর কাছাকাছি থেকে এফোদকেও ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
29 “হারোণ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলে তাকে বক্ষাবরণ পরতেই হবে। এইভাবে যখন সে প্রভুর সামনে দাঁড়াবে তখন সে তার বক্ষের ওপর স্মারক হিসেবে ইস্রায়েলের বারোজন সন্তানের নাম পরে থাকবে। 30 আর সেই বক্ষাবরণের অভ্যন্তরে উরীম ও তূম্মীম রাখবে। প্রভুর সামনে গেলে সর্বদা সেগুলি হারোণের হৃদয়ের ওপর থাকবে। এইভাবে হারোণ প্রভুর সামনে ইস্রায়েলের সন্তানদের বিচার প্রতিনিয়ত নিজের হৃদয়ের ওপর বয়ে নিয়ে বেড়াবে।
যাজকদের অন্যান্য পোশাক
31 “এফোদের জন্য একটি সম্পূর্ণরূপে নীল রঙের আলখাল্লা তৈরী করবে। 32 আলখাল্লার মাঝখান দিয়ে মাথা ঢোকানোর জন্য একটি ছিদ্র করবে এবং এই ছিদ্রটির চারধার জুড়ে একটি বোনা কাপড়ের টুকরো সেলাই করে দাও যাতে এটি ছিঁড়ে না যায়। এই কাপড় ছিদ্রটির চারদিকে গলাবন্ধনীর কাজ করবে, ফলে তা ছিঁড়ে যাবে না। 33 লাল, নীল, বেগুনী সুতো দিয়ে ডালিমের মতো সুতোর গোলা তৈরী কর এবং আলখাল্লার নীচে ঝুলিয়ে দেবে আর সুতোর বলের মাঝখানে সোনার ছোট ছোট ঘন্টা লাগাবে। 34 পুরো আলখাল্লার নীচের চারিদিকে এই রকম একটা করে সুতোর গোলা ও একটা করে সোনার ঘন্টা লাগানো হবে। 35 যাজকরূপে প্রভুকে সেবা করার সময় হারোণ এই আলখাল্লাটি পরবে। প্রভুর সামনে দাঁড়ানোর জন্য হারোণ পবিত্র স্থানের দিকে এগোলে ঐ ঘন্টাগুলি বাজবে এবং পবিত্র স্থান ছেড়ে বাইরে আসবার সময়ও ঘন্টাগুলি বাজবে। এইভাবে হারোণ কখনও মারা যাবে না।
36 “নির্মল সোনার ফলক বানিয়ে তাতে শীলমোহরের মতো জনগণের উদ্দেশ্যে খোদাই করবে এই কথাগুলি: এটি প্রভুর কাছে উৎসর্গীকৃত। 37 সোনার ফলকটিকে নীল ফিতেতে আবদ্ধ করবে। পাগড়ির ওপর চারিদিকে নীল ফিতে বাঁধা থাকবে। পাগড়ির সামনের দিকে থাকবে সোনার ফলকটি। 38 হারোণ পাগড়ি সমেত ঐ সোনার ফলকটি মাথায় পরবে। আর তা সবসময় হারোণের মাথায় থাকবে। তার ফলে ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুকে যে সমস্ত উপঢৌকন দেবে হারোণ তা দোষ মুক্ত করে সব কিছু পবিত্র করে তুলবে যাতে সেই সমস্ত উপঢৌকন প্রভু গ্রহণ করতে পারেন।
39 “মসৃণ সাদা মসীনা সুতো দিয়ে আরও একটা আলখাল্লা বুনবে। পাগড়িও বানাবে মসৃণ মসীনা কাপড়ের। চিহ্নিত কোমর বন্ধনী বানাবে। 40 হারোণের পুত্রদের জন্যও গায়ের পোশাক, কোমর বন্ধনী ও পাগড়ি বানাবে। এই পোশাকই তাদের গৌরবান্বিত ও সম্মানিত করবে। 41 এই পোশাকগুলি তোমার ভাই হারোণ ও তার পুত্রদের পরাবে। যাজক হিসেবে অভিষেকের জন্য তাদের গায়ে বিশেষ সুগন্ধি তেল ছেটাবে। এইভাবে তারা পবিত্র হবে এবং প্রভুর সেবা করার যোগ্য যাজক হয়ে উঠবে।
42 “যাজকদের নগ্নতা ঢাকার জন্য শরীরের ভেতরের পোশাক মসৃণ মসীনা কাপড়ে তৈরী হবে। এই ভেতরের পোশাক তাদের জঙ্ঘা থেকে কোমর পর্যন্ত ঢেকে রাখবে। 43 সমাগম তাঁবুতে প্রবেশের সময় হারোণ ও তার পুত্রদের অবশ্যই এই পোশাকগুলি পরাতে হবে। পবিত্র স্থানে প্রভুর সেবার উদ্দেশ্যে বেদীর কাছে আসতে হলে তাদের এই পোশাক পরতে হবে। তারা যদি এই পোশাক না পরে তাহলে তাদের মরতে হবে কারণ তারা অপরাধী। এই পোশাক পরার বিধি হারোণ ও তার পরবর্তী বংশধরদের চিরস্থায়ীভাবে মেনে চলতেই হবে।”
রাজার মতো যীশু জেরুশালেমে এলেন
(মার্ক 11:1-11; লূক 19:28-38; যোহন 12:12-19)
21 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা জেরুশালেমের কাছাকাছি জৈতুন পর্বতমালার ধারে অবস্থিত বৈত্ফগী গ্রামের ধারে এসে পৌঁছালেন। 2 তিনি তাঁর দুজন শিষ্যকে এই বলে পাঠালেন, “তোমরা ঐ সামনের গ্রামে যাও। সেখানে দেখবে একটা গাধা বাঁধা আছে আর একটা বাচ্চাও তার সাথে আছে। তাদের খুলে আমার কাছে নিয়ে এস। 3 কেউ যদি তোমাদের কিছু জিজ্ঞেস করে, তবে তাকে বোলো, ‘প্রভু এদের চান। তিনি পরে তাদের ফেরত দেবেন।’”
4 এমনটি হল যেন এর দ্বারা ভাববাদীর ভাববাণী পূর্ণ হয়:
5 “সিয়োন নগরীকে বল,
‘দেখ তোমার রাজা তোমার কাছে আসছেন।
তিনি নম্র, তিনি গাধার ওপরে,
একটি ভারবাহী গাধার বাচ্চার ওপরে চড়ে আসছেন।’”(A)
6 যীশু যেমন বলেছিলেন তাঁর শিষ্যেরা গিয়ে তেমনি করলেন। 7 তারা সেই গাধা ও গাধার বাচ্চাটা এনে তাদের ওপর নিজেদের গায়ের কাপড় বিছিয়ে দিলে যীশু তাদের উপর বসলেন। 8 লোকদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের জামা খুলে পথে বিছিয়ে দিল, আবার অনেকে গাছের ডাল কেটে নিয়ে পথের ওপরে বিছিয়ে দিল। 9 যারা যীশুর সামনে ও পিছনে ভীড় করে যাচ্ছিল, তারা চিৎকার করে বলতে লাগল,
“দায়ূদের পুত্রের প্রশংসা হোক্।
‘যিনি প্রভুর নামে আসছেন, তিনি ধন্য!’(B)
স্বর্গে ঈশ্বরের প্রশংসা হোক্।”
10 যীশু যখন জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন, তখন সমস্ত শহরে খুব শোরগোল পড়ে গেল। লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, “ইনি কে?”
11 জনতা বলে উঠল, “ইনি যীশু, গালীলের নাসরতীয় শহরের সেই ভাববাদী।”
যীশু মন্দিরে গেলেন
(মার্ক 11:15-19; লূক 19:45-48; যোহন 2:13-22)
12 এরপর যীশু মন্দির চত্বরে ঢুকলেন; আর যারা সেই মন্দির চত্বরের মধ্যে বেচাকেনা করছিল, তাদের তাড়িয়ে দিলেন। যারা টাকা বদল করে দেবার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যাঁরা ডালায় করে পায়রা বিক্রি করছিল তিনি তাদের টেবিল ও ডালা উল্টে দিলেন। 13 যীশু তাদের বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমার গৃহ হবে প্রার্থনা গৃহ।’(C) কিন্তু তোমরা তা দস্যুদের আস্তানায় পরিণত করেছ।(D)”
14 এরপর মন্দির চত্বরের মধ্যে অনেক অন্ধ ও খঞ্জ যীশুর কাছে এলে তিনি তাদের সুস্থ করলেন। 15 প্রধান যাজকরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা দেখলেন যে, যীশু অনেক অলৌকিক কাজ করছেন, আর যখন দেখলেন মন্দির চত্বরের মধ্যে ছেলেমেয়েরা চিৎকার করে বলছে, “প্রশংসা, দায়ূদের পুত্রের প্রশংসা হোক্,” তখন তাঁরা রেগে গেলেন।
16 তাঁরা যীশুকে বললেন, “ওরা যা বলছে, তা কি তুমি শুনতে পাচ্ছ?”
যীশু তাদের জবাব দিলেন, “হ্যাঁ, পাচ্ছি, তোমরা কি শাস্ত্রে পড় নি, ‘তুমি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরই প্রশংসা করতে শিখিয়েছ?’”(E)
17 এরপর যীশু তাদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়ায় গিয়ে রাতে সেখানেই থাকলেন।
বিশ্বাসের শক্তি
(মার্ক 11:12-14, 20-24)
18 পরদিন সকালে তিনি যখন জেরুশালেমে ফিরছিলেন, সেই সময় যীশুর খিদে পেল। 19 তিনি পথের ধারে একটি ডুমুর গাছ দেখতে পেয়ে সেই গাছটার কাছে গেলেন। কিন্তু পাতা ছাড়া তাতে কিছু দেখতে পেলেন না। তখন তিনি সেই গাছটিকে বললেন, “তোমাতে আর কখনও ফল হবে না।” আর সেই ডুমুর গাছটি শুকিয়ে গেল।
20 এই ঘটনা দেখে শিষ্যরা আশ্চর্য হয়ে বললেন, “এই ডুমুর গাছটা এত তাড়াতাড়ি কেমন করে শুকিয়ে গেল?”
21 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের যদি ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, যদি সন্দেহ না কর, তবে ডুমুর গাছের প্রতি আমি যা করেছি, তোমরাও তা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, তোমরা যদি ঐ পাহাড়কে বল, ‘ওঠ, ঐ সাগরে গিয়ে আছড়ে পড়’ দেখবে তাই হবে। 22 যদি বিশ্বাস থাকে, তবে প্রার্থনায় তোমরা যা চাইবে তা পাবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International