Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Chronological

Read the Bible in the chronological order in which its stories and events occurred.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
লেবীয় 11-13

মাংস খাওয়ার নিয়মাবলী

11 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: এই সমস্ত জন্তু তোমরা আহার করতে পারো: যে সব জন্তুর পায়ের খুর দুভাগে ভাগ করা, সেইসব জন্তু যদি জাবর কাটে তা হলে তোমরা সেই জন্তুর মাংস খেতে পারো।

4-6 “কিছু জন্তু আবার জাবর কাটে কিন্তু তাদের পায়ের খুর দু’ভাগ করা নয়, তোমরা সে সব জন্তু খাবে না। উট, পাহাড়ের শাফন এবং খরগোশ হল সেই রকম। তাই তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি। অন্য কিছু জন্তুদের পায়ের খুর দু’ভাগ করা, কিন্তু তারা জাবর কাটে না, ঐসব জন্তু খাবে না। শূকর সেই ধরণের, সুতরাং তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি। ঐসব প্রাণীর মাংস খাবে না। এমনকি তাদের মৃত দেহও স্পর্শ করবে না, তা তোমাদের পক্ষে অশুচি।

সামুদ্রিক খাদ্য বিষয়ে নিয়মাবলী

“যদি কোন প্রাণী সমুদ্রে বা নদীতে বাস করে এবং যদি প্রাণীটির পাখনা ও আঁশ থাকে, তাহলে তোমরা সেই প্রাণী খেতে পারো। 10-11 কিন্তু সমুদ্রে বা নদীতে বাস করে এমন কোন প্রাণীর যদি ডানা ও আঁশ না থাকে তাহলে সেই প্রাণী তোমরা অবশ্যই খাবে না। এই ধরণের প্রাণী আহারের পক্ষে অনুপযুক্ত। সেই প্রাণীর মাংস তোমরা খাবে না, এমন কি তার মৃত শরীরও স্পর্শ করবে না। 12 জলচর যে কোন প্রাণী যার পাখনা এবং আঁশ নেই, তাকে প্রভু আহারের জন্য অনুপযুক্ত বলেছেন বলেই মনে করেন।

অখাদ্য পক্ষীসমুহ

13 “ঈশ্বর যে সব পাখী খাওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সেইসব পাখীদের অখাদ্য বলে গণ্য করবে। এই পাখীগুলি তোমরা খাবে না: ঈগল, শকুনি, শিকারী পাখী, 14 চিল এবং সব ধরণের বাজ পাখী। 15 সমস্ত জাতের কালো পাখী, 16 উট পাখী, রাতের বাজ পাখী, শঙ্খচিল, সব জাতের শ্যেন পাখী, 17 পেঁচা, লিপ্তপদ সামুদ্রিক পাখী, বড় পেঁচা, 18 হংসী, জলচর প্যানিভেলা, শবভূক শকুনি, 19 সারস, সমস্ত জাতের সারস, ঝুঁটিওয়ালা পাখী এবং বাদুড়।

পতঙ্গাদি ভক্ষণ সম্পর্কে নিয়মাবলী

20 “বুকে হাঁটা ক্ষুদ্র কোন প্রাণীর যদি ডানা থাকে, তাহলে সেগুলিকে তোমরা খাবে না কারণ প্রভু তা নিষেধ করেছেন। ঐ সমস্ত পোকামাকড় খেও না। 21 কিন্তু তোমরা সেইসব পোকামাকড় খেতে পার যারা সন্ধিপদ এবং লাফাতে পারে। 22 সমস্ত রকম পঙ্গপাল, সমস্ত রকমের ডানাওযালা পঙ্গপাল, সমস্ত রকমের ঝিঁঝি পোকা আর সব জাতের গঙ্গা ফড়িং তোমরা খেতে পারো।

23 “কিন্তু অন্য আর সব ক্ষুদ্র প্রাণী যাদের ডানা আছে কিন্তু বুকে হেঁটে চলে, তোমরা অবশ্যই সেসব খাবে না, কারণ প্রভু তা নিষিদ্ধ করেছেন। 24 সেই সমস্ত ক্ষুদ্র প্রাণীরা তোমাদের অশুচি করবে। যে তাদের মৃত দেহ স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। 25 যদি কোন ব্যক্তি সেই মৃত পোকামাকড়দের স্পর্শ করে, তাহলে সে অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি হয়ে থাকবে।

প্রাণীদের সম্পর্কে আরও নিয়মাবলী

26-27 “কিছু প্রাণীর পায়ের খুর দুভাগে ভাগ করা কিন্তু খুরগুলি সত্যিকারের দুটি অংশ নয়। আবার তারা জাবর কাটে না, এসব প্রাণী তোমাদের পক্ষে অশুচি। যে কোন ব্যক্তি তাদের স্পর্শ করলে অশুচি হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তিটি অশুচি থাকবে। 28 যদি কোন ব্যক্তি তাদের মৃত দেহ সরায়, সে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুয়ে নেবে। সেই মানুষটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে। ঐ সমস্ত প্রাণী তোমাদের কাছে অশুচি।

বুকে হাঁটা প্রাণীদের সম্পর্কে নিয়মাবলী

29 “এই সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীরা তোমাদের কাছে অশুচি: ছুঁচো, ইঁদুর সমস্ত জাতের বড় টিকটিকি। 30 গোসাপ, কুমির, টিকটিকি, বালির সরীসৃপ এবং গিরগিটি। 31 ঐ সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীরা তোমাদের কাছে অশুচি। কোন মানুষ তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করলে সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে।

অশুচি প্রাণীদের সম্পর্কে নিয়মাবলী

32 “যদি ঐ সমস্ত অশুচি প্রাণীদের কোন একটা মরে কোন কিছুর ওপর পড়ে, তাহলে সেই জিনিসটিও অশুচি হবে। সেই জিনিসটি কাঠের তৈরী কোন পাত্র, কাপড়, চামড়া, শোকের পোশাক দিয়ে তৈরী কাজের কোন হাতিয়ার হতে পারে। এটা যাইহোক্ তা অবশ্যই জলে ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত তা অশুচি থাকবে। তারপর তা আবার শুচি হবে। 33 যদি ঐ সমস্ত অশুচি প্রাণীদের কোন একটা মারা যায় এবং মাটির তৈরী পাত্রের ওপর পড়ে, তাহলে পাত্রের ভেতরের যে কোনো জিনিস অশুচি হয়ে যাবে এবং তোমরা অবশ্যই পাত্রটাকে ভেঙ্গে ফেলবে। 34 যদি অশুচি মাটির পাত্রের জল কোন খাদ্যের ওপর পড়ে, তাহলে সেই খাবার অশুচি হবে। অশুচি পাত্রের যে কোন পানীয় অশুচি। 35 যদি মৃত অশুচি প্রাণীর কোন অঙ্গ কোন কিছুর ওপর পড়ে, তাহলে সেই জিনিসটা অশুচি হবে। এটা মাটির উনুন অথবা রুটি সেঁকার মাটির পাত্র হলে তা অবশ্যই ভেঙ্গে টুকরো করে ফেলতে হবে। সেই সমস্ত জিনিস আর শুচি করা যাবে না। সেগুলি তোমাদের কাছে সবসময়েই অশুচি।

36 “কোন ঝর্ণা বা জল জমে এমন কোন কূপ শুচি থাকলেও যে মানুষ কোন অশুচি প্রাণীর দেহ স্পর্শ করে সে অশুচি হয়ে যাবে। 37 যদি মৃত অশুদ্ধ প্রাণীদের কোনো অংশ বপন করার কোন বীজের ওপর পড়ে, তাহলে সেই বীজ তখনও শুচিই থাকবে। 38 কিন্তু তোমরা যদি বীজের ওপর জল ঢালো এবং তারপর যদি অশুচি প্রাণীদের কোন অঙ্গ ঐসব বীজের ওপর পড়ে তা হলে তোমাদের পক্ষে ঐ সমস্ত বীজ অশুচি। 39 তাছাড়া তুমি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করো এমন কোন প্রাণী যদি মারা যায়, তাহলে যে তার মৃত শরীর স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত সে অশুচি রইবে। 40 এবং যে এই প্রাণীদেহ থেকে মাংস খাবে তাকে অবশ্যই তার কাপড় চোপড় ধুতে হবে। সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যক্তিটি অশুচি থেকে যাবে। যে ব্যক্তি প্রাণীটির মৃতদেহ তোলে তাকে অবশ্যই তার পোশাক-পরিচ্ছদ ধুতে হবে এবং সেই লোকটি সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত অশুচি থাকবে।

41 “যে সব প্রাণী মাটির ওপর বুকে হেঁটে যায়, সেইসব প্রাণীদের তোমরা আহার করবে না। তোমরা সে প্রাণী অবশ্যই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবে না। 42 পেটের ওপর ভর দিয়ে হাঁটা অথবা চার পা দিয়ে হাঁটা সরীসৃপ বা যে সমস্ত প্রাণীর অনেকগুলো পা তাদের অবশ্যই আহার করবে না। 43 ঐ সমস্ত প্রাণী তোমাদের যেন নোংরা না করে। তোমরা অশুচি হয়ো না, 44 কারণ আমিই তোমাদের প্রভু ঈশ্বর! আমি পবিত্র, তাই তোমরাও তোমাদের নিজেদের পবিত্র রেখো। ঐ সমস্ত বুকে হাঁটা প্রাণীদের সংস্পর্শে নিজেদের অশুচি করো না। 45 আমি তোমাদের মিশর থেকে এনেছি যাতে তোমরা আমার বিশিষ্ট লোকজন হতে পারো এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হতে পারি। আমি পবিত্র তাই তোমরাও অবশ্যই পবিত্র হবে।”

46 এই সমস্ত নিয়মাবলী পশু, পাখী, সমুদ্রের সমস্ত প্রাণী এবং মাটির ওপর বুকে হাঁটা সমস্ত প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 47 ঐ সমস্ত উপদেশ সাধারণ মানুষকে শুচি প্রাণীদের থেকে অশুচি প্রাণীদের আলাদা করতে সাহায্য করবে যেন তারা জানতে পারে কোন প্রাণীদের আহার করা এবং কোন প্রাণীদের আহার না করা উচিৎ‌।

নতুন মায়েদের জন্য নিয়মাবলী

12 প্রভু মোশিকে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: যদি একজন স্ত্রীলোক একটি শিশু পুত্রের জন্ম দেয়, তাহলে সেই স্ত্রীলোকটি সাতদিন ধরে অশুচি থাকবে। তার মাসিকের রক্ত পাতের অশুচি সময়ের মতই হবে এই অশুচিতা। অষ্টম দিনে অবশ্যই শিশু পুত্রটিকে সুন্নত করতে হবে। তারপর তার রক্তক্ষয় থেকে সে শুচি হবে 33 দিন পর। যা কিছু পবিত্র অবশ্যই তার কোনো কিছুই সে স্পর্শ করতে পারবে না। যতক্ষণ না তার শুচিকরণ শেষ হচ্ছে, সে অবশ্যই কোন পবিত্র স্থানে ঢুকতে পাবে না। কিন্তু যদি স্ত্রীলোকটি এক শিশুকন্যার জন্ম দেয়, তাহলে তার মাসিক সময়ের রক্তপাতের মতই দু সপ্তাহ ধরে সে অশুচি থাকবে। তার রক্তক্ষয় থেকে 66 দিন পর্যন্ত কাটিয়ে সে শুচি হবে।

“শুচিকরণের সময় শেষ হলে একটি শিশু কন্যা বা পুত্রের নতুন প্রসূতি, সমাগম তাঁবুতে অবশ্যই বিশেষ ধরণের উৎসর্গ আনবে। সে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাজককে অবশ্যই ঐসব উৎসর্গ বস্তুগুলি দেবে। দগ্ধ নৈবেদ্যর জন্য আনতে হবে এক বছর বয়সী মেষশাবক এবং একটি ঘুঘু পাখী বা বাচ্চা পায়রা আনবে পাপ মোচনের নৈবেদ্যর জন্য। 7-8 যদি স্ত্রীলোকটি একটি মেষ দিতে অক্ষম হয় তবে সে দুটি ঘুঘু বা দুটি বাচ্চা পায়রা আনতে পারে। একটি পাখী হবে হোমবলির জন্য নির্দিষ্ট আর একটি পাপ মোচনের নৈবেদ্যর জন্য। যাজক ঐ সমস্ত নৈবেদ্য প্রভুর কাছে নিবেদন করে তাকে পাপমুক্ত করবে। এবং সে তার রক্তক্ষয়ের থেকে শুচি হবে। এগুলি হল একজন নারীর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী, যে নারী একটি শিশু পুত্র বা এক শিশু কন্যার জন্ম দেবে।”

চর্মরোগ সংক্রান্ত নিয়মাবলী

13 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “কোন লোকের চামড়া যদি ফুলে থাকে বা তাতে খোস পাঁচড়া অথবা চকচকে দাগের মতো কিছু থাকে, যদি ক্ষত অংশটা কুষ্ঠ রোগের ঘায়ের মতো দেখতে হয়, তাকে অবশ্যই যাজক হারোণ বা তার যাজক পুত্রদের কাছে আনতে হবে। চামড়ার ক্ষত স্থানটিকে যাজক অবশ্যই দেখবে। যদি ক্ষতের মধ্যেকার লোম সাদা হয়ে ওঠে এবং যদি চামড়ার ওপর থেকে ক্ষতস্থানটিকে গর্তের মতো মনে হয়, তবে তা কুষ্ঠরোগ। যাজক লোকটিকে দেখা শেষ করে তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে।

“কিন্তু চামড়ায় সাদা দাগ যদি গভীর না হয় এবং ক্ষতস্থানের লোম যদি সাদা না হয় তাহলে সাত দিনের জন্যে যাজক সেই মানুষটিকে অন্য সব লোকদের থেকে আলাদা করবে। সাত দিনের দিন যাজক অবশ্যই লোকটাকে দেখবে। যাজক যদি দেখে বোঝে যে ক্ষতস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি এবং তা চামড়ার ওপর ছড়িয়ে পড়েনি, তাহলে আরও সাত দিনের জন্য লোকটাকে আলাদা করে রাখবে। সাত দিন পর যাজক লোকটিকে আবার দেখবে। যদি ক্ষতস্থানটি শুকিয়ে যায় এবং চামড়ার ওপর না ছড়ায়, তখন যাজক সেই লোকটিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানটি শুধু হল খোস-পাঁচড়ার, সুতরাং লোকটি অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করে শুচি হবে।

“কিন্তু যদি লোকটি যাজকের কাছে নিজেকে শুচি দেখানোর পরে ক্ষতস্থানটি চামড়ায় আরও ছড়িয়ে পড়তে দেখে তা হলে লোকটি অবশ্যই যাজকের কাছে আবার আসবে। যাজক আবার দেখবে যে ক্ষতস্থানটি চামড়ার ওপর ছড়িয়ে গেছে কিনা, আর তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। সেটা তাহলে কুষ্ঠরোগ।

“যদি কোনো ব্যক্তির কুষ্ঠরোগ থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই যাজকের কাছে আনতে হবে। 10 যাজক অবশ্যই লোকটিকে দেখবে যে চামড়ার ওপর কোন সাদা ফোলা অংশ আছে কিনা এবং লোমটাও সাদা হয়ে গেছে কিনা। যদি চামড়ার লোম সাদা হয়ে যায় এবং চামড়ার ফোলা জায়গা কাঁচা থাকে, 11 তাহলে তা কুষ্ঠরোগ। দীর্ঘ দিন ধরে যা লোকটির চামড়ায় থেকে গেছে, যাজক অবশ্যই তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। তাকে অন্য লোকদের থেকে অল্প সময়ের জন্য আলাদা করার প্রয়োজন নেই, কারণ লোকটি অশুচি।

12 “কখনও কখনও মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীরে চর্মরোগ ছড়াতে পারে। সুতরাং যাজক অবশ্যই লোকটির সারা শরীর দেখবে। 13 যদি যাজক দেখে যে চর্মরোগ সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে গেছে এবং লোকটার চামড়া সাদা হয়ে গিযেছে, তাহলে যাজক অবশ্যই তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। 14 কিন্তু যদি লোকটির চামড়া কাঁচা হয় তাহলে সে শুচি নয়। 15 যখন যাজক কোনো মানুষের চামড়া কাঁচা দেখে, সে অবশ্যই লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে। কাঁচা চামড়া শুচি নয়। এটা হল কুষ্ঠরোগ।

16 “যদি কাঁচা চামড়া বদলায় এবং সাদা হয়ে যায়, তাহলে লোকটিকে যাজকের কাছে আসতে হবে। 17 যাজক লোকটিকে অবশ্যই দেখবে। যদি সংক্রামিত জায়গা সাদা হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে অবশ্যই শুচি বলে ঘোষণা করবে। ঐ লোকটি শুচি।

18 “কোন ব্যক্তির চামড়ার ওপর ফোঁড়া হতে পারে এবং সে ফোঁড়া সেরে যেতে পারে। 19 পরে সেই ফোঁড়ার স্থানে সাদা রঙের ফোলা বা দগদগে লাল ডোরা টানা সাদা দাগ হতে পারে। লোকটি ঐ দাগ তখন যাজককে অবশ্যই দেখাবে। 20 যাজক অবশ্যই তা দেখবে। যদি ফোঁড়াটা চামড়া থেকে গর্তের মতো হয় এবং এর ওপরকার লোম সাদা হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। চিহ্নিত জায়গাটায় কুষ্ঠের ঘা শুরু হয়েছে। চামড়ায় এই ফোঁড়াটার ভেতর থেকে কুষ্ঠ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। 21 কিন্তু যদি যাজক জায়গাটায় কোন সাদা লোম না দেখে আর জায়গাটা চামড়ার মধ্যে গর্ত না করে থাকে, বরং যদি দেখা যায় শুকিয়ে যাচ্ছে, তাহলে যাজক লোকটাকে সাত দিনের জন্যে আলাদা করে রাখবে। 22 যদি চামড়ার আরও অংশে দাগ ছড়ায় তা হলে যাজক সেই লোকটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। এটা হল ঘা। 23 কিন্তু যদি চকচকে দাগটি এক জায়গাতেই থাকে এবং না ছড়ায় তা হলে বুঝতে হবে তা পুরানো ফোঁড়ারই ক্ষতচিহ্ন। যাজক অবশ্যই তাকে শুচি ঘোষণা করবে।

24-25 “কোন ব্যক্তির চামড়া আগুনে পুড়ে যেতে পারে। যদি চামড়ার কাঁচা অংশটি সাদা অথবা লাল ডোরাকাটা সাদা অংশ হয়, যাজক অবশ্যই তা দেখবে। যদি সাদা অংশটা চামড়ায় গর্তের মতো হয় এবং ঐ জায়গাটার লোম সাদা হয়ে যায় তাহলে তা কুষ্ঠরোগ। পোড়া অংশে কুষ্ঠ ছড়িয়ে পড়েছে। যাজক অবশ্যই ঐ লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে। এটা হল কুষ্ঠরোগ। 26 কিন্তু যদি সেই চকচকে জায়গায় কোনো সাদা লোম না থাকে এবং ক্ষতস্থানটা চামড়ায় গর্ত সৃষ্টি না করে মিলিয়ে যায়, তাহলে যাজক অবশ্যই সাত দিনের জন্য লোকটাকে আলাদা করবে। 27 সাত দিনের দিন যাজক লোকটাকে আবার দেখবে। যদি ক্ষতস্থানটা চামড়ার ওপর ছড়িয়ে যায়, তাহলে যাজক ঘোষণা করবে যে লোকটা অশুচি। এটা কুষ্ঠরোগ। 28 কিন্তু যদি চকচকে দাগটি চামড়ায় না ছড়ায় এবং মিলিয়ে যায় তাহলে পোড়ার জন্যেই ফুলেছে বুঝতে হবে। এটা কেবলমাত্র পোড়ার ক্ষতচিহ্ন। যাজক অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে।

29 “কোন ব্যক্তির মাথার চামড়ায় বা দাড়িতে ঘা হলে, 30 যাজক চামড়ার এই সংক্রমণ অবশ্যই দেখবে। যদি চামড়া থেকে সংক্রমণের জায়গাটা গর্তের মতো হয় এবং যদি তার চারপাশের লোম হয় পাতলা ও হলদে, তাহলে যাজক সেই মানুষটিকে অবশ্যই অশুচি ঘোষণা করবে। এটা দাদ, খারাপ চর্মরোগ। 31 যদি রোগটা চামড়ার থেকে গর্ত হওয়ার মতো মনে না হয়, কিন্তু সেখানে কোনো কালো লোম না থাকে, তখন যাজক অবশ্যই লোকটিকে সাত দিনের জন্যে আলাদা করে দেবে। 32 সাতদিনের মাথায় যাজক সংক্রামিত জায়গাটা দেখবে। যদি রোগটা না ছড়ায় এবং সেখানে কোন হলদে লোম না জন্মায় এবং রোগটা চামড়া থেকে গর্তের মতো না হয়, 33 তাহলে লোকটা নিশ্চয়ই নিজেকে কামিয়ে নেবে; কিন্তু সে রোগের জায়গাটা কখনও কামাবে না। যাজক অবশ্যই লোকটিকে আরও সাত দিন আলাদা করে রাখবে। 34 সাত দিনের মাথায় যাজক অবশ্যই রোগটাকে দেখবে। যদি গোটা চামড়ায় রোগটা না ছড়ায় এবং যদি চামড়া থেকে সেটাকে গর্তের মত মনে না হয়, তাহলে যাজক লোকটিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। লোকটি অবশ্যই তার কাপড়-চোপড় ধৌত করবে এবং শুচি হবে। 35 কিন্তু শুচি হওয়ার পর লোকটির রোগ যদি চামড়ায় ছড়ায়, 36 তখন যাজক লোকটিকে আবার দেখবে। যদি রোগটা চামড়ায় ছড়িয়ে যায় যাজক হলুদ রঙের লোম দেখার প্রয়োজন বোধ করবে না। লোকটা অশুচি। 37 কিন্তু যদি যাজক মনে করে যে রোগটা সেরে গেছে এবং তার মধ্যে কালো লোম গজাতে শুরু করেছে, তাহলে রোগটা সেরে গেছে। লোকটা শুচি। যাজক অবশ্যই ঘোষণা করবে যে লোকটা শুচি।

38 “যদি কোন লোমের চামড়ায় সাদা সাদা দাগ থাকে, 39 তাহলে যাজক অবশ্যই ঐ সব দাগের জায়গাগুলো দেখবে। যদি লোকটার চামড়ায় ওপরকার দাগগুলো কেবলমাত্র অনুজ্জ্বল সাদাটে হয় তাহলে তা শুধুমাত্র ফুসকুড়ি বা ক্ষতিকারক নয়। ঐ ধরণের লোক শুচি।

40 “কোন মানুষের মাথার চুল পড়ে যেতে পারে; সে শুচি, এটা শুধু টাক পড়া। 41 কোন মানুষের মাথার দুপাশ থেকে চুল উঠে যেতে পারে; সে শুচি। এটা শুধুমাত্র আর এক ধরণের টাক পড়া। 42 কিন্তু যদি তার মাথার টাক পড়া চামড়ায় কোন লাল এবং সাদা দাগ থাকে, তাহলে তা চামড়ারই কোন রোগ বুঝতে হবে। 43 একজন যাজক অবশ্যই তাকে দেখবে। যদি সংক্রামিত ফোঁড়াটা লাল এবং সাদা হয়, আর যদি শরীরের অন্য সব অংশে কুষ্ঠ রোগের মতো দেখায় 44 তাহলে বুঝতে হবে লোকটির মাথার খুলিতে কুষ্ঠ হয়েছে, লোকটা অশুচি। যাজক অবশ্যই লোকটিকে অশুচি ঘোষণা করবে।

45 “যদি এক ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অন্য লোকদের সাবধান করে দেবে। সেই লোকটি চেঁচিয়ে বলবে, ‘অশুচি, অশুচি।’ লোকটির কাপড়ের দুই ধারের জোড়া অবশ্যই ছিঁড়ে ফেলা হবে। সে তার চুল অবিন্যস্ত করবে এবং মুখ ঢাকবে। 46 যতক্ষণ তার সংক্রামক ব্যাধি থাকবে ততক্ষণ লোকটি হবে অশুচি। সে অবশ্যই একা থাকবে। তার বাড়ী অবশ্যই শিবিরের বাইরে থাকবে।

47-48 “কিছু পোশাকের ওপর ছাতা পড়তে পারে। কাপড়টা মসীনা সুতোর অথবা উলে তৈরী, তাঁতে বোনা বা হাতে বোনা হতে পারে। এক টুকরো চামড়ার ওপর বা চামড়া থেকে তৈরী কোন জিনিসের ওপরেও ছাতা পড়তে পারে। 49 যদি ঐ ছত্রাকের রঙ সবুজ বা লাল হয় তাহলে এটা অবশ্যই একজন যাজককে দেখাতে হবে। 50 যাজক অবশ্যই ছাতা পড়া অংশটা দেখবে এবং সেই জিনিসটাকে আলাদা জায়গায় সাতদিন ধরে ফেলে রাখবে। 51-52 সাত দিনের মাথায় যাজক অবশ্যই ছাতা পড়া অংশটি দেখবে। ছাতা পড়া অংশটা চামড়ার বা কাপড়ের ওপর হোক্ তাতে তেমন কিছু যায় আসে না। যদি পোশাক তাঁতে বোনা বা হাতে বোনা হয় তাতেও কিছু যায় আসে না বা চামড়া কিসে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটাও কোন ব্যাপার নয়। যদি ছাতা পড়া অংশটা ছড়ায় তাহলে সেই কাপড় বা চামড়া অশুচি। সংক্রমনটি অশুচি। যাজক অবশ্যই সেই কাপড় ও চামড়া পুড়িয়ে ফেলবে।

53 “যদি যাজক দেখে যে ছাতা পড়া অংশটি ছড়িয়ে পড়েনি, তখন কাপড় বা চামড়া অবশ্যই ধুতে হবে। চামড়া বা কাপড় যাই হোক্ না কেন, কোন ব্যাপার নয়। অথবা যদি কাপড় হাতে বোনা বা তাঁতে বোনা হয় তাতেও কিছু আসে যায় না। 54 যাজক লোকেদের অবশ্যই আদেশ দেবে সেই চামড়া বা কাপড়ের টুকরো ধুয়ে ফেলতে। তারপর যাজক আরো সাত দিনের জন্য কাপড় চোপড় আলাদা করে রাখবে। 55 এরপর যাজক অবশ্যই আবার দেখবে। যদি সেই অংশটি তখনও ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়ে আছে বলে মনে হয়, তখন ছড়িয়ে না থাকা সত্ত্বেও তা অশুচি হবে এবং তোমাকে তা আগুনে পোড়াতে হবে।

56 “কিন্তু যদি ছাতা পড়া অংশটি ম্লান হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে যাজক অবশ্যই চামড়া বা কাপড়ের টুকরো থেকে সংক্রমিত অংশটি ছিঁড়ে বাদ দেবে। তাঁতে বা হাতে বোনা কাপড় হলেও কিছু আসে যায় না। 57 কিন্তু সেই চামড়ার বা কাপড়ের টুকরোয় ছাতা পড়া অংশ আবার দেখা দিতে পারে। যদি তাই ঘটে তখন বুঝতে হবে ছাতা পড়া অংশটা ছড়িয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে তোমাকে সেই ছাতা পড়া জিনিস পুড়িয়ে ফেলতে হবে। 58 কিন্তু ধোয়ার পরে যদি ছাতা পড়া অংশ না দেখা দেয় তাহলে সেই চামড়ার বা কাপড়ের টুকরো শুচি। সে কাপড় তাঁতে বোনাই হোক্ অথবা হাতে বোনা সেটা কোন ব্যাপারই নয়। সেই কাপড় শুচি।”

59 ঐগুলি হল চামড়ার বা কাপড়ের টুকরোগুলির ওপরে ছাতা পড়ার ব্যাপারে নিয়মাবলী। কাপড় তাঁতে বা হাতে বোনা হতে পারে; কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International