Old/New Testament
নিরাপত্তার শহরগুলি
19 “যে দেশে অন্য জাতির বাস, সেই দেশই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের দিচ্ছেন। প্রভু ঐ সমস্ত জাতির লোকদের ধ্বংস করবেন। ঐ সব লোকরা যেখানে বাস করত সেখানে তোমরা বাস করবে। তোমরা তাদের শহরগুলো এবং তাদের বাড়ীগুলো অধিগ্রহণ করবে। 2-3 সেই ভূমিকে অবশ্যই তিন ভাগে ভাগ করবে। এরপর প্রত্যেকটি অংশে একটি করে শহর পছন্দ কর এবং সেই শহরগুলোতে যাবার রাস্তা তৈরী কর। তাহলে কোন লোক যে অপর কোনও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, সে সেই শহরে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে পারবে।
4 “যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে ঐ তিনটি শহরের যে কোন একটিতে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যায়, তার জন্য এটি হল নিয়ম: সে অবশ্যই এমন একজন ব্যক্তি হবে যে অপর ব্যক্তিকে দুর্ঘটনাবশতঃ হত্যা করেছে এবং হত ব্যক্তিকে ঘৃণা করত না। 5 একটি উদাহরণ দেওয়া হল: একজন ব্যক্তি কাঠ কাটার জন্য আরেকজন ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গলে যায়। লোকটি একটি গাছ কাটার জন্য তার কুঠারটিকে দোলায়, কিন্তু কুঠারের মাথাটি হাতলের থেকে আলাদা হয়ে অপর ব্যক্তিকে আঘাত করে এবং তাকে হত্যা করে। যে ব্যক্তি কুঠারটিকে দুলিয়েছিল সে তখন ঐ তিনটি শহরের যে কোন একটিতে ছুটে যেতে পারে এবং নিজেকে নিরাপদ করতে পারে। 6 কিন্তু যদি শহরটি খুব দূরে হয় তাহলে নিহত ব্যক্তির কোন নিকট আত্মীয় তাকে তাড়া করে শহরে পৌঁছানোর আগেই ধরে ফেলতে পারে। সেই নিকট আত্মীয় খুব ক্রুদ্ধ হতে পারে এবং সেই ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে। অথচ সেই ব্যক্তি হত্যার যোগ্য ছিল না। কারণ যে ব্যক্তিকে সে হত্যা করেছে তাকে সে ঘৃণা করত না। 7 শহরগুলো অবশ্যই সকলের খুব কাছাকাছি হতে হবে। সেই কারণেই আমি তোমাদের তিনটি বিশেষ শহর পছন্দ করার জন্য আদেশ করছি।
8 “প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তোমাদের দেশকে বৃহত্তর করবেন। তিনি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই সমস্ত দেশই তিনি তোমাদের দেবেন। 9 আমি আজ তোমাদের যে আজ্ঞাগুলি দিচ্ছি, তাঁর সেই সমস্ত আদেশগুলো যদি তোমরা সম্পূর্ণভাবে মেনে চল তাহলে তিনি এটি করবেন—যদি তোমরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরকে, ভালোবাসো এবং তিনি যা পছন্দ করেন সেই ভাবেই যদি তোমরা বাস করো। এরপর যখন প্রভু তোমাদের দেশকে বৃহত্তর করবেন সেই সময় তোমরা নিরাপত্তার শহর হিসেবে আরও তিনটি শহরকে বেছে নেবে। তাদের প্রথম তিনটি শহরের সঙ্গে যোগ করতে হবে। 10 তাহলে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন সেখানে কোন নির্দোষ লোক নিহত হবে না এবং তোমরা কোনো নির্দোষের মৃত্যুর জন্য দোষী হবে না।
11 “কিন্তু কেউ যদি অপর একজনকে ঘৃণা করে বলে লুকিয়ে তাকে হত্যা করার জন্য অপেক্ষা করে এবং সেই ব্যক্তিকে আক্রমণ করে হত্যা করার পর ঐ নিরাপত্তার শহরগুলোর যে কোনও একটিতে দৌড়ে পালিয়ে যায়, 12 তাহলে সেই লোকটি যে শহরে বাস করত সেখানকার প্রবীণরা তাকে ধরার জন্য লোক পাঠাবে এবং তাকে নিরাপত্তার শহর থেকে নিয়ে আসবে। এরপর তারা হত্যাকারীকে নিহতের নিকট আত্মীয়ের হাতে তুলে দেবে। হত্যাকারীকে অবশ্যই মরতে হবে। 13 তোমরা তার জন্য অবশ্যই দুঃখিত হবে না। সে একজন নিষ্পাপ ব্যক্তির হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তোমরা অবশ্যই নিরপরাধের রক্তপাতের এই দোষকে ইস্রায়েল থেকে দূর করবে। তাহলে সমস্ত কিছুই তোমাদের জন্য ভালো চলবে।
সম্পত্তির সীমার চিহ্ন
14 “যে পাথরগুলোর সাহায্যে তোমাদের প্রতিবেশীর জমির সীমা চিহ্নিত হয় সেগুলো তোমরা কখনই সরাবে না। অতীতে জমির সীমা চিহ্নিত করার জন্যই ঐ পাথরগুলো রাখা হয়ছিল। প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, অধিকার করার জন্য তোমাদের যে দেশ দিয়েছেন এই নিয়ম সেখানকার জন্য।
সাক্ষীগণ
15 “বিধি বিরুদ্ধ কোনো কিছু করার জন্য যদি কোনো লোক অভিযুক্ত হয়, তাহলে সেই লোকটি দোষী একথা প্রমাণ করার জন্য একজন সাক্ষী যথেষ্ট নয়। সেই ব্যক্তি যে সত্যই ভুল কাজ করেছিল সেটি প্রমাণ করার জন্য সেখানে অবশ্যই দুজন অথবা তিনজন সাক্ষী থাকতে হবে।
16 “মিথ্যে কথা বলে একজন মিথ্যা সাক্ষী অপর একজন লোককে আঘাত করার চেষ্টা করতে পারে। 17 যদি সেরকম ঘটে তাহলে ঐ দুজন ব্যক্তি অবশ্যই প্রভুর বিশেষ বাড়ীতে যাবে এবং সেই সময় সেখানে কর্তব্যরত যাজকরা এবং বিচারকরা তাদের বিচার করবে। 18 বিচারকরা অবশ্যই সযত্নে অনুসন্ধান করবে। আর যদি প্রমাণ হয় যে সাক্ষী সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলেছিল, 19 তাহলে তোমরা তাকে অবশ্যই শাস্তি দেবে। সে অপর ব্যক্তির প্রতি যা যা করতে চেয়েছিল, তোমরা তার প্রতি তাই করবে। এই প্রকারে তোমরা তোমাদের জাতি থেকে দুষ্টাচার দূর করে দেবে। 20 অন্যান্য লোকরা এই ঘটনা শুনে ভয় পাবে এবং তারা এই রকম খারাপ কাজ আর করবে না।
21 “অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি হবে। যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করেছে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুঃখিত হয়ো না। যদি কোন ব্যক্তি কারও জীবন নেয়, তাহলে তাকে অবশ্যই নিজের জীবন দিয়ে শোধ করতে হবে। নিয়ম হল: একটি চোখের জন্য একটি চোখ, একটি দাঁতের জন্য একটি দাঁত, একটি হাতের জন্য একটি হাত, একটি পায়ের জন্য একটি পা।
যুদ্ধের নিয়মসমূহ
20 “তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি দেখ যে তোমাদের থেকেও তাদের অনেক বেশী ঘোড়া, রথ এবং লোক রয়েছে, তবে ভয় পেও না। কেন? কারণ প্রভু যিনি তোমাদের মিশর থেকে বার করে এনেছিলেন, তিনি তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন।
2 “যখন তোমরা যুদ্ধে যাও তখন যাজক অবশ্যই সৈন্যদের কাছে যাবে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবে। 3 যাজক বলবে, ‘ইস্রায়েলের লোকরা আমার কথা শোন! আজ তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাচ্ছ। তোমরা সাহস হারিও না! তোমরা চিন্তিত এবং ভীত হয়ো না! শত্রুদের সম্পর্কে ভীত হয়ো না! 4 কেন? কারণ প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং তোমাদের বিজয়ী করবেন!’
5 “ঐ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত পদাধিকারী সৈন্যদের বলবে, ‘তোমাদের মধ্যে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে নতুন বাড়ী তৈরী করেছে, কিন্তু সেটিকে এখনও নিবেদন করেনি? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়া উচিৎ। নয় তো সে যুদ্ধে নিহত হলে অন্য একজন ব্যক্তি তার বাড়ী নিবেদন করবে। 6 এখানে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে ক্ষেতে দ্রাক্ষার চারা রোপণ করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দ্রাক্ষা একত্রিত করেনি? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়া উচিৎ। কারণ যদি সেই ব্যক্তি যুদ্ধে মারা যায়, তাহলে অপর একজন ব্যক্তি তার ক্ষেতের ফল ভোগ করবে। 7 এখানে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে বিবাহের জন্য বাগদত্ত? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়া উচিৎ। কারণ যদি সে যুদ্ধে মারা যায়, তাহলে সে যার বাগদত্ত ছিল সেই স্ত্রীলোককে অপর একজন ব্যক্তি বিবাহ করবে।’
8 “সেই লেবীয় পদাধিকারীরা সৈন্যদের একথাও জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের মধ্যে কি এমন কোন ব্যক্তি আছে যে উৎসাহ হারিয়েছে এবং ভীত হয়েছে? সে অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাবে। তাহলে সে অন্যান্য সৈন্যদেরও নিরুৎসাহ করতে পারবে না।’ 9 পরে সৈন্যদের সঙ্গে পদাধিকারীরা যখন কথাবার্তা শেষ করবে তখন তারা অবশ্যই সেনাধ্যক্ষদের নির্বাচিত করবে। যারা সৈন্যদের নেতৃত্ব দেবে।
10 “যখন তোমরা কোন শহর আক্রমণ করতে যাবে, তখন প্রথমে সেখানকার লোকদের শান্তির আবেদন জানাবে। 11 যদি তারা তোমাদের প্রস্তাব স্বীকার করে এবং দরজা খুলে দেয়, তাহলে সেই শহরের সমস্ত লোকরা তোমাদের ক্রীতদাসে পরিণত হবে এবং তোমাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য হবে। 12 কিন্তু যদি শহরের লোকরা তোমাদের শান্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে তাহলে তোমরা অবশ্যই শহরটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলবে। 13 এবং যখন শহরটিকে অধিগ্রহণ করতে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের সাহায্য করবেন, তখন তোমরা অবশ্যই সেখানকার সমস্ত পুরুষদের হত্যা করবে। 14 কিন্তু তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য স্ত্রীলোকদের, শিশুদের, গোরু এবং শহরের যাবতীয় জিনিস নিতে পার। তোমরা এই সমস্ত জিনিসগুলো ব্যবহার করতে পার। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের এই জিনিসগুলি দিয়েছেন। 15 তোমাদের থেকে অনেক দূরের সমস্ত শহরগুলোর প্রতি তোমরা এই কাজ করবে—তোমরা যে দেশে বাস কর সেখানকার শহরগুলো বাদ দেবে।
16 “কিন্তু প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন তোমরা যখন সেই দেশের শহরগুলো অধিগ্রহণ করবে, তখন সেখানে শ্বাস নেয় এমন কাউকে জীবিত রাখবে না। 17 তোমরা অবশ্যই প্রভুর আদেশ অনুসারে হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয় পরিষীয়, হিব্বীয় এবং যিবুষীয়দের পুরোপুরি ধ্বংস করবে। 18 কারণ তা না হলে তারা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করতে শেখাবে; তারা তাদের দেবতাদের পূজা করার সময় যে সাংঘাতিক কাজগুলি করে সেগুলো তোমাদের শেখাবে।
19 “যখন তোমরা একটি শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, তোমরা দীর্ঘকাল ধরে সেই শহরটিকে ঘিরে রাখতে পার। সেই শহরের চারদিকের ফলের গাছগুলো তোমরা কখনই কাটবে না। তোমরা এই গাছগুলোর ফল খেতে পার কিন্তু তোমরা কখনই তাদের কাটবে না। এই গাছগুলো শত্রু নয়, সুতরাং তাদের নষ্ট করো না! 20 কিন্তু তোমরা যে গাছগুলোকে ফলের গাছ নয় বলে জানো, সেগুলোকে কাটতে পারো। সেই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র তৈরীর জন্য এই গাছগুলো ব্যবহার করতে পারো। শহরটির পতন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা ঐ জিনিসগুলি ব্যবহার করতে পারো।
যদি কোনো ব্যক্তিকে নিহত পাওয়া যায়
21 “প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানকার ক্ষেতে যদি তোমরা কোনো মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখ, কিন্তু কে হত্যা করেছে তা যদি জানা না যায়, 2 তখন তোমাদের দলনেতারা এবং বিচারকরা সেখানে যাবে এবং নিহত ব্যক্তির চারদিকের শহরগুলোর দূরত্ব পরিমাপ করবে। 3 যখন তোমরা জানতে পারবে কোন শহরটি নিহত ব্যক্তির সব থেকে কাছে, তখন সেই শহরের দলনেতারা তাদের পশুশালা থেকে এমন একটি গোবৎস নিয়ে আসবে যাকে কখনই কোন কাজে ব্যবহার করা হয় নি এবং যে যোয়ালি বহন করে নি। 4 সেই শহরের দলনেতারা তখন গোবৎসটিকে এমন একটি উপত্যকায় নামিয়ে আনবে যেখানে সবসময় জলের স্রোত বয়। এটিকে অবশ্যই এমন একটি উপত্যকা হতে হবে যা কখনও চাষ করা হয়নি বা যেখানে কিছু রোপণ করা হয়নি। এরপর নেতারা সেই উপত্যকায় গোবৎসটির ঘাড় ভাঙ্গবে। 5 যাজকরা, লেবীর উত্তরপুরুষরা অবশ্যই সেখানে যাবে। (প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাঁর সেবার জন্য এবং তাঁর নামে লোকদের আশীর্বাদ করার জন্য এই যাজকদের নির্বাচিত করেছেন। এবং সমস্ত বিবাদ ও আঘাতের বিচার তাঁরাই করবেন।) 6 নিহত ব্যক্তির সব থেকে কাছের শহরের সমস্ত নেতারা উপত্যকায় যে গোবৎসের ঘাড় ভাঙ্গা হয়েছিল তার ওপরে অবশ্যই তাদের হাত ধোবে। 7 এই নেতারা বলবে, ‘আমরা এই ব্যক্তিকে হত্যা করিনি এবং আমরা এটি ঘটতেও দেখিনি। 8 হে প্রভু, তুমি যে ইস্রায়েলকে রক্ষা করেছিলে তাদেরই শুদ্ধ করো। একজন নিরপরাধ লোককে হত্যা করার দোষ আমাদের ওপর চাপিও না।’ এইভাবে একজন নিরপরাধ লোককে হত্যা করার জন্য ঐ সমস্ত লোকদের দোষ ক্ষমা করা হবে। 9 এইভাবে তোমরা প্রভুর চোখে যা যথার্থ তাই করবে এবং তোমাদের জাতি থেকে নিরপরাধের রক্তপাতের দোষ দূর করবে।
যুদ্ধে বন্দী স্ত্রীলোকরা
10 “তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাদের পরাজিত করতে তোমাদের সাহায্য করতে পারেন এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের বন্দী করে আনতে পারো। 11 বন্দীদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে মুগ্ধ হয়ে তোমাদের স্ত্রী হিসেবে তোমরা চাইতে পারো। 12 তখন তাকে তোমার বাড়ীতে নিয়ে আসবে। সে অবশ্যই তার মাথা কামাবে এবং নখ কাটবে। 13 সে যে জামাকাপড়গুলি পরে আছে যার থেকে বোঝা যায় যে সে যুদ্ধে বন্দীনী ছিল, সেগুলি সে অবশ্যই খুলে ফেলবে। সে অবশ্যই পুরো এক মাস তোমার বাড়ীতে থাকবে এবং বাবা মাকে হারানোর জন্য বিলাপ করবে। এরপর তুমি তার কাছে যেতে পার এবং তার স্বামী হতে পার। সে তোমার স্ত্রী হবে। 14 যদি তুমি তার সঙ্গে সুখী না হও, তাহলে তুমি তাকে ত্যাগ করবে এবং তাকে স্বাধীনভাবে চলে যেতে দেবে। তুমি তাকে বিক্রি করতে পারবে না। তুমি কখনই তার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করবে না কারণ তার সঙ্গে তোমার যৌন সম্পর্ক ছিল।
জ্যেষ্ঠাধিকার
15 “কোন ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী থাকতে পারে এবং সে একজন স্ত্রীকে আরেকজনের থেকে বেশী ভালোবাসতে পারে। কিন্তু যদি দু’জন স্ত্রীই তার জন্য সন্তান প্রসব করে এবং প্রথম সন্তানটি সে যে স্ত্রীকে ভালোবাসে না তার হয়, 16 তবে সেই ব্যক্তি তার সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ করে দেবার সময় তার প্রথমজাত সন্তানের অংশ কখনোই সে যে স্ত্রীকে ভালোবাসে তার পুত্রকে দিতে পারবে না। 17 সেই ব্যক্তি যে স্ত্রীকে ভালোবাসে না তার থেকে জাত তার প্রথম পুত্রের সমস্ত অধিকারগুলি তাকে মেনে নিতে হবে এবং সে তার প্রথম পুত্রকে অবশ্যই তার সম্পত্তির দুই অংশ দেবে, কারণ সেই সন্তান তার প্রথম সন্তান। প্রথমজাত সন্তান হিসাবে সমস্ত অধিকার তার আছে।
অবাধ্য সন্তান
18 “কোন ব্যক্তির এমন এক পুত্র থাকতে পারে যে জেদী ও বিরোধী এবং তার পিতামাতাকে মানে না। তারা সেই পুত্রকে শাস্তি দেয় কিন্তু সে তবুও তাদের কথা শুনতে অস্বীকার করে। 19 তার পিতা এবং মাতা তখন তাকে শহরের সভাস্থলে শহরের নেতাদের কাছে নিয়ে আসবে। 20 তারা শহরের নেতাদের বলবে: ‘আমাদের পুত্র অবাধ্য এবং কোন কিছু মেনে চলতে অস্বীকার করে। আমরা তাকে যা করতে বলি তার কোনও কিছুই সে করে না। সে মদ্যপায়ী এবং পেটুক।’ 21 তখন শহরের লোকরা পাথরের আঘাতে সেই পুত্রকে হত্যা করবে। এইভাবে তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এই দুষ্টকে সরিয়ে দেবে। ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা এই ঘটনা সম্বন্ধে জানবে এবং ভীত হবে।
অপরাধীদের হত্যা করা এবং গাছে ঝোলানো সম্পর্কে
22 “মৃত্যুদণ্ডের উপযুক্ত পাপ করেছে যে ব্যক্তি তাকে হত্যা করে তার শরীরটিকে কোন গাছের ওপরে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। 23 তোমরা সারা রাত ধরে সেই মৃতদেহকে গাছে ঝুলিয়ে রেখো ন। বরং নিশ্চিতভাবে সেই একই দিনে সেই ব্যক্তিকে কবর দিও। কেন? কারণ গাছে ঝোলানো সেই লোকটি ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন সেই দেশকে তোমরা কখনই অশুচি করবে না।
21 “কেউ যদি তখন তোমাদের বলে, ‘দেখ, খ্রীষ্ট এখানে বা ওখানে আছেন, তোমরা বিশ্বাস কোরো না। 22 কারণ ভণ্ড খ্রীষ্টেরা এবং ভাববাদীরা উঠবে এবং নানা চিহ্ন ও অলৌকিক কাজ করে দেখাবে, এমন কি সম্ভব হলে মনোনীত লোকদেরও ভোলাবে। 23 কিন্তু তোমরা সাবধান থেকো। আমি তোমাদের আগেই সমস্ত কিছু বলে দিলাম।
24 “কিন্তু সেই সময়, সেই কষ্টের শেষে,
‘সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে
এবং চাঁদ আর আলো দেবে না।
25 আকাশ থেকে তারা খসে পড়বে,
আকাশের সমস্ত শক্তি বিচলিত হবে।’[a]
26 “তখন লোকেরা দেখবে, মানবপুত্র মহামহিমায় ও পরাক্রমের সঙ্গে মেঘরথে আসছেন। 27 তখন মানবপুত্র তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আকাশের অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চারি বায়ু থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের সংগ্রহ করবেন।
28 “ডুমুর গাছ থেকে এই দৃষ্টান্ত শেখো; যখন তার শাখা-প্রশাখা কোমল হয়ে পাতা দেখা দেয়, তখন তোমরা জানতে পার গরম কাল এসে গেল। 29 ঠিক তেমনি ঐ সমস্ত ঘটনা ঘটতে দেখলেই তোমরা বুঝতে পারবে যে সময়[b] খুব কাছে, এমনকি দরজার সামনে। 30 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সমস্ত ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত এই প্রজন্মের শেষ হবে না। 31 আকাশ এবং পৃথিবীর লোপ হবে, কিন্তু আমার কথা লোপ কখনও হবে না।
32 “সেই দিনের বা সেই সময়ের কথা কেউ জানে না; স্বর্গদূতরাও নয়, মানবপুত্রও নয়, কেবলমাত্র পিতাই জানেন। 33 সাবধান! তোমরা সতর্ক থেকো। কারণ কখন যে সেই সময় হবে তোমরা তা জানো না।
34 “সেই দিনটা এমনভাবেই আসবে যেমন কোন লোক নিজের বাড়ি ছেড়ে বিদেশে বেড়াতে যায় এবং তার চাকরদের দায়িত্ব দিয়ে প্রত্যেকের কাজ ঠিক করে দেয় আর দ্বাররক্ষককে সজাগ থাকতে বলে। 35 তাই তোমরা সতর্ক থাকবে, কারণ তোমরা জান না কখন বাড়ির মালিক আসবেন, সন্ধ্যাবেলায়, কি মাঝরাতে, কুকড়া ডাকের সময় কি ভোরবেলায়। 36 হঠাৎ তিনি এসে যেন না দেখেন যে তোমরা ঘুমিয়ে রয়েছ। 37 আমি তোমাদের যা বলছি, তা সবাইকে বলি, ‘সজাগ থেকো।’”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International