Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
14 একজন দুষ্ট নির্বোধ লোক মনে মনে বলে, “ঈশ্বর নেই।”
এইসব লোকরা ভয়ঙ্কর ও দুষ্ট কাজকর্ম করে।
তাদের মধ্যে একজনও নেই যে ভালো কাজ করে।
2 ওদের মধ্যে ঈশ্বরের সাহায্য কামনা করে
এমন দেখবার জন্য প্রভু স্বর্গ থেকে
লোকদের প্রতি লক্ষ্য রেখেছিলেন। (জ্ঞানী লোকরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরমুখী হয়।)
3 কিন্তু প্রত্যেকটি লোকই ঈশ্বরের থেকে বিমুখ হয়ে গেছে।
সব লোকই, মন্দ লোকে পরিণত হয়েছে।
না, একটা লোকও ভালো কাজ করে নি!
4 মন্দ লোকরা আমার লোকদের বিনষ্ট করেছে।
ওই সব মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে চেনে না।
মন্দ লোকদের জন্য গলাধঃকরণ করার মত প্রচুর খাদ্য রয়েছে।
এমনকি তারা প্রভুর উপাসনা পর্যন্ত করে না।
5 ঐসব মন্দ লোক, একজন দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে উপদেশ শুনতে চায় না।
কেন? কারণ ওই দরিদ্র লোকটি ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সৎ লোকদের সঙ্গে থাকেন।
সুতরাং মন্দ লোকদের ভয়ের অনেক কারণ আছে।
7 সিয়োন পর্বত থেকে কে ইস্রায়েলকে রক্ষা করে?
তিনি স্বয়ং প্রভু যিনি ইস্রায়েলকে রক্ষা করেন!
প্রভু যখন আবার তাঁর লোকদের তাদের দেশ থেকে সমৃদ্ধশালী করেন,
তখন যাকোবের পরিবার আনন্দ করুক।
ইস্রায়েলের লোকেরা সুখী হোক্।[a]
13 দেখো। মেঘের মতো শত্রু নড়ে উঠছে।
তার রথসমূহকে দেখাচ্ছে যেন ভয়াবহ ঝড়।
তার ঘোড়াগুলো ঈগলদের চাইতেও দ্রুতগামী।
এটি আমাদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো।
14 হে জেরুশালেমবাসী, কু-মতলব ত্যাগ করো।
হৃদয় থেকে সমস্ত শয়তানি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দাও।
আত্মাকে শুদ্ধ করলে তবেই তোমরা রক্ষা পাবে।
15 ডান দেশের[a] সম্প্রদায়ের বার্তাবাহকের কথা শোন।
ইফ্রয়িমের পর্বতমালা থেকে কেউ দুর্ঘটনার খবর নিয়ে আসছে।
16 “সারা জেরুশালেমবাসীকে
সেই খবর জানিয়ে দাও।
বহুদূরের দেশ থেকে শত্রুরা যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছে।
ঐ শত্রুরা চিৎকার করে যিহূদার শহরগুলির বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ধ্বনি দিচ্ছে।
17 জেরুশালেমকে তারা সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ফেলেছে।
যেমন একটি মাঠে লোকরা লক্ষ্য রাখে।
যিহূদা তুমি আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিলে
তাই শত্রু পক্ষ তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
এই ছিল প্রভুর বার্তা।
18 “তোমার জীবনযাত্রা এবং কার্যকলাপই
এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
তোমার শয়তানি তোমার জীবনকে খুব কঠোর করেছে।
এই মূহুর্তে তোমার শয়তানিই তোমার যন্ত্রণার কারণ।
যেটা তোমার হৃদয়ের গভীরে আঘাত করছে।”
যিরমিয়ের কান্না
19 হায়! দুঃখ, যন্ত্রণা এবং চিন্তায়
আমি কুঁকড়ে যাচ্ছি, হায়! কি দুশ্চিন্তা!
কি ভয়। আমি অন্তরে ব্যথিত।
আমার হৃদয় ধুক্ ধুক্ করছে।
না, আমি আর চুপ করে থাকতে পারছি না কারণ আমি শত্রু পক্ষের শিঙা শুনেছি।
ঐ শিঙা ধ্বনি যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছে।
20 বিপর্যয় বিপর্যয়কে অনুসরণ করে।
এই পুরো দেশটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।
হঠাৎই আমার তাঁবু ধ্বংস হয়ে গেল।
আমার পর্দাগুলো ছিঁড়ে গেছে।
21 প্রভু, আর কতদিন এই যুদ্ধের পতাকা আমাকে দেখতে হবে?
কতদিন আমি আর এই যুদ্ধের দামামা শুনব?
29 যিহূদার লোকরা শুনতে পাবে
অশ্বারোহী ও তীরন্দাজ সৈন্যবাহিনীর হুঙ্কার
এবং ভয়ে তারা দৌড়ে পালাবে।
কেউ লুকোবে গুহার ভেতরে,
কেউ ঝোপঝাড়ে,
কেউ বা পাথরের আড়ালে।
যিহূদার সমস্ত শহরগুলি জনমানবহীন হয়ে যাবে।
সেখানে কেউ বাঁচবে না।
30 যিহূদা তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছ।
তাহলে, এখন তুমি কি করছ?
ঐ সমস্ত প্রেমিকদের জন্য তুমি তোমার সব চেয়ে ভালো পোশাক পরেছো,
নিজেকে অলঙ্কারে সাজিয়েছো,
চোখে দিয়েছ কাজল,
সুন্দর দেখাবার জন্য নিজেকে সাজিয়েছো।
কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই
কারণ তোমার প্রেমিকরা এখন তোমাকে ঘৃণা করে।
তারাই তোমাকে মারতে চেষ্টা করছে।
31 একজন মহিলা প্রসব বেদনায় যেমন করে
তেমনি একটি কান্না আমি শুনতে পাচ্ছি।
এই কান্না একজন মহিলার তার প্রথম সন্তান প্রসব করবার কান্নার মত।
এই মহিলা হল সিয়োন কন্যা।
সে হাত জড়ো করে প্রার্থনার ভঙ্গিতে বলছে,
“ওঃ, আমি অজ্ঞান হয়ে যাব!
ঘাতকরা আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে!”
11 “আমিই উত্তম মেষপালক। উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে। 12 কোন বেতনভূক কর্মচারী প্রকৃত মেষপালক নয়। মেষরা তার নিজের নয়, তাই সে যখন নেকড়ে বাঘ আসতে দেখে তখন মেষদের ফেলে রেখে পালায়। আর নেকড়ে বাঘ তাদের আক্রমণ করে এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে। 13 বেতনভূক কর্মচারী পালায়, কারণ বেতনের বিনিময়ে সে কাজ করে, মেষদের জন্য তার কোন চিন্তাই নেই।
14-15 “আমিই উত্তম পালক। আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে। ঠিক যেমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই। 16 আমার এমন আরো অনেক মেষ আছে যারা এই খোঁয়াড়ের নয়। আমি অবশ্যই তাদেরও আনব, তারাও আমার কথা শুনবে আর তারা তখন সকলে এক পাল হবে আর তাদের পালকও হবেন একজন। 17 এই কারণেই পিতা আমায় ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দান করি যেন আবার তা পেতে পারি। 18 কেউ আমার কাছ থেকে তা হরণ করে নিতে পারবে না, বরং আমি তা স্ব-ইচ্ছাতেই করছি। এটা দান করার অধিকার আমার আছে এবং আবার তা ফিরে পাওয়ার অধিকারও আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকেই আমি এইসব শুনেছি।”
19 এইসব কথার কারণে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ হল। 20 তাদের মধ্যে অনেকে বলল, “ওকে ভূতে পেয়েছে, ও পাগল। ওর কথা কেন শুনছ?”
21 আবার অন্যরা বলল, “যাদের ভূতে পায় তারা তো এমন কথা বলে না। ভূত নিশ্চয়ই অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দান করতে পারে না, পারে কি?”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International