Old/New Testament
যর্দন নদীর পূর্বদিকের পরিবারগোষ্ঠী
32 রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীতে অনেক গবাদি পশু ছিল। ঐ লোকরা যাসের ও গিলিয়দের কাছে জমি দেখেছিল। তারা দেখল যে, এই জমিটি তাদের পশুদের কাছে খুবই উপযোগী। 2 সেই কারণে রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশি, যাজক ইলিয়াসর এবং লোকদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলল। 3-4 তারা বলল, “আমাদের অর্থাৎ আপনাদের সেবকদের অনেক গবাদি পশু আছে এবং যে জমি প্রভু ইস্রায়েলীয়দের জন্য জয় করেছিলেন সেটি পশুদের পক্ষে খুবই উপযোগী। এই দেশের অন্তর্ভুক্ত জায়গাগুলো ছিল অষ্টারোৎ, দীবোন, যাসের, নিম্রা, হিষ্বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নবো ও বিয়োন। 5 তারা বলল, যদি আপনার খুশী হয় তাহলে এই জায়গাটি আমাদের দিয়ে দিতে পারেন। আমাদের যর্দন নদীর অপর পারে নিয়ে যাবেন না।”
6 মোশি রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “তোমরা যখন এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে তখন কি তোমরা তোমাদের ভাইদের যুদ্ধে যেতে দেবে? 7 তোমরা ইস্রায়েলের লোকদের নিরুৎসাহ করার চেষ্টা করছ কেন? তোমরা তাদের নিরুৎসাহ করছ যাতে তারা নদী পার না হয় এবং ঈশ্বর তাদের যে দেশ দিয়েছেন সেই দেশ অধিগ্রহণ না করে! 8 তোমাদের পিতারাও আমার সঙ্গে ঠিক একই ব্যবহার করেছিল। কাদেশ-বর্ণেয় দেশটি দেখার জন্য আমি কিছু গুপ্তচর সেখানে পাঠিয়েছিলাম। 9 ঐ সমস্ত লোকরা ইষ্কোলের উপত্যকা পর্যন্ত গিয়েছিল। তারা দেশটি দেখেছিল এবং ঐ সমস্ত লোকরা ইস্রায়েলের লোকদের এতটাই নিরুৎসাহ করেছিল যে প্রভু তাদের যে জায়গা দিয়েছিলেন, সেখানে যেতেও তারা অস্বীকার করেছিল। 10 প্রভু ঐ লোকদের প্রতি প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: 11 ‘মিশর থেকে এসেছে এমন 20 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক কোনো লোকই সেই দেশ দেখার অনুমতি পাবে না যে দেশ আমি অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবের কাছে দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। কিন্তু তারা সঠিকভাবে আমাকে অনুসরণ করে নি। সুতরাং কালেব এবং যিহোশূয় ছাড়া আর কেউ এই দেশ পাবে না। 12 কারণ কনিসীয় গোষ্ঠীভুক্ত যিফূন্নির পুত্র কালেব এবং নূনের পুত্র যিহোশূয় প্রভুকে সঠিকভাবে অনুসরণ করেছিল!’
13 “ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভু প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই কারণে প্রভু ঐ লোকদের 40 বছর মরুভূমিতে বাস করতে বাধ্য করেছিলেন। যারা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপকার্য করেছিল তাদের সকলকেই প্রভু তাদের মৃত্যু পর্যন্ত মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করেছিলেন। 14 তোমাদের পিতারা যে কাজ করেছিলেন এখন তোমরা সেই একই কাজের পুনরাবৃত্তি করছো। তোমরা পাপী লোকরা, তোমরা কি চাও যে, প্রভু তার লোকদের বিরুদ্ধে আগের থেকেও আরও বেশী ক্রুদ্ধ হন? 15 তোমরা যদি প্রভুকে অনুসরণ করা ছেড়ে দাও, তাহলে প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের আরও দীর্ঘদিনের জন্য মরুভূমিতে থাকতে বাধ্য করবেন। এইভাবে তোমরা এই সমস্ত লোকদের ধ্বংস করবে।”
16 কিন্তু রূবেণের এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশির কাছে গিয়ে বলল, “আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য এখানে শহর তৈরী করবো এবং আমাদের পশুর জন্য খোঁয়াড় গড়ে তুলবো। 17 তাহলে আমাদের সন্তানরা এই দেশে বসবাসকারী অন্যান্য লোকদের থেকে নিরাপদে থাকতে পারবে। কিন্তু আমরা খুব খুশী মনেই এগিয়ে এসে ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সাহায্য করব যে পর্যন্ত না তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে আসব। 18 ইস্রায়েলের প্রত্যেকে তার জমির অংশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ী ফিরবো না। 19 যর্দন নদীর পশ্চিম দিকের কোনো জমি আমরা নেবো না। যর্দন নদীর কেবলমাত্র পূর্বদিকের জমিই আমাদের।”
20 সুতরাং মোশি তাদের বললেন, “তোমরা যদি এগুলোর সবটাই করো, তাহলে এই জমি তোমাদের হবে; কিন্তু তোমাদের সৈন্যদের অবশ্যই প্রভুর সামনে যুদ্ধে যেতে হবে। 21 তোমাদের সৈন্যরা অবশ্যই যর্দন নদী পার করবে এবং শত্রুদের দেশত্যাগ করতে বাধ্য করবে। 22 প্রভু আমাদের সবাইকে জমি অধিগ্রহণ করতে সাহায্য করার পরে, তোমরা বাড়ী ফিরে যেতে পারো। তখন প্রভু এবং ইস্রায়েলের লোকরা তোমাদের দোষী মনে করবে না। তখন প্রভু তোমাদের এই জমি নিতে দেবেন। 23 কিন্তু তোমরা যদি এইগুলো না করো, তাহলে তোমরা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করবে এবং এটা নিশ্চিত জেনে রেখো যে, তোমরা তোমাদের পাপের জন্য শাস্তি পাবে। 24 তোমরা তোমাদের সন্তানদের জন্য শহর এবং তোমাদের পশুদের জন্য খোঁয়াড় তৈরী করো; কিন্তু তোমরা যা শপথ করেছিলে সেগুলো অবশ্যই কোরো।”
25 তখন গাদের এবং রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশিকে বলল, “আমরা আপনার সেবক, আপনি আমাদের গুরু, সুতরাং আপনি যা বলবেন আমরা সেটাই করব। 26 আমাদের স্ত্রীরা, সন্তানরা এবং আমাদের সমস্ত পশু গিলিয়দের শহরগুলোতে থাকবে। 27 কিন্তু আমরা, আপনার সেবকরা যর্দন নদী পার হব। আমাদের প্রভুর কথামতো আমরা প্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য এগিয়ে যাবো।”
28 সুতরাং মোশি, যাজক ইলিয়াসর, নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠীগুলোর সমস্ত নেতাদের তাদের বিষয় এই নির্দেশ দিলেন। 29 মোশি তাদের বললেন, “গাদ এবং রূবেণের মানুষ যর্দন নদী পার হবে এবং প্রভুর সামনে থেকে যুদ্ধে যাবে। তারা তোমাদের সেই দেশ নিতে সাহায্য করবে এবং তাদের দেশের অংশ হিসেবে তুমি গিলিয়দের দেশ দিয়ে দেবে। 30 তারা প্রতিজ্ঞা করেছে যে কনান দেশ অধিকার করতে তারা তোমাদের সাহায্য করবে। কিন্তু যদি তারা তোমাদের সৈন্যদের সঙ্গে পার না হয় তাহলে তারা কেবলমাত্র কনানে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট জমির অংশ পাবে।”
31 গাদ এবং রূবেণের লোকরা উত্তর দিল, “প্রভু যা আদেশ করেছেন ঠিক সেটা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি করেছি। 32 আমরা প্রভুর সামনে যর্দন নদী পার হয়ে কনান দেশে যাব, কিন্তু যর্দন নদীর পূর্বদিকের দেশই হল আমাদের অংশ।”
33 সুতরাং গাদের লোকদের, রূবেণের লোকদের এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোককে মোশি সেই দেশ দিয়েছিলেন। (মনঃশি ছিলেন যোষেফের পুত্র।) ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজ্য এবং বাশনের রাজা ওগের রাজ্য সেই দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঐ জায়গার আশেপাশের সমস্ত ঐ শহর ঐ দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
34 গাদের লোকরা দীবোন, অটারোৎ ও অরোয়ের এবং 35 অটারোৎ-শোফন, যাসের ও যগবিহ এবং 36 বৈৎ-নিম্রা ও বৈৎ-হারণ শহরগুলি খুব শক্ত প্রাচীর দিয়ে গড়ে তুলেছিল এবং পশুদের জন্য খোঁয়াড় তৈরী করেছিল।
37 রূবেণের লোকরা হিষবোন, ইলিয়ালী, কিরিয়াথয়িম, 38 নবো, বাল্-মিয়োন এবং সিব্মা শহর গড়ে তুলেছিল। তারা তাদের পুর্নগঠিত শহরগুলোর আগের নামগুলোই রেখেছিল কিন্তু নবো এবং বাল্-মিয়োনের নাম পরিবর্তন করেছিল।
39 মনঃশির পুত্র মাখীরের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দে গিয়ে সেখানে বসবাসকারী ইমোরীয়দের পরাজিত করেছিল। 40 সেই কারণে মোশি মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর মাখীরকে গিলিয়দ দিলেন এবং তাদের পরিবার সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করল। 41 মনঃশি গোষ্ঠীর যায়ীর সেখানকার ছোটো ছোটো গ্রামগুলোকে অধিকার করল। এরপর সে ঐ গ্রামগুলোর নাম দিয়েছিল যায়ীরের শহর সকল। 42 কনাত্ এবং এর কাছের ছোটো ছোটো শহরগুলোকে নোবহ পরাজিত করেছিল। এরপর সে নিজের নামানুসারে সেই জায়গার নামকরণ করেছিল।
মিশর থেকে ইস্রায়েলের যাত্রা
33 মোশি এবং হারোণ মিশর থেকে ইস্রায়েলের লোকদের নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। 2 তারা যে জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করেছিল, প্রভুর আজ্ঞা অনুযায়ী মোশি সে জায়গাগুলো সম্পর্কে লিখেছিলেন। তাদের যাত্রার পর্যায়গুলি এখানে দেওয়া হল:
3 প্রথম মাসের 15তম দিনে তারা রামিষেষ ত্যাগ করেছিল। সেই দিন সকালে নিস্তারপর্বের পরে ইস্রায়েলের লোকরা জয়ের ভঙ্গীতে তাদের হাত উঁচু করে মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল। মিশরের সমস্ত লোক তাদের দেখেছিল। 4 প্রভু যাদের হত্যা করেছিলেন সেই প্রথমজাতদের মিশরীয়রা সেই সময় কবর দিচ্ছিল। মিশরের দেবগণের বিরুদ্ধেও প্রভু তাঁর বিচার দেখিয়েছিলেন।
5 ইস্রায়েলের লোকরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। 6 সুক্কোৎ থেকে তারা এথমের দিকে যাত্রা করেছিল। লোকরা সেখানে মরুভূমির প্রান্তে শিবির স্থাপন করেছিল। 7 তারা এথম ত্যাগ করে পী-হহীরোতের দিকে যাত্রা করেছিল। এই জায়গাটি বাল-সফোনের কাছে ছিল। লোকরা মিগ্দোলের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল।
8 লোকরা পী-হহীরোত ত্যাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল। তারা মরুভূমির দিকে গিয়েছিল, এরপর তিন দিন ধরে এথম মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল। লোকরা মারা নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেছিল।
9 লোকরা মারা ত্যাগ করে এলীমে গিয়েছিল এবং সেখানেই শিবির স্থাপন করেছিল। সেখানে 12টি ঝর্ণা এবং 70টি খেজুর গাছ ছিল।
10 লোকরা এলীম ত্যাগ করে সূফ সাগরের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল।
11 সূফ সাগর ত্যাগ করার পরে লোকরা সীন মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল।
12 এরপর সীন মরুভূমি ত্যাগ করে দপ্কাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
13 দপকা ত্যাগ করে আলুশে শিবির স্থাপন করেছিল।
14 আলুশ ত্যাগ করে রফীদীমে শিবির স্থাপন করেছিল। সেই স্থানে লোকদের পান করার উপযোগী কোনো জল ছিল না।
15 লোকরা রফীদীম ত্যাগ করে সীনয় মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল।
16 সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে কিব্রোৎ-হত্তাবাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
17 লোকরা কিব্রোৎ-হত্তাবা ত্যাগ করে হৎসেরোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
18 হৎসেরোত ত্যাগ করার পরে রিত্মাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
19 রিৎমা ত্যাগ করে রিম্মোণ-পেরসে শিবির স্থাপন করেছিল।
20 রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে লিব্নাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
21 লিব্না ত্যাগ করে রিস্সাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
22 রিস্সা ত্যাগ করে কহেলাথায় শিবির স্থাপন করেছিল।
23 কহেলাথা ত্যাগ করে শেফর পর্বতে শিবির স্থাপন করেছিল।
24 শেফর পর্বত ত্যাগ করে হরাদাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
25 হরাদা ত্যাগ করে মখেলোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
26 মখেলোৎ ত্যাগ করে তহতে শিবির স্থাপন করেছিল।
27 তহৎ ত্যাগ করে তেরহতে শিবির স্থাপন করেছিল।
28 তেরহ ত্যাগ করে মিত্কাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
29 মিৎকা ত্যাগ করে হশ্মোনাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
30 হশ্মোনা ত্যাগ করে মোষেরোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
31 মোষেরোৎ ত্যাগ করে বনেয়াকনে শিবির স্থাপন করেছিল।
32 বনেয়াকন ত্যাগ করে হোর্-হগিদ্গদে শিবির স্থাপন করেছিল।
33 হোর্-হগিদ্গদ ত্যাগ করে যট্বাথাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
34 যট্বাথা ত্যাগ করে অব্রোণাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
35 অব্রোণা ত্যাগ করে ইৎসিয়োন-গেবরে শিবির স্থাপন করেছিল।
36 ইৎসিয়োন গেবর ত্যাগ করে সীন মরুভূমির কাদেশে শিবির স্থাপন করেছিল।
37 কাদেশ ত্যাগ করে হোরে শিবির স্থাপন করেছিল। ইদোম দেশের সীমান্তে এই পর্বতটি ছিল। 38 যাজক হারোণ প্রভুর কথা মান্য করে হোর পর্বতের ওপরে গিয়েছিলেন। সেই জায়গায় পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে হারোণ মারা গিয়েছিলেন। ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ত্যাগ করার পরে সেইটি ছিল 40তম বছর। 39 হোর পর্বতের ওপরে মারা যাওয়ার সময় হারোণের বয়স ছিল 123 বছর।
40 কনান দেশের নেগেভে অরাদ নামে একটি শহর ছিল। সেই শহরে কনানের রাজা শুনেছিলেন যে ইস্রায়েলের লোকরা আসছে। 41 লোকরা হোর পর্বত ত্যাগ করেছিল এবং সল্মোনাতে শিবির স্থাপন করেছিল।
42 লোকরা সল্মোনা ত্যাগ করে পূনোনে শিবির স্থাপন করেছিল।
43 পূনোন ত্যাগ করে ওবোতে শিবির স্থাপন করেছিল।
44 ওবোৎ ত্যাগ করে ইয়ী-অবারীমে শিবির স্থাপন করেছিল। এই জায়গাটি মোয়াব দেশের সীমান্তে অবস্থিত ছিল।
45 লোকরা ইয়ীম (ইয়ী-অবারীমে) ত্যাগ করে দীবোন-গাদে শিবির স্থাপন করেছিল।
46 দীবোন-গাদ ত্যাগ করে অল্মোন-দিব্লাথয়িমে শিবির স্থাপন করেছিল।
47 অল্মোন-দিব্লাথয়িম ত্যাগ করে নবোর কাছে অবারীম পর্বতের ওপরে শিবির স্থাপন করেছিল।
48 অবারীম পর্বত ত্যাগ করে মোয়াবের যর্দন উপত্যকায় শিবির স্থাপন করেছিল। যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর কাছে এই জায়গাটি ছিল। 49 তারা মোয়াবের যর্দন উপত্যকায় যর্দন নদী বরাবর শিবির স্থাপন করেছিল। তাদের শিবির বৈৎ-যিশীমোৎ থেকে আবেল-শিটীম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
50 সেই স্থানে প্রভু মোশিকে বললেন, 51 “ইস্রায়েলের লোকদের এই কথাগুলি বলো: তোমরা যর্দন নদী পার হয়ে কনানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে। 52 সেখানকার অধিবাসীদের তোমরা দূর করে দেবে। তোমরা তাদের সমস্ত খোদাই করা মূর্ত্তি ও প্রতিমাদের ধ্বংস করবে এবং তাদের পূজার সমস্ত উচ্চস্থানগুলো ধ্বংস করবে। 53 তোমরা সেই জায়গা অধিকার করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করবে, কারণ আমিই সেই জায়গাটি তোমাদের দিচ্ছি। এই জায়গাটি কেবলমাত্র তোমাদের গোষ্ঠীগুলির হবে। 54 তোমাদের গোষ্ঠীর প্রত্যেকে এই দেশের অংশ পাবে। তোমরা ঘুঁটি চেলে সিদ্ধান্ত নেবে কোন্ পরিবার দেশের কোন্ অংশ পাবে। বড় পরিবার দেশের বড় অংশ পাবে। ছোটো পরিবার দেশের ছোট অংশ পাবে। চালা ঘুঁটি দেখিয়ে দেবে কোন পরিবার দেশের কোন অংশ পাবে। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী দেশে তার অংশ পাবে।
55 “তোমরা যদি ঐ দেশের অধিবাসীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য না কর তবে যাদের তোমরা থাকতে দেবে, তারা তোমাদের সামনে প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে। তারা হবে তোমাদের চোখে বালির মতো এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মতো হবে। তোমরা যেখানে বাস করবে সেখানে তারা প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে। 56 তোমরা যদি ঐ সমস্ত লোকদের তোমাদের দেশে থাকতে দাও, তাহলে আমি তাদের প্রতি যা করতে চেয়েছিলাম তা তোমাদের প্রতি করবো।”
কনানের সীমান্ত
34 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের এই আদেশ দাও। তোমরা কনান দেশে আসছো। তোমরা এই দেশকে পরাজিত করবে। তোমরা সমগ্র কনান দেশটিকে অধিগ্রহণ করবে। 3 দক্ষিণ দিকে তোমরা ইদোমের কাছে সীন মরুভূমির কিছু অংশ পাবে। লবণ সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে তোমাদের দক্ষিণ সীমান্ত শুরু হবে। 4 এটি অক্রব্বীমের দক্ষিণ দিক অতিক্রম করবে। এটি সীন মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাবে কাদেশ-বর্ণেয়ের এবং তারপরে হৎসর-অদ এবং তারপরে এটি অস্মোনের মধ্য দিয়ে যাবে। 5 অস্মোন থেকে এই সীমান্ত মিশরের নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং এটি শেষ হবে ভূমধ্যসাগরে। 6 তোমাদের পশ্চিম সীমান্ত হবে ভূমধ্যসাগর। 7 তোমাদের উত্তর সীমান্ত শুরু হবে ভূমধ্যসাগর থেকে এবং এটি বিস্তৃত হবে, হোর পর্বত লিবানোন পর্যন্ত। 8 হোর পর্বত থেকে এটি লেবো হমাত পর্যন্ত যাবে এবং তারপরে সদাদ পর্যন্ত। 9 এরপর সেই সীমান্ত সিফ্রোণ পর্যন্ত যাবে এবং এটি শেষ হবে হৎসর-ঐননে। সুতরাং সেটিই তোমাদের উত্তর সীমান্ত। 10 তোমাদের পূর্ব সীমান্ত শুরু হবে হৎসর-ঐননে এবং এটি শফাম পর্যন্ত যাবে। 11 শফাম থেকে সীমান্তটি ঐনের পূর্ব দিকে রিব্লা পর্যন্ত যাবে। সীমান্তটি কিন্নেরৎ হ্রদের পাশে পাহাড়ের সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত হবে। 12 এরপর সীমান্তটি যর্দন নদীর সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত থাকবে। এটি লবণ সাগরে গিয়ে শেষ হবে। ঐগুলোই হল তোমার দেশের চারধারের সীমানা।”
13 সেই কারণে মোশি ইস্রায়েলের লোকদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, “এই সেই দেশ যেটি তোমরা পাবে এবং নয়টি গোষ্ঠী ও মনঃশির গোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে ভূমিটিকে ভাগ করে দেওয়ার জন্য তোমরা ঘুঁটি চালবে। 14 রূবেণ ও গাদের পরিবারগোষ্ঠী এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক তাদের দেশ বেছে নিয়েছে। 15 ঐ দুটি এবং অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী যিরীহোর কাছের দেশ নিয়েছিল। তারা যর্দন নদীর পূর্বদিকের জমি নিয়েছিল।”
16 এরপর প্রভু মোশিকে বললেন, 17 “দেশ ভাগ করে দেওয়ার কাজে, এই সমস্ত লোকরা তোমাকে সাহায্য করবে: যাজক ইলিয়াসর, নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং 18 সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীর নেতারা। সেখানে প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে একজন করে নেতা থাকবেন। ঐ সমস্ত লোকরা দেশ ভাগ করবে। 19 এইগুলো হলো নেতাদের নাম:
যিহূদা পরিবারগোষ্ঠী থেকে যিফূন্নির পুত্র কালেব।
20 শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের পুত্র শমূয়েল।
21 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠী থেকে কিশ্লোনের পুত্র ইলীদদ।
22 দানের পরিবারগোষ্ঠী থেকে যগ্লির পুত্র বুক্কি।
23 যোষেফের উত্তরপুরুষদের মধ্য থেকে মনঃশির পরিবারগোষ্ঠী থেকে এফোদের পুত্র হন্নীয়েল।
24 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠী থেকে শিপ্তনের পুত্র কমূয়েল।
25 সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী থেকে পর্ণকের পুত্র ইলীষাফণ।
26 ইষাখর পরিবারগোষ্ঠী থেকে অস্সনের পুত্র পল্টিয়েল।
27 আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকে শলোমির পুত্র অহীহূদ।
28 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের পুত্র পদহেল।”
29 ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে কনানের জমি ভাগ করে দেওয়ার জন্য প্রভু ঐ সমস্ত লোকদের মনোনীত করেছিলেন।
যীশু নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন
(মথি 17:22-23; লূক 9:43-45)
30 পরে সেই স্থান ছেড়ে তাঁরা গালীলের মধ্য দিয়ে চললেন; আর তিনি চাইলেন না যে তাঁরা কোথায় আছে সেকথা অন্য কেউ জানুক। 31 কারণ তখন তিনি তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “মানবপুত্রকে লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এবং তারা তাঁকে হত্যা করবে আর মৃত্যুর তিনদিন পরে তিনি বেঁচে উঠবেন।” 32 কিন্তু তাঁরা সেই কথা বুঝলেন না এবং এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করতেও ভয় পেলেন।
যীশু বললেন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কে
(মথি 18:1-5; লূক 9:46-48)
33 এরপর তাঁরা কফরনাহূমে ফিরে এলেন আর বাড়ির ভেতরে গিয়ে তিনি শিষ্যদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা রাস্তায় কি আলোচনা করছিলে?” 34 কিন্তু তাঁরা চুপচাপ থাকলেন কারণ তাঁদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এই নিয়ে তর্ক চলছিল।
35 তখন যীশু বসে সেই বারোজন প্রেরিতদের ডেকে বললেন, “কেউ যদি প্রথম হতে চায়, তবে সে সকলের শেষে থাকবে এবং সকলের পরিচারক হবে।”
36 পরে যীশু একটা শিশুকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তাকে কোলে করে তাঁদের বললেন, 37 “যে কেউ আমার নামে এর মতো কোন শিশুকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে। আর কেউ যদি আমাকে গ্রহণ করে, সে আমাকে নয়, কিন্তু যিনি (ঈশ্বর) আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকেই গ্রহণ করে।”
যে কেউ আমাদের বিপক্ষে নয় সে-ই আমাদের পক্ষে
(লূক 9:49-50)
38 যোহন তাঁকে বললেন, “গুরু, আমরা একটি লোককে আপনার নামে ভুত তাড়াতে দেখে তাকে বারণ করেছিলাম, কারণ সে আমাদের লোক নয়।”
39 কিন্তু যীশু বললেন, “তাকে বারণ করো না, কারণ এমন কেউ নেই যে আমার নামে অলৌকিক কাজ করে সহজে আমার নিন্দা করতে পরে। 40 যে কেউই আমাদের বিপক্ষে নয় সে আমাদের সপক্ষে। 41 কেউ যদি খ্রীষ্টের লোক বলে তোমাদেরকে এক ঘটি জল দেয়, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সে কোন মতেই নিজের পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হবে না।
পাপের কারণ সম্পর্কে যীশু সাবধান করে দিলেন
(মথি 18:6-9; লূক 17:1-2)
42 “আর এই যে সাধারণ লোক যারা আমায় বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের একজনকে পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে সেই লোকের গলায় একটা বড় যাতাঁর পাট বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়াই তার পক্ষে ভাল। 43 তোমার হাত যদি তোমার পাপের কারণ হয়, তবে তাকে কেটে ফেলো, কারণ দুই হাত নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে পোড়ার থেকে বরং নুলো হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভাল। 44 [a] 45 তোমার পা যদি তোমার পাপের কারণ হয় তবে তাকে কেটে ফেলো, কারণ দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে বরং খোঁড়া হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভাল। 46 [b] 47 আর যদি তোমার চোখ তোমার পাপের কারণ হয়, তবে সে চোখকে উপড়ে ফেল। দুচোখ নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে এক চোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভাল। 48 নরকে যে কীট মানুষকে খায় তারা কখনও মরে না এবং আগুন কখনও নেভে না।(A)
49 “লবণ দেওয়ার মত প্রত্যেকের ওপর আগুন দেওয়া হবে।
50 “লবণ ভাল, কিন্তু লবণ যদি লবণত্ব হারায়, তবে কেমন করে তাকে তোমরা আস্বাদযুক্ত করবে? তোমরা নিজের নিজের মনে লবণ রাখ এবং পরস্পর শান্তিতে থাক।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International