Beginning
9 ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দাদের নাম তাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ ছিল। সেই সমস্ত পারিবারিক ইতিহাস সঙ্কলিত করে ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থটি লেখা হয়।
জেরুশালেমের লোক
যিহূদার লোকদের জোর করে বাবিলে নির্বাসিত করা হয়েছিল কারণ তারা ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছিল। 2 পরবর্তীকালে নিজেদের বাসস্থানে প্রথম যাঁরা ফিরে এসে আবার বাস করতে শুরু করেন তাঁদের মধ্যে যাজকবর্গ, লেবীয়, মন্দিরের দাস ছাড়াও কিছু ইস্রায়েলীয় ব্যক্তি ছিলেন।
3 জেরুশালেমে বসবাসকারী যিহূদা, বিন্যামীন, ইফ্রয়িম আর মনঃশি পরিবার গোষ্ঠীর লোকদের তালিকা নিম্নরূপ:
4 উথয়ের পিতা অম্মীহূদ, অম্মীহূদের পিতা অম্রি, অম্রির পিতা ইম্রি, ইম্রির পিতা বানি, যিনি ছিলেন যিহূদার সন্তান খোদ পেরসের উত্তরপুরুষ।
5 শীলোনীয়দের মধ্যে জেরুশালেমে থাকতেন অসায় আর তাঁর পুত্ররা।
6 সেরহদের মধ্যে যুয়েল ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন সহ মোট 690 জন থাকতেন।
7 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর যাঁরা জেরুশালেমে থাকতেন তাঁরা হলেন: সল্লূর পিতা মশুল্লম, মশুল্লমের পিতা হোদবিয়, হোদবিয়র পিতা হস্নূয়, 8 যিরোহমের পুত্র ছিল যিব্নিয়, এলা ছিল উষির পুত্র, উষি ছিল মিখ্রির পুত্র, মশুল্লম ছিল শফটিয়র পুত্র, শফটিয় ছিল রূয়েলের পুত্র এবং রূয়েল ছিল যিব্নিয়র পুত্র। 9 বিন্যামীনদের পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই পরিবারের মোট 956 জন জেরুশালেমে বাস করতেন এবং এঁরা সকলেই নিজেদের পারিবারিক নেতা ছিলেন।
10 যাজকদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন যিদয়িয়, যিহোয়ারীব, যাখীন এবং হিল্কিয়র পুত্র অশূরীয়। 11 হিল্কিয় ছিলেন মশুল্লমের পুত্র, তাঁর পিতা ছিলেন সাদোক। সাদোকের পিতা মরায়োত, তাঁর পিতা অহীটূব। অহীটূব ঈশ্বরের মন্দিরের একজন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন। 12 এঁরা ছাড়াও বাস করতেন: অদায়ার পিতা যিরোহম, তাঁর পিতা পশ্হূর, তাঁর পিতা মল্কিয়, আর অদীয়েলের পুত্র মাসয়, অদীয়েলের পিতা যহসেরা, তাঁর পিতা মশুল্লুম, তাঁর পিতা মশিল্লমীত ও মশিল্লমীতের পিতা ইম্মের প্রমুখ।
13 সব মিলিয়ে যাজকদের সংখ্যা ছিল 1760 জন। এঁরা সকলে ঈশ্বরের মন্দিরে সেবার জন্য নিযুক্ত ও নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন।
14 লেবীয় পরিবারের মধ্যে যাঁরা জেরুশালেমে বাস করতেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ: শময়িয়র পিতা হশূব, তাঁর পিতা অস্রীকাম, তাঁর পিতা মরারির উত্তরপুরুষ হশবিয়। 15 এছাড়াও জেরুশালেমে থাকতেন বকবকর, হেরশ, গালল আর মত্তনিয়। মত্তনিয় ছিলেন মীখার পুত্র, মীখা সিখ্রির পুত্র, সিখ্রি আসফের পুত্র। 16 ওবদিয় ছিলেন শময়িয়র পুত্র, শময়িয় গাললের পুত্র, গালল যিদূথূনের পুত্র, যিদূথূন বেরিখিয়র পুত্র, বেরিখিয় আসার পুত্র আর আসা ছিল ইল্কানার পুত্র। বেরিখিয় নটোফার লোকদের কাছাকাছি ছোট শহরগুলোয় বসবাস করতেন।
17 দ্বাররক্ষীদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন শল্লুম, অক্কুব, টল্মোন, অহীমান এবং তাঁদের আত্মীয়রা। শল্লুম ছিলেন এঁদের নেতা। 18 এঁরা ছিলেন লেবি পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য এবং পূর্বদিকে রাজদ্বারের পাশে দাঁড়াতেন। 19 শল্লুম ছিলেন কোরির পুত্র, কোরি ইবীয়াসফের পুত্র, ইবীয়াসফ কোরহের পুত্র ছিলেন। শল্লুম এবং তাঁর ভাইরা ছিলেন কোরহ পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের পূর্বপুরুষদের মতোই তাঁরাও পবিত্র তাঁবুর দরজায় পাহারা দিতেন। 20 অতীতে ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মন্দিরের দ্বার রক্ষীদের তত্ত্বাবধান করতেন। প্রভু তাঁর সহায় ছিলেন। 21 মশেলেমিয়র পুত্র সখরিয়ও পবিত্র তাঁবুর দ্বাররক্ষীর কাজ করতেন।
22 সব মিলিয়ে 212 জন ব্যক্তি পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথগুলো পাহারা দিতেন। এঁদের সকলের নামই তাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে লেখা আছে। এঁরা সকলে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই ভাববাদী দায়ূদ ও শমূয়েল তাঁদের ও 23 তাঁদের উত্তরপুরুষদের প্রভুর গৃহ ও পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথ পাহারার কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। 24 উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব মিলিয়ে মোট চারটি প্রবেশ-পথ ছিল। 25 প্রায়ই দ্বাররক্ষীদের আত্মীয়রা তাদের ছোট ছোট শহরতলী থেকে এসে এঁদের 7 দিনের জন্য সাহায্য করতেন। 26 লেবীয় পরিবারের চারজন এই সমস্ত দ্বাররক্ষীদের নেতা ছিলেন। এঁদের সকলেরই কাজ ছিল ঈশ্বরের মন্দিরের ঘর-দোরের যত্ন নেওয়া ও মন্দিরের ধনসম্পদ রক্ষা করা। 27 সারা রাত ধরে তাঁরা মন্দির পাহারা দিতেন এবং তারপর সকালে ঈশ্বরের মন্দিরের দরজা খুলে দিতেন।
28 কিছু দ্বার রক্ষীদের কাজ ছিল মন্দিরের নিত্য ব্যবহৃত থালার হিসেব রাখা। এঁরা এই সমস্ত থালা বাইরে আনা ও নিয়ে যাওয়ার সময়ে গুনে রাখতেন। 29 কিছু দ্বার রক্ষী আসবাবপত্র, বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহৃত থালা ছাড়াও ময়দা, দ্রাক্ষারস, তেল, ধুপধূনো ও বিশেষ তেলের[a] দেখাশোনা করত। 30 কিন্তু যাজকরাই ব্যবহৃত সুগন্ধী তেলের দেখাশোনা করতেন।
31 কোরহ পরিবারের শল্লুমের বড় ছেলে মত্তিথিয় নামে জনৈক লেবীয় হোমের জন্য ব্যবহৃত রুটি সেঁকার দায়িত্বে ছিলেন। 32 কোরহ পরিবারের কিছু দ্বার রক্ষীর কাজ ছিল বিশ্রামের দিনে যে সমস্ত রুটি টেবিলে পরিবেশন করা হত সেগুলি প্রস্তুত করা।
33 যে সমস্ত লেবীয়রা গান গাইতেন এবং তাঁদের পরিবারের নেতা ছিলেন তাঁরা মন্দিরের ভেতরে ঘরে বাস করতেন। যেহেতু তাঁদের সারা দিন সারা রাত মন্দিরের কাজ করতে হত সেহেতু তাঁদের অন্য কোন কাজ করতে হত না।
34 পারিবারিক ইতিহাসে জেরুশালেমে বসবাসকারী এই সমস্ত লেবীয়দের তাঁদের পরিবারের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা আছে।
রাজা শৌলের পারিবারিক ইতিহাস
35 গিবিয়োনের পিতা যিয়ীয়েল গিবিয়োনে বাস করতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মাখা। 36 তাঁদের পুত্রদের নাম যথাক্রমে অব্দোন, সূর, কীশ, বাল, নের, নাদব, 37 গাদোর, অহিয়ো, সখরিয় ও মিক্লোত্। 38 মিক্লোতের পুত্র ছিল শিমিয়াম। যিয়ীয়েলের পরিবারের সকলেই তাঁদের আত্মীয়দের কাছাকাছি জেরুশালেমে বাস করতেন।
39 নেরের পুত্রের নাম ছিল কীশ, কীশের পুত্রের নাম শৌল, আর শৌলের পুত্রদের নাম ছিল যোনাথন, মল্কীশূয়, অবীনাদব ও ইশ্বাল।
40 যোনাথনের পুত্রের নাম ছিল মরিব্-বাল আর পৌত্রের নাম মীখা।
41 মীখার পুত্রদের নাম ছিল পিথোন, মেলক, তহরেয় আর আহস। 42 আহসের পুত্র ছিল যারঃ। যারের পুত্ররা ছিল আলেমৎ, অস্মাবৎ এবং সিম্রি। সিম্রি ছিল মোৎসার পিতা। 43 মোৎসার পুত্রের নাম বিনিয়া, বিনিয়ার পুত্রের নাম রফায়, রফায়ের পুত্রের নাম ছিল ইলীয়াসা আর ইলীয়াসার পুত্রের নাম আৎসেল।
44 আৎসেলের ছয় পুত্রের নাম ছিল অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিয়রিয়, ওবদিয় আর হানান।
রাজা শৌলের মৃত্যু
10 পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলীয় লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলে ইস্রায়েলীয়রা পালিয়ে গিয়েছিল। গিল্বোয় পাহাড়ে মারাও গিয়েছিল অনেকে। 2 পলেষ্টীয়রা রাজা শৌল ও তাঁর পুত্রদের পেছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত তাঁদের ধরে ফেলে হত্যাও করেছিল। শৌলের তিন পুত্র যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কি-শূয় পলেষ্টীয়দের হাতে মারা পড়েছিলেন। 3 এবং শৌলের চারপাশে যুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠে এবং শৌলকে পলেষ্টীয় তীরন্দাজরা তীর ছুঁড়ে আহত করে।
4 রাজা শৌল তখন তাঁর অস্ত্রবাহককে বললেন, “তুমি তরবারি বের করে নিজের হাতে আমায় হত্যা কর। তাহলে আর এই ভিন দেশীরা এসে আমায় নিয়ে মস্করা করতে বা আমায় আঘাত করতে পারবে না।”
কিন্তু রাজার অস্ত্রবাহক মহারাজকে হত্যা করতে ভয় পেল। তাই শৌল তখন নিজের তরবারি দিয়েই আত্মহত্যা করলেন। 5 অস্ত্রবাহক যখন দেখতে পেল রাজা শৌলের মৃত্যু হয়েছে তখন সেও নিজের তরবারি দিয়ে নিজেকে হত্যা করল। 6 অর্থাৎ রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র এক সঙ্গে মারা গেলেন।
7 সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দেখল তাদের সেনাবাহিনী রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র মারা গিয়েছে। তখন তারাও তাদের শহর ছেড়ে পালাল। পলেষ্টীয়রা সেই সমস্ত শহর দখল করে সেখানে বাস করতে শুরু করল।
8 পরের দিন পলেষ্টীয়রা মৃতদেহ থেকে দামী জিনিসপত্র খুলে নিতে এসে গিল্বোয় পর্বতে রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্রের মৃতদেহ খুঁজে পেল। 9 শৌলের দেহ থেকে দুর্মূল্য জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়ার পর পলেষ্টীয়রা শৌলের মুণ্ড এবং বর্ম নিয়ে নিল এবং তাদের লোকদের এবং তাদের দেবতাদের খবরটা জানানোর জন্য রাজ্যের সর্বত্র বার্তাবাহক পাঠাল। 10 তারপর তাদের ভ্রান্ত দেবতার মন্দিরে শৌলের কাটা মুণ্ডুটা ঝুলিয়ে দিল।
11 যাবেশ-গিলিয়দের সমস্ত লোকরা যখন জানতে পারল পলেষ্টীয়রা শৌলের কি দশা করেছে 12 তখন তারা শহরের সাহসী লোকদের রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ ফেরত আনতে পাঠাল। যাবেশ-গিলিয়দে রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ নিয়ে আসার পর তারা চার জনকেই যাবেশে একটা বড় গাছের তলায় সমাধিস্থ করে সাত দিন ধরে শোক প্রকাশ এবং উপোস করল।
13 প্রভুর প্রতি অনুগত না হওয়ার কারণেই এবং প্রভুর বাণী উপেক্ষা করার জন্যই শৌলের মৃত্যু হয়েছিল। প্রভুর উপদেশ নেবার পরিবর্তে শৌল এক মাধ্যমের কাছে পরামর্শের জন্য যেতেন। 14 এসব কারণেই প্রভু রাজা শৌলের মৃত্যু ঘটিয়ে যিশয়ের পুত্র দায়ূদের হাতে রাজ্য তুলে দিয়েছিলেন।
দায়ূদ ইস্রায়েলের রাজা হলেন
11 হিব্রোণে ইস্রায়েলের সমস্ত লোক দায়ূদের কাছে এসে বলল, “আপনার সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। 2 আগে, রাজা শৌল জীবিত থাকা কালীন আপনি আমাদের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রভু স্বয়ং আপনাকে বলেছিলেন, ‘দায়ূদ, তুমি আমার লোকদের, ইস্রায়েলের লোকদের মেষপালক হবে। একদিন তুমিই তাদের নেতা হবে।’”
3 ইস্রায়েলের সমস্ত নেতারাও হিব্রোণে দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে এলে, তিনি প্রভুর সাক্ষাতে তাঁদের সকলের সঙ্গে সেখানে চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং নেতারা সকলে তাঁর গায়ে সুগন্ধী তেল ছিটিয়ে তাঁকে ইস্রায়েলের নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক করলেন। শমূয়েলের মাধ্যমে প্রভু আগেই একথা ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন।
দায়ূদ জেরুশালেম দখল করলেন
4 দায়ূদ এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা তখন জেরুশালেমে গেলেন। সে সময়ে জেরুশালেম শহরের নাম ছিল যিবূষ। আর সেখানে যারা বাস করত তাদের যিবূষীয় বলা হত। এই সমস্ত যিবূষীয়রা 5 দায়ূদকে তাদের শহরে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করলে, দায়ূদ তাদের যুদ্ধে পরাজিত করে সিয়োনের দুর্গ দখল করলেন। এই অঞ্চলটিই পরবর্তী কালে দায়ূদ নগরী বা দায়ূদের শহর নামে পরিচিত হয়।
6 দায়ূদ বললেন, “যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে আমার সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে তাকেই আমি আমার সেনাবাহিনীর সেনাপতি করব।” তখন সরূয়ার পুত্র যোয়াব সেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিলেন এবং তাঁকে ইস্রায়েলীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি করা হল।
7-8 দায়ূদ ঐ দুর্গে তাঁর বসতি বিস্তার করে দুর্গের চারপাশে শহর বানিয়ে ছিলেন বলেই এই জায়গার নাম দায়ূদ নগরী হয়েছিল। দায়ূদ মিল্লো থেকে দুর্গের প্রাচীর পর্যন্ত অঞ্চলে শহর স্থাপন করেছিলেন। যোয়াব শহরের অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কার সাধন করেছিলেন। 9 এদিকে সর্বশক্তিমান প্রভুর সহায়তায় উত্তরোত্তর দায়ূদের শক্তিবৃদ্ধি হতে থাকল।
তিন জন বীর সৈনিক
10 ইস্রায়েলে দায়ূদের শাসন কালে তিনজন নেতা ক্ষমতা ও খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেছিলেন। এঁরা দায়ূদের বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব করতেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের সঙ্গে একত্রিতভাবে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়ূদের রাজ্যকে সহায়তা করতেন।
11 এই তিন জন ব্যক্তির মধ্যে প্রথম জন হলেন হক্মোনীয়ের পুত্র যাশবিয়াম।
তিনি ছিলেন রথ-পরিচালক অধিকর্তাদের নেতা। একবার যাশবিয়াম তাঁর বর্শা দিয়ে এক সঙ্গে 300 জনকে হত্যা করেছিলেন।
12 দ্বিতীয় জন হলেন অহোহের দোদোর পুত্র ইলিয়াসর। 13-14 তিনি পস্-দম্মীমে পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধের সময় দায়ূদকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। ইস্রায়েলের লোকরা যখন পলেষ্টীয়দের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পালাতে শুরু করেছিল সে সময় এই তিন জন বিরোধী সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এক ক্ষেত ভর্ত্তি যব রক্ষা করে এবং বিপক্ষীয় শত্রুদের প্রভুর সহায়তায় পরাজিত করে।
15 এক দিন যখন দায়ূদ অদুল্লমের গুহাতে আটকা পড়েছেন এবং রফায়ীম উপত্যকা পর্যন্ত পলেষ্টীয় সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে, সে সময় এই তিন বীর হামাগুড়ি দিয়ে সমস্ত পথটুকু গিয়ে দায়ূদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।
16 আর এক বার এক দল পলেষ্টীয় সেনা তখন বৈৎলেহমে আর দায়ূদ ছিলেন দুর্গের ভেতরে। 17 নিজের বাসভূমির এক গণ্ডুষ জল পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত দায়ূদ কথা প্রসঙ্গে সবে বলেছেন, “ইস, কেউ যদি এখন আমায় বৈৎলেহমের সিংহদরজার পাশের কুঁয়োটা থেকে একটু জল পান করাতে পারত।” দায়ূদ সত্যি করে চাইছিলেন না, কেবল মাত্র বলছিলেন। 18 সঙ্গে সঙ্গে এই তিন বীর যোদ্ধা পলেষ্টীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে গিয়ে বৈৎলেহমের যে কুঁয়োর জল দায়ূদ পান করতে চেয়েছিলেন, সেই জল নিয়ে আসলেন। দায়ূদ তখন সেই জল নিজে পান না করে নৈবেদ্য স্বরূপ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মাটিতে ঢেলে দিয়ে বললেন, 19 “হে প্রভু, নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে যারা এই জল আমার জন্য এনেছে তা পান করা আর তাদের রুধির পান করা সমতুল্য। তাই দায়ূদ জল পান করতে অস্বীকার করলেন।” দায়ূদের ঐ তিন জন নায়ক এই ধরণের আরো অনেক বীরত্বপূর্ণ কাজকর্ম করেছিলেন।
অন্যান্য বীর সৈনিকরা
20 যোয়াবের ভাই অবীশয় ছিলেন এই তিন বীরের নেতা। তিনি একবার বর্শা দিয়ে 300 জনকে হত্যা করেছিলেন। 21 অবীশয়ের খ্যাতি এদের কারো থেকে কম তো ছিলই না বরঞ্চ সেরা তিরিশ জন সেনার তুলনায়ও দ্বিগুণ ছিল। যদিও তিনি তিন বীরের একজন ছিলেন না, তবুও তিনি তাদের নেতা হয়েছিলেন।
22 যিহোয়াদার পুত্র বনায় একজন বীরযোদ্ধা ছিলেন। তিনি কব্সেলের লোক ছিলেন এবং বহু দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন। তিনি মোয়াবের দুই সাহসী যোদ্ধাকে হত্যা করা ছাড়াও একবার এক তুষারাচ্ছন্ন দিনে একটা গুহায় প্রবেশ করে একটা সিংহ মেরেছিলেন। 23 এছাড়াও বনায়, তাঁতীর দণ্ডের মত সুবিশাল বল্লমধারী 71/2 ফুট দীর্ঘ এক মিশরীয় সেনাকে মেরে ফেলেছিলেন। বনায়ের ছিল শুধু একটা লাঠি কিন্তু মিশরীয়র হাত থেকে তার বল্লমটা কেড়ে নিয়ে তিনি তাই দিয়েই ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করেন। 24 যিহোয়াদার এই বীরপুত্রের খ্যাতি ঐ তিন জন নায়কের তুলনায় কোন অংশে কম ছিল না। 25 এমনকি ঐ তিন জনের একজন না হয়েও তাঁর খ্যাতি সেরা তিরিশ জন সৈনিকের থেকে বেশি ছিল। দায়ূদ তাঁকে তাঁর দেহরক্ষীদের নেতা নিযুক্ত করেছিলেন।
30 জন বীর সৈনিক
26 যোয়াবের ভাই অসাহেল,
বৈৎলেহমের দোদোর পুত্র ইল্হানন,
27 হরোরের শম্মোৎ,
পলোনের হেলস,
28 তকোয়ের ইক্কেশের পুত্র ঈরা,
অনাথোতের অবীয়েষর,
29 হূশাতীয় সিব্বখয়,
অহোহর ঈলয়,
30 নটোফার মহরয়,
নটোফার বানার পুত্র হেলদ,
31 বিন্যামীন পরিবারের গিবিয়ার রীবয়ের পুত্র ইথয়,
পিরিয়াথোনের বনায়,
32 গাশ-উপত্যকা নিবাসী হূরয়,
অর্ব্বতীয় অবীয়েল,
33 বাহরূমের অস্মাবৎ,
শাল্বোনের ইলিয়হবঃ,
34 গিষোণের হাষেমের পুত্র হরারী,
শাগির পুত্র যোনাথন,
35 হরারী সাখরের পুত্র অহীয়াম,
ঊরের পুত্র ইলীফাল,
36 মখেরাতের হেফর,
পলোনার অহিয়,
37 কর্মিলের হিষ্রো,
ইষ্বয়ের পুত্র নারয়,
38 নাথনের ভাই যোয়েল,
হগ্রির পুত্র মিভর,
39 অম্মোনের সেলক,
সরূয়ার পুত্র যোয়াবের অস্ত্রবাহক বেরোতের নহরয়,
40 যিত্রয়ের ঈরা
আর গারেব,
41 হিত্তীয়ের ঊরিয়,
অহলয়ের পুত্র সাবদ,
42 রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান শীষার পুত্র অদীনা ও তাঁর ত্রিশ জন সঙ্গী,
43 মাখার পুত্র হানান,
মিত্নর যোশাফট,
44 অষ্টরোতের উষিয়,
অরোয়েরবের হোথমের দুই পুত্র শাম ও যিয়ীয়েল,
45 শিম্রির পুত্র যিদীয়েল
আর তাঁর ভাই তীষীয় যোহা,
46 মহবীর ইলীয়েল,
ইল্নামের দুই পুত্র যিরীবয় আর যোশবিয়,
মোয়াবের যিৎমা,
47 ইলীয়েল, ওবেদ আর মসোবায়ের যাসীয়েল প্রমুখ সকলেই ছিলেন দায়ূদের “সেরা তিরিশ” সৈন্যদলের সেনা।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International