Old/New Testament
ইস্রায়েলীয়রা তাদের দেশে ফিরবে
30 “আমি তোমাদের আশীর্বাদ ও অভিশাপ সম্বন্ধে যা যা বললাম সেই সব যখন তোমাদের ওপর ঘটবে এবং প্রভু তোমাদের যে সব বিভিন্ন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন, সেখানে যদি এইসব বিষয়ে চিন্তা করে 2 তোমরা ও তোমাদের সন্তানরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের, কাছে ফিরে আসো অর্থাৎ যদি তোমরা তাঁকে তোমাদের সমস্ত হৃদয় এবং সমস্ত আত্মা দিয়ে অনুসরণ কর এবং তাঁর সব আজ্ঞাগুলি—যা কিছু আমি আজ দিয়েছি, তোমরা সেগুলির প্রতি সম্পূর্ণভাবে বাধ্য থাক, 3 তবে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের প্রতি করুণা করবেন। প্রভু আবার তোমাদের মুক্ত করবেন। তিনি তোমাদের যে সব জাতির মধ্যে পাঠিয়ে ছিলেন সেখান থেকে আবার ফিরিয়ে আনবেন। 4 এমন কি তোমরা যদি পৃথিবীর দূরতম প্রান্তেও গিয়ে থাকো, প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, সেখান থেকে তোমাদের সংগ্রহ করবেন। 5 তোমাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ ছিল, প্রভু সেই দেশে তোমাদের ফিরিয়ে আনবেন এবং সেই দেশ তোমাদের অধিকারে আসবে। প্রভু তোমাদের মঙ্গল করবেন এবং পূর্বপূরুষদের চাইতেও তোমাদের অধিক হবে। তোমাদের জাতির লোকসংখ্যা এমন বৃদ্ধি পাবে যা আগে কখনও হয় নি। 6 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের হৃদয় বাধ্য করে তুলবেন। এইভাবে তোমাদের প্রভুকে সমস্ত হৃদয়ের সাথে প্রেম করে জীবন লাভ করবে।
7 “আর তখন প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, শত্রুদের প্রতি সেই সমস্ত অমঙ্গল ঘটাবেন, কারণ এই সমস্ত লোকরা তোমাদের ঘৃণা করে ও কষ্ট দেয়। 8 আর তোমরা আবার প্রভুর বাধ্য হবে। আমি আজ তাঁর যে সমস্ত আদেশ দিচ্ছি তা পালন করবে। 9 তোমরা যে কাজে হাত দেবে তাতেই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের কৃতকার্য হতে দেবেন। তাঁর আশীর্বাদে তোমরা বহু সন্তান-সন্ততি লাভ করবে। তাঁর আশীর্বাদে তোমাদের পশুদেরও অনেক শাবক হবে। তিনি তোমাদের ক্ষেতকে আশীর্বাদ করবেন, ফলে অনেক ফসল উৎপন্ন হবে। প্রভু তোমাদের মঙ্গল করবেন। তোমাদের পূর্বপুরুষদের মঙ্গল সাধন করে তিনি যে রকম আনন্দ পেতেন, সেই রকম তোমাদের প্রতি মঙ্গল সাধন করে তিনি আনন্দ পাবেন। 10 কিন্তু প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, আজ যা বলছেন তা অবশ্যই পালন করতে হবে। তোমরা অবশ্যই তাঁর আজ্ঞাসকল এবং ব্যবস্থাপুস্তকে লেখা বিধিগুলো পালন করবে। তোমরা অবশ্যই তোমাদের হৃদয় ও প্রাণের সাথে প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের বাধ্য হবে। তাহলে তোমাদের প্রতি এইসব মঙ্গল কার্য ঘটবে।
জীবন অথবা মৃত্যু
11 “এই আজ্ঞা যা আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তা তোমাদের পক্ষে খুব কঠিন হবে না আর তা সাধ্যের বাইরেও নয়। 12 এই আজ্ঞাগুলি স্বর্গে রেখে দেওয়া হয় নি যে তোমরা বলবে, ‘কে স্বর্গে গিয়ে তা আমাদের জন্য নিয়ে আসবে যাতে আমরা তা শুনতে পারি এবং মেনে চলি।’ 13 এই আজ্ঞা সমুদ্রের অপর পারেও নেই যে তোমরা বলবে, ‘কে সমুদ্র পার হয়ে আমাদের জন্য তা নিয়ে আসবে যাতে আমরা তা শুনতে পাই ও সেই মত কাজ করতে পারি।’ 14 না, সে বাক্য তোমাদের খুব কাছে, তোমাদের মুখে ও হৃদয়ে রয়েছে যাতে তা পালন করতে পার।
15 “আজ জীবন ও মৃত্যু অথবা ভাল ও মন্দের মধ্যে তোমাদের একটিকে মনোনীত করতে দিয়েছি। 16 প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরকে ভালবাসতে, তাঁকে অনুসরণ করতে এবং তাঁর সমস্ত আজ্ঞা, বিধি ও নিয়মসকল পালন করতে আজ আমি তোমাদের আজ্ঞা করছি। তাহলে তোমরা বাঁচবে এবং তোমাদের জাতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, প্রভু তোমাদের ঈশ্বর সেই দেশে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন। 17 কিন্তু যদি তোমরা প্রভুর দিক থেকে তোমাদের হৃদয় ফিরিয়ে নাও এবং তাঁর কথা শুনতে সম্মত না হও, যদি অন্য দেবতার পূজা ও সেবা করার জন্য মনস্থির করে থাক, 18 তাহলে তোমরা ধ্বংস হবে। আমি তোমাদের সাবধান করে দিচ্ছি, যদি তোমরা প্রভুর দিক থেকে হৃদয় ফিরিয়ে নাও তবে যর্দন নদীর অপর পারের যে দেশে তোমরা প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত, সেখানে তোমরা দীর্ঘজীবি হবে না।
19 “আজ এই দুই পথের মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ তোমাদের হয়েছে আর আকাশ ও পৃথিবীকে আমি এই বিষয়ে সাক্ষী রাখছি। তোমরা জীবন বা মৃত্যু বেছে নিতে পারো। প্রথমটি মনোনীত করলে তোমরা আশীর্বাদ পাবে। যদি তোমরা অপরটি মনোনীত কর তাহলে আসবে অভিশাপ। সুতরাং জীবন মনোনীত কর, তাহলে তোমরা এবং তোমাদের সন্তানরা বাঁচবে। 20 তোমরা অবশ্যই তোমাদের প্রভু, ঈশ্বরকে ভালবাসবে ও তাঁর বাধ্য হবে। তাঁকে পরিত্যাগ করো না, কারণ প্রভুই তোমাদের জীবন এবং প্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবকে যে দেশ দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই দেশে তিনি তোমাদের দীর্ঘজীবি করবেন।”
নতুন নেতা যিহোশূয়
31 ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের এইসব কথা বলা শেষ হলে, 2 মোশি বললেন, “আমার বয়স এখন 120 বছর। আমি আর তোমাদের পরিচালনা করতে পারব না। প্রভু আমায় বলেছেন: ‘তুমি যর্দন নদী পার হয়ে যাবে না।’ 3 কিন্তু প্রভু তোমাদের লোকদের সেই দেশে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন। প্রভু তোমাদের জন্য এই সমস্ত জাতিকে ধ্বংস করবেন এবং তোমরা তাদের দেশ ছিনিয়ে নেবে। প্রভুর প্রতিজ্ঞা অনুসারে যিহোশূয় তোমাদের পথ দেখাবেন।
4 “প্রভু সীহোন এবং ওগ এই ইমোরীয় রাজাদের ধ্বংস করে তাদের প্রতি এবং তাদের দেশের প্রতি যা করেছিলেন এদের প্রতিও তাই করবেন। 5 এই সমস্ত জাতিকে হারাতে প্রভু তোমাদের সাহায্য করবেন। কিন্তু আমি তোমাদের যা যা করতে বলি তার সবই তোমরা তাদের প্রতি করো। 6 দৃঢ় এবং সাহসী হও, ঐ সমস্ত লোকদের ভয় পেও না! কারণ প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি তোমাদের ছেড়ে যাবেন না বা হতাশ করবেন না।”
7 তখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে যিহোশূয়কে ডেকে বললেন, “শক্ত হও, মনে সাহস আনো। যে দেশ প্রভু এদের পূর্বপুরুষদের দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তুমি তাদের সেখানে নিয়ে যাবে এবং সেই দেশ তাদের অধিকার করাবে। 8 প্রভু তোমায় পথ দেখাবেন, তিনি নিজেই তোমার সঙ্গে আছেন। তিনি তোমাকে ছাড়বেন না বা ত্যাগ করবেন না। দুশ্চিন্তা করো না, ভয় পেও না।”
মোশি শিক্ষাগুলি লিপিবদ্ধ করলেন
9 তারপর মোশি সেই শিক্ষাগুলি লিখে যাজকদের হাতে দিলেন। যাজকরা ছিল লেবি গোষ্ঠীর লোক, যাদের কাজ ছিল প্রভুর চুক্তির সেই সিন্দুক বহন করা। মোশি ইস্রায়েলের সমস্ত প্রবীণদের কাছেও শিক্ষাগুলি দিলেন। 10 তারপর মোশি তাদের এই আজ্ঞা দিয়ে বললেন, “প্রত্যেক সাত বছরের শেষে, মুক্তির বছরে অর্থাৎ কুটিরবাস উৎসবের সময়, 11 যে সময় ইস্রায়েলের সমস্ত লোক প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের মনোনীত স্থানে প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসবে, সেই সময় তুমি অবশ্যই এই শিক্ষাগুলি লোকদের কাছে পাঠ করবে যাতে তারা তা শুনতে পায়। 12 সকল পুরুষ, স্ত্রীলোক, শিশুদের এবং তোমাদের মধ্যে বাসকারী বিদেশীদের অবশ্যই একসাথে জড়ো করবে। তারা এইসব শিক্ষা শুনবে ও তোমাদের প্রভু ঈশ্বরকে সম্মান করতে শিখবে। তখন তারা ব্যবস্থার পুস্তকে যে যে বিষয় আছে তার সবই পালন করতে পারবে। 13 উত্তরপুরুষরা যদি শিক্ষাগুলি না জেনে থাকে তবে তারাও শুনবে এবং প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরকে, সম্মান করতে শিখবে। তারা যতদিন তোমার দেশে বাস করবে ততদিন প্রভুকে সম্মান করবে। শীঘ্রই তোমরা যর্দন নদী পার হয়ে সেই দেশ অধিকার করবে।”
প্রভু মোশি ও যিহোশূয়কে ডাকলেন
14 প্রভু মোশিকে বললেন, “এখন তোমার মৃত্যুর সময় হয়ে এসেছে। যিহোশূয়কে নিয়ে সমাগম তাঁবুর কাছে এস। আমি বলব যিহোশূয়কে কি করতে হবে।” তাই মোশি ও যিহোশূয় সমাগম তাঁবুতে গেলেন।
15 প্রভু সেই তাঁবুর কাছে মেঘস্তম্ভের দর্শন দিলেন। সেই মেঘস্তম্ভ তাঁবুর দরজায় দাঁড়িয়ে রইলো। 16 প্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি শীঘ্রই মারা যাবে এবং তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে গেলে এই লোকরা আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না। আমি তাদের সাথে যে চুক্তি করেছি তা তারা ভেঙে ফেলবে। তারা আমায় পরিত্যাগ করে যে দেশে যাচ্ছে সেই দেশের মূর্ত্তিদের পূজা করবে। 17 সেই সময় আমি তাদের উপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হব এবং তাদের পরিত্যাগ করব। আমি তাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করব আর তারা ধ্বংস হবে। তাদের প্রতি বহুবিধ ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে, তারা অনেক কষ্টেও পড়বে। তখন তারা বলবে, ‘আমাদের সঙ্গে এইসব অমঙ্গল ঘটছে কারণ আমাদের ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই।’ 18 সেই সময় আমি তাদের সাহায্য করব না কারণ তারা মন্দ কাজ করবে এবং অন্য দেবতাদের পূজা করবে।
19 “তাই এই গানটা লিখে নাও এবং ইস্রায়েলের লোকদের তা শেখাও। তাদের এই গান গাইতে শেখাও, তাহলে এই গান ইস্রায়েলের লোকর বিরুদ্ধে আমার সাক্ষী হবে। 20 আমি তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি তাদের সেই দেশে নিয়ে যাব। সেই দেশ উত্তম বিষয়ে পরিপূর্ণ আর তারা যা চায় তাই-ই খেতে পেলে তারা হৃষ্টপুষ্ট হবে কিন্তু তখন তারা ঘুরে বসবে এবং অন্য দেবতার সেবা করবে। তারা আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে এবং আমার নিয়ম ভেঙ্গে ফেলবে। 21 তখন তাদের প্রতি বহু ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে। তারা অনেক কষ্টে পড়বে। সেই সময়ে তাদের লোকদের এই গান মনে পড়বে এবং তারা তাদের ভুল বুঝবে। আমি তাদের যে দেশ দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সেই দেশে এখনও নিয়ে যাই নি, কিন্তু আমি জানি সেখানে তারা কি করার পরিকল্পনা করছে।”
22 তাই সেই দিনেই মোশি সেই গান লিখলেন এবং ইস্রায়েলের লোকদের তা শেখালেন।
23 তখন প্রভু নূনের পুত্র যিহোশূয়কে বললেন, “শক্ত হও, সাহসী হও। আমি ইস্রায়েলীয়দের যে দেশ দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেই দেশে তুমি তাদের নিয়ে যাবে আর আমি তোমার সাথে থাকব।”
মোশি ইস্রায়েলীয়দের সতর্ক করে দিলেন
24 এই সমস্ত শিক্ষা মোশি যত্ন সহকারে একটি বইয়ে লিখলেন। 25 আর তা লেখা শেষ হলে, তিনি লেবীয়দের একটি আদেশ দিলেন। (এই লেবীয়রা প্রভুর চুক্তির সিন্দুক বয়ে নিয়ে যেত।) মোশি বললেন, 26 “ব্যবস্থাপুস্তক বই নিয়ে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের চুক্তির সিন্দুকের পাশে রাখ। তাহলে তা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবে। 27 আমি জানি তোমরা খুব একগুঁয়ে, তোমরা তোমাদের মত করে জীবন কাটাতে চাও। দেখ আমি তোমাদের সাথে থাকাকালীনই তোমরা প্রভুর বাধ্য হতে অস্বীকার করেছিলে। তাই আমি জানি যে আমার মৃত্যুর পরও তোমরা তাঁর বাধ্য হতে অস্বীকার করবে। 28 তোমাদের পরিবারগোষ্ঠীর সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও নেতাদের এক জায়গায় জড়ো করো। আমি তাদের এইসব বিষয় বলব এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশ ও পৃথিবীকে সাক্ষী করবো। 29 আমি জানি আমার মৃত্যুর পর তোমরা মন্দ হয়ে পড়বে। আমি যে ভাবে আজ্ঞা করেছি তার থেকে তোমরা দূরে সরে যাবে। ভবিষ্যতে তোমাদের অমঙ্গল হবে। কারণ প্রভু যে কাজ মন্দ বলেন তোমরা সেই সবই করতে চাও এবং তোমাদের মন্দ কাজের দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট কর।”
মোশির গান
30 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক এক জায়গায় জড়ো হলে মোশি তাদের জন্য এই গানের সবটাই গাইলেন:
রাজ্যপাল পীলাত প্রশ্ন করলেন
(মথি 27:1-2, 11-14; লূক 23:1-5; যোহন 18:28-38)
15 সকাল হতেই প্রধান যাজকরা, বয়স্ক ইহুদী নেতারা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও সমস্ত মহাসভার লোকেরা শলাপরামর্শ করলেন। তাঁরা যীশুকে বেঁধে পীলাতের কাছে পাঠালেন এবং তাঁর হাতে তুলে দিলেন।
2 তখন পীলাত তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি ইহুদীদের রাজা?”
যীশু তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, আপনি যেমন বললেন তেমনই।”
3 তখন প্রধান যাজকরা যীশুর বিরুদ্ধে নানান দোষের কথা বলতে লাগলেন। 4 পীলাত তাঁকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? দেখ, এরা তোমার বিরুদ্ধে কত অভিযোগ করছে!”
5 কিন্তু তবু যীশু কোন উত্তর দিলেন না দেখে পীলাত আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
যীশুকে মুক্ত করতে পীলাতের ব্যর্থ চেষ্টা
(মথি 27:15-31; লূক 23:13-25; যোহন 18:39–19:16)
6 নিস্তারপর্বের সময়ে পীলাত লোকদের ইচ্ছে মতো একজন বন্দীকে মুক্ত করে দিতেন। 7 সেই সময় বারাব্বা নামে একটি লোক বিদ্রোহীদের সাথে কারাগারে ছিল, যারা বিদ্রোহের সময় অনেক খুন জখম করেছিল।
8 আর তিনি পীলাত লোকদের জন্য সচরাচর যা করতেন, সেই লোকেরা তাকে তাই করতে বলল। 9 পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “ইহুদীদের রাজাকে আমি তোমাদের জন্য মুক্ত করে দিই, এটাই কি তোমাদের ইচ্ছা?” 10 কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রধান যাজকরা হিংসার বশবর্তী হয়ে যীশুকে তার হাতে তুলে দিয়েছিল। 11 কিন্তু প্রধান যাজকরা জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলল যাতে তারা যীশুর পরিবর্তে বারাব্বার মুক্তি দাবি করে।
12 কিন্তু পীলাত আবার তাদের বললেন, “তবে তোমরা যাকে ইহুদীদের রাজা বল তাকে কি করব?”
13 তারা চেঁচিয়ে বলল, “ওকে ক্রুশে দাও!”
14 কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “কেন? এ কি মন্দ কাজ করেছে?”
তারা আরও চেঁচিয়ে বলল, “ওকে ক্রুশে দাও!”
15 তখন পীলাত লোকদের খুশী করতে বারাব্বাকে তাদের জন্য ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে চাবুক মেরে ক্রুশে বিদ্ধ করবার জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেন।
16 পরে সেনারা প্রাসাদের মধ্যে অর্থাৎ প্রধান শাসনকর্তার সদর দপ্তরের উঠোনে যীশুকে নিয়ে গিয়ে সমস্ত সেনাদের ডাকল। 17 তারা যীশুকে বেগুনী রঙের কাপড় পরিয়ে দিল এবং কাঁটার মুকুট তৈরী করে তাঁর মাথায় চাপিয়ে দিল। 18 তারা তাঁকে অভিবাদন জানিয়ে বলতে লাগল, “ইহুদীদের রাজা নমস্কার!” 19 তারা তাঁর মাথায় একটা লাঠি দিয়ে বার বার মারতে লাগল ও তাঁর গায়ে থুথু ছিটিয়ে দিল। তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে তাঁকে প্রণাম করতে থাকল। 20 তাঁকে নিয়ে এইভাবে মজা করবার পর তারা ঐ বেগুনী রঙের কাপড় খুলে নিয়ে তাঁর নিজের কাপড় পরিয়ে দিল। আর ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।
যীশু ক্রুশে মৃত্যুবরণ করলেন
(মথি 27:32-44; লূক 23:26-39; যোহন 19:17-19)
21 সেই সময় শিমোন নামে একটা লোক কুরীশীর গ্রামাঞ্চল থেকে সেই পথ ধরে আসছিল। সে আলেকসান্দর ও রূফের বাবা। সেনারা তাকে যীশুর ক্রুশ বয়ে নিয়ে যাবার জন্য বেগার ধরল। 22 পরে তারা যীশুকে গলগথা নামে এক জায়গায় নিয়ে এল। গলগথার অর্থ “মাথার খুলির স্থান।” 23 তারা তাঁকে গন্ধরস মেশানো দ্রাক্ষারস পান করতে দিল; কিন্তু তিনি তা পান করলেন না। 24 পরে তারা তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করল। তাঁর কাপড়গুলোকে আলাদা আলাদা করে ঘুঁটি চেলে ঠিক করল কে তাঁর পোশাকের কোন্ অংশ পাবে।
25 সকাল ন’টার সময়ে তারা তাঁকে ক্রুশে দিল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International