Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
117 তোমরা জাতিসকল, প্রভুর প্রশংসা কর।
তোমরা সব লোকেরা, প্রভুর প্রশংসা কর।
2 প্রভু আমাদের খুব ভালোবাসেন!
এবং প্রভু চিরদিনই আমাদের প্রতি সৎ থাকবেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রত্যাশার প্রতিশ্রুতি
30 ঈশ্বরের কাছ থেকে যিরমিয়র কাছে এই বার্তা এসেছিল। 2 ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রভু বললেন, “আমি যা বলেছি, যিরমিয়, তুমি তা একটি খাতায় লিখে রাখো। তারপর তা দিয়ে তুমি নিজের জন্য এই বইটি লিখো। 3 যা বলছি তা কর কারণ এমন দিন আসবে যেদিন আমি ইস্রায়েল এবং যিহূদার লোকদের নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনব।” এই হল প্রভুর বার্তা। “আমি তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দিয়েছিলাম সেখানে তাদের ফিরিয়ে দেব। তখন আমার লোকরা আর এক বার সেই জমির মালিকানা পাবে।”
4 প্রভু ইস্রায়েলের এবং যিহূদার লোকদের সম্বন্ধে এই বার্তা উচ্চারণ করেছিলেন। 5 প্রভু যা বলেছিলেন তা হল:
“আমরা শুনতে পাচ্ছি ভয় পেয়ে লোকরা কাঁদছে!
লোকরা ভীত, সেখানে কোন শান্তি নেই!
6 “এই প্রশ্নটি করো এবং তার সম্বন্ধে ভাবো:
একজন পুরুষ কি একটি শিশুকে জন্ম দিতে পারে? নিশ্চয়ই নয়!
তাহলে কেন আমি দেখতে পাচ্ছি প্রত্যেকটি শক্তিশালী পুরুষ
প্রসব বেদনায় কাতর একজন মহিলার মতো পেটে হাত দিয়ে আছে?
কেন প্রত্যেকটি মানুষের মুখ মৃত ব্যক্তির মতো পাঁশুটে বর্ণ ধারণ করেছে?
কারণ তারা প্রত্যেকে হঠাৎ ভীষণ ভয় পেয়েছে।
7 “যাকোবের জন্য এটা একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সময়।
এই সময়টা একটা খুব বড় অশান্তির সময়।
আর কখনও এরকম সমস্যা সঙ্কুল সময় আসবে না।
কিন্তু যাকোব রক্ষা পাবে।”
8 এই হল সর্বশক্তিমান প্রভুর বার্তা: “সেই সময় আমি ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকদের কাঁধে চাপানো জোয়াল সরিয়ে নেব। তোমাদের দড়ির বাঁধন খুলে দেব। অন্য জাতির লোকরা আর কখনও আমার লোকদের দাসত্ব করতে বাধ্য করবে না। 9 তারা আর কোন বিদেশী রাজ্যের সেবা করবে না। তারা শুধু প্রভু তাদের ঈশ্বরের সেবা করবে এবং তারা তাদের রাজা দায়ূদের সেবা করবে। আমি রাজাকে তাদের কাছে পাঠাব।
10 “সুতরাং যাকোব, আমার ভৃত্যদের ভয় পেও না!”
এই হল প্রভুর বার্তা।
“ইস্রায়েল ভয় পেও না।
আমি তোমাকে রক্ষা করব।
রক্ষা করব বন্দীদের পরবর্তী উত্তরপুরুষদেরও।
আমি তাদের নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনব।
আবার যাকোব শান্তি ফিরে পাবে।
লোকরা তাকে আর বিরক্ত করবে না।
সেখানে আর কোন শত্রু থাকবে না
যাকে আমার লোকরা ভয় পাবে।
11 যিহূদা ও ইস্রায়েলের লোকরা আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
“আমি তোমাদের রক্ষা করবো।
একথা সত্যি যে আমি তোমাদের অন্য দেশে পাঠিয়েছিলাম।
আমি ঐসব দেশগুলিকে ধ্বংস করব,
কিন্তু তোমাদের আমি ধ্বংস করব না।
খারাপ কাজের শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে।
আমি তোমাদের ন্যায্যভাবে শিক্ষা দেব।
আমি তোমাদের শাস্তি না নিয়ে যেতে দেব না।”
12 প্রভু বললেন:
“এমন কোন আঘাত আছে কি যা সারে না?
ইস্রায়েল এবং যিহূদার লোকেরা, তোমাদের ক্ষত এমন যে তা সারবে না।
13 এমন কোন ব্যক্তি নেই যে তোমাদের ক্ষতের যত্ন নিতে পারে।
তাই তোমাদের আঘাত সারবে না।
14 তোমরা বহু দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলে
কিন্তু তোমাদের দিকে তারা প্রয়োজনের সময় ফিরেও তাকায়নি।
তোমাদের ‘বন্ধুরা’ তোমাদের ভুলে গিয়েছে।
আমি তোমাদের শত্রুর মতো কঠিন আঘাত করেছিলাম।
আমি তোমাদের কঠোর শাস্তি দিয়েছিলাম।
তোমরা বহু মারাত্মক পাপ করেছিলে বলে
তোমাদের সঙ্গে আমি ঐ ব্যবহার করেছি।
15 ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকরা কেন তোমরা তোমাদের ক্ষত নিয়ে এতো চিৎকার করেছো?
ক্ষতের যন্ত্রণা তো হবেই এবং কেউ তা সারাতে পারবে না।
আমি প্রভু, তোমাদের বহু ভয়ঙ্কর
পাপের ফলস্বরূপ এই শাস্তি দিয়েছি।
16 আমি প্রভু, তোমাদের ধ্বংস করেছিলাম।
কিন্তু এখন ওদের ধ্বংস হবার পালা।
ইস্রায়েল ও যিহূদা তোমাদের শত্রুরা এবার বন্দী হবে।
ওরা তোমাদের জিনিস চুরি করেছিল।
এবার অন্যরা ওদের জিনিসপত্র চুরি করবে।
ওরা যুদ্ধের সময় তোমাদের জিনিস নিয়ে গিয়েছিল।
এবার যুদ্ধের সময় ওদের জিনিস অন্যরা নিয়ে যাবে।
17 আমি তোমাদের আবার স্বাস্থ্যবান করে তুলব।
আমি তোমাদের ক্ষত সারিয়ে দেব।” এই হল প্রভুর বার্তা।
“কেন? কারণ লোকরা তোমাদের জাতিচ্যূত বলে উল্লেখ করেছে।
ওরা বলেছিল, ‘সিয়োনকে দেখাশোনা করবার কেউ নেই।’”
5 আর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তিনি বললেন, “দেখ! আমি সব কিছু নতুন করে করছি!” পরে তিনি বললেন, “লেখ, কারণ এসব কথা সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য।”
6 যিনি সিংহাসনে বসেছিলেন পরে তিনি আমায় বললেন, “সম্পন্ন হল! আমি আলফা ও ওমেগা, আমিই আদি ও অন্ত। যে তৃষ্ণার্ত তাকে আমি জীবন জলের উৎস থেকে বিনামূল্যে জল দান করব। 7 যে বিজয়ী হয় সে-ই এসবের অধিকারী হবে। আমি তার ঈশ্বর হব, আর সে হবে আমার পুত্র। 8 কিন্তু যারা ভীরু, অবিশ্বাসী ঘৃন্যলোক, নরঘাতক, যৌনপাপে পাপগ্রস্ত, মায়াবী, প্রতিমাপূজারী, যাঁরা মিথ্যাবাদী, এদের সকলের স্থান হবে সেই আগুন ও জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে; এই হল দ্বিতীয় মৃত্যু।”
9 আর যে সপ্ত স্বর্গদূতদের কাছে সপ্ত সন্তাপপূর্ণ বাটি ছিল তাদের মধ্যে শেষ সন্তাপের বাটিটি যিনি ঢেলেছিলেন, তিনি এসে আমায় বললেন, “এস, আমি তোমাকে মেষশাবকের বধূকে দেখাব।” 10 আমি আত্মার আবেশে ছিলাম, সেই অবস্থায় তিনি আমাকে একটা খুব বড় উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গেলেন আর স্বর্গে ঈশ্বরের কাছ থেকে যে পবিত্র নগরী জেরুশালেম নেমে আসছিল তা দেখালেন।
11 তা ছিল ঈশ্বরের মহিমায় পূর্ণ বহুমূল্য মণির মতো, তার উজ্জ্বলতা সূর্যকান্ত মণির মতো উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ। 12 নগরের প্রাচীরটি খুব উঁচু এবং বড় ছিল। প্রাচীরের বারোটি ফটক ছিল। নগরের বারোটি ফটকে বারোজন স্বর্গদূত ছিল। সেই দ্বারগুলির ওপর ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর নাম লেখা ছিল। 13 পূর্বদিকে তিনটি দরজা, উত্তরদিকে তিনটি দরজা, দক্ষিণ দিকে তিনটি দরজা ও পশ্চিম দিকে তিনটি দরজা। 14 নগরের সেই প্রাচীরের বারোটি ভিত পাথর ছিল, আর সেই সব ভিত পাথরের ওপর মেষশাবকের বারোজন প্রেরিতের নাম লেখা আছে।
15 স্বর্গদূত, যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর হাতে ঐ নগরটি, তার সব দরজা ও তার প্রাচীর মাপবার জন্য সোনার মাপকাঠি ছিল। 16 ঐ নগরটি ছিল চারকোণা, দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে সমান। তিনি নগরটি সেই মাপকাঠি দিয়ে মাপলে দেখা গেল তা দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ও উচ্চতায় সমান এবং সেই মাপ হল 1500 মাইল। 17 পরে স্বর্গদূত নগরের প্রাচীর মাপলে দেখা গেল তা 144 হাত উঁচু। স্বর্গদূত মানুষের হাতের মাপ অনুযায়ী তা মাপলেন, এই মাপই তিনি ব্যবহার করেছিলেন। 18 প্রাচীরের গাঁথনি সূর্যকান্তমণির এবং নগরটি ছিল শুদ্ধ সোনায় তৈরী, যেটা ছিল কাঁচের মতো স্বচ্ছ। 19 নগরের প্রাচীরের ভিত পাথরগুলিতে সব ধরণের মূল্যবান মণি খচিত ছিল। প্রথমটি সূর্যকান্ত মণির, দ্বিতীয়টি নীলকান্ত মণির, তৃতীয়টি তাম্রমণির, চতুর্থটি পান্নামণির, পঞ্চমটি বৈদুর্য্যমণির; 20 ষষ্ঠটি লাল বর্ণ মণির, সপ্তমটি স্বর্ণ মণির, অষ্টমটি ফিরোজা মণির, নবমটি পোখরাজ মণির, দশমটি হলুদ সবুজ বর্ণ মণির, একাদশতমটি রক্তাভ ফলসাবর্ণ মণির, দ্বাদশতমটি জামীরা মণির।
21 বারোটি সিংহদ্বার হচ্ছে বারোটি মুক্তা, একটি দ্বার এক একটি মুক্তার তৈরী। নগরের সড়কটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ খাঁটি সোনার তৈরী।
22 সেই নগরে আমি কোন মন্দির দেখলাম না, কারণ প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও মেষশাবক হচ্ছেন সেই নগরের মন্দির। 23 নগরটি আলোকিত করার জন্য সূর্য ও চাঁদের প্রয়োজন ছিল না, কারণ ঈশ্বরের মহিমা তা আলোকময় করে, আর মেষশাবকই তার আলোস্বরূপ। 24 এর আলোতে সমস্ত জাতি চলাফেরা করবে, আর জগতের রাজারা তাদের প্রতাপ সেখানে নিয়ে আসবে। 25 ঐ নগরের সিংহদ্বারগুলি কোন দিন কখনও বন্ধ হবে না, কারণ সেখানে কখনও কোন রাত্রি হবে না,
26 আর জাতিবৃন্দের সমস্ত প্রতাপ ও ঐশ্বর্য সেই নগরের মধ্যে আনা হবে। 27 অশুচি কোন কিছু শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। কোন মানুষ যে ঘৃন্য কাজ করে অথবা যে অসৎ সে কখনও নগরে প্রবেশ করতে পারবে না। কেবল যাদের নাম মেষশাবকের জীবন পুস্তকে লেখা আছে শুধু তারাই সেখানে প্রবেশ করতে পারবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International