Chronological
19 যিহূদার রাজা যিহোশাফট অক্ষত অবস্থায় জেরুশালেমে তাঁর বাড়িতে ফিরে এলেন। 2 ভাববাদী হনানির পুত্র যেহূ যিহোশাফটের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কেন যেসব ব্যক্তিরা প্রভুকে ঘৃণা করেন সেই সমস্ত অসৎ ব্যক্তিদের সাহায্য করেছেন? এ কারণেই প্রভু আপনার ওপর ক্রুদ্ধ হয়েছেন। 3 তা সত্ত্বেও আপনার মধ্যে এখনও ভাল কিছু আছে যেহেতু আপনি সর্বান্তঃকরণে ঈশ্বরকে খুঁজতে দৃঢ়সংকল্প করেছেন এবং এদেশ থেকে আশেরার খুঁটিগুলোও সরিয়ে দিয়েছেন।”
যিহোশাফটের বিচারক নির্বাচন
4 জেরুশালেমে থাকাকালীন যিহোশাফট আবার বের্-শেবা থেকে পার্বত্য দেশ ইফ্রয়িম পর্যন্ত লোকদের সঙ্গে মিশলেন এবং তাদের প্রভুর কাছে, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনলেন। 5 যিহোশাফট যিহূদার প্রত্যেকটা দুর্গের জন্য আলাদা আলাদা বিচারক নির্বাচন করে তাঁদের বলেছিলেন, 6 “আপনারা অত্যন্ত সতর্কভাবে নিজেদের কাজ করবেন। কারণ আপনারা যে বিচার করবেন তা কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, স্বয়ং প্রভুর হয়ে আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্তগুলি লোকদের দেবেন। আর আমি নিশ্চিত, যখন আপনারা কোন সিদ্ধান্ত নেবেন প্রভু স্বয়ং আপনাদের সহায় হবেন। 7 প্রভু কিন্তু নিরপেক্ষ, তাঁর চোখে সকলেই সমান। ঘুষ দিয়ে তাঁর বিচার বদলানো যায় না। আপনারা সকলে এ কথা মাথায় রেখে, প্রভুর শক্তি ও ক্রোধের কথা স্মরণ করে নিজেদের কাজ করবেন।”
8 জেরুশালেমে বিচারক হিসেবে কাজ করার জন্য যিহোশাফট কয়েকজন লেবীয়, কিছু যাজক ও ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠী নেতাদের বেছে নিয়েছিলেন। এদের ওপর দায়িত্ব ছিল প্রভুর বিধি নির্দেশ মেনে জেরুশালেমের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার প্রতিবিধান করা। 9 যিহোশাফট এদের বলেছিলেন, “প্রভুর ভয়ে তোমাদের কর্ত্তব্যে তোমাদের একনিষ্ঠ হতে হবে, সমস্ত হৃদয় দিয়ে তা করতে হবে। 10 তোমাদের বিভিন্ন ধরণের মামলা যেমন খুন-জখম, জুয়াচুরি, আইন, বিধি-নির্দেশ অমান্য করার সন্মুখীন হতে হবে। আর এসব মামলা আসবে এইসব শহরে বসবাসকারী তোমাদেরই সহ নাগরিকদের মধ্যে থেকে। তোমরা সবসময়েই লোকদের প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ আচরণ করার বিষয়ে সতর্ক করে দেবে। তোমরা যদি নিজেদের কর্তব্যের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান না হও তাহলে প্রভুর ক্রোধ তোমাদের এবং তোমাদের সহ নাগরিকদের ওপর গিয়ে পড়বে। কিন্তু যা বললাম তা যদি তোমরা করো তাহলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
11 “সর্বোচচ পদস্থ যাজক অমরিয় ধর্ম ও প্রভু সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা নিষ্পত্তির সময়ে তোমাদের সাহায্য করবেন। রাজার বিষয়ে মামলার কাজকর্মে তোমরা ইশ্মায়েলের পুত্র, যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর অন্যতম নেতা, সবদিয়র কাছ থেকে সাহায্য পাবে। লেবীয়রা লেখকের কাজ করবে। সাহসে ভর করে, নিজেদের ওপর আস্থা রেখে তোমরা তোমাদের কাজ করো। প্রার্থনা করি, প্রভু যেন ন্যায়ের পক্ষে থাকেন।”
যিহোশাফট যুদ্ধের সম্মুখীন হলেন
20 কিছুকাল পরে, মোয়াবীয়, অম্মোনীয় ও মায়োনীয় ব্যক্তিরা যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন। 2 কিছু লোক এলো এবং যিহোশাফটকে বলল, “মৃত সাগরের ওপারে, ইদোম থেকে একটা বড় সড় সৈন্যদল যাত্রা শুরু করেছে। দলটা কিন্তু ইতিমধ্যেই হৎসসোন তামর পর্যন্ত এসে গেছে।” (হৎসসোন তামরকে ঐন্-গদীও বলা হয়ে থাকে।) 3 যিহোশাফট ভীত হলেন এবং প্রভুর সাহায্য চাইবেন বলে ঠিক করলেন। তিনি যিহূদার সমস্ত লোককে উপবাস করতে আদেশ দিলেন। 4 যিহূদার প্রত্যেক শহর থেকে লোকরা প্রভুর কাছ থেকে সাহায্য চাইবার জন্য জড়ো হলো। 5 যিহোশাফট প্রভুর মন্দিরের নতুন উঠোনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত লোকদের সামনে দাঁড়ালেন এবং 6 বললেন,
“হে প্রভু! আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, তুমিই স্বর্গের অধীশ্বর। বিশ্বের প্রত্যেক জাতি ও দেশের ভবিতব্যের তুমি নিয়ামক। তুমি সর্বশক্তিমান, কেউ তোমার বিরোধিতা করতে পারে না। 7 হে ঈশ্বর, এই দেশের লোকদের তুমি এই স্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলে এবং তারা ইস্রায়েলের লোকদের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তুমি স্বয়ং এই ভূখণ্ড চিরকালের জন্য তোমার বন্ধু অব্রাহামের উত্তরপুরুষদের হাতে তুলে দিয়েছিলে। 8 তারা এই অঞ্চলে বাস করত এবং এখানে তোমার নামের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করেছে। 9 তারা বলেছিল, ‘যদি কোনদিন কোনো বিপদ আমাদের কাছে আসে—তরবারি, শাস্তি, রোগসমূহ অথবা দুর্ভিক্ষ, আমরা এসে এই মন্দিরের সামনে, প্রভু তোমার সন্মুখে দাঁড়াব। যেহেতু তোমার নাম রয়েছে এই মন্দিরে, বিপদের সময়ে আমরা চিৎকার করে তোমাকেই ডাকবো আর তখন তুমি আমাদের ডাক শুনবে এবং আমাদের উদ্ধার করবে।’
10 “কিন্তু এখন অম্মোন, মোয়াব আর সেয়ীয়ের পার্বত্য অঞ্চলের সেইসব অধিবাসীরা এসে ইস্রায়েলের অধিবাসীদের আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছেন যাদের রাজ্য তুমিই স্বয়ং একদিন ইস্রায়েলীয়দের আক্রমণ করতে দাওনি বলে তারা রক্ষা পেয়েছিল। মিশর থেকে আসার পথে তোমার নির্দেশ মেনে ইস্রায়েলীয়রা সেদিন এদের ধ্বংস করেনি। 11 অথচ দেখো আজ তারা তার কি প্রতিদান দিচ্ছে। তারা তোমার দেওয়া ভূখণ্ড থেকে আমাদের উৎখাত করতে আসছে। 12 হে আমাদের প্রভু ঈশ্বর, তুমি কি এদের শাস্তি দেবে না? এই যে বিপুল সৈন্যবাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছে তার বিরুদ্ধে আমরা ক্ষমতাহীন। আমরা জানি না আমরা কি করব। তাই আমরা তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।”
13 তাই যিহূদার সমস্ত লোকরা তাদের স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে নিয়ে প্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিল। 14 সেই সময়, প্রভুর আত্মা যহসীয়েলের ওপর ভর করল। যহসীয়েল ছিল সখরিয়র পুত্র; সখরিয় ছিল বনায়ের পুত্র। বনায় ছিল যিয়েলের পুত্র এবং যিয়েল ছিল লেবীয় মত্তনিয়ের পুত্র। এরা সবাই ছিল আসফের উত্তরপুরুষ। সেই জমায়েতের মাঝখানে, 15 যহসীয়েল বলল, “যিহূদা ও জেরুশালেমবাসীরা এবং রাজা যিহোশাফট, তোমরা সকলে শোনো। প্রভু বলেন, ‘এই বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে চিন্তা করবার বা ভয় পাবার কোনো দরকার নেই কারণ এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, ঈশ্বরের যুদ্ধ। 16 আগামীকাল তোমরা সকলে গিয়ে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ওরা সীসের গিরিখাত দিয়ে আসবে এবং তোমরা তাদের যরূয়েল মরুভূমির পূর্বদিকে উপত্যকার প্রান্তে দেখতে পাবে। 17 এই সংঘর্ষে তোমাদের যুদ্ধ করবারও প্রয়োজন নেই। তোমাদের শুধু যে যার জায়গায় দৃঢ় চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আর দেখো আমি কিভাবে তোমাদের আর যিহূদা ও জেরুশালেমকে রক্ষা করি। চিন্তা করো না। আগামীকালের যুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াও এবং প্রভু তোমাদের সহায় হবেন।’”
18 যিহোশাফট তখন মুখ নীচের দিকে করে আভূমি আনত হলেন। যিহূদা ও জেরুশালেমের সমস্ত লোক প্রভুর সামনে আভূমি নত হল এবং প্রভুর উপাসনা করল। 19 কহাৎ ও কোরহ পরিবারগোষ্ঠীর লেবীয়রা উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলো।
20 পরদিন ভোরবেলা যিহোশাফটের সেনাবাহিনী তকোয় মরুভূমি অভিমুখে যাত্রা করলো। তারা রওনা হবার ঠিক আগের মূহুর্তে যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “তোমরা, যিহূদা আর জেরুশালেমের লোকরা, শোনো: প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রেখো তাহলে তোমাদের দেহে ও মনে শক্তি পাবে। তাঁর ভাববাণীর ওপর বিশ্বাস রেখো। জয় তোমাদের সুনিশ্চিত।”
21 যিহোশাফট তাঁর লোকদের অনুপ্রেরণা ও নির্দেশ দিতে লাগলেন। তারপর তিনি প্রভুর প্রশংসা ও সৌন্দর্য বর্ণনার জন্য এবং গাইবার জন্য কয়েকজনকে মনোনীত করলেন। তারা সেনাবাহিনীর সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে, প্রভুর প্রশংসা করে গান করল,
“প্রভুকে ধন্যবাদ দাও
কারণ তাঁর করুণা চিরস্থায়ী।”
22 এই প্রশংসা গান গাইতে গাইতে তারা যেতে লাগলো। ইতিমধ্যে, এরা যখন ঈশ্বরের প্রশংসা সুচক গান করছিল, প্রভু তখন অম্মোনীয়, মোয়াবীয় ও সেয়ীরের লোকদের অতর্কিত আক্রমণের জন্য সেনা সাজাচ্ছিলেন। যারা যিহূদা আক্রমণ করতে এসেছিল তারা পরাজিত হল। 23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়রা সেয়ীরের পার্বত্য অঞ্চলের লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শুরু করলো এবং তাদের হত্যা করলো। এরপর তারা একদল অপরদলকে হত্যা করলো!
24 যিহূদার লোকরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখার জায়গায় এসে পৌঁছনোর পর শত্রুপক্ষের বিশাল সেনাবাহিনীর সন্ধান করতে গিয়ে চতুর্দিকে শুধুই স্তূপাকার মৃতদেহ দেখতে পেলো। কোন লোকই বেঁচে ছিল না। 25 যিহোশাফট আর তাঁর সেনাবাহিনী ঐসব মৃতদেহের স্তূপের কাছে এলো এবং মৃতদেহগুলোর থেকে বহু দুর্মূল্য জিনিসপত্র যেমন জন্তুজানোয়ার, অর্থ, পোশাক-পরিচ্ছদ উদ্ধার করে নিয়ে গেল। এতো বেশি জিনিসপত্র সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল যে তা বয়ে নিয়ে যেতে তিনদিন সময় লেগেছিল। 26 চতুর্থ দিনে যিহোশাফট আর তাঁর সেনাবাহিনী বরাখা উপত্যকায় উপনীত হয়ে প্রভুকে ধন্যবাদ জানালো। সেই জন্যই এই উপত্যকাকে সেই সময় থেকে “বরাখা উপত্যকা” বলা হয়।
27 এরপর যিহোশাফট যিহূদা আর জেরুশালেমের সবাইকে নেতৃত্ব দিয়ে জেরুশালেমে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। প্রভু তাদের শত্রুকে পরাজিত করেছেন বলে সকলেই খুব খুশি ছিল। 28 বীণা, বাঁশি, শিঙা, কর্তাল বাজিয়ে তারা জেরুশালেমে এলো এবং প্রভুর মন্দিরে গেল।
29 স্বয়ং প্রভু ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, এখবর জানতে পেরে অন্যান্য রাজ্যগুলির প্রত্যেকে ভীত হল। 30 সে কারণে যিহোশাফটের রাজত্বকালে ইস্রায়েলে শান্তি বিরাজ করেছিল। প্রভু সবদিক থেকে তাঁকে শান্তি দিয়েছিলেন।
যিহোশাফটের শাসনকালের অবসান
31 পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হবার পর যিহোশাফট 25 বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মাতা অসূবা ছিলেন শিল্হির কন্যা। 32 যিহোশাফট তাঁর পিতা আসার মতোই সৎপথে জীবনযাপন করেছিলেন। তিনি সর্বদাই প্রভুর প্রতি বাধ্য ছিলেন। 33 কিন্তু অন্য মূর্ত্তিদের পূজোর জন্য বানানো উঁচু জায়গাগুলো ভেঙে দেওয়া হয় নি এবং লোকে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের কাছে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করেনি।
34 তাঁর রাজত্বকালে প্রথম থেকে শেষাবধি যিহোশাফট যা কিছু করেছিলেন তা হনানির পুত্র যেহূর লেখা সরকারি নথিপত্রে লেখা আছে, যা পরবর্তীকালে ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
35 যিহূদার রাজা যিহোশাফট তাঁর রাজত্বের শেষের দিকে ইস্রায়েলের রাজা অহসিয়র সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। অহসিয় বহু পাপ আচরণে লিপ্ত ছিলেন। 36 যিহোশাফট তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে তর্শীশে যাবার জন্য জাহাজ বানানোর কাজ শুরু করেন। ইৎসিয়োন—গেবর শহরে এইসব জাহাজ বানানো হতো। 37 তখন মারেশা থেকে দোদাবাহূর পুত্র ইলীয়েষর যিহোশাফটকে বললেন, “তুমি অহসিয়র সঙ্গে হাত মিলিয়েছো, তাই প্রভু তোমার জাহাজগুলি ধ্বংস করবেন।” বানানো জাহাজগুলো ভেঙ্গে যায় এবং শেষ পর্যন্ত যিহোশাফট বা অহসিয় কেউই আর তর্শীশে জাহাজ পাঠাতে পারেন নি।
21 রাজা যিহোশাফটের মৃত্যুর পর তাঁকে দায়ূদ নগরীতে তাঁর পূর্বপুরুষের সঙ্গে সমাধিস্থ করা হল এবং তাঁর পুত্র যিহোরাম তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হলেন। 2 যিহোরামের ভাইদের নাম হল অসরিয়, যিহীয়েল, সখরিয়, অসরিয়, মীখায়েল আর শফটিয়। এঁরা সকলেই ছিলেন যিহূদার ভূতপূর্ব রাজা যিহোশাফটের সন্তান। 3 যিহোশাফট তাঁর পুত্রদের সবার জন্যই বহু পরিমাণ সোনা, রূপো, দামী দামী জিনিসপত্র, যিহূদার সুরক্ষিত দুর্গসমূহ রেখে গেলেও তিনি তাঁর রাজত্বের ভার দিয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ পুত্র যিহোরামের হাতে।
যিহূদার রাজা যিহোরাম
4 যিহোরাম তাঁর পিতৃদত্ত রাজত্বের শাসনভার গ্রহণ করলেন এবং নিজের ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করলেন। তারপর তরবারির সাহায্যে তাঁর অন্যান্য ভাইদের ও ইস্রায়েলের কিছু নেতাকে হত্যা করলেন। 5 বত্রিশ বছর বয়সে রাজা হয়ে তিনি মোট 8 বছর জেরুশালেমে শাসন করেন। 6 তিনি ইস্রায়েলের অপরাপর রাজাদের মতো এবং আহাবের কন্যাকে বিয়ে করার পর আহাবের বংশের ধারায় জীবনযাপন করেছিলেন। প্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি সেই সব কাজ করেছিলেন। 7 কিন্তু, যেহেতু তিনি দায়ূদের সঙ্গে চুক্তি কর়েছিলেন, প্রভু দায়ূদের বংশ নিঃশেষ করলেন না। প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, চির দীপ্যমান প্রদীপের মতো, দায়ূদের উত্তরপুরুষদের একজন সর্বদা যিহূদায় শাসন করবে।
8 যিহোরামের রাজত্বকালে ইদোম যিহূদার কর্তৃত্ব থেকে ভেঙ্গে বেরিয়ে নিজেরা নিজেদের রাজা নির্বাচন করেছিল। 9 যিহোরাম তাই তাঁর সমস্ত সেনাপতিসহ সেনা ও রথবাহিনী নিয়ে ইদোম আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন। ইদোমীয় সেনাবাহিনী তাঁদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললেও যিহোরাম রাতের অন্ধকারে সেই সৈন্যব্যূহ ভেদ করে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং ইদোমীয়দের পরাজিত করেছিলেন। 10 সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইদোম যিহূদার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে চলেছে। লিব্নার স্থানীয় বাসিন্দারা যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন কারণ যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছিলেন। 11 এছাড়াও তিনি যিহূদার পাহাড়গুলিতে উঁচু জায়গায় ভ্রান্ত মূর্ত্তিগুলির জন্য বেদীসমূহ বানিয়েছিলেন। তিনি জেরুশালেমের বাসিন্দাদের ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত করেছিলেন এবং যিহূদার বাসিন্দাদের বিপথে ঠেলে দিয়েছিলেন।
12 ইতিমধ্যে যিহোরাম ভাববাদী এলিয়র কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন যাতে লেখা ছিল,
“তোমার পূর্বপূরুষ দায়ূদের ঈশ্বর বলেছেন: ‘যিহোরাম, তুমি তোমার পিতা যিহোশাফটের বা যিহূদার রাজা আসার মতো জীবনযাপন করনি। 13 কিন্তু ইস্রায়েলের অপরাপর রাজাদের মতো, তুমি যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকদের আহাবের পরিবারের মত অবিশ্বস্ত করেছ। তুমি তোমার ভাইদের, যারা তোমার চেয়ে ভাল তাদেরও হত্যা করেছ। 14 এই কারণে স্বয়ং প্রভু তোমার পরিবারের সবাইকে ও তোমার লোকদের ওপর একটি রোগ পাঠিয়ে তোমাকে শাস্তি দেবেন। তিনি তোমার সমস্ত সম্পদ ধ্বংস করবেন। 15 তুমি ভয়ঙ্কর উদর পীড়ায় আক্রান্ত হবে। দিনের পর দিন তোমার অবস্থা খারাপ হতে থাকবে এবং একটা সময় আসবে যখন তোমার অন্ত্রাদি বেরিয়ে আসবে।’”
16 প্রভু এরপর পলেষ্টীয় ও কূশ দেশের নিকটস্থ আরবীয়দের মন রাজা যিহোরামের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলেন। 17 তখন তারা সকলে একত্র হল এবং যিহূদা আক্রমণ করল। তারা যিহোরামের সমস্ত ধনসম্পদ, তার স্ত্রীদের এবং পুত্রদের নিয়ে গেল। যিহোরামের কনিষ্ঠ পুত্র যিহোয়াহস ছাড়া আর কেউই এই আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেলো না।
18 এসব ঘটনার পর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী প্রভু রাজা যিহোরামকে দুরারোগ্য উদরপীড়ায় আক্রান্ত করলেন। 19 দুবছর পরে বহু যন্ত্রণাভোগের পর তাঁর নাড়িভুঁড়ি পেট থেকে বেরিয়ে এসে তিনি মারা যান। লোকেরা তাঁর পিতা যিহোশাফটের মতো যিহোরামের মৃত্যুর পর তাঁর সম্মানার্থে কোনো যজ্ঞের আয়োজন করেন নি। 20 তাঁর মৃত্যুতে কোনো ব্যক্তিই দুঃখিত হন নি বা শোক প্রকাশ করেন নি। 32 বছর বয়সে রাজা হয়ে আট বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করার পর রাজা যিহোরামের মৃত্যু হল। লোকে তাকে দায়ূদ নগরীতেই কবরস্থ করলো, তবে রাজাদের বিশেষ সমাধি ক্ষেত্রে তারা যিহোরামকে সমাধিস্থ করেনি।
যিহূদার রাজা অহসিয়
22 যিহোরামের পর, লোকরা তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র অহসিয়কে নতুন রাজা হিসাবে নির্বাচিত করলেন কারণ আরবদের সঙ্গে যারা প্রাসাদ আক্রমণ করেছিল তারা অহসিয় ছাড়া যিহোরামের আর সব পুত্রদের হত্যা করেছিল। কনিষ্ঠ পুত্র হয়েও তিনি রাজত্বের দায়িত্ব পেলেন। 2 অহসিয় 22 বছর বয়সে যিহূদায় রাজা হয়ে মাত্র 1 বছর জেরুশালেম শাসন করেছিলেন।[a] অহসিয়র মাতা অথলিয়া ছিলেন অম্রির কন্যা। 3 অহসিয় আহাব পরিবারের মতোই প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ আচরণ করেছিলেন, কারণ তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তাঁর মাতা তাঁকে এক জন পাপীর মত রাজ্য শাসন করতে উপদেশ দিয়েছিলেন। 4 এবং তিনি আহাবের পরিবারের মত প্রভুর চোখে যা মন্দ তাই করেছিলেন, কারণ তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তারাই তাঁর উপদেষ্টা হয়েছিল এবং তারা তাঁকে নষ্ট করেছিল। 5-6 তাই, অহসিয় আহাব পরিবারের লোকদের কুপরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করত। তাদের পরামর্শতেই অহসিয় রামোৎ-গিলিয়দে আহাবের পুত্র যোরামের সঙ্গে অরামীয় রাজা হসায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যান, যেখানে তিনি আহত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হতে যিষ্রিয়েলে গিয়েছিলেন। এরপর, যিহূদার প্রাক্তন শাসক যিহোরামের পুত্র অহসিয়, যিষ্রিয়েলে আহাবের পুত্র যোরামের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কারণ যোরাম আহত হয়েছিলেন।
7 ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যোরামের সঙ্গে অহসিয়র সাক্ষাৎ তাঁর মৃত্যু ঘনিয়ে এনেছিল কারণ যখন তিনি এসেছিলেন, তিনি এবং যোরাম নিম্শির পুত্র যেহূর সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন যাকে প্রভু আহাবদের শাস্তি দেবার জন্য আহাব বংশ ধ্বংস করতে বেছে নিয়েছিলেন। 8 আহাব বংশের সদস্যদের হত্যা করার পর তিনি যিহূদার নেতাদের এবং অহসিয়র আত্মীয়দের, যারা তাঁর সেবা করেছিল, তাদের খুঁজে বার করলেন। তাদের তিনি হত্যা করলেন। 9 তারপর যেহূ অহসিয়র সন্ধান শুরু করেছিলেন। তাঁর লোকরা শমরিয়ায় লুকিয়ে থাকা অহসিয়কে ধরে যেহূর কাছে নিয়ে এলো। তাকে হত্যা করে তারা তাকে সমাধিস্থ করলো। তারা বলল, “যিহোশাফট, যিনি সর্বান্তঃকরণে প্রভুকে মেনে চলতেন, ইনি তাঁর নাতি।” এরপর অহসিয়র পরিবার আর যিহূদার রাজ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন নি।
রাণী অথলিয়া
10 অহসিয়র মাতা, রাণী অথলিয়া যখন দেখলেন যে তাঁর নিজের পুত্র অহসিয় মারা গিয়েছে তিনি তখন আদেশ দিলেন যে যিহূদার রাজত্বের উত্তরাধিকারী প্রত্যেককে হত্যা করতে হবে। 11 যিহোরামের কন্যা যিহোসেবা, যাজক যিহোয়াদার স্ত্রী, অহসিয়র অন্য পুত্ররা নিহত হবার আগে তাঁর পুত্র যোয়াশ আর তাঁর ধাইমাকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি এরকম করেছিলেন যাতে অথলিয়া যোয়াশকে হত্যা করতে না পারেন। 12 প্রভুর মন্দিরে যাজকদের সঙ্গে যোয়াশ যখন লুকিয়েছিলেন সে সময়ে অথলিয়া রাণী হিসেবে ছয় বছর রাজ্যটি শাসন করেছিলেন।
যাজক যিহোয়াদা ও রাজা যোয়াশ
23 ছয় বছর চুপচাপ থাকার পর যিহোয়াদার আত্মবিশ্বাস যথেষ্ট বেড়ে উঠল এবং তিনি সেনাপতিদের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেন। সেই সেনাপতিরা ছিলেন: যিহোরামের পুত্র অসরিয়, যিহোহাননের পুত্র ইশ্মায়েল, ওবেদের পুত্র অসরিয়, অদায়ার পুত্র মাসেয় আর সিখ্রির পুত্র ইলীশাফট। 2 চুক্তি অনুযায়ী এরা যিহূদা ও যিহূদার পার্শ্ববর্তী থেকে সমস্ত লেবীয়দের ও ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারের নেতাদের একত্রিত করে তারপর জেরুশালেমে গেলেন। 3 এঁরা সবাই একসঙ্গে ঈশ্বরের মন্দিরে রাজার সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন।
যিহোয়াদা এঁদের সবাইকে বলেছিলেন, “আমাদের অবশ্যই রাজার ছেলেকে শাসন করতে দেওয়া উচিৎ, কারণ প্রভু দায়ূদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে শুধু তাঁর উত্তরপুরুষরাই যিহূদা শাসন করবে। 4 এখন তোমাদের সবাইকে কয়েকটা কর্তব্য পালন করতে হবে। যাজক ও লেবীয়দের মধ্যে যারা বিশ্রামের দিন মন্দিরের নিত্যকর্ম সম্পাদন করতে যান তাঁদের এক তৃতীয়াংশ মন্দিরের দরজার ওপর নজর রাখবেন। 5 আর এক তৃতীয়াংশ যাবেন রাজপ্রাসাদে। আরেক এক তৃতীয়াংশ থাকবেন ভিত্তিমূলের দরজায় আর বাদবাকী সকলেই প্রভুর মন্দিরের আঙিনায় থাকবেন। 6 কাউকে যেন প্রভুর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া না হয়। শুধুমাত্র যেসব যাজকগণ ও লেবীয়রা মন্দিরের সেবা করেন, তাঁদেরই প্রভুর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে কারণ তাঁরা পবিত্র। অন্যান্যরা প্রভু তাদের যে যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন তাই করবে। 7 লেবীয়দের তরবারি ধারণ করতে হবে এবং সব সময় রাজার কাছাকাছি থাকতেই হবে। কেউ যদি মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করে তাকে যেন হত্যা করা হয়।”
8 লেবীয় ও যিহূদার সমস্ত ব্যক্তি অক্ষরে অক্ষরে যাজক যিহোয়াদার সমস্ত নির্দেশ পালন করেছিলেন। যাজক যিহোয়াদা যাজকবর্গের সবাইকেই কোনো না কোনো কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। যে কারণে ছুটির দিন সমস্ত সেনাপতি তাঁদের অধীনস্থ সবাইকে নিয়ে সেদিন যারা মন্দিরে এসেছিল তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। 9 যাজক যিহোয়াদা সমস্ত সেনানায়কদের রাজা দায়ূদের আমলের বল্লম ও ছোট বড় ঢালগুলো বার করে দিয়েছিলেন। রাজা দায়ূদের এই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র প্রভুর মন্দিরেই রাখা হতো। 10 এরপর যিহোয়াদা কাকে কোথায় দাঁড়াতে হবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সশস্ত্র প্রহরীরা মন্দিরের দক্ষিণদিক থেকে শুরু করে উত্তরদিক পর্যন্ত মন্দিরের কাছে, বেদীর পাশে আর রাজার চারপাশে দাঁড়িয়েছিল। 11 এরপর, সকলে মিলে বালক রাজপুত্রকে নিয়ে এলেন এবং তার মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে তার হাতে চুক্তিটির একটি প্রতিলিপি দিলেন। যাজক যিহোয়াদা আর তাঁর পুত্ররা সবাই পবিত্র তেল ছিটোলেন, বালক যোয়াশকে রাজা বলে ঘোষণা করে জয়ধ্বনি দিয়ে উঠলেন, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন!”
12 এদিকে রাণী অথলিয়া মন্দিরে অনেক লোকের পদ শব্দ ও জয়ধ্বনি শুনে কি হয়েছে দেখতে প্রভুর মন্দিরে এলেন। 13 সেখানে তিনি নতুন রাজাকে দেখতে পেলেন। সেই সময় যোয়াশ প্রধান ফটকে, রাজার স্তম্ভের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সমস্ত সেনাপতি ও লোকরা তাঁকে ঘিরে আনন্দ সহকারে বাদ্যযন্ত্রসমূহ এবং শিঙা ও ভেরী বাজাচ্ছিল। গায়করা তাদের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উৎসবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এই দেখে পরণের পোশাক ছিঁড়তে ছিঁড়তে রাণী অথলিয়া বলে উঠলেন, “বিদ্রোহ, বিদ্রোহ করেছে সবাই!”
14 যাজক যিহোয়াদা তখন উপস্থিত সেনানায়কদের নিয়ে এসে নির্দেশ দিলেন, “তোমরা সৈনিকরা অথলিয়াকে মন্দিরের বাইরে নিয়ে যাও। কেউ যদি ওর পিছু নেবার চেষ্টা করে সঙ্গে সঙ্গে তরবারি দিয়ে তাকে হত্যা করবে।” কিন্তু দেখো, অথলিয়াকে যেন প্রভুর মন্দিরের চত্বরে না মারা হয়। 15 রাজপ্রাসাদের অশ্বদ্বার পার হওয়া মাত্রই, সেনাবাহিনীর লোকরা অথলিয়াকে ধরে ফেললো এবং তাকে সেখানে হত্যা করলো।
16 এরপর, যিহোয়াদা সমস্ত প্রজা ও রাজার সঙ্গে চুক্তি করলো। প্রত্যেকে প্রভুর বিশ্বস্ত সেবক হতে সম্মতি জানালো। 17 সবাই মিলে বালদেবতার মূর্ত্তি বসানো মন্দিরে গিয়ে, মন্দির ও সেখানকার বেদী ও মূর্ত্তি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করলো। বালদেবের বেদীর সামনে তারা বালদেবের পূজারী মত্তনকে হত্যা করলো।
18 তখন যিহোয়াদা লেবীয় গোষ্ঠীর যাজকদের আদেশ দিলেন আনন্দের সঙ্গে এবং গান গেয়ে সেবা কাজগুলি করতে যেগুলি দায়ূদ মন্দিরের জন্য নির্দিষ্ট করেছিলেন এবং মোশির বইতে যেমন লেখা আছে সেইমত প্রভুকে বলি উৎসর্গ করতে যেমন দায়ূদ করতেন। 19 অধিকন্তু যিহোয়াদা মন্দিরের দরজায় প্রহরীদের নিয়োগ করেছিলেন যাতে কোন ব্যক্তি যে অশুচি, সে মন্দিরে ঢুকতে না পারে।
20 যিহোয়াদা, সেনাপতিবর্গ, নেতৃবর্গ, শাসকবর্গ ও দেশের লোকেরা রাজাকে যথাযথ সম্মানে বাইরে বার করে আনলেন এবং উত্তর দ্বারের পথ দিয়ে রাজপ্রাসাদে গেলেন এবং সেখানে তারা তাঁকে সিংহাসনে বসালেন। 21 যিহূদার সকলেই সেদিন খুব খুশি ছিল। অনেকদিন পর অত্যাচারী রাণী অথলিয়ার মৃত্যুতে জেরুশালেম শহরে আবার শান্তি নেমে এলো।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International