Beginning
22 দায়ূদ বললেন, “প্রভু ঈশ্বরের মন্দির ও ইস্রায়েলের লোকদের জন্য বেদী এখানেই বানানো হবে।”
দায়ূদ মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন
2 দায়ূদ ইস্রায়েলে বসবাসকারী সমস্ত বিদেশীদের এক জায়গায় জড়ো হতে নির্দেশ দিলেন। তারপর তিনি তাদের মধ্যে থেকে পাথর-কাটুরেদের বেছে নিলেন। এদের কাজ ছিল, ঈশ্বরের যে মন্দির হবে তার জন্য তখন থেকেই পাথর কেটে রাখা। 3 পেরেক ও দরজার কব্জা বানানোর জন্য দায়ূদ লোহা আনালেন এবং এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পিতল সংগ্রহ করলেন। 4 অজস্র এরস কাঠের গুঁড়িও আনা হল। সীদোন ও সোরীয়ের বাসিন্দারা অনেক অনেক দামী কাঠের গুঁড়ি এনে দিয়েছিল।
5 দায়ূদ বললেন, “আমরা প্রভুর জন্য সুবিশাল একটা মন্দির বানাতে চলেছি। কিন্তু আমার পুত্র শলোমনের বয়স এখনও কম। এসম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান তার হয়নি। প্রভুর এই সুবিশাল মন্দিরের খ্যাতি তার সৌন্দর্য্যের কারণে পৃথিবীর দেশে দেশে যাতে ছড়িয়ে পড়ে সে কারণে আমি সেই মন্দিরের নকশা ও পরিকল্পনা করে যাচ্ছি।” কথা মতো তাঁর মৃত্যুর আগেই দায়ূদ মন্দিরের জন্য অনেক পরিকল্পনা ও নকশা করে গিয়েছিলেন।
6 দায়ূদ তাঁর পুত্র শলোমনকে ডেকে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মন্দির বানানোর নির্দেশ দিয়ে বললেন, 7 “শলোমন, আমি প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের জন্য একটা মন্দির বানাতে চেয়েছিলাম। 8 কিন্তু প্রভু আমাকে জানালেন, ‘দায়ূদ তুমি অনেক যুদ্ধ করেছ। বহু ব্যক্তির রক্তে ঐ হাত রঞ্জিত করেছ। তাই আমার নামে তুমি কোন মন্দির বানাতে পারবে না। 9 কিন্তু তোমার এক পুত্র হবে শান্তির ধারক ও বাহক। তাকে আমি একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেব এবং তার আশেপাশের শত্রুরা যাতে তাকে উত্যক্ত না করে দেখব। 10 তার নাম শলোমন এবং তার শাসনকালে আমি ইস্রায়েলকে শান্তি দেব। আমি তাকে সন্তান-জ্ঞানে পালন করব এবং তার রাজ্যকে সুদৃঢ় করব। তার পরিবারের কেউ না কেউ আজীবন ইস্রায়েলে শাসন করবে।’”
11 দায়ূদ শলোমনকে আরো বললেন, “প্রভু তোমার সহায় হোন, যাতে তুমি তাঁর কথা মতোই তোমার প্রভু ঈশ্বরের জন্য এই মন্দির বানাতে সফল হতে পারো। 12 প্রভু তোমায় ইস্রায়েলের রাজা করবেন। রাজ্য পরিচালনা এবং প্রভু তোমার ঈশ্বরের বিধি ও অনুশাসন অনুসরণ করার মতো জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনাও যেন তোমাকে দেন। 13 প্রভু প্রদত্ত মোশির বিধি অনুসরণ করে সতর্ক ভাবে জীবন কাটালে তুমি অবশ্যই সফল হবে। ভয়ের কোন কারণ নেই। সাহসে ভর করে বীরপুরুষের মতো জীবনযাপন করো।
14 “শোনো শলোমন, প্রভুর মন্দির বানানোর পরিকল্পনার জন্য আমি বহু পরিশ্রম করেছি। আমি 3750 টন সোনা আর 37,500 টন রূপো ছাড়াও যে পরিমাণ লোহা আর পিতল জমিয়েছি তা ওজন করা প্রায় অসম্ভব! আর আছে অজস্র কাঠ এবং পাথর। শলোমন, এইসব কিছুই তুমি বাড়াতে পার। 15 সুদক্ষ ছুতোর আর পাথর-কাটুরে ছাড়াও সব রকম কাজে দক্ষ কারিগর আর মিস্ত্রিও তোমার আছে। 16 সোনা, রূপো, লোহা, পিতলের কাজ জানা অসংখ্য কারিগর তুমি পাবে। এবার তোমার কাজ শুরু কর। প্রভু তোমার সহায় হোন।”
17 তারপর দায়ূদ ইস্রায়েলের সমস্ত নেতাদের তাঁর পুত্র শলোমনকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়ে বললেন, 18 “এখন স্বয়ং ঈশ্বর তোমাদের সহায়। তিনি আপনাদের শান্তির সময় দিয়েছেন, চারপাশের বহিঃশত্রুদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করেছেন। প্রভু ও তাঁর লোকরা এখন এই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। 19 এখন প্রভুকে সমস্ত মন-প্রাণ ঢেলে দাও এবং তিনি যা বলেন তাই কর। তাঁর উপযুক্ত করে মন্দির বানানোর কাজে আত্মনিয়োগ কর। তাঁর নামে মন্দির বানিয়ে সাক্ষ্যসিন্দুক ও আর যা কিছু পবিত্র জিনিস আছে মন্দিরে নিয়ে এসো।”
মন্দিরে সেবা করবার নিমিত্ত লেবীয়দের জন্য পরিকল্পনা
23 রাজা দায়ূদের বয়স হওয়ায় তিনি তাঁর পুত্র শলোমনকে ইস্রায়েলের রাজপদে অধিষ্ঠিত করে 2 ইস্রায়েলের সমস্ত নেতা, যাজক ও লেবীয়দের ডেকে পাঠালেন। 3 তিনি গুনে দেখলেন 30 বছরের বেশি বয়স্ক লেবীয়দের সর্বমোট সংখ্যা 38,000 জন। 4 দায়ূদ আদেশ দিলেন, “24,000 জন লেবীয় প্রভুর মন্দির বানানোর কাজের তত্ত্বাবধান করবে। 6000 লেবীয় আধিকারিক ও বিচারকের কাজ করবে। 5 4000 লেবীয় দ্বাররক্ষী হবে। এবং আরো 4000 জন গায়ক হিসেবে কাজ করবে। আমি এদের জন্য যে বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বানিয়েছি তাই দিয়ে তারা প্রভুর প্রশংসা গীত গাইবে।”
6 দায়ূদ গের্শোন, কহাৎ ও মরারি লেবির পুত্রদের পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করলেন।
গের্শোনের পরিবারগোষ্ঠী
7 গের্শোন পরিবারগোষ্ঠী থেকে ছিলেন লাদন আর শিমিয়ি। 8 লাদনের তিন পুত্রের নাম যথাক্রমে যিহীয়েল, সেথম ও যোয়েল। 9 আর লাদন পরিবারের নেতা শিমিয়ির তিন পুত্রের নাম শলোমোৎ, হসীয়েল ও হারণ।
10 শিমিয়ির চার পুত্রের নাম যথাক্রমে যহত্, সীন, যিয়ূশ ও বরীয়। 11 যহত্ ছিল প্রধান এবং সীষ ছিল দ্বিতীয়। কিন্তু যিয়ূশ আর বরীয়র বেশী পুত্রকন্যা ছিল না বলে তাদের এক পরিবারভুক্ত হিসেবে গণনা করা হয়।
কহাতের পরিবারগোষ্ঠী
12 কহাতের চার পুত্রের নাম অম্রাম, যিষ্হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। 13 অম্রামের পুত্রদের নাম ছিল হারোণ আর মোশি। হারোণ এবং তাঁর উত্তরপুরুষদের বরাবরের জন্য বিশিষ্ট জন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রভুর যাবতীয় পূজো-অর্চনা ও ভজনার কাজ সম্পাদন করতেন, প্রভুর সামনে ধুপধূনো দিতেন ও যাজকের কাজও করতেন। প্রভুর নামে লোকদের আশীর্বাদ করবার মর্যাদাও তাঁদের দেওয়া হয়েছিল।
14 মোশি ছিলেন ঈশ্বরের লোক। 15 তাঁর পুত্র গের্শোম আর ইলীয়েষরকে লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্গত হিসেবে ধরা হয়। 16 ইলীয়েষরের বড় ছেলের নাম রহবিয় আর 17 গের্শোমের বড় ছেলের নাম ছিল শবূয়েল। ইলীয়েষরের আর কোনো পুত্র না থাকলেও রহবিয়ের আরো অনেক পুত্র ছিল।
18 যিষ্হরের বড় ছেলের নাম শলোমীত্।
19 হিব্রোণের পুত্রদের মধ্যে প্রধান যিরিয়, দ্বিতীয় অমরিয়, তৃতীয় যহসীয়েল আর চতুর্থ যিকমিয়াম।
20 উষীয়েলের পুত্রদের নাম যথাক্রমে মীখা ও যিশিয়।
মরারির পরিবারগোষ্ঠী
21 মরারির পুত্রদের নাম মহলি আর মূশি। মহলির পুত্রদের নাম ইলিয়াসর আর কীশ। 22 ইলিয়াসর অপুত্রক অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন। তাঁর শুধু কয়েকটি কন্যা ছিল, যারা নিজেদের আত্মীয়দের মধ্যেই কীশের পুত্রদের বিয়ে করেছিল। 23 মূশির পুত্রদের নাম মহলি, এদর ও যিরেমোৎ।
লেবীয়দের কাজ
24 কুড়ি বছরের বেশি বয়স্ক লেবির উত্তরপুরুষদের মধ্যে যারা প্রভুর মন্দিরে কাজ করেছিল, পরিবার অনুযায়ী তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এরা সকলেই নিজেদের পরিবারের প্রধান ছিল।
25 দায়ূদ বলেছিলেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শান্তি দিয়েছেন। চির দিনের জন্য তিনি জেরুশালেমে থাকতে এসেছেন। 26 তাই লেবীয়দের আর পবিত্র তাঁবু বা প্রভুর সেবার উপকরণ বইতে হবে না।”
27 ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি দায়ূদের শেষ আদেশ ছিল লেবি পরিবারগোষ্ঠীর উত্তরপুরুষের লোকসংখ্যা গণনা করা। 20 বছর বা তার বেশি বয়স্ক সমস্ত লেবীয়দের গোনা হয়েছিল।
28 লেবীয়রা হারোণের উত্তরপুরুষদের মন্দিরে প্রভুর কাজকর্মের সহায়তা করতেন, এছাড়াও তাঁরা মন্দিরের উঠোন এবং আশেপাশের ঘরগুলোর তদারকি করতেন। পবিত্র সামগ্রীর এবং ঈশ্বরের মন্দিরের সমস্ত আসবাবপত্রের শুচিতা রক্ষা করার দায়িত্বও ছিল তাঁদের ওপর। 29 টেবিলের ওপর রুটি রাখবার এবং গম, শস্য নৈবেদ্য ও খামিরবিহীন রুটি রাখবারও দায়িত্ব ছিল তাঁদের ওপর। মন্দিরের বাসন-কোসন এবং নৈবেদ্য সামলানো ছাড়াও জিনিসপত্র মাপা ও ওজন করার কাজও তাঁদেরই করতে হত। 30 প্রতি দিন সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁরা প্রভুর প্রশংসা করতেন ও তাঁকে ধন্যবাদ দিতেন। 31 লেবীয়রা প্রভুর কাছে বিশ্রামের দিন, অমাবস্যার দিন ও অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে হোমবলি উৎসর্গ করতেন। প্রতিদিন তাঁরা প্রভুর সেবা করতেন। প্রতি বার কতজন লেবীয় সেবা করবে সে ব্যাপারে বিশেষ নিয়ম ছিল এবং তাঁরা এই নিয়মগুলি অনুসরণ করতেন। 32 লেবীয়রা তাঁদের আত্মীয়দের, যে যাজকরা ছিলেন হারোণের উত্তরপুরুষ, প্রভুর মন্দিরে সেবার কাজে সাহায্য করতেন। তাঁরা পবিত্র তাঁবু এবং পবিত্র স্থানেরও যত্ন নিতেন।
যাজক গোষ্ঠী
24 হারোণের পুত্রদের নাম নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর আর ঈথামর। 2 হারোণের আগেই নাদব আর অবীহূর অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যু হয়। তাই ইলিয়াসর এবং ঈথামর যাজকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। 3 ইলিয়াসর এবং ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠীকে দায়ূদ দুটি পৃথক গোষ্ঠীতে ভাগ করেছিলেন যাতে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। দুই পরিবারকে পৃথক করার সময় দায়ূদ ইলিয়াসরের উত্তরপুরুষ সাদোক এবং ঈথামরের উত্তরপুরুষ অহীমেলকের সাহায্য নিয়েছিলেন। 4 ঈথামরের পরিবারের তুলনায় ইলিয়াসরের পরিবার থেকে হওয়া নেতার সংখ্যা বেশি ছিল। ইলিয়াসরের পরিবারের মোট নেতার সংখ্যা ছিল 16 আর ঈথামরের পরিবারের নেতার সংখ্যা ছিল 8। 5 ঘুঁটি চেলে প্রত্যেক পরিবার থেকে নেতা নির্বাচিত করা হত। কিছু লোককে পবিত্র স্থানের দায়িত্বে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ইলিয়াসর ও ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্যদের যাজক হিসাবে বাছা হয়েছিল।
6 লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নথনেলের পুত্র শময়িয় ছিলেন সচিব। রাজা দায়ূদের সামনে তিনি যাজক সাদোক, অবিয়াথরের পুত্র অহীমেলক ও যাজকগণ এবং লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এক একবার অক্ষ নিক্ষেপ করে এক এক জনের নাম উঠতো আর শময়িয় তা লিখে নিতেন। এইভাবে ইলিয়াসর এবং ঈথামর পরিবারের মধ্যে কাজকর্ম ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
7 এইভাবে প্রথম বার উঠেছিল যিহোয়ারীব গোষ্ঠীর নাম।
দ্বিতীয় বার যিদয়িয় গোষ্ঠীর নাম।
8 তৃতীয় বার হারীম গোষ্ঠীর নাম।
চতুর্থ বার সিয়োরীম গোষ্ঠীর নাম।
9 পঞ্চম বার মল্কিয় গোষ্ঠীর নাম।
ষষ্ঠ বার মিয়ামীন গোষ্ঠীর নাম।
10 সপ্তম বার হক্কোষ গোষ্ঠীর নাম।
অষ্টম বার অবিয় গোষ্ঠীর নাম।
11 নবম বার যেশূয় গোষ্ঠীর নাম।
দশম বার শখনিয় গোষ্ঠীর নাম।
12 একাদশ বার ইলীয়াশীব গোষ্ঠীর নাম।
দ্বাদশ বার যাকীম গোষ্ঠীর নাম।
13 ত্রয়োদশ বার হুপ্পের গোষ্ঠীর নাম।
চতুর্দশ বার যেশবাব গোষ্ঠীর নাম।
14 পঞ্চদশ বার বিল্গা গোষ্ঠীর নাম।
ষষ্ঠদশ বার ইম্মের গোষ্ঠীর নাম।
15 সপ্তদশ বার হেষীরে গোষ্ঠীর নাম।
অষ্টাদশ বার হপ্পিসেস গোষ্ঠীর নাম।
16 উনবিংশতি বার পথাহিয় গোষ্ঠীর নাম।
বিংশতি বার যিহিষ্কেল গোষ্ঠীর নাম।
17 একবিংশতি বার যাখীন গোষ্ঠীর নাম।
দ্বাবিংশতি বার গামূল গোষ্ঠীর নাম।
18 ত্রয়োবিংশতি বার দলায় গোষ্ঠীর নাম।
আর চতুর্বিংশতি বার উঠল মাসিয় গোষ্ঠীর নাম।
19 এইভাবে যাদের নাম উঠল তাদের প্রভুর মন্দিরের কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। হারোণকে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রদত্ত নিয়ম অনুযায়ী এঁদের মন্দিরের কাজ করতে হত।
অন্যান্য লেবীয়রা
20 অন্যান্য লেবিদের উত্তরপুরুষদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের তালিকা দেওয়া হল:
অম্রামের উত্তরপুরুষদের মধ্যে ছিলেন শবূয়েল
আর শবূয়েলের উত্তরপুরুষদের মধ্যে থেকে যেহদিয়়।
21 রহবিয়র বংশধরদের মধ্যে ছিলেন বড় ছেলে যিশিয়।
22 যিষহরীয় পরিবারগোষ্ঠী থেকে ছিলেন শলোমোৎ।
আর শলোমোতের পরিবার থেকে যহৎ।
23 হিব্রোণের পুত্রদের মধ্যে যথাক্রমে যিরিয়,
অমরিয়, যহসীয়েল
এবং যিকমিয়াম।
24 উষীয়েলের পুত্রদের মধ্যে মীখা
আর তার পুত্র শামীর।
25 মীখার ভাই যিশিয়র
পুত্রদের মধ্যে সখরিয়।
26 মরারির উত্তরপুরুষদের মধ্যে মহলি, মূশি আর যাসিয়।
27 এবং যাসিয়ের পুত্ররা ছিল শোহম, সক্কুর ও ইব্রি।
28 মহলির পুত্র ইলিয়াসরের কোনো পুত্র ছিল না।
29 কীশের পুত্রদের মধ্যে ছিলেন যিরহমেল।
30 আর মূশির পুত্রদের মধ্যে মহলি, এদর আর যিরেমোৎ।
পরিবার অনুযায়ী এই সমস্ত লেবির নেতাদের নামই নথিভুক্ত আছে। 31 তারা বিশেষ কাজের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তারা তাদের আত্মীয় হারোনের উত্তরপুরুষদের যাজকদের মতো ঘুঁটি চালতো। তারা লেবীয়র রাজা দায়ূদ, সাদোক অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় পরিবারের নেতাদের সামনে ঘুঁটি চেলে ঠিক করতেন যে কে কি কাজ করবে। কাজের ভার দেবার সময় বড় পরিবার ও ছোট পরিবারগুলির সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করা হত।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International