Chronological
5 তাই প্রভু যর্দন নদী শুকিয়ে দিলেন যতক্ষণ না সমস্ত লোক তা পেরিয়ে যায়। যর্দ্দনের পশ্চিমে বসবাসকারী ইমোরীয় এবং ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী কনানীয়দের রাজারা এসব শুনে বেশ ভয় পেয়ে গেল। ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে লড়াই করার মতো সাহস তাদের রইল না।
ইস্রায়েলীয়দের সুন্নৎকরণ
2 তখন যিহোশূয়কে প্রভু বললেন, “চক্মকি পাথর থেকে ক্ষুর বানিয়ে নাও, আর সেই ক্ষুর দিয়ে ইস্রায়েলের পুরুষদের সুন্নৎ করো।”
3 সেই মতো যিহোশূয় চকমকি পাথর থেকে ক্ষুর বানিয়ে নিয়ে জিবিথ হারালোথে ইস্রায়েলীয়দের সুন্নৎ করলেন।
4-7 ইস্রায়েলীয়দের সুন্নৎ করার পেছনে যিহোশূয়র একটা কারণ ছিল। ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ছেড়ে চলে গেলে যারা সৈন্যবাহিনীতে ছিল তাদের সবাইকে সুন্নৎ করা হয়েছিল। মরুভূমিতে থাকার সময় অনেক যোদ্ধাই প্রভুর কথা শোনেনি। তখন প্রভু তাদের প্রতিশ্রুতি দিলেন যে তারা ঐ দেশটি সুজলা-সুফলা রূপে দেখতে পাবে না। তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে সেই দেশই দিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, কিন্তু যারা তাঁর বাণী অগ্রাহ্য করেছিল তাদের ঈশ্বর 40 বছর মরুভূমিতে ঘুরিয়েছিলেন যে পর্যন্ত না ঐ সমস্ত যোদ্ধারা শেষ হয়। তারা মারা গেলে তাদের সন্তানরা তাদের স্থান নিল। মিশর থেকে চলে আসার পর তাদের সন্তানদের মরুভূমিতে জন্ম হয়েছিল। এদের কাউকে সুন্নৎ করা হয় নি। তাই যিহোশূয় তাদের সুন্নৎ করেছিলেন।
8 যিহোশূয় সকলের সুন্নৎকরণ শেষ করলেন। তারা সেখানেই তাঁবু খাটিয়ে থেকে গেল। যতদিন পর্যন্ত সবাই সেরে না উঠল ততদিন তারা তাঁবুতে বিশ্রাম নিল।
কনানে প্রথম নিস্তারপর্ব উৎসব
9 সেই সময় প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “মিশরে তোমরা সবাই ছিলে ক্রীতদাস। এই দাসত্ব তোমাদের লজ্জিত করে রেখেছিল। আজ তোমাদের সব লজ্জা সংকোচ আমি হরণ করলাম।” যিহোশূয় সেই জায়গাটির নাম দিলেন গিল্গল। আজও সে জায়গার নাম গিল্গল থেকে গেছে।
10 ইস্রায়েলের লোকরা নিস্তারপর্ব উৎসব পালন করল। যিরীহোর সমতলভূমিতে গিল্গলে যেখানে তাঁবু খাটিয়েছিল সেখানেই তারা উৎসব করল। সেই মাসের 14তম দিনে সন্ধ্যাবেলা সেই উৎসব হল। 11 নিস্তারপর্ব উৎসবের পরের দিন তারা সে দেশের উৎপন্ন খাদ্য দ্রব্যই খেয়েছিল। তারা খেয়েছিল খামিরবিহীন রুটি আর ভাজা দানাশস্য। 12 পরদিন সকালে আকাশ থেকে আর বিশেষ ধরণের খাদ্য বর্ষণ হল না। যেদিন থেকে ইস্রায়েলের লোকরা কনানে উৎপন্ন খাদ্য খেতে শুরু করল, সেদিন থেকে স্বর্গ থেকে খাদ্য আসা বন্ধ হল।
প্রভুর সৈন্যবাহিনীর সেনাধ্যক্ষ
13 যখন যিহোশূয় যিরীহোর কাছাকাছি গেলেন, তিনি তাকিয়ে দেখলেন একজন মানুষ তরবারি হাতে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। যিহোশূয় তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “কে আপনি? আমাদের শত্রু না মিত্র?”
14 মানুষটি বললেন, “না, আমি শত্রু নই। আমি প্রভুর সৈন্যবাহিনীর সেনাধ্যক্ষ। আমি এইমাত্র তোমার কাছে এসেছি।”
তখন যিহোশূয় তাঁকে সম্মান জানাতে মাথা নীচু করে বললেন, “আমি আপনার ভৃত্য। প্রভু কি আমার জন্য কোন আদেশ দিয়েছেন?”
15 প্রভুর সেনাধ্যক্ষ বললেন, “জুতো খোলো। যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে তা এখন পবিত্র স্থান।” তাই যিহোশূয় তাঁর আদেশ পালন করলেন।
6 যিরীহো শহরের সমস্ত প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শহরের লোকেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল কারণ ইস্রায়েলের লোকেরা কাছেই ছিল। শহর থেকে কেউ বেরোত না, শহরে কেউ আসতও না।
2 তখন প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “শোনো, আমি তোমাদের যিরীহো দখল করতে দিচ্ছি। তোমরা রাজা আর শহরের সমস্ত যোদ্ধাকে পরাজিত করবে। 3 দিনে একবার করে সমস্ত শহরের চারিদিকে সৈন্যদের টহল দেওয়াবে। এরকম ছয় দিন করবে। 4 পবিত্র সিন্দুকটি যাজকদের বহন করতে বলবে। সাতজন যাজককে মেষের তৈরী শিঙা নিতে বলবে। সেই সিন্দুকটির সামনে দিয়ে যাজকদের যেতে বলবে। সপ্তম দিনে শহরটিকে সাতবার প্রদক্ষিণ করবে। ঐ দিন যাজকদের যাবার সময় শিঙা বাজাতে বলবে। 5 তারা একবার খুব জোরে শিঙা বাজাবে। সেই শিঙার শব্দ শুনতে পেলেই লোকদের চিৎকার করতে বলবে। তোমরা এই কাজ করলে শহরের প্রাচীরগুলো ভেঙ্গে পড়বে, আর তোমার লোকরাও সোজা শহরে ঢুকে পড়তে পারবে।”
যিরীহো অধিকৃত
6 নূনের পুত্র যিহোশূয় সেই মত যাজকদের সকলকে একত্র ডেকে বললেন, “প্রভুর পবিত্র সিন্দুক আপনারা বহন করুন। আপনাদের মধ্যে সাত জনকে শিঙা নিয়ে সিন্দুকের সামনে দিয়ে এগিয়ে যেতে বলুন।”
7 তারপর যিহোশূয় লোকদের আদেশ দিলেন, “এবার যাও। শহরকে প্রদক্ষিণ করো। সশস্ত্র সৈন্যরা প্রভুর পবিত্র সিন্দুকের সামনে থেকে অভিযান করবে।”
8 যিহোশূয়র কথা শেষ হলে সাত জন যাজক প্রভুর সমক্ষে যাত্রা শুরু করলেন। তাঁরা সাতটি শিঙা বহন করলেন এবং চলতে চলতে বাজাতে লাগলেন। যাজকরা তাঁদের পিছনে পিছনে প্রভুর পবিত্র সিন্দুক বয়ে নিয়ে চললেন। 9 যে সমস্ত যাজকরা শিঙা বাজাচ্ছিলেন সশস্ত্র সৈন্যরা তাঁদের সামনে চলে গেল। বাকী লোকরা পবিত্র সিন্দুকের পিছনে হাঁটছিল। তারা শিঙা বাজাতে বাজাতে শহর পরিক্রমা করল। 10 যিহোশূয় তাদের যুদ্ধধ্বনি দিতে বারণ করলেন। তিনি বললেন, “এখন চিৎকার কোরো না। আমি তোমাদের না বলা পর্যন্ত একটা কথাও বলবে না। যেদিন বলব সেদিন চেঁচিয়ো।”
11 যিহোশূয়র কথা মত যাজকরা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক নিয়ে একবার শহর প্রদক্ষিণ করলেন। তারপর তাঁরা তাঁবুতে ফিরে গিয়ে রাত্রি কাটালেন।
12 পরদিন খুব ভোরে যিহোশূয় ঘুম থেকে উঠলেন। যাজকরা আবার প্রভুর সিন্দুক কাঁধে তুলে নিলেন। 13 সাত জন যাজক সাতটি শিঙা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। তাঁরা প্রভুর পবিত্র সিন্দুকের সামনে শিঙা বাজাতে বাজাতে এগিয়ে চললেন। তাঁদের আগে আগে চলেছে সশস্ত্র সৈন্যরা। বাকী লোকরা প্রভুর পবিত্র সিন্দুকের পেছনে পেছনে চলছিল এবং প্রতিবার প্রদক্ষিণের পর তাদের শিঙা বাজাচ্ছিল। 14 দ্বিতীয় দিন তারা সকলে একবার শহর পরিক্রমা করল। তারপর শিবিরে ফিরে এলো। দুদিন ধরে তারা প্রতিদিন এইভাবেই কাটাল।
15 সপ্তম দিনে উষাকালে তারা উঠে পড়ল। তারা সাতবার শহর প্রদক্ষিণ করল। এর আগে এভাবেই তারা শহর প্রদক্ষিণ করেছিল, কিন্তু সেদিন তারা সাতবার শহর প্রদক্ষিণ করল। 16 সপ্তম বার তারা শহর পরিক্রমা করলে যাজক শিঙা বাজালেন। তখন যিহোশূয় আদেশ দিলেন, “এবার চিৎকার করো। প্রভু তোমাদের এই শহর দান করেছেন। 17 এই শহর এবং শহরের সবকিছু প্রভুর। শুধু গণিকা রাহব এবং তার বাড়ীর লোকরা বেঁচে থাকবে। এদের তোমরা হত্যা কোরো না, কারণ সে আমাদের দুজন গুপ্তচরকে সাহায্য করেছিল। 18 আর একথাও মনে রেখো, আর যা সব আছে আমরা ধ্বংস তো করবই, কিন্তু তোমরা কোন কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। যদি তোমরা ঐসব জিনিস সঙ্গে নিয়ে আমাদের শিবিরে আসো, তবে তোমরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তোমরা ইস্রায়েলের লোকদেরও বিপদ ডেকে আনবে। 19 যত সোনা, রূপা, আর পিতল ও লোহার তৈরী জিনিসপত্র আছে সবই প্রভুর সম্পদ। সেই সব সম্পদ প্রভুর কোষাগারেই থাকবে।”
20 যাজকরা শিঙা বাজালেন। লোকরা শিঙার শব্দ শুনে চিৎকার করে উঠল। প্রাচীরগুলো ভেঙ্গে পড়ল। তারা সকলে দৌড়ে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ল। এইভাবে ইস্রায়েলের লোকরা শহর দখল করে নিল। 21 শহরে যা কিছু ছিল সব তারা ধ্বংস করে ফেলল। জীবিত সব কিছুকেই তারা মেরে ফেলল। যুবক যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কাউকেই বাদ দিল না। গরু, মেষ, গাধা সকলকে তারা মেরে ফেলল।
22 যিহোশূয় গুপ্তচর দুজনের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, “সেই গণিকার গৃহে তোমরা যাও। তাকে এবং তার সঙ্গে যারা আছে তাদের বার করে নিয়ে এসো। তোমরা তাকে যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে, সেই প্রতিশ্রুত কথা অনুসারে কাজ করো।”
23 সেই মত দুজন বাড়ীতে ঢুকে রাহবকে বার করে আনল। তারা তার মাতা, পিতা, ভাই পরিবারের সকলকেই বার করে আনল। তাছাড়া আর যারা রাহবের সঙ্গে ছিল তাদেরও উদ্ধার করল। এদের সবাইকে তারা ইস্রায়েলের শিবিরের বাইরে একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে দিল।
24 তারপর ইস্রায়েলবাসীরা সমস্ত শহর জ্বালিয়ে দিল। সোনা, রূপো, পিতল আর লোহার তৈরী জিনিস ছাড়া আর সব কিছুই তারা জ্বালিয়ে দিল। তারা ঐ জিনিসগুলি প্রভুর কোষাগারে রাখল। 25 গণিকা রাহব, তার পরিবারের সকলকে এবং তার সঙ্গে আর যারা ছিল যিহোশূয় তাদের সবাইকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি তাদের বাঁচিয়েছিলেন, কারণ রাহব যিহোশূয়র পাঠানো গুপ্তচরদের, যারা যিরীহোতে এসেছিল তাদের সাহায্য করেছিল। আজও ইস্রায়েলবাসীদের মধ্যে রাহব বাস করছে।
26 সেই সময় যিহোশূয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন:
“যে গড়িবে পুনরায় যিরীহো নগর,
প্রভুর রোষানল পড়িবে তাহার উপর।
নগরের ভিত্তি যে করিবে স্থাপন,
জ্যেষ্ঠতম সন্তান সে খোয়াবে আপন;
যে জন নির্মাণ করে নগরের দ্বার,
কনিষ্ঠ সন্তান তার হইবে সংহার।”[a]
27 প্রভু যিহোশূয়র সঙ্গে রইলেন। আর যিহোশূয় সারা দেশে বিখ্যাত হয়ে গেলেন।
আখনের পাপ
7 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে নি। যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর একজনের নাম ছিল আখন। তার পিতার নাম কর্ম্মি, পিতামহের নাম জিমরি। আখন কিছু জিনিস রেখেছিল, যেগুলো নষ্ট করে দেওয়া উচিৎ ছিল। সেই জন্য প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের উপর ক্রুদ্ধ হলেন।
2 তারা যিরীহো দখল করার পর যিহোশূয় কয়েকজন লোককে অয়তে পাঠালেন। অয় বৈথেলের পূর্বদিকে বৈৎ-আবনের কাছে অবস্থিত। যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা অয়তে যাও। সেই জায়গায় কি কি দুর্বল দিক আছে দেখে এসো।” সে কথা শুনে লোকরা সেই দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গেল।
3 কিছুদিন পর তারা যিহোশূয়র কাছে ফিরে এলো। তারা বলল, “অয় বেশ দুর্বল জায়গা। দখল করার জন্য আমাদের সকলের যাবার দরকার নেই। 2000 অথবা 3000 লোক পাঠালেই চলবে। গোটা সৈন্যবাহিনী কাজে লাগাবার দরকার নেই। খুব কম লোকই সেখানে আছে যারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”
4-5 প্রায় 3000 লোক অয়তে গেল। অয়ের লোকরা প্রায় 36 জন ইস্রায়েলের লোককে হত্যা করেছিল এবং ইস্রায়েলীয়রা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অয়ের লোকরা শহরের ফটক থেকেই তাদের তাড়া করছিল। তারা পালিয়ে গিয়েছিল যেখানে নিরেট শিলাখণ্ড থেকে পাথর কাটা হয়। অয়ের লোকরা তাদের হারিয়ে দিয়েছিল।
এইসব দেখে ইস্রায়েলের লোকরা খুব ভয় পেয়ে গেল, তারা সাহস হারিয়ে ফেলল। 6 যিহোশূয় যখন এই সংবাদ পেলন তখন মনের দুঃখে তিনি তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। পবিত্র সিন্দুকের সামনে তিনি মাটিতে মাথা নুইয়ে দিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই তিনি কাটালেন। ইস্রায়েলের নেতারাও এভাবে মাথা হেঁট করে বসে রইল। দুঃখ বেদনা প্রকাশ করতে তারাও নিজেদের মাথায় ধুলো ছুঁড়লো।
7 যিহোশূয় বললেন, “হে প্রভু, আমার স্বামী! তুমি আমাদের সকলকে যর্দন নদী পার করিয়ে এখানে এনেছ। কেন তুমি এতদুর টেনে নিয়ে এসে তারপর ইমোরীয় লোকদের দিয়ে আমাদের এই সর্বনাশ করলে? আমরা যর্দ্দনের ওপারেই তো সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারতাম। 8 হে প্রভু! আমি প্রাণের শপথ করে বলছি, এখন আর আমার বলার মতো কিছুই নেই। ইস্রায়েল তার শত্রুর কাছে হেরে গেছে। 9 কনানীয়রা ও অন্যান্য অধিবাসীরা সকলেই জানতে পারবে কি ঘটেছে। এরপর তারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমাদের মেরে ফেলবে, তখন তোমার মহানাম রক্ষা করতে তুমি কি করবে?”
10 প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “কেন তোমরা মাটিতে মাথা নুইয়ে বসে আছ? উঠে দাঁড়াও! 11 ইস্রায়েলের লোকরা আমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে। যে চুক্তি পালন করতে তাদের আদেশ দিয়েছিলাম তারা তা ভঙ্গ করেছে। যে সব জিনিস তাদের ধ্বংস করতে আদেশ করেছিলাম, তার মধ্যে থেকে কিছু জিনিস তারা নিয়েছে। আর আমার সম্পত্তি চুরি করেছে। তারা মিথ্যাবাদী। তারা সেসব নিজেদের ব্যবহারের জন্য নিয়ে গিয়েছে। 12 সেই জন্য ইস্রায়েলীয় সৈন্য যুদ্ধ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। কারণ তারা অন্যায় করেছিল। তাদের শেষ করে দেওয়াই উচিৎ। আমি তোমাদের আর সাহায্য করব না। যদি তোমরা আমার নির্দেশমত প্রত্যেকটি জিনিস নষ্ট না কর, তাহলে আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব না।
13 “যাও! তাদের পবিত্র করো। তাদের বলো, ‘তোমরা নিজেদের শুচি করো। আগামীকালের জন্য তৈরী হও। ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বর স্বয়ং বলেছেন যে কিছু লোক তাঁর নির্দেশ মতো জিনিসগুলো নষ্ট না করে সেগুলো রেখে দিয়েছে। সেগুলো ফেলে না দিলে কিছুতেই তোমরা শত্রুদের হারাতে পারবে না।
14 “‘কাল সকালে তোমরা সবাই প্রভুর সামনে অবশ্যই দাঁড়াবে। সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াবে। এরপর তিনি একটি পরিবারগোষ্ঠী বেছে নেবেন। তারপর সেই পরিবারগোষ্ঠীটি প্রভুর সামনে দাঁড়াবে। এরপর প্রভু সেই পরিবারগোষ্ঠীর প্রতিটি বংশ খুঁটিয়ে দেখবেন এবং একটি বংশ বেছে নেবেন। তারপর তিনি সেই বংশের প্রতিটি সদস্যকে বেছে নেবেন। 15 যে ব্যক্তি ঐ সমস্ত জিনিস রেখে দিয়েছে, যা আমাদের নষ্ট করে দেওয়া উচিৎ ছিল, সে ধরা পড়বে। তারপর তাকে পুড়িয়ে মারা হবে এবং তার সঙ্গে তার যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলা হবে। ব্যক্তিটি প্রভুর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভঙ্গ করেছে। ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি সে খুব অন্যায় করেছে।’”
16 পরদিন খুব ভোরে যিহোশূয় ইস্রায়েলের লোকদের প্রভুর কাছে নিয়ে গেলেন। সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াল এবং প্রভু যিহূদার পুরো পরিবারগোষ্ঠীকে মনোনীত করলেন। 17 সুতরাং যিহূদার সমস্ত পরিবারগোষ্ঠী প্রভুর সামনে দাঁড়াল। তিনি সেরহীয় বংশকে মনোনীত করলেন এবং সেই বংশের প্রতিটি পরিবার প্রভুর সামনে দাঁড়াল। সেই পরিবারগুলোর মধ্য থেকে জিমরি পরিবারকে বেছে নেওয়া হল। 18 তারপর যিহোশূয় ঐ পরিবারভুক্ত সমস্ত লোককে প্রভুর সামনে দাঁড়াতে বললেন। প্রভু কর্ম্মির পুত্র আখনকে বেছে নিলেন। (কর্ম্মি হচ্ছে জিমরির পুত্র আর জিমরি হচ্ছে জেরার পুত্র।)
19 তারপর যিহোশূয় আখনকে বললেন, “বাছা, ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরকে সম্মান করো। তাঁর কাছে তুমি তোমার পাপ স্বীকার করো। যা করেছ আমার কাছে বলো। আমার কাছে কোন কিছু লুকোতে যেও না।”
20 আখন উত্তর দিল, “এটা সত্যি ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের কাছে আমি পাপ করেছি। আমি যা করেছি তা এই: 21 আমরা যিরীহো শহর এবং সেই শহরের সব কিছুই দখল করেছিলাম। আমি বাবিলের একটা সুন্দর শাল, প্রায় 5 পাউণ্ড রূপো আর প্রায় এক পাউণ্ড সোনাও দেখেছিলাম। আমি সেগুলো আমার নিজের জন্য রেখে দিতে চেয়েছিলাম। তাই আমি তুলে নিয়েছিলাম। সেগুলো আমার তাঁবুর নীচে মাটির তলায় লুকিয়ে রেখেছি। ওখানেই সেগুলো আপনি পাবেন। আর রূপো আছে শালের নীচে।”
22 সুতরাং যিহোশূয় কিছু লোককে তাঁবুতে পাঠালেন। তারা ছুটে তাঁবুতে গিয়ে ঐসব লুকানো জিনিস খুঁজে পেল। রূপো ছিল শালের তলায়। 23 তারা তাঁবুর ভেতর থেকে সমস্ত জিনিস বার করে আনল। তারা সেগুলো যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের কাছে নিয়ে গেল। প্রভুর সামনে তারা সেগুলো মাটিতে ফেলে দিল।
24 তারপর যিহোশূয় এবং সমস্ত লোক সেরহের পুত্র আখনকে আখোর উপত্যকার দিকে নিয়ে গেল। তারা সোনা, রূপো, শাল, আখনের সব ছেলেমেয়ে, তার গরু, মেষ, গাধা, তাঁবু আর তার যথাসর্বস্ব হস্তগত করল। তারা এই সমস্ত জিনিস এবং আখনকে আখোর উপত্যকায় নিয়ে গেল। 25 পরে দলপতি যিহোশূয় বললেন, “তুমি আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছ। এখন প্রভু তোমাকে কষ্ট দেবেন।” তারপর সকলে আখন এবং তার পরিবারের সকলকে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে মেরে ফেলল। তাদের তারা পুড়িয়ে ফেলল। তার সঙ্গে যা কিছু ছিল সেগুলোও পুড়িয়ে ফেলল আখনকে পুড়িয়ে মারার পর তারা তার মৃত দেহের ওপর 26 অনেক পাথর চাপিয়ে দিল। সেই সব পাথর আজও সেখানে দেখা যাবে। এভাবেই ঈশ্বর আখনের বিনাশ ঘটালেন। এই কারণে ঐ জায়গাটিকে বলা হয় আখোর উপত্যকা। এর পর ইস্রায়েলের ওপর প্রভুর ক্রোধ প্রশমিত হয়।
অয়ের বিনাশ প্রাপ্তি
8 প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “ভয় পেও না। আশা ছেড়ো না। তোমার সমস্ত যোদ্ধাকে নিয়ে অয়ে চলে যাও। অয়ের রাজাকে পরাজিত করার জন্য আমি তোমাদের সাহায্য করব। আমি তোমাদের কাছে রাজা, রাজার লোকদের, তার শহর এবং তার দেশ সবকিছু দিচ্ছি। 2 তোমরা যিরীহো আর সে দেশের রাজার প্রতি যা করেছিলে ঠিক সেই রকমই তোমরা অয় এবং সেই শহরের রাজার প্রতি করবে। শুধু এইবার তোমরা সব ধনসম্পদ এবং পশুসমূহ নিয়ে যাবে এবং ওগুলো তোমাদের জন্যই রাখবে। এখন তোমাদের কয়েকজন সৈন্যকে শহরের পিছনে লুকিয়ে থাকতে বলো।”
3 তাই যিহোশূয় সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে অয়ের দিকে নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁর সেরা 30,000 যোদ্ধাকে বেছে নিলেন। রাত্রে তিনি তাদের পাঠালেন। 4 যিহোশূয় তাদের এই আদেশ দিলেন: “তোমাদের যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। শহরের পেছন দিকে তোমরা লুকিয়ে থাকবে। আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করবে। শহর থেকে বেশী দূরে যাবে না। সবসময় লক্ষ্য রাখবে আর তৈরী থাকবে। 5 আমি সকলকে নিয়ে শহরের দিকে যাত্রা করব। শহরের লোকরা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বেরিয়ে আসবে। ঠিক আগের মতো আমরা ছুটে পালিয়ে আসব। 6 তারা আমাদের শহর থেকে তাড়িয়ে দেবে। তারা ভাববে যে আমরা ঠিক আগের মতোই ওদের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি। সেই ভাবে আমরা পালিয়ে যাব। 7 তারপর তোমরা গুপ্তস্থান থেকে বেরিয়ে আসবে আর শহর অধিকার করবে। প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর স্বয়ং তোমাদের জয় করার শক্তি দান করবেন।
8 “প্রভু যা যা বলেন সেই অনুসারে কাজ করবে। আমার দিকে লক্ষ্য রেখো। আমি তোমাদের শহর দখলের আদেশ দেব। শহরের দখল নিয়ে শহরকে তোমরা জ্বালিয়ে দেবে।”
9 তারপর যিহোশূয় তাদের লুকানোর জায়গায় পাঠিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। তারা বৈথেল এবং অয়ের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় গেল। জায়গাটি অয়ের পশ্চিম দিকে। যিহোশূয় তাঁর লোকদের সঙ্গে রাত কাটালেন।
10 পরদিন খুব সকালে যিহোশূয় সব লোকদের এক সঙ্গে জড়ো করলেন। তারপর যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের দলপতিরা তাদের অয়ের দিকে নিয়ে গেলেন। 11 যিহোশূয়ের সঙ্গে যে সব সৈন্য ছিল, তারা অয় অভিযান করল। শহরের সামনে এসে তারা দাঁড়াল। সৈন্যরা শহরের উত্তরে তাঁবু খাটাল। অয় এবং সৈন্যবাহিনীর মধ্যে ছিল একটি উপত্যকা।
12 তারপর যিহোশূয় প্রায় 5000 সৈন্য বেছে নিলেন। তিনি তাদের শহরের পশ্চিমে বৈথেল এবং অয়ের মাঝখানে লুকিয়ে থাকার জন্য পাঠিয়ে দিলেন। 13 এইভাবে যিহোশূয় যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুত করলেন। শহরের উত্তরে তাদের প্রধান ঘাঁটি। অন্যান্যরা লুকোল পশ্চিম দিকে। সেই রাত্রে যিহোশূয় উপত্যকায় গেলেন।
14 পরে অয়ের রাজা ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীকে দেখতে পেলেন। ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজা এবং তাঁর লোকরা বেরিয়ে পড়ল। অয়ের রাজা যর্দন উপত্যকার কাছে শহরের পূর্বদিকে গেলেন। তাই তিনি শহরের পেছন দিকে লুকিয়ে থাকা ইস্রায়েলীয় সৈন্যদের দেখতে পেলেন না।
15 অয়ের সৈন্যবাহিনী যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের সমস্ত মানুষকে তাড়িয়ে দিল। তারা যেখানে মরুভূমি সেই পূর্বদিকে ছুট লাগাল। 16 শহরের সকলে হৈ-হৈ করে যিহোশূয় ও তাঁর সৈন্যবাহিনীকে তাড়া করতে লাগল। সব লোক শহর ছেড়ে চলে গেল। 17 অয় এবং বৈথেলের সব লোক ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনীকে তাড়িয়ে দিল। শহর ফাঁকা পড়ে রইল। শহর রক্ষা করার জন্য কেউ রইল না।
18 তারপর প্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “অয় শহরের দিকে বর্শা উঁচিয়ে ধরো। এই শহর আমি তোমাদের হাতে তুলে দেব।” তাঁর কথা মতো যিহোশূয় অয় শহরের দিকে বর্শা উঁচিয়ে ধরলেন। 19 ইস্রায়েলের যে সব লোকরা লুকিয়েছিল তারা তা দেখল। তারা তাদের লুকোবার জায়গা থেকে দ্রুত বেরিয়ে শহরের দিকে ছুটে গেল, শহরে ঢুকে পড়ল আর শহরটা দখল করে নিল। তারপর সৈন্যরা শহর পুড়িয়ে দেবার জন্য আগুন লাগিয়ে দিল।
20 অয়ের লোকরা পেছনে তাকিয়ে দেখল তাদের শহর জ্বলছে। তারা দেখল শহর থেকে আকাশের দিকে ধোঁয়া উঠছে। এই দেখে তারা দুর্বল হয়ে পড়ল, সাহস হারিয়ে ফেলল। তারা ইস্রায়েলীয়দের তাড়াবার প্রচেষ্টা ছেড়ে দিল। ইস্রায়েলীয়রাও আর ছোটাছুটি না করে ফিরে দাঁড়াল আর অয়ের লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগল। অয়ের লোকদের পালাবার মতো কোন নিরাপদ জায়গা ছিল না। 21 যিহোশূয় এবং তাঁর লোকরা দেখল যে ঐ সৈন্যরা শহর দখল করে নিয়েছে। তারা দেখল শহর থেকে ধোঁয়া ওপরে উঠছে। এই সময় তারা পালিয়ে না গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল, অয়ের লোকদের দিকে ছুটে গিয়ে যুদ্ধ করল। 22 তারপর যারা লুকিয়েছিল তারাও ফিরে এসে যুদ্ধে সাহায্য করল। অয়ের লোকদের সামনে পিছনে সব দিকেই ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনী। তারা ফাঁদে আটকা পড়ল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের পরাজিত করল। অয়ের সমস্ত লোক নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ করতে লাগল। শত্রু পক্ষের একটা লোকও পালাতে পারল না। 23 কিন্তু অয়ের রাজাকে বাঁচিয়ে রাখা হল। যিহোশূয়ের লোকরা তাকে যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে এল।
যুদ্ধের সমীক্ষা
24 যুদ্ধের সময় ইস্রায়েলীয় সৈন্যবাহিনী অয়ের লোকদের মাঠে-ঘাটে মরুভূমির মধ্যে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর তারা সেই সব জায়গায় তাদের হত্যা করেছিল। তারপর তারা অয়ে ফিরে গিয়ে সেখানে যেসব লোক তখনও বেঁচে ছিল তাদের হত্যা করল। 25 সেদিন অয়ের সমস্ত লোক মারা গেল। 12,000 পুরুষ ও স্ত্রীলোক মারা গিয়েছিল। 26 যিহোশূয় তাঁর লোকদের শহর ধ্বংস করার সংকেত দিতেই অয় শহরের দিকে বল্লম উঁচু করে ধরেছিলেন। শহরের সমস্ত লোক বিনষ্ট না হওয়া পর্যন্ত যিহোশূয় এভাবেই দাঁড়িয়েছিলেন। 27 ইস্রায়েলের লোকরা শহরের সমস্ত জীবজন্তু এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখে দিয়েছিল। প্রভু যিহোশূয়কে নির্দেশ দেবার সময় তাদের এইসব রেখে দিতেই বলেছিলেন।
28 যিহোশূয় অয় শহরকে জ্বালিয়ে দিলেন। শহরটা কতকগুলি পাথরের স্তূপে পরিণত হল। আর কিছুই সেখানে ছিল না। আজও শহরটা সেই রকমই পড়ে আছে। 29 যিহোশূয় অয়ের রাজাকে একটা গাছে ফাঁসি দিলেন। সন্ধ্যে পর্যন্ত তাকে ঝুলিয়ে রাখলেন। সূর্য অস্ত গেলে যিহোশূয় তাদের গাছ থেকে দেহটাকে নামাতে বললেন। শহরের ফটকের কাছে তারা দেহটাকে ছুঁড়ে দিল। তারপর প্রচুর পাথর দিয়ে তারা দেহটাকে চাপা দিল। সেই পাথরের স্তূপ আজও দেখা যাবে।
আশীর্বাদ আর অভিশাপ পঠন
30 তারপর যিহোশূয় ইস্রায়েলের প্রভু, ঈশ্বরের স্মরণে একটি বেদী নির্মাণ করলেন। এবল পর্বতের চূড়ায় তিনি এই বেদী তৈরী করেছিলেন। 31 প্রভুর দাস মোশি ইস্রায়েলের লোকদের জানিয়েছিলেন কিভাবে বেদী তৈরী করতে হবে। মোশির বিধিপুস্তকে পরিষ্কার করে লেখা ছিল বেদীর প্রস্তুত প্রণালী। সেই ভাবেই যিহোশূয় বেদী তৈরী করলেন। কাটা হয়নি এমন পাথর দিয়েই বেদী তৈরী হয়েছিল। ঐ পাথরগুলির ওপর কোন লৌহস্তম্ভ কখনও ব্যবহার করা হয় নি। সেই বেদীতে তারা প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি উৎসর্গ করল। তারা মঙ্গল নৈবেদ্য উৎসর্গ করল।
32 ঐখানে যিহোশূয় পাথরগুলোর ওপরে মোশির বিধিগুলো লিখে দিলেন। ইস্রায়েলের সমস্ত লোক যাতে সেগুলো পড়ে সেই জন্যই তিনি লিখে দিয়েছিলেন। 33 প্রবীণরা, উচ্চপদস্থ কর্মীরা, বিচারকরা এবং সমস্ত মানুষ পবিত্র সিন্দুকটিকে ঘিরে দাঁড়াল। প্রভুর পবিত্র সাক্ষ্যসিন্দুক বহনকারী লেবীয় যাজকদের সামনে তারা দাঁড়িয়েছিল। অর্ধেক লোক দাঁড়িয়েছিল এবল পর্বতের চূড়ার সামনে আর বাকী অর্ধেক দাঁড়িয়েছিল গরিষীম পর্বতের চূড়ার সামনে। প্রভুর দাস মোশি তাদের এভাবেই দাঁড়াতে বলেছিলেন। তারা যাতে প্রভুর আশীর্বাদ পায় সেই জন্য তিনি তাদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
34 তারপর যিহোশূয় বিধির প্রতিটি কথা পড়ে শোনালেন। তিনি সমস্ত আশীর্বাদ আর সমস্ত অভিশাপ বিধিপুস্তকে যে ভাবে লেখা আছে সেই ভাবেই পড়ে শোনালেন। 35 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল। সমস্ত স্ত্রীলোক, শিশু আর তাদের সঙ্গে বাস করত যেসব বিদেশী মানুষ তারাও সেখানে ছিল। মোশির প্রতিটি নির্দেশ যিহোশূয় পড়ে শোনালেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International