Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
91 গুপ্ত আশ্রয় লাভের জন্য তুমি পরাৎপরের কাছে যেতে পারো।
সুরক্ষার জন্য তুমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
2 আমি প্রভুকে বলেছি, “আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল, আপনিই আমার দুর্গ।
হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাকে বিশ্বাস করি।”
3 ভয়ঙ্কর ব্যাধি এবং গুপ্ত বিপদ থেকে
ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
4 নিরাপত্তার জন্য তুমি ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
যেমন করে পাখি তার ডানা মেলে তার শাবকদের আগলে রাখে, তেমন করে, ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
তোমায় রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর হবেন একটি ঢাল ও প্রাচীরের মত।
5 রাতে তোমার ভয় পাওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
দিনের বেলাতেও শত্রুর তীরকে তুমি ভয় পাবে না।
6 নিশাকালে যে অসুখ আসে তাকে তুমি ভয় পাবে না,
কিংবা দিনের বেলায় যে ভয়ঙ্কর অসুস্থতা আসে তাকেও তুমি ভয় পাবে না।
14 প্রভু বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে, আমি তাকে রক্ষা করবো।
আমার অনুগামীরা যারা আমার নাম উপাসনা করে, তাদের আমি রক্ষা করবো।
15 আমার অনুগামীরা সাহায্যের জন্য আমায় ডাকবে এবং আমি তাদের সাড়া দেবো।
যখন তারা সমস্যায় পড়বে তখন আমি ওদের সঙ্গে থাকবো।
আমি ওদের রক্ষা করবো এবং সম্মান দেবো।
16 আমার অনুগামীদের আমি দীর্ঘ জীবন দেবো।
আমি ওদের রক্ষা করবো।”
ভ্রান্ত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে বিধান
9 ভাববাদীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা:
আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে।
প্রভু যা বলেছেন তাতে ভয়ে আমার হাড়ে পর্যন্ত কাঁপুনি ধরেছে।
প্রভুর পবিত্র বার্তাটির দরুণ,
আমি একজন বদ্ধ মাতালের মত বলছি।
10 যিহূদার মাটি ব্যাভিচারীদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ভরে গেছে।
তারা নানা বিষয়ে অবিশ্বস্ত।
প্রভুর অভিশাপে এই দেশের মাটি শুষ্ক হয়ে যাবে।
শুকিয়ে যাবে গাছের পাতা।
শুকিয়ে যাবে পশুচারণের তৃণভূমি।
শস্যভূমি শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাবে।
ভাববাদীরা হল শয়তান।
তারা তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতা ভুলভাবে ব্যবহার করেছিল।
11 “ভাববাদীরা তো বটেই,
এমন কি যাজকরাও শয়তান।
আমি তাদের আমার মন্দিরে খারাপ কাজ করতে দেখেছি।
এই হল প্রভুর বার্তা।
12 আমি যদি ভাববাদীদের এবং যাজকদের আমার বার্তা দেওয়া বন্ধ করি,
তাহলে তাদের পিচ্ছিল পথে, অন্ধকারের মধ্যে হাঁটতে হবে।
তারা ঐ অন্ধকারে পড়ে যাবে।
আমি তাদের ওপর দুর্বিপাক আনব।
আমি শাস্তি দেব ঐ সমস্ত ভাববাদী ও যাজকদের।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
13 “শমরিয়ার ভাববাদীদের অন্যায় করতে দেখেছি।
আমি ঐ ভাববাদীদের বাল মূর্ত্তির নামে ভাববাণী করতে দেখেছি।
ঐ ভাববাদীরা মিথ্যা শিক্ষা দিয়ে ইস্রায়েলবাসীকে প্রভুর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
14 এখন দেখছি যিহূদার ভাববাদীরা
সেই সব গর্হিত কাজগুলি জেরুশালেমে করছে।
এই ভাববাদীরা পাপ ও ব্যভিচার করে বেড়াচ্ছে।
তারা মিথ্যেকেই প্রশয় দিয়ে এসেছে এবং তারা ভুল শিক্ষাগুলিকে পালন করেছিল।
অসৎ লোকদের তারা একটা না একটা
গর্হিত কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।
তাই যিহূদার মানুষ সদোমের মানুষের মতো পাপ থেকে বিরত থাকেনি।
এখন জেরুশালেম আমার কাছে ঘমোরার মতো।”
15 সুতরাং প্রভু সর্বশক্তিমান ভাববাদীদের সম্বন্ধে যা বলেন তা হল এই:
“আমি ঐ ভাববাদীদের শাস্তি দেব।
বিষাক্ত খাদ্য ও জল পান করার মতো শাস্তি দেব।
ভাববাদীরা আত্মিক অসুখে ভুগতে শুরু করেছিল
এবং সেই অসুখ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাই আমি ঐ ভাববাদীদের শাস্তি দেব।
ঐ অসুখ ভাববাদীদের মাধ্যমে জেরুশালেমে এসেছিল।”
16 সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথাগুলি বলেন:
“ভাববাদীরা যা বলেছে তার দিকে তোমরা মন দিও না।
তারা তোমাদের বোকা বানাতে চাইছে।
ঐ ভাববাদীরা স্বপ্নদর্শন সম্বন্ধে কথা বলছে।
কিন্তু তারা আমার কাছ থেকে কোন স্বপ্নাদেশ পায় নি।
ঐ স্বপ্নদর্শনগুলো তাদের নিজেদের মনের স্বপ্নদর্শন।
17 কিছু লোক প্রভুর সত্য বার্তাকে ঘৃণা করে
তাই ভাববাদীরা ঐ লোকদের ভুল বার্তা দেয়।
তারা বলে, ‘তোমরা শান্তিতে বিরাজ করবে।’
কিছু মানুষ ভীষণ একগুঁয়ে, জেদী।
তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করে।
তাই সেই সুযোগ নিয়ে ভাববাদীরা ঐ জেদী লোকদের বলল,
‘তোমাদের সঙ্গে খারাপ কোন ঘটনা ঘটবে না!’
18 কিন্তু ঐ ভাববাদীদের কেউই স্বর্গীয় সভায় দাঁড়ায়নি।
তাদের কেউই প্রভুকে দেখেনি
বা প্রভুর বার্তা শোনেনি।
19 এখন প্রভুর কাছ থেকে ঝড়ের মতো শাস্তি আসবে।
প্রভুর ক্রোধ হল ঘূর্ণিঝড়।
সেই ঝড় অসৎ লোকেদের মাথার ওপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে।
20 পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শেষ না করে
প্রভু তাঁর ক্রোধ প্রশমিত করবেন না।
সেই দিনটি যখন আসবে
তখন তোমরা পরিষ্কার ভাবে এটি বুঝতে পারবে।
21 আমি ঐ ভাববাদীদের পাঠাইনি।
অথচ তারা দৌড়ে বেড়ালো নিজেদের তৈরী বার্তা নিয়ে।
আমি তাদের সঙ্গে কথা বলিনি।
অথচ তারা আমার নাম করে প্রচার করেছিল তাদের ভ্রান্ত ধর্মোপদেশ।
22 তারা যদি আমার স্বর্গীয় সভায় দাঁড়াতো,
তাহলে তারা আমার বার্তা যিহূদার লোকদের কাছে প্রচার করতে পারত।
তারা মানুষকে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত করতে পারত।
তারা মানুষকে অসৎ হওয়া থেকে বিরত করতে পারত।”
8 আমি আদেশ করে বলছি না, কিন্তু অন্যের আগ্রহের উদাহরণ দিয়ে তোমাদের ভালবাসা যথার্থ কিনা পরীক্ষা করছি। 9 কারণ তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহের কথা জান। তিনি ধনী হয়েও তোমাদের জন্য দরিদ্র হলেন, যাতে তোমরা তাঁর দারিদ্র্যে ধনবান হয়ে উঠতে পার।
10 এবিষয়ে আমি আমার পরামর্শ তোমাদের দিচ্ছি কারণ তোমাদের পক্ষে এটা মঙ্গলজনক। যেহেতু গত বছর তোমরাই প্রথম কাজ করতে আরম্ভ করেছিলে, শুধু তাই নয় সেই কাজ করার ইচ্ছাও তোমরাই প্রথমে প্রকাশ করেছিলে। 11 তোমরা আগ্রহের সাথে যে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলে, এখন তা সেই একই আগ্রহের সঙ্গে তোমাদের সাধ্যমত শেষ কর। 12 কারণ দেবার মতো ইচ্ছা থাকলে তবেই তোমাদের দান গ্রাহ্য হবে। তোমাদের যা আছে সেই ভিত্তিতে দিলেই তোমাদের দান গ্রাহ্য হবে, তোমাদের যা নেই সেই অনুযায়ী নয়। 13 কারণ আমাদের উদ্দেশ্য এই নয় যে, অন্য সকলে আরাম করবে আর তোমরা কষ্টে পড়বে, বরং সব কিছুতে যেন সমতা থাকে। 14 বর্তমানে তোমাদের যথেষ্ট রয়েছে, তার থেকে দিয়ে তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে, আবার প্রয়োজনে তাদের যা বেশী হবে তা দিয়ে তোমাদের অভাব মিটবে। এইভাবে যেন সর্বত্র সমতা বজায় থাকে। 15 শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে,
“যে বেশী কুড়োলো, তার বাড়তি থাকল না;
যে অল্প কুড়োলো, তার অভাব হল না।”(A)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International