Chronological
মন্দিরে যিরমিয়র ধর্মপ্রচার
26 যিহূদার ওপর রাজা যিহোয়াকীমের শাসনের প্রথম বছরে এই বার্তা প্রভুর কাছ থেকে এসেছিল। যিহোয়াকীম ছিলেন যোশিয়ের পুত্র। 2 প্রভু বলেছিলেন, “যিরমিয়, প্রভুর মন্দির চত্বরে দাঁড়াও এবং যারা এই মন্দিরে উপাসনা করতে আসে সেই সমস্ত যিহূদার লোকদের এই বার্তাটি বলো। আমি তোমাকে যা যা বলেছি সব তাদের বলো। আমার বার্তার কোন অংশ বাদ দিও না। 3 তারা হয়তো আমার কথা শুনবে এবং পালন করবে। তারা হয়ত অসৎ কাজকর্ম থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে। যদি তারা আমার বার্তা মেনে চলে, তাহলে হয়ত আমি তাদের শাস্তি দেব না। অনেক খারাপ কাজকর্ম করেছিল বলেই আমি তাদের শাস্তি দেবার পরিকল্পনা করেছিলাম। 4 তুমি তাদের বলবে, ‘প্রভু বলেছেন: আমি আমার শিক্ষামালা তোমাদের দিয়েছি। তোমাদের উচিৎ আমার বাধ্য হওয়া এবং আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করা। 5 আমার ভৃত্যরা যা বলে তা তোমাদের শুনতে হবে। (ভাববাদীরা হল আমার ভৃত্য) আমি বারবার তোমাদের কাছে ভাববাদীদের পাঠিয়েছি। কিন্তু তোমরা তাদের কোন কথা শোন নি। 6 আমি এই মন্দিরটিকে শীলোর মত করে করব। এবং লোকরা এই শহরটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে গণ্য করবে যখন তারা অন্যান্য জায়গায় খারাপ ঘটনাসমূহ ঘটাতে ইচ্ছে করবে।’”
7 যিরমিয়র এই কথাগুলি প্রভুর মন্দিরে উপস্থিত যাজক, ভাববাদী এবং সমস্ত মানুষ শুনেছিল। 8 প্রভু যিরমিয়কে যা কিছু বলার আদেশ দিয়েছিলেন সে তা বলা শেষ করেছিল। তখন যাজক, ভাববাদী এবং সাধারণ লোক যিরমিয়কে জোর করে চেপে ধরে বলেছিল, “এই ভয়ঙ্কর কথাগুলি বলার জন্য এবার তোমার মৃত্যু হবে। 9 প্রভুর নাম করে এই ধর্মোপদেশ প্রচার করার তোমার কি করে সাহস হল? শীলোর মতো এই মন্দিরও ধ্বংস হয়ে যাবে একথা বলার সাহস তোমার কি করে হয়? কোন সাহসে তুমি বললে যে জেরুশালেম জনমানবহীন এক মরুভূমিতে পরিণত হবে?” প্রভুর মন্দিরেই সবাই যিরমিয়কে ঘিরে ধরল।
10 যিহূদার শাসকবৃন্দ শুনলেন কি কি ঘটেছে। তাই তাঁরা রাজপ্রাসাদের বাইরে বেরিয়ে এসে প্রভুর মন্দিরে গিয়েছিলেন। তাঁরা নতুন ফটকের প্রবেশদ্বারের মুখে, যেটা প্রভুর মন্দিরের দিকে যাচ্ছে সেখানে বসলেন। ঐ নতুন ফটকদ্বারের পথ প্রভুর মন্দিরকেই নির্দেশ করে। 11 তখন যাজকবৃন্দ, ভাববাদীগণ এবং সমস্ত সাধারণ মানুষ শাসকবৃন্দের সঙ্গে কথা বলল। তারা বলল, “যিরমিয়কে হত্যা করতেই হবে। সে জেরুশালেম সম্বন্ধে অমঙ্গলজনক কথাবার্তা বলে বেড়িয়েছে। আপনারাও সে সব শুনেছেন।”
12 তখন যিরমিয় যিহূদার শাসকবৃন্দ ও সাধারণ লোকদের সঙ্গে কথা বলেছিল। সে বলল, “প্রভু আমাকে এই মন্দির এবং এই শহর সম্বন্ধে এই কথাগুলি বলবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। আমি যা কিছু বললাম সেগুলি আমার কথা নয়, সেগুলো হল প্রভুর বক্তব্য। 13 আপনারা নিজেদের জীবনযাত্রা বদলে ফেলুন। ভাল কাজ করতে শুরু করুন। আপনারা আপনাদের প্রভু ঈশ্বরকে মান্য করুন। যদি আপনারা তা করেন তাহলে প্রভু তাঁর মত পরিবর্তন করবেন। তিনি যে অমঙ্গলজনক কথাবার্তা বলেছিলেন সেগুলি তিনি তাহলে বাস্তবে রূপান্তরিত করবেন না। 14 আর আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি হলাম আপনাদের ক্ষমতার অন্তর্গত। যা ভাল এবং ঠিক বুঝবেন তাই আমার সঙ্গে আপনারা করতে পারেন। 15 কিন্তু যদি আপনারা আমায় হত্যা করেন তাহলে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান, যে আপনারা একজন নিরীহ লোককে হত্যা করতে চলেছেন। এই দোষের ভাগীদার হবে এই শহর এবং এই শহরের প্রত্যেক বাসিন্দা এবং তার জন্য দায়ী হবেন আপনারা। প্রভু সত্যিই আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আপনারা যা শুনেছেন তা পুরোটাই প্রভুর প্রেরিত বার্তা।”
16 এরপর যিহূদার শাসকবৃন্দ এবং সাধারণ লোক যাজকদের এবং ভাববাদীদের বললেন: “যিরমিয় এমন কিছু করেনি যাতে ওর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য হতে পারে। যিরমিয় আমাদের যা যা বলেছিল তা তার নিজের ভাষা নয়, তা ছিল প্রভু, আমাদের ঈশ্বরের বক্তব্য।”
17 তখন শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা উঠে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 18 তাঁরা বললেন, “মোরেষ্টীয় শহরে মীখা নামের ভাববাদী ছিলেন। মীখা যখন ভাববাদী ছিলেন, তখন যিহূদার রাজা ছিলেন হিষ্কিয়। যিহূদার লোকদের মীখা এই কথাগুলি বলেছিলেন: সর্বশক্তিমান প্রভু বলেছেন:
‘সিয়োন ধ্বংস হয়ে যাবে।
এটা কৃষিক্ষেত্রে পরিণত হবে।
জেরুশালেম পরিণত হবে একটি পাথরের স্তূপে।
মন্দিরের চূড়া হয়ে যাবে একটি মাটির ঢিবি, ঝোপঝাড়ে আবৃত।’(A)
19 “হিষ্কিয় যিহূদার রাজা ছিলেন এবং তিনি মীখাকে হত্যা করেন নি। মীখাকে যিহূদার সাধারণ লোকরাও হত্যা করে নি। তোমরা জানো যে হিষ্কিয় প্রভুকে ভয় পেতেন এবং সম্মান করতেন এবং তাঁকে খুশী করতে চাইতেন। প্রভু বলেছিলেন, তিনি যিহূদাতে অঘটন ঘটাবেন। কিন্তু হিষ্কিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এবং প্রভু তাঁর মত পরিবর্তন করেছিলেন। প্রভু আর তারপর যিহূদার কোন অমঙ্গল ঘটান নি। আমরা যদি যিরমিয়র কোন ক্ষতি করি তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের ওপর অশান্তি টেনে আনব।”
20 অতীতে ঊরিয় নামে একজন প্রভুর বার্তা প্রচার করেছিলেন। ঊরিয় ছিলেন শময়িয়ের পুত্র। ঊরিয় বাস করতেন কিরিয়ৎ যিয়ারীমস্থ শহরে। এই শহর এবং এই দেশের বিরুদ্ধে যিরমিয়র মত ঊরিয় একই বার্তা প্রচার করেছিলেন। 21 রাজা যিহোয়াকীম, তাঁর সেনা প্রধানরা এবং নেতারা ঊরিয়র ধর্মোপদেশ শুনে রেগে গিয়েছিলেন। রাজা যিহোয়াকীম ঊরিয়কে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঊরিয় শুনতে পেয়েছিলেন যে রাজা যিহোয়াকীম তাঁকে হত্যা করতে চাইছে। ঊরিয় ভীত হয়ে মিশরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। 22 কিন্তু রাজা যিহোয়াকীম ইল্নাথন সহ আরো কয়েক জনকে ঊরিয়কে ধরে আনার জন্য মিশরে পাঠিয়েছিলেন। ইল্নাথন ছিলেন অক্বোরের পুত্র। 23 ঊরিয়কে তারা মিশর থেকে ধরে বেঁধে এনেছিলেন। তারপর তাঁরা তাকে রাজার সামনে নিয়ে এসেছিলেন। রাজা যিহোয়াকীম ঊরিয়কে তরবারি দিয়ে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। ঊরিয়কে হত্যা করার পর তাঁর মৃতদেহ কবরস্থানে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই কবরস্থানে শুধু গরীব লোকদের মৃতদেহই কবর দেওয়া হত।
24 যিহূদায় অহীকাম নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। অহীকাম ছিলেন শাফনের পুত্র। অহীকাম যিরমিয়কে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন। তিনি যিরমিয়কে যাজক এবং ভাববাদীদের হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন।
প্রভু নবূখদ্রিৎসরকে শাসক বানিয়েছিলেন
27 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের শাসনকালে যিরমিয়র কাছে প্রভুর একটি বার্তা এলো। যোশিয়ের পুত্র সিদিকিয়ের রাজত্ব কালের চতুর্থ বছরে এই বার্তা এসেছিল। 2 প্রভু আমাকে যা বলেছিলেন তা হল এই: “যিরমিয় একটি জোয়াল তৈরী করো এবং সেই জোয়ালটিকে তোমার কাঁধের ওপর স্থাপন কর। 3 তারপর ইদোম, মোয়াব, অম্মোন, সোর এবং সীদোনের রাজাদের কাছে খবর পাঠিয়ে দাও। এইসব বার্তাগুলি দূতদের মারফৎ সব রাজাদের কাছে পাঠিয়ে দাও, যারা যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে জেরুশালেমে দেখতে এসেছিল। 4 এই বার্তাবাহকদের বলো তাদের মনিবকে গিয়ে বলতে প্রভু সর্বশক্তিমান ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন: 5 ‘তোমাদের মনিবকে গিয়ে বলো আমি এই পৃথিবী এবং তার মানুষদের সৃষ্টি করেছি। এই পৃথিবীর সমস্ত পশু পাখীও আমার সৃষ্টি। আমি আমার শক্তি এবং শক্তিশালী বাহু দিয়ে তা সৃষ্টি করেছি। আমি যাকে খুশী এই পৃথিবী দিয়ে দিতে পারি। 6 এখন আমি পৃথিবীর সমস্ত দেশ বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরকে দিয়ে দিলাম। সে হল আমার অনুচর। সমস্ত বন্য জন্তুদেরও আমি তাকে মান্য করতে বাধ্য করবো। 7 সবগুলো জাতি নবূখদ্রিৎসর তাঁর পুত্র এবং তাঁর পৌত্রদের সেবা করবে। তারপর বাবিলের পরাজয় ঘটবে। অনেক রাষ্ট্রের মহান রাজারা মিলে বাবিলকে তাঁদের দাসে পরিণত করবেন।
8 “‘কিন্তু কয়েকটি দেশ হয়ত বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরের সেবা করতে অস্বীকার করবে। তারা তার জোয়াল টানতে অস্বীকার করবে। যদি তা হয় তাহলে আমি ঐ দেশগুলিকে শাস্তি দেব। তারা সইবে তরবারির আঘাত, অনাহার এবং মহামারীর যন্ত্রণা।’” এই হল প্রভুর বার্তা। “‘যতক্ষণ না দেশগুলি ধ্বংস হয় ততক্ষণ আমি ঐ শাস্তি বহাল রাখব। আমি নবূখদ্রিৎসরকে দিয়ে যুদ্ধ করিয়ে ঐ জাতিগুলিকে ধ্বংস করাবো। 9 সুতরাং তোমরা ভাববাদীদের কথা শুনবে না। শুনবে না সমস্ত লোকদের কথা যারা ভোজবাজি দেখিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে। যারা স্বপ্ন ব্যাখ্যা করতে পারে বলে দাবী করে তাদের কথা শুনো না। যারা মৃতদের সঙ্গে কথা বলে অথবা যাদু কৌশল করে তাদের কথা শুনো না। তারা প্রত্যেকে বলবে, “বাবিলের রাজার দাসত্ব তোমাদের করতে হবে না।” 10 কিন্তু তারা তোমাদের মিথ্যে বলবে। তারাই তোমাদের দেশত্যাগী হবার কারণ হবে। আমি তোমাদের জোর করে মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে বাধ্য করাবো এবং তোমরা বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করবে।
11 “‘কিন্তু দেশগুলোর সমস্ত লোকরা যারা বাবিলের রাজার কাছে আত্মসমর্পন করবে, তাকে সেবা করতে রাজী হবে এবং তার জোয়ালে নিজেদের গলা দেবে, তারা বাঁচবে। আমি সেই লোকদের তাদের স্বদেশে বাস করতে দেব এবং তাদের জমি চাষ করতে দেব।’” এই হল প্রভুর বার্তা।
12 আমি যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের কাছেও এই বার্তা পাঠিয়েছি। আমি তাকে বলেছি, “তোমাকে জোয়ালের নীচে কাঁধ রাখতে হবে। তোমাকে বাবিলের রাজাকে সেবা করতে হবে ও তার বাধ্য হতে হবে। যদি তুমি বাবিলের রাজা ও লোকদের সেবা করো তাহলে জীবিত থাকবে। 13 আর যদি তুমি রাজি না হও তাহলে তুমি ও তোমার দেশের মানুষ মারা যাবে শত্রুর তরবারির আঘাতে অথবা অনাহার ও মহামারীর দাপটে। প্রভু উল্লেখ করেছিলেন যে যারা বাবিলের রাজাকে মানতে অস্বীকার করবে সেই দেশে এগুলি ঘটবে। 14 কিন্তু ভ্রান্ত ভাববাদীরা বলতে থাকলো: ‘তোমরা কখনও বাবিলের রাজার দাস হবে না।’
“ঐ কপট ভাববাদীদের মিথ্যে প্রচারে কান দিও না। 15 ‘আমি তাদের পাঠাই নি,’ প্রভু এই কথা বলেন। ‘তারা মিথ্যে বলছে এবং বলছে যে এই বার্তাগুলি আমার কাছে থেকে এসেছে। তাই, যিহূদার লোকরা, আমি তোমাদের দূরে পাঠিয়ে দেব। তোমাদের মৃত্যু ঘটবে এবং ঐ মিথ্যুক ভাববাদীদেরও মৃত্যু ঘটবে।’”
16 তখন আমি (যিরমিয়) যাজক এবং সাধারণ লোকেদের বলেছিলাম যে প্রভু বলেছেন: “ঐ কপট ভাববাদীরা বলে বেড়াচ্ছে, ‘বাবিলের লোকেরা প্রভুর মন্দির থেকে অনেক কিছু নিয়ে গিয়েছে। ঐ জিনিসগুলি খুব শীঘ্রই নিয়ে আসা হবে।’ ঐ ভাববাদীদের কথায় তোমরা কান দিও না। কারণ তারা মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। 17 ঐ ভাববাদীদের কথা শুনো না। বাবিলের রাজার সেবা কর তাহলে তোমরা বেঁচে থাকবে। জেরুশালেমের শহর কেন ধ্বংস হবে এবং কেন শূন্য হয়ে যাবে? 18 যদি ঐ মানুষগুলোই ভাববাদী হয় এবং তারাই যদি প্রভুর বার্তা পেয়ে থাকে তাহলে তাদেরই প্রার্থনা করতে দাও। প্রভুর মন্দিরের বাদবাকী জিনিষগুলির সম্বন্ধে তারা প্রার্থনা করুক। তারা প্রার্থনা করুক যে মন্দিরের, জেরুশালেম শহরের এবং প্রাসাদের জিনিষপত্র বাবিলে বয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না। ঐ ভাববাদীদের প্রার্থনা করতে দাও যাতে আর কোন জিনিষ তার জন্য বাবিলে নিয়ে যাওয়া না হয়।”
19 “প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন যে, জেরুশালেমের মন্দিরে কিছু জিনিষপত্র আছে: পড়ে থাকা জিনিষগুলির মধ্যে আছে স্তম্ভগুলো, পিতলের সমুদ্র, অস্থাবর দণ্ডসমূহ এবং অন্যান্য জিনিষপত্র। বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর ওগুলি আর নিয়ে যায় নি তাই রয়ে গিয়েছে। 20 যিহূদার রাজা যিকনিয়কে যখন বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল তখন সে আর ঐ জিনিসগুলো নিয়ে যায় নি। যিকনিয় ছিল যিহোয়াকীমের পুত্র, নবূখদ্রিৎসর যিহূদা এবং জেরুশালেমের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও ধরে নিয়ে গিয়েছিল। 21 সর্বশক্তিমান প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন যে প্রভুর মন্দিরে, রাজপ্রাসাদে এবং জেরুশালেমে পড়ে থাকা জিনিসপত্র বাবিলে নিয়ে যাওয়া হবে। 22 ‘যতদিন না সেই দিনটি আসে যেদিন আমি যাব এবং সেগুলি নিয়ে আসব ততদিন পর্যন্ত এইসব জিনিষগুলি বাবিলে থাকবে।’”
ভ্রান্ত ভাববাদী হনানিয়
28 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্ব কালের চতুর্থ বছরের পঞ্চম মাসে ভাববাদী হনানিয় আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হনানিয় ছিলেন অসূরের পুত্র। হনানিয় ছিলেন গিবিয়োন শহরের বাসিন্দা। প্রভুর মন্দিরে যাজকগণ ও আরো অনেকের উপস্থিতিতে হনানিয় আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হনানিয় যা বলেছিলেন তা হল: 2 “ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান প্রভু বলেছেন: ‘বাবিলের রাজা যিহূদার লোকদের কাঁধে দাসত্বের যে জোয়াল চাপিয়েছেন তা আমি ভেঙে দেব। 3 বাবিলের রাজার দ্বারা প্রভুর মন্দির থেকে যে সমস্ত জিনিষ লুঠ হয়ে গিয়েছিল তার প্রত্যেকটি জিনিষ আমি দুবছরের মধ্যে তাদের জায়গায় ফেরৎ নিয়ে আসব। নবূখদ্রিৎসর বাবিলে যা কিছু নিয়ে গিয়েছে আমি সেগুলো জেরুশালেম দেশে ফেরৎ নিয়ে আসব। 4 যিহূদার রাজা যিহোয়াকীণকে, যে যিহোয়াকীমের পুত্র, তাকেও এখানে ফিরিয়ে আনব। বাবিলের রাজা যিহূদার যে সমস্ত মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাদের সবাইকে আমি আবার যিহূদায় ফিরিয়ে আনব। আমি যিহূদার লোকদের বাবিলের রাজার দাসত্ব থেকে মুক্তি দেব।’”
5 প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে যাজক ও অন্যান্য লোকদের উপস্থিতিতে ভাববাদী যিরমিয়, ভাববাদী হনানিয়কে উত্তর দিল। 6 যিরমিয় হনানিয়কে বলল, “আমেন! আমি আশা করি তুমি প্রভুর নামে যে বার্তা প্রচার করেছো তা প্রভু সত্যি করে তুলবেন। আমি আশা করি প্রভু সব কিছু আবার ফিরিয়ে আনবেন। আশা করি তিনি ফিরিয়ে আনবেন উপাসনাগৃহের লুণ্ঠিত জিনিসপত্র এবং বাবিলে দাসত্ব করা যিহূদার সমস্ত লোকদের।
7 “কিন্তু আমাকে যা বলতেই হবে তা শোন, হনানিয় শোন, শোন উপস্থিত লোকরা। 8 হনানিয় তোমার অনেক আগে আরও অনেক ভাববাদী ছিলেন এবং আমি ভাববাদী হতে পারতাম। তারা প্রচার করেছিল অনেক দেশগুলিকে যুদ্ধ, অনাহার, মহামারী গ্রাস করবে। অনেক মহৎ রাজ্যের বিরুদ্ধেও তারা এধরণের ভাববাণী দিয়েছিল। 9 কিন্তু যে ভাববাদীরা শান্তির ভাববাণী প্রচার করে, সেই ভাববাণীগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে সত্যিই সেগুলি প্রভুর পাঠানো কিনা। সত্যি হলেই বোঝা যাবে যে সেই ভাববাদী সত্যি সত্যিই প্রভুর দ্বারা প্রেরিত। যদি কোন ভাববাদীর বাণী সঠিক হয় তাহলে মানুষকে বুঝতে হবে ঐ ভাববাদী প্রভুর দ্বারা প্রেরিত।”
10 যিরমিয় একটি জোয়াল তার নিজের কাঁধে চাপাচ্ছিল। আর তখন সেই জোয়াল ভাববাদী হনানিয় যিরমিয়র কাঁধ থেকে সরিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলল। 11 হনানিয় চিৎকার করে সবাইকে শুনিয়ে বলে উঠেছিলেন, “প্রভু বলেছেন: ‘এইভাবে ঠিক আমি বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরের দাসত্বের জোয়াল ভেঙে ফেলব। সমস্ত পৃথিবীর কাঁধে সে যে দাসত্বের জোয়াল চাপিয়েছে আমি তা দু বছরের মধ্যেই ভেঙে ফেলব।’”
হনানিয়র এই কথা শেষ হওয়ার পর যিরমিয় উপাসনাগৃহ ত্যাগ করে চলে গেল।
12 হনানিয় যিরমিয়র কাঁধ থেকে জোয়ালটি তুলে নেওয়ার পর এবং সেটি ভাঙ্গবার পর প্রভু যিরমিয়র সঙ্গে কথা বললেন। 13 প্রভু যিরমিয়কে বললেন, “যাও হনানিয়কে গিয়ে বলো প্রভু বলেছেন: ‘তুমি একটি কাঠের জোয়াল ভেঙেছ। এবার আমি লোহার জোয়াল তৈরী করব।’ 14 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সর্বশক্তিমান প্রভু বললেন, ‘আমি প্রত্যেকটি দেশকে লোহার জোয়ালে বাঁধব। তারপর আমি এইসব জাতিগুলিকে দিয়ে বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরকে সেবা করাব। আমি নবূখদ্রিৎসরকে বন্য পশুদেরও শাসন করার ক্ষমতা দেব।’”
15 ভাববাদী যিরমিয় তখন ভাববাদী হনানিয়কে বলেছিল, “শোন হনানিয়! তোমাকে প্রভু পাঠান নি। কিন্তু তুমি যিহূদার লোকদের মিথ্যাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছো। 16 তাই প্রভু বলেছেন, ‘শীঘ্রই আমি তোমাকে এই পৃথিবীর বাইরে সরিয়ে দেব হনানিয়। তোমার এবছরেই মৃত্যু হবে। কেন? কারণ তুমি লোকদের প্রভুর বিরুদ্ধে যাবার শিক্ষা দিয়েছো।’”
17 হনানিয় সেই বছরেই সপ্তম মাসে মারা গিয়েছিলেন।
বাবিলে ইহুদী বন্দীদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি
29 যিরমিয় ইহুদীদের কাছে, যারা বাবিলে বন্দী ছিল, একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। একই চিঠি সে বাবিলে বাস করা নেতাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং সাধারণ লোকদের পাঠিয়েছিল। এদের সবাইকে বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসর জেরুশালেম থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। 2 (রাজা যিকনিয়, রানী মা, সভাপরিষদ, যিহূদা এবং জেরুশালেমের নেতৃবৃন্দকে, ছুতোর মিস্ত্রীদের এবং কামারদের জেরুশালেম থেকে নির্বাসিত হিসেবে নিয়ে যাবার পর এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এদের সবাইকে জেরুশালেম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।) 3 যিহূদার রাজা সিদিকিয় নবূখদ্রিৎসরের কাছে ইলিয়াসা এবং গমরিয়কে পাঠিয়েছিল। ইলিয়াসা ছিল শাফনের পুত্র এবং গমরিয় ছিল হিল্কিয়ের পুত্র। যিরমিয় ঐ দুজনকে বাবিলে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি দিয়েছিল। চিঠির বক্তব্য ছিল এই:
4 ইস্রায়েলের ঈশ্বর, প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন তাদের সবাইকে যাদের তিনি জেরুশালেম থেকে বাবিলে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন: 5 “ওখানেই তোমরা স্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করো। চাষ আবাদ করে নিজেদের খাদ্যশস্য নিজেরাই ফলাও। 6 বিবাহ করে তোমরা সন্তানদের জন্ম দাও। পুত্র কন্যাদেরও বিবাহ দাও। তারাও যেন সন্তান উৎপাদন করে যাতে বাবিলে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। প্রজন্মকে বাড়াও। কখনও সংখ্যালঘু হয়ে পোড়ো না। 7 যে শহরে আমি তোমাদের পাঠিয়েছি সেই শহরের উন্নতির জন্য ভালো কাজ কর। শহরের জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। কারণ শহরে যদি শান্তি বিরাজ করে তাহলে তোমরাও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে।” 8 ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভু সর্বশক্তিমান বলেছেন: “ভাববাদীদের এবং যাদুকরদের তোমাদের ঠকাতে দিও না। তাদের স্বপ্নদর্শনের কথায় কান দিও না। 9 তারা মিথ্যে প্রচার করে বেড়ায়। তারা নিজেদের বাণীকে আমার নামে চালায়। কিন্তু আমি তাদের পাঠাই নি।” এই হল প্রভুর বার্তা।
10 প্রভু যা বলেছেন তা হল এই: “70 বছরের জন্য বাবিলের এই ক্ষমতা ও আধিপত্য থাকবে। তারপরে আমি তোমাদের কাছে যারা বাবিলে বাস করছ তাদের কাছে আসবো এবং আমার প্রতিশ্রুতি মতো তোমাদের জেরুশালেমে ফিরিয়ে নিয়ে আসব। 11 আমি আমার পরিকল্পনাগুলো কি তা জানি। তাই এগুলো তোমাদের বললাম।” এই হল প্রভুর বার্তা। “আমি তোমাদের সুনিশ্চিত নিরাপদ ভবিষ্যৎ দিতে চাই। তোমাদের জন্য আমার ভাল ভাল পরিকল্পনা আছে। তোমাদের আঘাত করবার কোন পরিকল্পনা আমার নেই। আমি তোমাদের আশা এবং সু-ভবিষ্যৎ দিতে চাই। 12 তখন তোমরা লোকরা, আমার নামে মিনতি করবে, আমার কাছে এসে প্রার্থনা করবে। আমি তোমাদের কথা শুনব। 13 তোমরা আমাকে খুঁজে বেড়াবে এবং যখন তোমরা অন্তর দিয়ে আমাকে অন্বেষণ করবে তখনই আমাকে খুঁজে পাবে। 14 আমি তোমাদের আমাকে খুঁজতে দেব।” প্রভু বলেন: “আমি তোমাদের নির্বাসন থেকে এই জায়গায় ফিরিয়ে আনব। আমিই সেই জন যে তোমাদের বন্দীরূপে পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমি তোমাদের সমস্ত দেশ থেকে এবং সমস্ত জায়গা থেকে যেখানে আমি তোমাদের বন্দীরূপে পাঠিয়ে ছিলাম সকলকে একত্রিত করব।” এই হল প্রভুর বার্তা।
15 তোমরা হয়ত বলবে, “কিন্তু প্রভু তো আমাদের এই বাবিলে ভাববাদীদের দিয়েছেন।” 16 কিন্তু প্রভু এইগুলি বলেছেন তোমাদের আত্মীয়দের সম্বন্ধে যাদের বাবিলে নিয়ে আসা হয়নি। আমি বলছি দায়ূদের সিংহাসনে বসা বর্তমান রাজা এবং সেই সব লোকদের সম্বন্ধে যারা এখনও জেরুশালেমে পড়ে আছে। 17 সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন: “জেরুশালেমে যারা রয়ে গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আমি তরবারি, অনাহার ও ভয়ঙ্কর রোগসমূহ পাঠাব। আমি তাদের সেই সমস্ত বাজে ডুমুরের মতো করে দেব যেগুলো খাওয়া যায় না যেহেতু সেগুলো পচা। 18 আমি তাদের তরবারি, অনাহার ও রোগসমূহ দিয়ে তাড়া করব। আমি তাদের দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা এমন ভয়াবহ করে তুলব যে পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলি বিস্ময় বিহবল এবং ভীত হয়ে যাবে। তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের নামগুলো অভিশাপ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সমস্ত জাতিগুলি, যেখানে আমি তাদের পাঠাব, ওদের অপমান করবে। 19 জেরুশালেমের মানুষ আমার বার্তা শোনেনি বলে আমি তাদের এই দুরবস্থা করব।” এই হল প্রভুর বার্তা: “আমি আমার অনুচর এবং ভাববাদীদের মাধ্যমে বার বার আমার বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা শোনেনি।” এই হল প্রভুর বার্তা। 20 “তোমরা লোকরা যারা নির্বাসনে রয়েছ, শোন! আমিই সে জন যে তোমাদের জেরুশালেম ছেড়ে বাবিলে যেতে বাধ্য করেছিলাম। সেহেতু তোমরা প্রভুর বার্তা শোন।”
21 কোলায়ের পুত্র আহাব এবং মাসেয়ের পুত্র সিদিকিয় সম্বন্ধে সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথাগুলি বলেছেন: “এই দুজন তোমাদের কাছে মিথ্যা প্রচার করেছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে যে তারা আমার বাণী প্রচার করছে। কিন্তু তারা মিথ্যা বলছে। আমি ঐ ভাববাদীদের বাবিলের রাজা নবূখদ্রিৎসরকে দিয়ে দেব এবং নবূখদ্রিৎসর ঐ দুই জন ভাববাদীকে বাবিলে নির্বাসিত সমস্ত লোকদের সামনে হত্যা করবে। 22 সমস্ত নির্বাসিতদের কাছে এই হত্যা শাস্তির উদাহরণ হিসেবে মনে থাকবে। ঐ বন্দী যিহূদার অন্যদের বলবে: ‘প্রভু তোমাদের সঙ্গেও সিদিকিয় এবং আহাবের মতো ব্যবহার করতে পারেন। বাবিলের রাজা ওই দুজনকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।’ 23 ঐ দুই ভাববাদী ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছিল। তারা তাদের প্রতিবেশীদের স্ত্রীর সঙ্গে পাপ ও ব্যভিচারে মেতে উঠেছিল। তারা মিথ্যে প্রচার করে তা আমার নামে চালিয়েছিল। আমি তাদের ওসব করতে বলিনি। আমি জানি তারা কি করেছিল। আমি তার একজন সাক্ষী।” এই হল প্রভুর বার্তা।
শময়িয়ের প্রতি ঈশ্বরের বার্তা
24 শময়িয়কেও একটা বার্তা দাও। শময়িয় নিহিলামীয় পরিবারের। 25 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সর্বশক্তিমান প্রভু বললেন: “শময়িয় তুমি জেরুশালেমবাসীকে চিঠি পাঠিয়েছিলে এবং মাসেয়ের পুত্র যাজক সফনিয়কেও চিঠি পাঠিয়েছিলে। অন্য সমস্ত যাজকদেরও চিঠি পাঠিয়েছিলে। তুমি তোমার নামে সে সব চিঠি পাঠিয়েছিলে, প্রভুর নামে নয়। 26 শময়িয় তুমি তোমার চিঠিতে সফনিয়কে যা লিখেছিলে তা হল: ‘সফনিয়, প্রভু তোমাকে যিহোয়াদার জায়গায় যাজক হিসেবে নিয়োগ করেছেন। তুমিই প্রভুর মন্দিরের দায়িত্বে থাকবে। কেউ ভাববাদী হবার পাগলামি করলে তুমি তাকে বন্দী করবে। তুমি সেই বন্দীকে কাষ্ঠদণ্ডে পা বেঁধে তার ঘাড়ে লোহার শেকল পরিয়ে দেবে। 27 এখন যিরমিয় ভাববাদীদের মতো ব্যবহার করছে। সুতরাং কেন তুমি তাকে বন্দী করছো না? 28 যিরমিয় বাবিলে আমাদের কাছে এই কথাগুলি পাঠিয়েছে: বাবিলে তোমাদের দীর্ঘদিনের জন্য বাস করতে হবে। সুতরাং তোমরা সেখানেই ঘরবাড়ি তৈরী করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করো। চাষ-আবাদ করে নিজেরাই নিজেদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করো।’”
29 ভাববাদী যিরমিয়কে যাজক সফনিয় চিঠি পড়ে শোনাল। 30 তখন যিরমিয়র কাছে প্রভুর বার্তা এলো: 31 “যিরমিয় এই কথাগুলি, বাবিলে যারা নির্বাসিত, সেই সমস্ত লোকের কাছে পাঠিয়ে দাও। শময়িয় নিহিলামীয়টি সম্বন্ধে প্রভু যা বলেছেন তা হল এই: শময়িয় তোমাদের কাছে বার্তা প্রচার করেছে কিন্তু আমি তাকে পাঠাই নি। শময়িয় তোমাদের মিথ্যাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছিল। 32 শীঘ্রই আমি শময়িয়কে শাস্তি দেব। শময়িয়ের পরিবারকেও ধ্বংস করে দেব এবং আমি আমার লোকদের যা কিছু ভাল করব তার থেকেও সে বঞ্চিত হবে।” এই হল প্রভুর বার্তা। “‘আমি শময়িয়কে শাস্তি দেব কারণ সে লোকদের প্রভুর বিরুদ্ধে যাবার শিক্ষা দিয়েছিল।’”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International