Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যিহোশূয় 7-9

আখনের পাপ

কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে নি। যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর একজনের নাম ছিল আখন। তার পিতার নাম কর্ম্মি, পিতামহের নাম জিমরি। আখন কিছু জিনিস রেখেছিল, যেগুলো নষ্ট করে দেওয়া উচিৎ‌ ছিল। সেই জন্য প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের উপর ক্রুদ্ধ হলেন।

তারা যিরীহো দখল করার পর যিহোশূয় কয়েকজন লোককে অয়তে পাঠালেন। অয় বৈথেলের পূর্বদিকে বৈৎ‌-আবনের কাছে অবস্থিত। যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা অয়তে যাও। সেই জায়গায় কি কি দুর্বল দিক আছে দেখে এসো।” সে কথা শুনে লোকরা সেই দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গেল।

কিছুদিন পর তারা যিহোশূয়র কাছে ফিরে এলো। তারা বলল, “অয় বেশ দুর্বল জায়গা। দখল করার জন্য আমাদের সকলের যাবার দরকার নেই। 2000 অথবা 3000 লোক পাঠালেই চলবে। গোটা সৈন্যবাহিনী কাজে লাগাবার দরকার নেই। খুব কম লোকই সেখানে আছে যারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”

4-5 প্রায় 3000 লোক অয়তে গেল। অয়ের লোকরা প্রায় 36 জন ইস্রায়েলের লোককে হত্যা করেছিল এবং ইস্রায়েলীয়রা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অয়ের লোকরা শহরের ফটক থেকেই তাদের তাড়া করছিল। তারা পালিয়ে গিয়েছিল যেখানে নিরেট শিলাখণ্ড থেকে পাথর কাটা হয়। অয়ের লোকরা তাদের হারিয়ে দিয়েছিল।

এইসব দেখে ইস্রায়েলের লোকরা খুব ভয় পেয়ে গেল, তারা সাহস হারিয়ে ফেলল। যিহোশূয় যখন এই সংবাদ পেলন তখন মনের দুঃখে তিনি তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। পবিত্র সিন্দুকের সামনে তিনি মাটিতে মাথা নুইয়ে দিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই তিনি কাটালেন। ইস্রায়েলের নেতারাও এভাবে মাথা হেঁট করে বসে রইল। দুঃখ বেদনা প্রকাশ করতে তারাও নিজেদের মাথায় ধুলো ছুঁড়লো।

যিহোশূয় বললেন, “হে প্রভু, আমার স্বামী! তুমি আমাদের সকলকে যর্দন নদী পার করিয়ে এখানে এনেছ। কেন তুমি এতদুর টেনে নিয়ে এসে তারপর ইমোরীয় লোকদের দিয়ে আমাদের এই সর্বনাশ করলে? আমরা যর্দ্দনের ওপারেই তো সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারতাম। হে প্রভু! আমি প্রাণের শপথ করে বলছি, এখন আর আমার বলার মতো কিছুই নেই। ইস্রায়েল তার শত্রুর কাছে হেরে গেছে। কনানীয়রা ও অন্যান্য অধিবাসীরা সকলেই জানতে পারবে কি ঘটেছে। এরপর তারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমাদের মেরে ফেলবে, তখন তোমার মহানাম রক্ষা করতে তুমি কি করবে?”

10 প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “কেন তোমরা মাটিতে মাথা নুইয়ে বসে আছ? উঠে দাঁড়াও! 11 ইস্রায়েলের লোকরা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে। যে চুক্তি পালন করতে তাদের আদেশ দিয়েছিলাম তারা তা ভঙ্গ করেছে। যে সব জিনিস তাদের ধ্বংস করতে আদেশ করেছিলাম, তার মধ্যে থেকে কিছু জিনিস তারা নিয়েছে। আর আমার সম্পত্তি চুরি করেছে। তারা মিথ্যাবাদী। তারা সেসব নিজেদের ব্যবহারের জন্য নিয়ে গিয়েছে। 12 সেই জন্য ইস্রায়েলীয় সৈন্য যুদ্ধ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। কারণ তারা অন্যায় করেছিল। তাদের শেষ করে দেওয়াই উচিৎ‌। আমি তোমাদের আর সাহায্য করব না। যদি তোমরা আমার নির্দেশমত প্রত্যেকটি জিনিস নষ্ট না কর, তাহলে আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব না।

13 “যাও! তাদের পবিত্র করো। তাদের বলো, ‘তোমরা নিজেদের শুচি করো। আগামীকালের জন্য তৈরী হও। ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বর স্বয়ং বলেছেন যে কিছু লোক তাঁর নির্দেশ মতো জিনিসগুলো নষ্ট না করে সেগুলো রেখে দিয়েছে। সেগুলো ফেলে না দিলে কিছুতেই তোমরা শত্রুদের হারাতে পারবে না।

14 “‘কাল সকালে তোমরা সবাই প্রভুর সামনে অবশ্যই দাঁড়াবে। সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াবে। এরপর তিনি একটি পরিবারগোষ্ঠী বেছে নেবেন। তারপর সেই পরিবারগোষ্ঠীটি প্রভুর সামনে দাঁড়াবে। এরপর প্রভু সেই পরিবারগোষ্ঠীর প্রতিটি বংশ খুঁটিয়ে দেখবেন এবং একটি বংশ বেছে নেবেন। তারপর তিনি সেই বংশের প্রতিটি সদস্যকে বেছে নেবেন। 15 যে ব্যক্তি ঐ সমস্ত জিনিস রেখে দিয়েছে, যা আমাদের নষ্ট করে দেওয়া উচিৎ‌ ছিল, সে ধরা পড়বে। তারপর তাকে পুড়িয়ে মারা হবে এবং তার সঙ্গে তার যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলা হবে। ব্যক্তিটি প্রভুর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভঙ্গ করেছে। ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি সে খুব অন্যায় করেছে।’”

16 পরদিন খুব ভোরে যিহোশূয় ইস্রায়েলের লোকদের প্রভুর কাছে নিয়ে গেলেন। সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াল এবং প্রভু যিহূদার পুরো পরিবারগোষ্ঠীকে মনোনীত করলেন। 17 সুতরাং যিহূদার সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াল। তিনি সেরহীয় বংশকে মনোনীত করলেন এবং সেই বংশের প্রতিটি পরিবার প্রভুর সামনে দাঁড়াল। সেই পরিবারগুলোর মধ্য থেকে জিমরি পরিবারকে বেছে নেওয়া হল। 18 তারপর যিহোশূয় ঐ পরিবারভুক্ত সমস্ত লোককে প্রভুর সামনে দাঁড়াতে বললেন। প্রভু কর্ম্মির পুত্র আখনকে বেছে নিলেন। (কর্ম্মি হচ্ছে জিমরির পুত্র আর জিমরি হচ্ছে জেরার পুত্র।)

19 তারপর যিহোশূয় আখনকে বললেন, “বাছা, ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরকে সম্মান করো। তাঁর কাছে তুমি তোমার পাপ স্বীকার করো। যা করেছ আমার কাছে বলো। আমার কাছে কোন কিছু লুকোতে যেও না।”

20 আখন উত্তর দিল, “এটা সত্যি ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের কাছে আমি পাপ করেছি। আমি যা করেছি তা এই: 21 আমরা যিরীহো শহর এবং সেই শহরের সব কিছুই দখল করেছিলাম। আমি বাবিলের একটা সুন্দর শাল, প্রায় 5 পাউণ্ড রূপো আর প্রায় এক পাউণ্ড সোনাও দেখেছিলাম। আমি সেগুলো আমার নিজের জন্য রেখে দিতে চেয়েছিলাম। তাই আমি তুলে নিয়েছিলাম। সেগুলো আমার তাঁবুর নীচে মাটির তলায় লুকিয়ে রেখেছি। ওখানেই সেগুলো আপনি পাবেন। আর রূপো আছে শালের নীচে।”

22 সুতরাং যিহোশূয় কিছু লোককে তাঁবুতে পাঠালেন। তারা ছুটে তাঁবুতে গিয়ে ঐসব লুকানো জিনিস খুঁজে পেল। রূপো ছিল শালের তলায়। 23 তারা তাঁবুর ভেতর থেকে সমস্ত জিনিস বার করে আনল। তারা সেগুলো যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের কাছে নিয়ে গেল। প্রভুর সামনে তারা সেগুলো মাটিতে ফেলে দিল।

24 তারপর যিহোশূয় এবং সমস্ত লোক সেরহের পুত্র আখনকে আখোর উপত্যকার দিকে নিয়ে গেল। তারা সোনা, রূপো, শাল, আখনের সব ছেলেমেয়ে, তার গরু, মেষ, গাধা, তাঁবু আর তার যথাসর্বস্ব হস্তগত করল। তারা এই সমস্ত জিনিস এবং আখনকে আখোর উপত্যকায় নিয়ে গেল। 25 পরে দলপতি যিহোশূয় বললেন, “তুমি আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছ। এখন প্রভু তোমাকে কষ্ট দেবেন।” তারপর সকলে আখন এবং তার পরিবারের সকলকে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে মেরে ফেলল। তাদের তারা পুড়িয়ে ফেলল। তার সঙ্গে যা কিছু ছিল সেগুলোও পুড়িয়ে ফেলল আখনকে পুড়িয়ে মারার পর তারা তার মৃত দেহের ওপর 26 অনেক পাথর চাপিয়ে দিল। সেই সব পাথর আজও সেখানে দেখা যাবে। এভাবেই ঈশ্বর আখনের বিনাশ ঘটালেন। এই কারণে ঐ জায়গাটিকে বলা হয় আখোর উপত্যকা। এর পর ইস্রায়েলের ওপর প্রভুর ক্রোধ প্রশমিত হয়।

অয়ের বিনাশ প্রাপ্তি

প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “ভয় পেও না। আশা ছেড়ো না। তোমার সমস্ত যোদ্ধাকে নিয়ে অয়ে চলে যাও। অয়ের রাজাকে পরাজিত করার জন্য আমি তোমাদের সাহায্য করব। আমি তোমাদের কাছে রাজা, রাজার লোকদের, তার শহর এবং তার দেশ সবকিছু দিচ্ছি। তোমরা যিরীহো আর সে দেশের রাজার প্রতি যা করেছিলে ঠিক সেই রকমই তোমরা অয় এবং সেই শহরের রাজার প্রতি করবে। শুধু এইবার তোমরা সব ধনসম্পদ এবং পশুসমূহ নিয়ে যাবে এবং ওগুলো তোমাদের জন্যই রাখবে। এখন তোমাদের কয়েকজন সৈন্যকে শহরের পিছনে লুকিয়ে থাকতে বলো।”

তাই যিহোশূয় সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে অয়ের দিকে নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁর সেরা 30,000 যোদ্ধাকে বেছে নিলেন। রাত্রে তিনি তাদের পাঠালেন। যিহোশূয় তাদের এই আদেশ দিলেন: “তোমাদের যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। শহরের পেছন দিকে তোমরা লুকিয়ে থাকবে। আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করবে। শহর থেকে বেশী দূরে যাবে না। সবসময় লক্ষ্য রাখবে আর তৈরী থাকবে। আমি সকলকে নিয়ে শহরের দিকে যাত্রা করব। শহরের লোকরা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বেরিয়ে আসবে। ঠিক আগের মতো আমরা ছুটে পালিয়ে আসব। তারা আমাদের শহর থেকে তাড়িয়ে দেবে। তারা ভাববে যে আমরা ঠিক আগের মতোই ওদের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি। সেই ভাবে আমরা পালিয়ে যাব। তারপর তোমরা গুপ্তস্থান থেকে বেরিয়ে আসবে আর শহর অধিকার করবে। প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর স্বয়ং তোমাদের জয় করার শক্তি দান করবেন।

“প্রভু যা যা বলেন সেই অনুসারে কাজ করবে। আমার দিকে লক্ষ্য রেখো। আমি তোমাদের শহর দখলের আদেশ দেব। শহরের দখল নিয়ে শহরকে তোমরা জ্বালিয়ে দেবে।”

তারপর যিহোশূয় তাদের লুকানোর জায়গায় পাঠিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। তারা বৈথেল এবং অয়ের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় গেল। জায়গাটি অয়ের পশ্চিম দিকে। যিহোশূয় তাঁর লোকদের সঙ্গে রাত কাটালেন।

10 পরদিন খুব সকালে যিহোশূয় সব লোকদের এক সঙ্গে জড়ো করলেন। তারপর যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের দলপতিরা তাদের অয়ের দিকে নিয়ে গেলেন। 11 যিহোশূয়ের সঙ্গে যে সব সৈন্য ছিল, তারা অয় অভিযান করল। শহরের সামনে এসে তারা দাঁড়াল। সৈন্যরা শহরের উত্তরে তাঁবু খাটাল। অয় এবং সৈন্যবাহিনীর মধ্যে ছিল একটি উপত্যকা।

12 তারপর যিহোশূয় প্রায় 5000 সৈন্য বেছে নিলেন। তিনি তাদের শহরের পশ্চিমে বৈথেল এবং অয়ের মাঝখানে লুকিয়ে থাকার জন্য পাঠিয়ে দিলেন। 13 এইভাবে যিহোশূয় যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুত করলেন। শহরের উত্তরে তাদের প্রধান ঘাঁটি। অন্যান্যরা লুকোল পশ্চিম দিকে। সেই রাত্রে যিহোশূয় উপত্যকায় গেলেন।

14 পরে অয়ের রাজা ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীকে দেখতে পেলেন। ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজা এবং তাঁর লোকরা বেরিয়ে পড়ল। অয়ের রাজা যর্দন উপত্যকার কাছে শহরের পূর্বদিকে গেলেন। তাই তিনি শহরের পেছন দিকে লুকিয়ে থাকা ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের দেখতে পেলেন না।

15 অয়ের সৈন্যবাহিনী যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের সমস্ত মানুষকে তাড়িয়ে দিল। তারা যেখানে মরুভূমি সেই পূর্বদিকে ছুট লাগাল। 16 শহরের সকলে হৈ-হৈ করে যিহোশূয় ও তাঁর সৈন্যবাহিনীকে তাড়া করতে লাগল। সব লোক শহর ছেড়ে চলে গেল। 17 অয় এবং বৈথেলের সব লোক ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীকে তাড়িয়ে দিল। শহর ফাঁকা পড়ে রইল। শহর রক্ষা করার জন্য কেউ রইল না।

18 তারপর প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “অয় শহরের দিকে বর্শা উঁচিয়ে ধরো। এই শহর আমি তোমাদের হাতে তুলে দেব।” তাঁর কথা মতো যিহোশূয় অয় শহরের দিকে বর্শা উঁচিয়ে ধরলেন। 19 ইস্রায়েলের যে সব লোকরা লুকিয়েছিল তারা তা দেখল। তারা তাদের লুকোবার জায়গা থেকে দ্রুত বেরিয়ে শহরের দিকে ছুটে গেল, শহরে ঢুকে পড়ল আর শহরটা দখল করে নিল। তারপর সৈন্যরা শহর পুড়িয়ে দেবার জন্য আগুন লাগিয়ে দিল।

20 অয়ের লোকরা পেছনে তাকিয়ে দেখল তাদের শহর জ্বলছে। তারা দেখল শহর থেকে আকাশের দিকে ধোঁয়া উঠছে। এই দেখে তারা দুর্বল হয়ে পড়ল, সাহস হারিয়ে ফেলল। তারা ইস্রায়েলীয়দের তাড়াবার প্রচেষ্টা ছেড়ে দিল। ইস্রায়েলীয়রাও আর ছোটাছুটি না করে ফিরে দাঁড়াল আর অয়ের লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগল। অয়ের লোকদের পালাবার মতো কোন নিরাপদ জায়গা ছিল না। 21 যিহোশূয় এবং তাঁর লোকরা দেখল যে ঐ সৈন্যরা শহর দখল করে নিয়েছে। তারা দেখল শহর থেকে ধোঁয়া ওপরে উঠছে। এই সময় তারা পালিয়ে না গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল, অয়ের লোকদের দিকে ছুটে গিয়ে যুদ্ধ করল। 22 তারপর যারা লুকিয়েছিল তারাও ফিরে এসে যুদ্ধে সাহায্য করল। অয়ের লোকদের সামনে পিছনে সব দিকেই ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনী। তারা ফাঁদে আটকা পড়ল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের পরাজিত করল। অয়ের সমস্ত লোক নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ করতে লাগল। শত্রু পক্ষের একটা লোকও পালাতে পারল না। 23 কিন্তু অয়ের রাজাকে বাঁচিয়ে রাখা হল। যিহোশূয়ের লোকরা তাকে যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে এল।

যুদ্ধের সমীক্ষা

24 যুদ্ধের সময় ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনী অয়ের লোকদের মাঠে-ঘাটে মরুভূমির মধ্যে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর তারা সেই সব জায়গায় তাদের হত্যা করেছিল। তারপর তারা অয়ে ফিরে গিয়ে সেখানে যেসব লোক তখনও বেঁচে ছিল তাদের হত্যা করল। 25 সেদিন অয়ের সমস্ত লোক মারা গেল। 12,000 পুরুষ ও স্ত্রীলোক মারা গিয়েছিল। 26 যিহোশূয় তাঁর লোকদের শহর ধ্বংস করার সংকেত দিতেই অয় শহরের দিকে বল্লম উঁচু করে ধরেছিলেন। শহরের সমস্ত লোক বিনষ্ট না হওয়া পর্যন্ত যিহোশূয় এভাবেই দাঁড়িয়েছিলেন। 27 ইস্রায়েলের লোকরা শহরের সমস্ত জীবজন্তু এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখে দিয়েছিল। প্রভু যিহোশূয়কে নির্দেশ দেবার সময় তাদের এইসব রেখে দিতেই বলেছিলেন।

28 যিহোশূয় অয় শহরকে জ্বালিয়ে দিলেন। শহরটা কতকগুলি পাথরের স্তূপে পরিণত হল। আর কিছুই সেখানে ছিল না। আজও শহরটা সেই রকমই পড়ে আছে। 29 যিহোশূয় অয়ের রাজাকে একটা গাছে ফাঁসি দিলেন। সন্ধ্যে পর্যন্ত তাকে ঝুলিয়ে রাখলেন। সূর্য অস্ত গেলে যিহোশূয় তাদের গাছ থেকে দেহটাকে নামাতে বললেন। শহরের ফটকের কাছে তারা দেহটাকে ছুঁড়ে দিল। তারপর প্রচুর পাথর দিয়ে তারা দেহটাকে চাপা দিল। সেই পাথরের স্তূপ আজও দেখা যাবে।

আশীর্বাদ আর অভিশাপ পঠন

30 তারপর যিহোশূয় ইস্রায়েলের প্রভু, ঈশ্বরের স্মরণে একটি বেদী নির্মাণ করলেন। এবল পর্বতের চূড়ায় তিনি এই বেদী তৈরী করেছিলেন। 31 প্রভুর দাস মোশি ইস্রায়েলের লোকদের জানিয়েছিলেন কিভাবে বেদী তৈরী করতে হবে। মোশির বিধিপুস্তকে পরিষ্কার করে লেখা ছিল বেদীর প্রস্তুত প্রণালী। সেই ভাবেই যিহোশূয় বেদী তৈরী করলেন। কাটা হয়নি এমন পাথর দিয়েই বেদী তৈরী হয়েছিল। ঐ পাথরগুলির ওপর কোন লৌহস্তম্ভ কখনও ব্যবহার করা হয় নি। সেই বেদীতে তারা প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি উৎসর্গ করল। তারা মঙ্গল নৈবেদ্য উৎসর্গ করল।

32 ঐখানে যিহোশূয় পাথরগুলোর ওপরে মোশির বিধিগুলো লিখে দিলেন। ইস্রায়েলের সমস্ত লোক যাতে সেগুলো পড়ে সেই জন্যই তিনি লিখে দিয়েছিলেন। 33 প্রবীণরা, উচ্চপদস্থ কর্মীরা, বিচারকরা এবং সমস্ত মানুষ পবিত্র সিন্দুকটিকে ঘিরে দাঁড়াল। প্রভুর পবিত্র সাক্ষ্যসিন্দুক বহনকারী লেবীয় যাজকদের সামনে তারা দাঁড়িয়েছিল। অর্ধেক লোক দাঁড়িয়েছিল এবল পর্বতের চূড়ার সামনে আর বাকী অর্ধেক দাঁড়িয়েছিল গরিষীম পর্বতের চূড়ার সামনে। প্রভুর দাস মোশি তাদের এভাবেই দাঁড়াতে বলেছিলেন। তারা যাতে প্রভুর আশীর্বাদ পায় সেই জন্য তিনি তাদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

34 তারপর যিহোশূয় বিধির প্রতিটি কথা পড়ে শোনালেন। তিনি সমস্ত আশীর্বাদ আর সমস্ত অভিশাপ বিধিপুস্তকে যে ভাবে লেখা আছে সেই ভাবেই পড়ে শোনালেন। 35 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল। সমস্ত স্ত্রীলোক, শিশু আর তাদের সঙ্গে বাস করত যেসব বিদেশী মানুষ তারাও সেখানে ছিল। মোশির প্রতিটি নির্দেশ যিহোশূয় পড়ে শোনালেন।

গিবিয়োনের লোকরা যিহোশূয়র সঙ্গে চালাকি করল

যর্দন নদীর পশ্চিম তীরের যত রাজ্য ছিল তাদের রাজারা সমস্ত ঘটনা শুনেছিল। এইসব রাজাই হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় এবং যিবূষীয় দেশের লোকদের রাজা। তারা পাহাড়ী জায়গায় এবং সমতল ভূমিতে থাকত। তারা ভূমধ্যসাগরের ধার ঘেঁষে লিবানোন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা অঞ্চলেও বাস করত। সমস্ত রাজা এক হল। তারা যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনা করল।

যিহোশূয় কিভাবে যিরীহো এবং অয় জয় করেছিলেন, সে সব গিবিয়োন শহরের লোকরা শুনেছিল। তাই তারা ইস্রায়েলীয়দের কিভাবে বোকা বানানো যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করল। তাদের ছকটা ছিল এরকম; ফাটা, ভাঙ্গা যত চামড়ার বোতল ছিল তারা জড়ো করবে। এইসব দ্রাক্ষারসের চামড়ার খোল পশুদের পিঠে চাপিয়ে দেবে। তারা পুরানো থলেগুলোও পশুদের পিঠে চাপাবে যাতে মনে হয় যে তারা অনেক দূর থেকে ভ্রমণ করে এসেছে। লোকরা পায়ে পুরানো জুতো পরল। তাদের পুরানো কাপড়চোপড় পরল। তারা কয়েকটি শুকনো এবং ছাতাপড়া রুটি জোগাড় করল। তাই লোকগুলিকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা অনেক দূর থেকে এসেছে। তারপর এই লোকরা ইস্রায়েলবাসীদের তাঁবুর দিকে এগিয়ে গেল। এই শিবিরটি ছিল গিল‌্গলের কাছে।

লোকগুলি যিহোশূয়ের কাছে গেল এবং তাঁকে বলল, “আমরা অনেক দূরের একটি দেশ থেকে এসেছি। আমরা আপনাদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্থাপন করতে চাই।”

ইস্রায়েলের লোকরা এই হিব্বীয়দের বলল, “হতেও তো পারে যে, আপনারা আমাদের বোকা বানাতে চাইছেন। আপনারা হয়তো আমাদের দেশের কাছেই থাকেন। কিন্তু আমরা আপনাদের সঙ্গে কোন শান্তির চুক্তি করতে পারি না, যতক্ষণ না জানতে পারছি, আপনারা কোথা থেকে আসছেন।”

হিব্বীয়রা যিহোশূয়কে বলল, “আমরা আপনার ভৃত্য।”

কিন্তু যিহোশূয় জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা? তোমরা কোথা থেকে আসছ?”

তারা বলল, “আমরা আপনার ভৃত্য। আমরা অনেক দূরের একটি দেশ থেকে আসছি। আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা প্রভু, আপনাদের ঈশ্বরের, মহাশক্তি সম্বন্ধে শুনেছি। আমরা তাঁর সমস্ত কার্যকলাপ জানতে পেরেছি। মিশরে তিনি কি কি করেছিলেন আমরা শুনেছি। 10 আমরা আরো শুনেছি তিনি যর্দন নদীর পূর্বতীরে ইমোরীয় জাতির দুজন রাজাকে পরাজিত করেছিলেন। একজন হিষ্বোনের রাজা সীহোন, অন্যজন বাশনের রাজা ওগ। হিষ্বোন এবং বাশন অষ্টারোৎ দেশে অবস্থিত। 11 তাই আমাদের প্রবীণরা ও অন্য সকলে বলেছিলেন, ‘ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট খাদ্য নিয়ে যেও। ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে দেখা করো।’ তাদের বোলো, ‘আমরা তোমাদের ভৃত্য। আমাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করো।’

12 “এই দেখুন, আমাদের রুটি কি রকম শুকনো হয়ে গেছে। যখন আমরা বেরিয়েছিলাম সে সব ছিল গরম আর টাটকা। কিন্তু এখন সব শুকিয়ে বাসি হয়ে গেছে। 13 এই দেখুন, আমাদের চামড়ার দ্রাক্ষারসের পাত্রগুলো। যখন বেরিয়েছিলাম তখন এগুলো ছিল নতুন দ্রাক্ষারসে ভর্ত্তি। কিন্তু আজ দেখুন সব ফেটে গেছে, বাসি হয়ে গেছে। আমাদের পোশাক-আশাক, চটি-জুতো সব কেমন হয়ে গেছে দেখছেন তো। দেখুন, এই লম্বা সফরে আমাদের পরনের কাপড়-চোপড়ের দশা, প্রায় জরাজীর্ণ।”

14 লোকগুলো সত্যি কথা বলছে কিনা ইস্রায়েলের লোকরা যাচাই করতে চাইল। তাই তারা রুটিটি চেখে দেখল, কিন্তু তাদের প্রভুকে জিজ্ঞাসা করল না যে ওরকম ক্ষেত্রে তাদের কি করা উচিৎ‌। 15 যিহোশূয় তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে রাজী হলেন। তিনি তাদের থাকতে দিতে রাজী হলেন। ইস্রায়েলের দলপতিরা যিহোশূয়ের প্রতিশ্রুতি রাখবার শপথ নিল।

16 তিন দিন পর ইস্রায়েলের লোকরা জানতে পারল যে ওরা তাদের শিবিরের খুব কাছাকাছিই বাস করত। 17 তাই ইস্রায়েলীয়রা ওদের বসবাসের জায়গা দেখতে গেল। তৃতীয় দিনে তারা গিবিয়োন, কফীরা, বেরোত্‌ আর কিরিয়ৎ-যিয়ারীম এইসব শহরে এল। 18 কিন্তু ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনী ঐসব শহরে গিয়ে যুদ্ধ করতে চাইল না। তারা ওদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল। ইস্রায়েলের দলপতিরা প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সামনে গিবিয়োনদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিল।

লোকরা অবশ্য দলপতিদের চুক্তির বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল। 19 কিন্তু দলপতিরা বলল, “আমরা গিবিয়োনদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ইস্রায়েলের প্রভু ও ঈশ্বরের সামনে আমরা কথা দিয়েছি। আমরা এখন তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব না। 20 আমাদের এইভাবে চলতে হবে। তাদের জীবিত থাকতে দিতেই হবে। আমরা তাদের আঘাত করতে পারি না; করলে, ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি ভাঙার জন্য আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হবেন। 21 তারা বেঁচে থাকুক। কিন্তু তারা আমাদের ভৃত্য হয়ে বেঁচে থাকবে। তারা আমাদের কাঠ কেটে দেবে, আমাদের সকলের জন্য জল বয়ে দেবে।” তাই দলপতিরা ওদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি ভাঙ্গল না।

22 যিহোশূয় গিবিয়োনদের ডাকলেন। তিনি বললেন, “কেন তোমরা আমাদের কাছে মিথ্যা কথা বললে? আমাদের শিবিরের কাছেই তো তোমাদের দেশ। কিন্তু তোমরা বলেছিলে যে তোমরা দূর দেশ থেকে এসেছ। 23 এখন তোমাদের অনেক দুর্গতি আছে। তোমরা সবাই আমাদের ক্রীতদাস হবে। তোমাদের লোকরা আমাদের কাঠ কেটে দেবে। ঈশ্বরের গৃহের[a] জন্য জল বয়ে আনবে।”

24 গিবিয়োনের লোকরা বলল, “আমরা মিথ্যা কথা বলেছিলাম কারণ আমাদের ভয় ছিল আপনারা আমাদের মেরে ফেলবেন। আমরা শুনেছি ঈশ্বর তাঁর দাস মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন এই দেশ আপনাদের হাতে তুলে দিতে। ঈশ্বর আপনাকে এদেশের সমস্ত লোককে হত্যা করতে বলেছিলেন। তাই আমরা মিথ্যা কথা বলেছিলাম। 25 এখন আমরা আপনার দাস। যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন।”

26 তাই গিবিয়োনের লোকরা ক্রীতদাস হয়ে গেল। যিহোশূয় তাদের বাঁচতে দিলেন। ইস্রায়েলীয়দের তিনি মেরে ফেলতে দিলেন না। 27 যিহোশূয় গিবিয়োনদের ইস্রায়েলীয়দের ক্রীতদাস করে দিয়েছিলেন। তারা কাঠ কেটে আনত, ইস্রায়েলীয়দের জন্য জল বয়ে আনত। তারাও প্রভুর বেদীর জন্য কাঠ কেটে আনত এবং জল বয়ে আনত। প্রভু যেখানেই বেদী স্থাপনের জায়গা পছন্দ করতেন সেখানেই তাদের জল বয়ে আনতে হত। ঐসব লোক আজও ক্রীতদাস হয়ে রয়েছে।

লূক 1:21-38

21 এদিকে বাইরে লোকেরা সখরিয়র জন্য অপেক্ষা করছিল, তিনি এতক্ষণ পর্যন্ত মন্দিরের মধ্যে কি করছেন একথা ভেবে তারা অবাক হচ্ছিল। 22 পরে তিনি যখন বেরিয়ে এলেন, তখন লোকদের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন না, এতে লোকেরা বুঝতে পারল মন্দিরের মধ্যে তিনি নিশ্চয়ই কোন দর্শন পেয়েছেন। তিনি লোকদের ইশারায় তাঁর বক্তব্য বোঝাতে লাগলেন, কিন্তু কোনরকম কথা বলতে পারলেন না। 23 এরপর দৈনিক সেবাকার্য্যের শেষে তিনি তাঁর বাড়ি ফিরে গেলেন।

24 এর কিছুক্ষণ পরে তাঁর স্ত্রী ইলীশাবেৎ গর্ভবতী হলেন; আর পাঁচ মাস পর্যন্ত লোক সাক্ষাতে বার হলেন না। তিনি বলতেন, 25 “এখন প্রভুই এইভাবে আমায় সাহায্য করেছেন! সমাজে আমার যে লজ্জা ছিল, কৃপা করে এখন এইভাবে তিনি তা দূর করে দিলেন।”

কুমারী মরিয়ম

26-27 ইলীশাবেৎ যখন ছমাসের গর্ভবতী, তখন ঈশ্বর গাব্রিয়েল, স্বর্গদূতকে গালীলে নাসরৎ নগরে এক কুমারীর কাছে পাঠালেন। এই কুমারী ছিলেন যোষেফ নামে এক ব্যক্তির বাগদত্তা। যোষেফ ছিলেন রাজা দায়ূদের বংশধর, আর যে কুমারীর কাছে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল তাঁর নাম মরিয়ম। 28 গাব্রিয়েল মরিয়মের কাছে এসে বললেন, “তোমার মঙ্গল হোক্! প্রভু তোমার প্রতি মুখ তুলে চেয়েছেন, তিনি তোমার সঙ্গে আছেন।”

29 এই কথা শুনে মরিয়ম খুবই বিচলিত ও অবাক হয়ে ভাবতে লাগলেন, “এ কেমন শুভেচ্ছা?”

30 স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, “মরিয়ম তুমি ভয় পেও না, কারণ ঈশ্বর তোমার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। 31 শোন! তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার এক পুত্র সন্তান হবে। তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু। 32 তিনি হবেন মহান, তাঁকে পরমেশ্বরের পুত্র বলা হবে, আর প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতৃপুরুষ রাজা দায়ূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন। 33 তিনি যাকোবের বংশের লোকদের ওপরে চিরকাল রাজত্ব করবেন, তাঁর রাজত্বের কখনও শেষ হবে না।”

34 তখন মরিয়ম স্বর্গদূতকে বললেন, “কেমন করে সম্ভব? কারণ আমি তো কুমারী!”

35 এর উত্তরে স্বর্গদূত বললেন, “পবিত্র আত্মা[a] তোমার ওপর অধিষ্ঠান করবেন আর পরমেশ্বরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে; তাই যে পবিত্র শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে। 36 আর শোন, তোমার আত্মীয়া ইলীশাবেৎ যদিও এখন অনেক বৃদ্ধা তবু সে গর্ভে পুত্রসন্তান ধারণ করছে। এই স্ত্রীলোকের বিষয়ে লোকে বলত যে তার কোন সন্তান হবে না, কিন্তু সে এখন ছমাসের গর্ভবতী। 37 কারণ ঈশ্বরের পক্ষে কোন কিছুই অসাধ্য নয়!”

38 মরিয়ম বললেন, “আমি প্রভুর দাসী। আপনি যা বলেছেন আমার জীবনে তাই হোক্!” এরপর স্বর্গদূত মরিয়মের কাছ থেকে চলে গেলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International