Old/New Testament
ইফ্রয়িম এবং মনঃশির জন্য জমি-জায়গা
16 যোষেফ পরিবার যে দেশ পেয়েছিল তা শুরু হয়েছে যিরীহোর কাছে যর্দন নদী থেকে আর যিরীহোর পূর্ব দিকের নদী পর্যন্ত চলে গেছে। যিরীহো থেকে বৈথেলের পাহাড়ী দেশ পর্যন্ত এদেশের সীমানা প্রসারিত। 2 তারপর সীমানা গেছে বৈথেল (লূস) থেকে অটারোতে অর্কীয়দের সীমা পর্যন্ত। 3 তারপর সীমানা গেছে পশ্চিমে যফ্লেট বংশীয় লোকদের সীমা পর্যন্ত। তারপর নিম্ন বৈৎ-হোরোণ, গেষর হয়ে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত।
4 মনঃশি এবং ইফ্রয়িমের লোকরা জমি-জায়গা পেয়েছিল। (মনঃশি আর ইফ্রয়িম হল যোষেফের পুত্র।)
5 সেই দেশের পূর্ব সীমা যেটা ইফ্রয়িমের উত্তরপুরুষদের দেওয়া হয়েছিল সেটির শুরু অটারোত্-অদ্দর থেকে যেটি ছিল উচ্চ বৈৎ-হোরোণের কাছে পশ্চিম সীমানার শুরু মিক্মথাথ থেকে। 6 এই সীমানা পূর্বদিকে বাঁক নিয়েছে তানোৎ-শীলোর দিকে এবং আরো পূর্ব দিকে এগিয়ে গেছে যানোহ পর্যন্ত। 7 তারপর নেমে গিয়ে যানোহ থেকে অটারোত্ এবং নারঃ পর্যন্ত। এইভাবেই যিরীহো পর্যন্ত সীমানা প্রসারিত হয়ে যর্দন নদীতে এসে থেমেছে। 8 সীমানাটি তপূহ থেকে পশ্চিমদিকে কানা নদীর দিকে গেছে এবং শেষ হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। এই সমস্ত জায়গা ইফ্রয়িমের বংশধরদের দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবার একটা করে অংশ পেয়েছিল। 9 ইফ্রয়িমের অধিকাংশ সীমান্ত শহরই আসলে মনঃশির সীমানায়, কিন্তু ইফ্রয়িমের বংশধররা এইসব শহর এবং মাঠঘাট পেয়েছিল। 10 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গেষর শহর থেকে কনান বংশীয় লোকদের তাড়িয়ে দিতে পারে নি। তাই ইফ্রয়িম বংশীয় লোকদের সঙ্গেই তারা আজও বসবাস করছে। কিন্তু কনান বংশীয়রা ইফ্রয়িমের ক্রীতদাস হয়েই থেকে গিয়েছিল।
17 তারপর মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীকে জমি-জায়গা দেওয়া হল। মনঃশি ছিলেন যোষেফের প্রথম পুত্র। মনঃশির জ্যেষ্ঠ পুত্র মাখীর গিলিয়দের পিতা। মাখীর ছিলেন মস্ত বড় যোদ্ধা, তাই গিলিয়দ এবং বাশনের সমস্ত জায়গা মাখীর পরিবারকে দেওয়া হল। 2 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অন্যান্য পরিবারকেও জমি দান করা হয়েছিল। এইসব পরিবারের কর্তা হচ্ছে অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম, হেফর এবং শমীদা। এরা সব মনঃশির অন্যান্য পুত্র আর মনঃশি হলেন যোষেফের পুত্র। এদের পরিবারগুলি জমির ভাগ পেয়েছিল।
3 সল্ফাদ হচ্ছে হেফরের পুত্র। হেফরের পিতা গিলিয়দ। গিলিয়দের পিতা মাখীর আর মাখীরের পিতা হচ্ছে মনঃশি। সল্ফাদের কোন পুত্র ছিল না বটে, কিন্তু পাঁচটি কন্যা ছিল। তাদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা আর তির্সা। 4 মেয়েরা সব গেল যাজক ইলিয়াসর, নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং অন্যান্য দলপতির কাছে। তারা বলল, “প্রভু মোশিকে বলেছিলেন, ভাইদের যে জমি দেওয়া হবে, মেয়েদেরও যেন সে রকম জমি দেওয়া হয়।” সুতরাং ইলিয়াসর প্রভুর নির্দেশ পালন করলেন। তিনি মেয়েদেরও কিছু জমি-জায়গা দিলেন। তুলনায় মেয়েরাও তাদের কাকাদের মতোই জমি-জায়গা পেল।
5 অতএব মনঃশির পরিবারগোষ্ঠী যর্দন নদীর পশ্চিমে দশটা জমি এবং যর্দন নদীর পূর্ব পারের আরো দুটো জায়গা গিলিয়দ এবং বাশন পেল। 6 সেইজন্য মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর মেয়েরা ছেলেদের সমান জায়গা পেল। মনঃশি গোষ্ঠীর বাদবাকীদের দেওয়া হল গিলিয়দ।
7 মনঃশির জমি জায়গা আশের এবং মিক্মথাথ এর মাঝখানে। সেটা শিখিমের কাছেই। সীমানা সোজা চলে গেছে দক্ষিণে ঐন্-তপূহ অঞ্চলের দিক বরাবর। 8 তপূহকে ঘিরে সব জমি ছিল মনঃশির। কিন্তু খোদ তপূহ শহরটা তার নিজের ছিল না। তপূহ শহরটা মনঃশি এলাকার ধার ঘেঁষে। শহরটা ছিল ইফ্রয়িমের। 9 মনঃশির সীমানা দক্ষিণে কান্না নদী পর্যন্ত গেছে। এই জায়গাটা মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর হলেও শহরগুলো কিন্তু ইফ্রয়িমের দখলে নদীর উত্তরদিকে ছিল মনঃশির সীমানা যা পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। 10 দক্ষিণ দিকের জমি জায়গা ছিল ইফ্রয়িমের। উত্তরদিকটা ছিল মনঃশির দখলে, পশ্চিম সীমা ভূমধ্যসাগর। এই সীমানা উত্তর দিকে আশেরদের দেশ পর্যন্ত এবং পূর্বদিকে ইষাখরের দেশ।
11 ইষাখর এবং আশের অঞ্চলেরও কয়েকটি শহর ছিল মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর আয়ত্ত্বাধীন। তারা বৈৎ-শান, যিব্লিয়ম এবং আশে-পাশের কয়েকটি ছোট শহরেও বাস করত। তারা দোর, ঐন্-দোর, তানক, মগিদ্দো এবং আশেপাশের ছোটখাট শহরগুলোয় থাকত। নাফোতের তিনটি শহরেও ছিল ওদের বসবাস। 12 মনঃশির লোকরা ঐসব শহর দখল করতে পারে নি। সেই জন্য কনানীয় লোকরা এসব অঞ্চলে বসবাস করত। 13 কিন্তু ইস্রায়েলবাসীরা বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠল। তারা জোর করে কনানদের তাদের সব কাজকর্ম করে দিতে বললো। তবে তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে জোর করে নি।
14 যোষেফের পরিবারগোষ্ঠী যিহোশূয়কে বলল, “আপনি আমাদের শুধু একটা জায়গাই দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এত জন। প্রভুর দেওয়া এতখানি জায়গা থেকে আপনি কেন আমাদের মাত্র এক ভাগ দিলেন?”
15 যিহোশূয় বললেন, “বেশ তোমরা যদি প্রচুর লোকজন হও তাহলে ওপরের অরণ্যে ঢাকা পাহাড়ী দেশে চলে যাও, সেখানকার বন কেটে পরিষ্কার করে ব্যবহারযোগ্য কর। সে জায়গায় এখন পরিষীয় আর রফায়ীয়রা থাকে। কিন্তু যদি পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িম তোমাদের জন্য যথেষ্ট না হয় তাহলে তোমরা আরো উচ্চ পাহাড়ী দেশে যাও এবং সেখানকার সব জায়গা দখল করো।”
16 যোষেফের লোকেরা বলল, “এটা সত্যিই যে পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িম বেশ ছোট জায়গা। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী কনানীয়দের কাছে আছে বেশ শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র। তাদের আবার লোহার রথও আছে। কনানরা যিষ্রিয়েল উপত্যকা বৈৎ-শান আর সেখানকার সব ছোটখাট শহর দখল করে রয়েছে।”
17 তখন যিহোশূয় যোষেফ, ইফ্রয়িম এবং মনঃশির লোকদের বললেন, “কিন্তু তোমরাও সংখ্যায় প্রচুর। আর তোমরাও যথেষ্ট শক্তিশালী। তোমাদের জমির এক অংশের বেশী ভাগ পাওয়া দরকার। 18 তোমরা পাহাড়ী দেশটা নিয়ে নাও। এটা বনজঙ্গল হলেও গাছগুলো কেটে বসবাসের উপযুক্ত করে নিও। সমস্ত জায়গা তোমরাই নিও। সেখান থেকে কনানীয়দের তাড়িয়ে দিও। তারা যদি শক্তিশালী হয় এবং তাদের কাছে যদি বেশী অস্ত্রশস্ত্রও থাকে তবু তোমরা তাদের নিশ্চয়ই পরাজিত করবে।”
বাকী জমি-জায়গার বিভাজন
18 সমস্ত ইস্রায়েলবাসী শীলোতে জড়ো হল। সেখানে তারা একটা সমাগম তাঁবু প্রতিষ্ঠা করল। ইস্রায়েলীয়রাই সেই দেশটা চালাত। সে দেশে সমস্ত শত্রুকে তারা হারিয়েছিল। 2 কিন্তু সেই সময় সাতটা ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠী তখনও ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি মতো জমিজায়গা পায় নি।
3 তাই যিহোশূয় তাদের বললেন, “জমির জন্য তোমরা এতদিন অপেক্ষা করে বসে আছ কেন? তোমাদের প্রভু তোমাদের পিতৃপুরুষের ঈশ্বর তোমাদের তা দিয়েই দিয়েছেন। 4 তাই বলছি প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে তিনজন করে লোক বেছে নাও। আমি তাদের জায়গাটা ভালো করে দেখার জন্য পাঠাব। তারা সেখানকার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে। 5 তারা জায়গাটা সাত ভাগে ভাগ করবে। যিহূদার লোকরা পাবে দক্ষিনাংশ, যোষেফের লোকরা পাবে উত্তর অংশ। 6 তোমরা অবশ্যই জায়গাটার বর্ণনা করে সেটাকে সাত ভাগে ভাগ করবে। মানচিত্রটা আমার কাছে আনবে। তারপর আমরা প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকেই তা ঠিক করতে বলব কে কোন জমি পাবে।[a] 7 লেবীয় যাজকরা জমির কোন অংশ পাবে না। যাজক হিসাবে তাদের কাজ হচ্ছে প্রভুর সেবা করা। এই তাদের অংশ। গাদ, রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুত জমিজায়গা পেয়ে গিয়েছে। তারা বাস করে যর্দন নদীর পূর্বদিকে। প্রভুর দাস মোশি ইতিমধ্যেই তাদের জমিজায়গা দিয়ে দিয়েছেন।”
8 জায়গা দেখার জন্য মনোনীত লোকরা বার হয়ে গেল যাতে তারা জমির বর্ণনা দিতে পারে। যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা সেই জায়গায় যাও, ভালো করে দেখ আর সেখানকার একটা বর্ণনা লিখে নিয়ে এসো। তারপর শীলোতে আমার সঙ্গে দেখা করো। আমি তখন ঘুঁটি চালার ব্যবস্থা করব। যেন প্রভুই তোমাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেন।”
9 তাই লোকরা সেই দেশে গেল, জায়গাটা ঘুরে ফিরে তারা দেখল এবং যিহোশূয়র জন্য একটা বর্ণনা তারা লিখল। তারা ঐ সমস্ত শহরগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করল এবং তারপর ভূখণ্ডটিকে সাত ভাগে ভাগ করল। মানচিত্র এঁকে নিয়ে তারা শীলোতে যিহোশূয়র কাছে ফিরে গেল। 10 যিহোশূয় সেখানে শীলোতে প্রভুর সামনে তাদের জন্য ঘুঁটি চাললেন। এইভাবেই তিনি জমি ভাগাভাগি করে প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীকে তাদের অংশ দিলেন।
বিন্যামীনের জন্য জমিজায়গা
11 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল যিহূদা এবং যোষেফের জায়গার মাঝখানের জমি। বিন্যামীনের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীই নিজের নিজের জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। বিন্যামীনের জন্য মনোনীত জায়গাগুলো হল: 12 যর্দন নদী থেকে শুরু করে উত্তরের সীমানা, যা যিরীহোর উত্তর দিক ঘেঁষে গিয়ে পশ্চিমে পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে চলে গেছে। সীমানাটি বৈৎ-আবনের ঠিক পূর্বদিক পর্যন্ত এগিয়ে গেছে। 13 দক্ষিণে লূস (বৈথেল) পর্যন্ত সীমানা গেছে। তারপর সীমা গেছে অষ্টারোৎ-অদ্দরের দিকে। অষ্টারোৎ-অদ্দর হচ্ছে নিম্ন বৈৎ-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ী জায়গায়। 14 বৈৎ-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ে এসে সীমানা দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চলে গেছে। সীমানা গিয়েছে কিরিয়ৎ-বালে (কিরিয়ৎ যিয়ারীম)। এই শহরটা যিহূদার লোকদের এটা পশ্চিম সীমা।
15 কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ সীমা, গেছে নিপ্তোহ নদীর দিকে। 16 তারপর রফায়ীম উপত্যকার উত্তরে বেন-হিন্নোম উপত্যকার কাছে পাহাড়ের নীচে চলে গেছে এই সীমা। সীমানাটি যিবুষীয়দের শহরের ঠিক দক্ষিণদিকে হিন্নোম উপত্যকা পর্যন্তও বিস্তৃত হয়েছে। তারপর সেটি গেছে ঐন্-রোগেল পর্যন্ত। 17 সেখান থেকে সীমা ঘুরে উত্তরদিকে গেছে ঐন্-শেমশে, গলীলোত (অদুম্মীম গিরিজর্থের কাছে) পর্যন্ত। সেখান থেকে মহাশিলার দিকে; রূবেণের পুত্র বোহনের জন্যই এর নাম রাখা হয়েছে। 18 এই সীমা বৈৎ-অরাবার উত্তরদিকে খাড়ি পর্যন্ত এসে যর্দন উপত্যকায় নেমে গেছে। 19 তারপর বৈৎ-হগ্লার উত্তরে আর শেষ হয়েছে মৃত সাগরের উত্তর উপকূলে। এখানেই যর্দন নদী সাগরে পড়েছে। আর এটাই হচ্ছে দক্ষিণ সীমা।
20 যর্দন নদী হচ্ছে পূর্ব সীমা। সুতরাং এটাই হচ্ছে বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য বিলি করা জমিজায়গা। এইসব হচ্ছে এদের জমি-জায়গার সব দিকের সীমানা।
21 প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল। এইসব হচ্ছে তাদের শহর:
যিরীহো, বৈৎ-হগ্লা, এমক-কশিশ, 22 বৈৎ-অরাবা, সমারয়িম, বৈথেল, 23 অব্বীম, পারা, অফ্রা, 24 কফর-আম্মোনী, অফ্নি এবং গেবা। সেখানে 12 টি শহর এবং তাদের ঘিরে সব মাঠঘাট ছিল।
25 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী এ ছাড়াও পেয়েছিল
গিবিয়োন, রামা, বেরোত্, 26 মিস্পী, কফীরা, মোৎসা, 27 রেকম, যির্পেল, তরলা, 28 সেলা, এলফ, যিবুষদের শহর (জেরুশালেম) গিবিয়াৎ এবং কিরিয়াৎ। মাঠঘাট নিয়ে 14টি শহর।
বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী এই সমস্ত জায়গা পেল।
যীশুর জন্ম
(মথি 1:18-25)
2 সেই সময় আগস্ত কৈসর হুকুম জারি করলেন যে, রোম সাম্রাজ্যের সব জায়গায় লোক গণনা করা হবে। 2 এটাই হল সুরিয়ার রাজ্যপাল কুরীণিয়ের সময়ে প্রথম আদমশুমারি। 3 আর প্রত্যেকে নিজের নিজের শহরে নাম লেখাবার জন্য গেল।
4 যোষেফ ছিলেন রাজা দায়ূদের বংশধর, তাই তিনি গালীল প্রদেশের নাসরৎ থেকে রাজা দায়ূদের বাসভূমি বৈৎলেহমে গেলেন। 5 যোষেফ তাঁর বাগ্দত্তা স্ত্রী মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে নাম লেখাতে চললেন। এই সময় মরিয়ম ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। 6 তাঁরা যখন সেখানে ছিলেন, তখন মরিয়মের প্রসব বেদনা উঠল। 7 আর মরিয়ম তাঁর প্রথম সন্তান প্রসব করলেন। তিনি সদ্যোজাত সেই শিশুকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে জড়িয়ে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখলেন, কারণ ঐ নগরের অতিথিশালায় তাঁদের জন্য জায়গা ছিল না।
মেষপালকরা যীশুর সম্পর্কে শুনলেন
8 সেখানে গ্রামের বাইরে মেষপালকরা রাতে মাঠে তাদের মেষপাল পাহারা দিচ্ছিল। 9 এমন সময় প্রভুর এক স্বর্গদূত তাদের সামনে উপস্থিত হলে প্রভুর মহিমা চারদিকে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিল। এই দেখে মেষপালকরা খুব ভয় পেয়ে গেল। 10 সেই স্বর্গদূত তাদের বললেন, “ভয় নেই, দেখ আমি তোমাদের কাছে এক আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছি। এই সংবাদ সকলের জন্য মহা আনন্দের হবে। 11 কারণ রাজা দায়ূদের নগরে আজ তোমাদের জন্য একজন ত্রাণকর্তার জন্ম হয়েছে। তিনি খ্রীষ্ট প্রভু। 12 আর তোমাদের জন্য এই চিহ্ন রইল, তোমরা দেখবে একটি শিশুকে কাপড়ে জড়িয়ে একটা জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখা হয়েছে।”
13 সেই সময় হঠাৎ স্বর্গীয় বাহিনীর এক বিরাট দল ঐ স্বর্গদূতদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে বললেন,
14 “স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমা,
পৃথিবীতে তাঁর প্রীতির পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।”
15 স্বর্গদূতরা তাদের কাছ থেকে স্বর্গে ফিরে গেলে মেষপালকরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “চল, আমরা বৈৎলেহমে যাই, প্রভু আমাদের যে ঘটনার কথা জানালেন সেখানে গিয়ে তা দেখি।”
16 তারা সেখানে ছুটে গেলে মরিয়ম, যোষেফ এবং সেই শিশুটিকে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শোওয়া অবস্থায় দেখল। 17 মেষপালকেরা শিশুটিকে দেখতে পেয়ে, সেই শিশুটির বিষয়ে তাদের যা বলা হয়েছিল সেকথা সকলকে জানাল। 18 মেষপালকদের মুখে ঐ কথা যারা শুনল তারা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেল। 19 কিন্তু মরিয়ম এই কথা মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে সব সময় এবিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। 20 এরপর মেষপালকরা তাদের কাছে যা বলা হয়েছিল সেই অনুসারে সব কিছু দেখে ও শুনে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে ঘরে ফিরে গেল।
21 এর আট দিন পরে সুন্নত করার সময়ে শিশুটির নাম রাখা হল যীশু। মাতৃগর্ভে আসার আগেই স্বর্গদূত তাঁর এই নাম রেখেছিলেন।
যীশুকে মন্দিরে আনা হল
22 মোশির বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে শুচিকরণ অনুষ্ঠানের সময় হলে তাঁরা যীশুকে জেরুশালেমে নিয়ে গেলেন, যেন সেখানে প্রভুর সামনে তাঁকে উৎসর্গ করতে পারেন। 23 কারণ প্রভুর বিধি-ব্যবস্থায় লেখা আছে, “স্ত্রীলোকের প্রথম সন্তানটি যদি পুত্র হয়, তবে তাকে ‘প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হবে,’”[a] 24 আর প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে, “এক জোড়া ঘুঘু অথবা দুটি পায়রার বাচ্চা উৎসর্গ করতে হবে।”(A) সুতরাং যোষেফ এবং মরিয়ম সেইমত কাজ করবার জন্য জেরুশালেমে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International