Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Old/New Testament

Each day includes a passage from both the Old Testament and New Testament.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
যিহোশূয় 19-21

শিমিয়োনের জন্য জমি-জায়গা

19 তারপর যিহোশূয় শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে জমি-জায়গা দিলেন। সে সব জমি ছিল যিহূদার এলাকার ভেতরে। তারা পেয়েছিল বের্-শেবা (শেবাও বলা যেতে পারে), মোলাদা, হৎসর-শূয়াল, বালা, এৎ‌সম, ইল্তোলদ, বথূল, হর্মা, সিক্লগ, বৈৎ‌-মর্কাবোৎ, হৎসর-সূষা, বৈৎ‌-লবায়োৎ এবং শারূহণ। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে 13টি শহর।

তারা আরও যে সব শহর পেয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: ঐন, রিম্মোণ, এখর এবং আশন। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে চারটে শহর। এছাড়া তারা বালৎ-বের (নেগেভের রামো) পর্যন্ত সমস্ত শহরের চারপাশের মাঠ-ঘাট পেল। তাছাড়াও বালৎ-বের পর্যন্ত সমস্ত শহরের চতুর্দিকের মাঠ। তাহলে এই হচ্ছে শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর এলাকা। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল। শিমিয়োনের জমির অংশ যিহূদার এলাকার মধ্যেই ছিল। যিহূদার লোকরা দরকারের চেয়ে অনেক বেশী জমি পেয়েছিল। তাই তাদের জমির কিছু অংশ শিমিয়োনের লোকরা পেয়েছিল।

সবূলূনের জন্য জমি-জায়গা

10 এরপর জমি-জায়গা পেয়েছিল সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারই পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো জমি-জায়গা পেয়েছিল। সবূলূনের সীমানা ছিল সুদূর সারীদ অবধি। 11 তারপর সীমানাটি পশ্চিম মুখে মারালার দিকে গেছে এবং দব্বেশৎ‌ ছুঁয়েছে। তারপর সীমা চলে গেছে যক্লিয়ামের উপত্যকা বরাবর। 12 তারপর সীমানা গেছে পূর্বদিকে বেঁকে সারীদ থেকে কিশ্লোৎ‌-তাবোর পর্যন্ত, সেখান থেকে দাবরৎ আর যাফিয়ে। 13 আরও পূর্বদিকে গাৎ-হেফর এবং এৎ‌-কাৎসীনে, শেষ হয়েছে রিম্মোণে। তারপর সীমানা ঘুরে গেছে নেয়ের দিকে। 14 নেয়ে থেকে আবার বেঁকে গিয়ে উত্তরে হন্নাখোন হয়ে যিপ্তেল উপত্যকার দিকে চলে গেছে। 15 এই চৌহদ্দির মধ্যে যেসব শহর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে কটত্‌, নহলাল, শিম্রোণ, য়িদালা এবং বৈৎ‌লেহম। মাঠঘাট নিয়ে মোট 12 টি শহর।

16 এই হল সবূলূনের শহরসমূহ আর মাঠঘাট। এই পরিবারের প্রত্যেকেই এইসব জায়গার ভাগ পেয়েছিল।

ইষাখরের জন্য জমি-জায়গা

17 দেশের চতুর্থ অংশ দেওয়া হয়েছিল ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীকে। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল। 18 এদের দেওয়া হয়েছিল যিষ্রিয়েল, কসুল্লোৎ, শূনেম, 19 হফারয়িম, শীয়োন, অনহরৎ, 20 রব্বীৎ, কিশিয়োন, এবস, 21 রেমৎ, ঐন্-গন্নীম, ঐন্-হদ্দা এবং বৈৎ‌-পৎসেস।

22 জমির সীমানা হচ্ছে তাবর, শহৎসূমা এবং বৈৎ‌-শেমশ। শেষ হয়েছে যর্দন নদীতে। মোট 16টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট। 23 এইসব শহর ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল।

আশেরদের জন্য জমিজায়গা

24 দেশের পঞ্চম ভাগ আশের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। সকলেই জমির অংশ পেয়েছিল। 25 তাদের দেওয়া হয়েছিল হিল্কত্‌, হলী, বেটন, অক্ষক, 26 অলম্মেলক, অমাদ আর মিশাল।

পশ্চিম সীমা গেছে কর্মিল পর্বত এবং শীহোর-লিব্নত্‌ পর্যন্ত। 27 তারপর সীমানা মোড় নিয়েছে পূর্ব মুখে। এটি গেছে বৈৎ‌-দাগোন পর্যন্ত। এটি সবূলূন এবং যিপ্তেল উপত্যকা ছুঁয়েছে। তারপর এটি বৈৎ‌-এমক এবং নীয়েলের উত্তরদিকে চলে গেছে। সীমানাটি কাবুলের উত্তরদিকে বিস্তৃত হয়েছে। 28 সীমানা গেছে এব্রোণ, রহোব, হম্মোন এবং কান্না পর্যন্ত। এইভাবে বৃহত্তর সীদোন অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। 29 এরপর সীমানা রামার দক্ষিণদিকে ফিরে গেছে। সীমানাটি এগিয়ে গেছে শক্তিশালী সোর শহর পর্যন্ত। তারপর ঘুরে গেছে পশ্চিম দিকে হোষায়, শেষ হয়েছে অকষীবের কাছে সমুদ্রে। 30 তাছাড়া উম্মা, অফেক এবং রহোব এইসব অঞ্চল।

মোট 22টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট। 31 এইসব শহর আর মাঠঘাট ছিল আশের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির অংশ পেয়েছিল।

নপ্তালির জন্য জমিজায়গা

32 দেশের ষষ্ঠ অংশ পেল নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী। প্রত্যেক পরিবারই জমির অংশ পেয়েছিল। 33 তাদের জায়গার সীমানা শুরু হয়েছে সানন্নীমের কাছে একটা বিরাট গাছ থেকে। গাছটা হেলফের কাছে অদামী-নেকব এবং যবনিয়েলের ভেতর দিয়ে সীমানা লক্কুম হয়ে যর্দন নদীতে শেষ হয়েছে। 34 সীমাটি অসনোৎ‌-তাবোরে এসে আবার পশ্চিমদিকে ফেরৎ‌ গেছে। এটি হুক্কোকের কাছে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। সবূলূন ছিল সীমাটির উত্তর দিকে, আশন ছিল পশ্চিমে। যিহূদাতে যর্দন নদী ছিল সীমাটির পূর্ব সীমা। 35 এইসব সীমানার মধ্যে কয়েকটা শক্তিশালী শহর রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: সিদ্দীম, সের, হম্মৎ‌, রক্কৎ‌, কিন্নেরৎ‌, 36 অদামা, রামা, হাৎসোর, 37 কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন্-হাৎসোর, 38 যিরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বৈৎ‌-অনাৎ এবং বৈৎ‌-শেমশ—মোট 19টি শহর এবং চারপাশের মাঠঘাট।

39 এইসব শহর আর মাঠঘাট নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির ভাগ পেয়েছিল।

দানের জন্য জমিজায়গা

40 এরপর জমি-জায়গা দেওয়া হল দান পরিবারগোষ্ঠীকে। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমি পেয়েছিল। 41 তাদের দেওয়া হয়েছিল এইসব জায়গা: সরা, ইষ্টায়োল, ঈর্-শেমশ, 42 শালবীন, অয়ালোন, যিৎ‌লা, 43 এলোন, তিম্না, ইক্রোণ, 44 ইল্তকী, গিব্বথোন, বালৎ‌, 45 যিহূদ, বনে-বরক, গাৎ‌-রিম্মোণ, 46 মেযর্কোণ, রক্কোন এবং যাফোর নিকটবর্তী জায়গাগুলো।

47 কিন্তু দানের লোকদের জায়গা পেতে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। শত্রুরা ছিল শক্তিশালী। তাদের তারা সহজে হারাতে পারে নি। সেই জন্য দানের লোকরা লেশমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। লেশম জয় করে তারা সেখানকার লোকদের হত্যা করে। এইভাবে তারা লেশম শহরে বাস করেছিল। জায়গাটার নাম পাল্টে রাখলো দান। কারণ তাদের পরিবারগোষ্ঠীর পিতৃপুরুষের নাম ছিল দান। 48 এইসব শহর ও মাঠঘাট দান পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গার ভাগ পেয়েছিল।

যিহোশূয়র জন্য জমি-জায়গা

49 এইভাবে দলপতিরা জমি-জায়গা ভাগ বাঁটোয়ারা করে বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীকে দিয়েছিল। ভাগাভাগির কাজ শেষ হলে সমস্ত ইস্রায়েলবাসী নূনের পুত্র যিহোশূয়কে কিছু জমি দেবে বলে ঠিক করলো। 50 প্রভু আদেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন এই জমি-জায়গা পান। তাই ইস্রায়েলবাসীরা যিহোশূয়কে দিল পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের তিম্নৎ‌-সেরহ নামক শহর। এই শহরটা ছিল যিহোশূয়র পছন্দ। তাই শহরটাকে বেশ ভালো করে মজবুত করে তৈরী করে, তিনি সেখানে বাস করতে থাকলেন।

51 এইভাবে ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে এইসব জায়গা ভাগাভাগি করে দেওয়া হল। যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানরা জমি-জায়গা ভাগাভাগি করার জন্য শীলোতে একত্র হয়েছিলেন। সমাগম তাঁবুর দরজায় প্রভুর সামনে তাঁরা সকলে সমবেত হয়েছিলেন। এইভাবে তাঁরা জমি-জায়গা ভাগাভাগির কাজ শেষ করেছিলেন।

নিরাপত্তার শহরসমূহ

20 তারপর প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “আমি তোমাকে আদেশ দেবার জন্য মোশিকে ব্যবহার করেছিলাম। মোশি তোমাকে কয়েকটি শহর বাছতে বলেছিলেন যেগুলো আশ্রয় দেবার জন্য বিশেষ শহর হিসেবে অভিহিত হবে। যদি কোন ব্যক্তি অন্য কাউকে অকস্মাত্‌ অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে তাহলে সে ঐ নিরাপদ শহরগুলির একটিতে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে পারবে, যেন প্রতিশোধ দাতা খুঁজে না পায়।

“লোকটিকে যা করতে হবে তা এই: যখন সে ঐ ধরণের কোন শহরে ছুটে পালিয়ে যাবে তখন সেই শহরের প্রবেশ দ্বারে তাকে থামতে হবে। থেমে সেখানকার দলপতিদের কাছে জানাতে হবে ঘটনাটা কি হয়েছিল। সেই সব শুনে তারা তাকে শহরে ঢুকতে দিতে পারে। সেখানে থাকার জন্য তারা তাকে জায়গা দেবে। কিন্তু যে ঐ ব্যক্তিটির পেছনে ধাওয়া করবে সে হয়তো শহরে এসে তার পিছু নিতে পারে। এরকম ঘটলে নেতারা যেন তাকে তাড়া করা ব্যক্তিটির হাতে ধরিয়ে না দেয়। তারা আশ্রয় প্রার্থীকে নিশ্চয়ই রক্ষা করবে। তারা এই কারণেই তাকে রক্ষা করবে যে, সে ইচ্ছা করে কাউকে হত্যা করে নি। সেটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। সে রেগে গিয়ে কাউকে হত্যা করবে বলে হত্যা করে নি। এটা হঠাৎ‌‌ই ঘটে গেছে। যতদিন না শহরের বিচার সভায় তার বিচার হয় ততদিন সেই ব্যক্তি সেখানে থাকবে। মহাযাজক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সে সেখানে থাকতে পারবে। তারপর সে তার নিজের শহরে অর্থাৎ‌ যেখান থেকে সে পালিয়ে গিয়েছিল সেখানে নিজের বাড়ীতে ফিরে যাবে।”

তাই ইস্রায়েলবাসীরা কয়েকটা শহর ঠিক করে নিয়েছিল। তারা এগুলোর নাম দিল, “নিরাপত্তার শহর।” শহরগুলো হচ্ছে:

নপ্তালি পার্বত্য অঞ্চলের গালীলের অন্তর্গত কেদশ; ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলের শিখিম; যিহূদা পার্বত্য অঞ্চলের কিরিয়ৎ-অর্ব (হিব্রোণ);

রূবেণের মরু অঞ্চলের অন্তর্গত যিরীহোর কাছে যর্দন নদীর পূর্বদিকে বেৎ‌সর; গাদ দেশে গিলিয়দের অন্তর্গত রামোৎ; মনঃশির দেখে বাশনের অন্তর্গত গোলন।

যে কোন ইস্রায়েলবাসী বা তাদের সঙ্গে বসবাসকারী যে কোন বিদেশী হঠাৎ‌‌ যদি কাউকে হত্যা করে, ঐসব শহরে নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে পারবে। সেখানে সে নিরাপদে থাকতে পারবে। যে তাকে ধরবার জন্য ছুটে আসছে সে তাকে হত্যা করতে পারবে না। আশ্রয়প্রার্থীর বিচার হবে সেই শহরের বিচারসভায়।

যাজক ও লেবীয়দের জন্য নগরসমূহ

21 লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানরা যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানদের কাছে কথা বলতে গেল। কনান দেশের শীলো শহরে এই আলোচনা বৈঠক হল। লেবীয় শাসকরা তাদের বলল, “প্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন যে তিনি যেন আমাদের থাকার জন্যে কিছু শহরের ব্যবস্থা করেন। প্রভু তাকে আরও বলেছিলেন আমাদের পশুরা যাতে চরে খেতে পারে সে রকম কিছু মাঠও যেন তিনি আমাদের দেন।” সুতরাং ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুর এই নির্দেশ পালন করলো। তারা লেবীয়দের এইসব শহর ও পশুদের জন্য মাঠঘাট দিল।

লেবি পরিবারগোষ্ঠীর যাজক হারোণের উত্তরপুরুষরা হল এই কহাৎ‌ পরিবার। কহাৎ‌ পরিবারের একটা অংশকে দেওয়া হল 13টি শহর। সেই 13টি শহর ছিল যিহূদা, শিমিয়োন আর বিন্যামীনদের।

বাকী কহাত পরিবারের দশটি শহর দেওয়া হল, সেই অঞ্চলে যেখানে ইফ্রয়িম, দান এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের অধীনে ছিল।

গের্শোন পরিবারের লোকদের দেওয়া হল 13টি শহর। এই শহরগুলি ছিল সেই অঞ্চল, যেগুলি বাশনে বসবাসকারী ইষাখর, আশের, নপ্তালি এবং অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অধীনে ছিল।

মরারি পরিবারের লোকরা পেল 12টি শহর। রূবেণ, গাদ এবং সবূলূনদের অঞ্চলে ছিল এইসব শহর।

ইস্রায়েলের অধিবাসীরা তাদের চারপাশের এইসব শহর ও মাঠঘাট লেবীয়দের দিয়েছিল। প্রভু যে ভাবে মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তা পালন করতেই তারা তাদের এইসব মাঠঘাট ও শহর দিয়েছিল।

যিহূদা এবং শিমিয়োনের অঞ্চলে যে সব শহর ছিল এই হল সেগুলোর নাম। 10 কহাত পরিবারভুক্ত লেবীয়দের প্রথম শ্রেনীর শহরগুলি দেওয়া হল। 11 তারা ওদের দিয়েছিল কিরিয়ৎ-অর্ব (এটা হচ্ছে হিব্রোণ। অনাকের পিতা অর্বের নামেই এর নামকরণ হয়েছিল।) পশুদের জন্য তারা শহরের কাছাকাছি কিছু মাঠও দিয়েছিল। 12 কিন্তু কিরিয়ৎ-অর্বর চারপাশের ছোটছোট শহর আর মাঠগুলো ছিল যিফূন্নির পুত্র কালেবের। 13 সেই জন্য তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের হিব্রোণ শহরটা দিয়ে দিয়েছিল। (হিব্রোণ ছিল নিরাপদে বাস করার শহর।) এছাড়াও তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের দিয়েছিল লিব‌্নার অন্তর্গত শহরগুলো, 14 য়ত্তীর, ইষ্টমোয, 15 হোলোন, দবীর, 16 ঐন, যুটা এবং বৈৎ‌-শেমশ। তারা তাদের পশুদের জন্য এইসব শহরগুলোর আশেপাশের কিছু মাঠও দিয়েছিল। এই দুটি সম্প্রদায়ের জন্য 9টি শহর দিয়েছিল।

17 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর শহরগুলোও তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের দিয়েছিল। শহরগুলি হচ্ছে: গিবিয়োন, গেবা, 18 অনাথোৎ‌ এবং অল্মোন। তারা তাদের এই চারটি শহর এবং তাদের পশুদের জন্য শহরের আশপাশের মাঠঘাট দিল। 19 মোট 13টি শহর তারা যাজকদের দান করেছিল। (যাজকরা সকলেই হারোণের উত্তরপুরুষ।) তারা পশুদের জন্যে প্রত্যেক শহরের লাগোয়া মাঠও দিয়েছিল।

20 কহাৎ‌ গোষ্ঠীর অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছিল ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর এলাকার শহরগুলো। তারা পেয়েছিল এইসব শহর: 21 পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের শিখিম শহর (একটি আশ্রয় দেবার শহর)। তারা গেষরও পেল। 22 কিবসয়িম এবং বৈৎ‌-হোরোণও পেল। ইফ্রয়িমরা তাদের দিয়েছিল চারটে শহর এবং পশুদের জন্য চারপাশের কিছু মাঠ।

23 দান পরিবারগোষ্ঠী দিয়েছিল ইল্তকী, গিব্বথোন, 24 অয়ালোন এবং গাৎ‌-রিম্মোণ। মোট চারটে শহর এবং শহরের লাগোয়া মাঠ দানগোষ্ঠী তাদের দিয়েছিল।

25 অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী তাদের দিয়েছিল তানক এবং গাৎ‌-রিম্মোণ। এই অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী তাদের মোট দুটি শহর এবং পশুদের জন্য শহরের চারপাশের মাঠঘাট দিয়েছিল।

26 তারপর কহাত পরিবারের বাকী লোকরা পেয়েছিল মোট দশটি শহর এবং পশুদের জন্য শহরের লাগোয়া মাঠগুলো।

27 গের্শোন পরিবারও লেবি পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছে। তারা পেয়েছিল এইসব শহর:

অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে বাশনের অন্তর্গত গোলন। (গোলন ছিল নিরাপত্তার শহর) তারা তাদের বীষ্টরা শহরও দিয়েছিল। সব মিলিয়ে মনঃশির এই অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী তাদের মোট দুটি শহর এবং পশুদের জন্য কিছু মাঠ দিয়েছিল।

28 ইষাখর পরিবারগোষ্ঠী দিয়েছিল কিশিয়োন, দাবরত্‌, 29 যর্মুৎ‌ এবং ঐন্-গন্নীম। মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্য মাঠ।

30 আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল মিশাল, আব্দোন, হিল্কত্‌ এবং 31 রহোব। মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্য শহরের লাগোয়া মাঠ।

32 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল গালীলের অন্তর্গত কেদশ। (কেদশ ছিল নিরাপত্তার শহর।) তাছাড়া হম্মেৎ‌-দোর, কর্ত্তন, মোট তিনটি শহর এবং পশুদের জন্য মাঠ।

33 গের্শোন পরিবার পেয়েছিল মোট 13টি শহর এবং পশুদের জন্য শহরগুলোর লাগোয়া মাঠগুলো।

34-39 লেবীয় গোষ্ঠীর অন্য শাখা হচ্ছে মরারি পরিবার। তারা পেয়েছিল এইসব শহর:

সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল যক্লিয়াম, কার্ত্তা, দিম্না এবং নহলোল। সবূলূন মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্য মাঠ দিয়েছিল। রূবেণ পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল বেৎ‌সর, যহস, কদেমোৎ, মেফাৎ। রূবেণ মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্য মাঠ দিয়েছিল। গাদ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া গেল গিলিয়দের অন্তর্গত রামোৎ। (রামোৎ ছিল নিরাপত্তার শহর।) তাছাড়া মহনয়িম, হিষ্বোণ এবং যাসের। গাদ মোট চারটি শহর আর পশুদের জন্য শহরের লাগোয়া মাঠ দিয়েছিল।

40 লেবীয়দের শেষ পরিবার, মরারি পরিবার মোট 12 টি শহর পেয়েছিল।

41 সুতরাং লেবীয় গোষ্ঠী পেয়েছিল মোট 48 টি শহর এবং প্রতিটি শহরের লাগোয়া পশুদের জন্য মাঠ। এইসব ছিল অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর। 42 প্রত্যেক শহরেই পশুদের জন্য কিছু মাঠ ছিল।

43 ইস্রায়েলবাসীদের কাছে প্রভু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি পালন করলেন। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি মতোই সব জমি জায়গা দিয়েছিলেন এবং লোকরা সেসব জায়গায় বসবাস করতে লাগল। 44 প্রভু তাদের আশেপাশের সমস্ত দেশগুলিতে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে শান্তি বজায় রাখলেন। কোন শত্রুই তাদের পরাজিত করতে পারে নি। প্রত্যেক শত্রুকে হারাবার মতো ক্ষমতা প্রভু তাদের দিয়েছিলেন। 45 ইস্রায়েলবাসীদের কাছে প্রভু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সবই তিনি রেখেছিলেন। কোনো প্রতিশ্রুতিই ব্যর্থ হয় নি। প্রত্যেক প্রতিশ্রুতিই বাস্তবে পরিণত হয়েছিল।

লূক 2:25-52

শিমিয়োন যীশুকে দেখলেন

25 জেরুশালেমে সেই সময় শিমিয়োন নামে একজন ধার্মিক ও ঈশ্বরভক্ত লোক বাস করতেন। তিনি ইস্রায়েলের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। পবিত্র আত্মা তাঁর ওপর অধিষ্ঠান করছিলেন। 26 পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাঁর কাছে একথা প্রকাশ করা হয়েছিল যে প্রভু খ্রীষ্টকে না দেখা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হবে না। 27 পবিত্র আত্মার প্রেরণায় তিনি সেদিন মন্দিরে এসেছিলেন। যীশুর বাবা-মা মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতে যীশুকে নিয়ে সেখানে এলেন। 28 তখন শিমিয়োন যীশুকে কোলে তুলে নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন,

29 “হে প্রভু, তোমার প্রতিশ্রুতি অনুসারে তুমি তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় দাও।
30 কারণ আমি নিজের চোখে তোমার পরিত্রাণ দেখেছি।
31     যে পরিত্রাণ তুমি সকল লোকের সাক্ষাতে প্রস্তুত করেছ।
32 তিনি অইহুদীদের অন্তর আলোকিত করার জন্য আলো;
আর তিনিই তোমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য সম্মান আনবেন।”

33 তাঁর বিষয়ে যা বলা হল তা শুনে যোষেফ ও মরিয়ম আশ্চর্য হয়ে গেলেন। 34 এরপর শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করে যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “ইনি হবেন ইস্রায়েলের মধ্যে বহু লোকের পতন ও উত্থানের কারণ। ঈশ্বর হতে আগত এমন চিহ্ন যা বহু লোকই অগ্রাহ্য করবে। 35 এতে বহু লোকের হৃদয়ের গোপন চিন্তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। যা যা ঘটবে তাতে তোমার হৃদয় বিদীর্ণ হবে।”

হান্না যীশুকে দেখলেন

36 সেখানে হান্না নামে একজন ভাববাদিনী ছিলেন। তিনি আশের গোষ্ঠীর পনুয়েলের কন্যা। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। বিবাহের পর সাত বছর তিনি স্বামীর ঘর করেন, 37 তারপর চুরাশি বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বৈধব্য জীবনযাপন করেছিলেন। মন্দির ছেড়ে তিনি কোথাও যেতেন না; উপবাস ও প্রার্থনাসহ সেখানে দিন-রাত ঈশ্বরের উপাসনা করতেন।

38 ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি তাঁদের দিকে এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে আরম্ভ করলেন; আর যারা জেরুশালেমের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তাদের সকলের কাছে সেই শিশুটির বিষয় বলতে লাগলেন।

যোষেফ ও মরিয়মের গৃহে প্রত্যাবর্তন

39 প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে যা যা করণীয় তা সম্পূর্ণ করে যোষেফ ও মরিয়ম তাঁদের নিজেদের নগর নাসরতে ফিরে গেলেন। 40 শিশুটি ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠতে লাগলেন ও বলিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। তিনি জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন, তাঁর ওপরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছিল।

বালক যীশু

41 নিস্তারপর্ব[a] পালনের জন্য তাঁর মা-বাবা প্রতি বছর জেরুশালেমে যেতেন। 42 যীশুর বয়স যখন বারো বছর, তখন তাঁরা যথারীতি সেই পর্বে যোগ দিতে গেলেন। 43 পর্বের শেষে তাঁরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বালক যীশু জেরুশালেমেই রয়ে গেলেন, এবিষয়ে তাঁর মা-বাবা কিছুই জানতে পারলেন না। 44 তাঁরা মনে করলেন যে তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। তাঁরা এক দিনের পথ চলার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে তাঁর খোঁজ করতে লাগলেন। 45 কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁরা যীশুর খোঁজ করতে করতে আবার জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।

46 শেষ পর্যন্ত তিন দিন পরে মন্দির চত্বরে তাঁর দেখা পেলেন। সেখানে তিনি ধর্ম শিক্ষকদের সাথে বসে তাঁদের কথা শুনছিলেন ও তাঁদের নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন। 47 যাঁরা তাঁর কথা শুনছিলেন তাঁরা সকলে যীশুর বুদ্ধি আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া দেখে অবাক হয়ে গেলেন। 48 যীশুর মা-বাবা তাঁকে সেখানে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তাঁর মা তাঁকে বললেন, “বাছা, তুমি আমাদের সঙ্গে কেন এমন করলে? তোমার বাবা ও আমি ভীষণ ব্যাকুল হয়ে তোমার খোঁজ করে বেড়াচ্ছি।”

49 যীশু তখন তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন আমার খোঁজ করছিলে? তোমরা কি জানতে না যে যেখানে আমার পিতার কাজ, সেখানেই আমাকে থাকতে হবে?” 50 কিন্তু তিনি তাঁদের যা বললেন তার অর্থ তাঁরা বুঝতে পারলেন না।

51 এরপর তিনি তাঁদের সঙ্গে নাসরতে ফিরে গেলেন, আর তাঁদের বাধ্য হয়ে রইলেন। তাঁর মা এসব কথা মনের মাঝে গেঁথে রাখলেন। 52 এইভাবে যীশু বয়সে ও জ্ঞানে বড় হয়ে উঠলেন, আর ঈশ্বর ও মানুষের ভালবাসা লাভ করলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International