Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মেম
97 হে প্রভু, আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো ভালোবাসি।
সব সময়েই আমি সে সম্পর্কে কথা বলি।
98 প্রভু আপনার আজ্ঞাগুলো আমাকে আমার শত্রুদের থেকে জ্ঞানী করেছে।
আপনার বিধি সব সময়েই আমার সঙ্গে থাকে।
99 আমার সকল শিক্ষকের চেয়ে আমি জ্ঞানী,
কারণ আমি আপনার চুক্তি অধ্যয়ন করি।
100 সমস্ত প্রাচীন নেতাদের চেয়ে আমি বেশী বিজ্ঞ
কারণ আমি আপনার সব আজ্ঞাগুলি মান্য করি।
101 আমি প্রতিটি মন্দ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলাম।
তাই প্রভু, আপনি যা বলবেন, আমি তাই করতে পারি।
102 হে প্রভু, আপনি আমার শিক্ষক,
তাই আমি আপনার বিধিসমূহ পালন করা থেকে বিরত হব না।
103 আপনার বাক্যগুলো আমার মুখে
মধুর চেয়েও মিষ্টি লাগে।
104 আপনার শিক্ষামালা আমাকে জ্ঞানী করেছে,
তাই ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।
মন্দিরে যিরমিয়র ধর্মপ্রচার
26 যিহূদার ওপর রাজা যিহোয়াকীমের শাসনের প্রথম বছরে এই বার্তা প্রভুর কাছ থেকে এসেছিল। যিহোয়াকীম ছিলেন যোশিয়ের পুত্র। 2 প্রভু বলেছিলেন, “যিরমিয়, প্রভুর মন্দির চত্বরে দাঁড়াও এবং যারা এই মন্দিরে উপাসনা করতে আসে সেই সমস্ত যিহূদার লোকদের এই বার্তাটি বলো। আমি তোমাকে যা যা বলেছি সব তাদের বলো। আমার বার্তার কোন অংশ বাদ দিও না। 3 তারা হয়তো আমার কথা শুনবে এবং পালন করবে। তারা হয়ত অসৎ কাজকর্ম থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে। যদি তারা আমার বার্তা মেনে চলে, তাহলে হয়ত আমি তাদের শাস্তি দেব না। অনেক খারাপ কাজকর্ম করেছিল বলেই আমি তাদের শাস্তি দেবার পরিকল্পনা করেছিলাম। 4 তুমি তাদের বলবে, ‘প্রভু বলেছেন: আমি আমার শিক্ষামালা তোমাদের দিয়েছি। তোমাদের উচিৎ আমার বাধ্য হওয়া এবং আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করা। 5 আমার ভৃত্যরা যা বলে তা তোমাদের শুনতে হবে। (ভাববাদীরা হল আমার ভৃত্য) আমি বারবার তোমাদের কাছে ভাববাদীদের পাঠিয়েছি। কিন্তু তোমরা তাদের কোন কথা শোন নি। 6 আমি এই মন্দিরটিকে শীলোর মত করে করব। এবং লোকরা এই শহরটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে গণ্য করবে যখন তারা অন্যান্য জায়গায় খারাপ ঘটনাসমূহ ঘটাতে ইচ্ছে করবে।’”
7 যিরমিয়র এই কথাগুলি প্রভুর মন্দিরে উপস্থিত যাজক, ভাববাদী এবং সমস্ত মানুষ শুনেছিল। 8 প্রভু যিরমিয়কে যা কিছু বলার আদেশ দিয়েছিলেন সে তা বলা শেষ করেছিল। তখন যাজক, ভাববাদী এবং সাধারণ লোক যিরমিয়কে জোর করে চেপে ধরে বলেছিল, “এই ভয়ঙ্কর কথাগুলি বলার জন্য এবার তোমার মৃত্যু হবে। 9 প্রভুর নাম করে এই ধর্মোপদেশ প্রচার করার তোমার কি করে সাহস হল? শীলোর মতো এই মন্দিরও ধ্বংস হয়ে যাবে একথা বলার সাহস তোমার কি করে হয়? কোন সাহসে তুমি বললে যে জেরুশালেম জনমানবহীন এক মরুভূমিতে পরিণত হবে?” প্রভুর মন্দিরেই সবাই যিরমিয়কে ঘিরে ধরল।
10 যিহূদার শাসকবৃন্দ শুনলেন কি কি ঘটেছে। তাই তাঁরা রাজপ্রাসাদের বাইরে বেরিয়ে এসে প্রভুর মন্দিরে গিয়েছিলেন। তাঁরা নতুন ফটকের প্রবেশদ্বারের মুখে, যেটা প্রভুর মন্দিরের দিকে যাচ্ছে সেখানে বসলেন। ঐ নতুন ফটকদ্বারের পথ প্রভুর মন্দিরকেই নির্দেশ করে। 11 তখন যাজকবৃন্দ, ভাববাদীগণ এবং সমস্ত সাধারণ মানুষ শাসকবৃন্দের সঙ্গে কথা বলল। তারা বলল, “যিরমিয়কে হত্যা করতেই হবে। সে জেরুশালেম সম্বন্ধে অমঙ্গলজনক কথাবার্তা বলে বেড়িয়েছে। আপনারাও সে সব শুনেছেন।”
12 তখন যিরমিয় যিহূদার শাসকবৃন্দ ও সাধারণ লোকদের সঙ্গে কথা বলেছিল। সে বলল, “প্রভু আমাকে এই মন্দির এবং এই শহর সম্বন্ধে এই কথাগুলি বলবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। আমি যা কিছু বললাম সেগুলি আমার কথা নয়, সেগুলো হল প্রভুর বক্তব্য। 13 আপনারা নিজেদের জীবনযাত্রা বদলে ফেলুন। ভাল কাজ করতে শুরু করুন। আপনারা আপনাদের প্রভু ঈশ্বরকে মান্য করুন। যদি আপনারা তা করেন তাহলে প্রভু তাঁর মত পরিবর্তন করবেন। তিনি যে অমঙ্গলজনক কথাবার্তা বলেছিলেন সেগুলি তিনি তাহলে বাস্তবে রূপান্তরিত করবেন না। 14 আর আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমি হলাম আপনাদের ক্ষমতার অন্তর্গত। যা ভাল এবং ঠিক বুঝবেন তাই আমার সঙ্গে আপনারা করতে পারেন। 15 কিন্তু যদি আপনারা আমায় হত্যা করেন তাহলে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান, যে আপনারা একজন নিরীহ লোককে হত্যা করতে চলেছেন। এই দোষের ভাগীদার হবে এই শহর এবং এই শহরের প্রত্যেক বাসিন্দা এবং তার জন্য দায়ী হবেন আপনারা। প্রভু সত্যিই আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আপনারা যা শুনেছেন তা পুরোটাই প্রভুর প্রেরিত বার্তা।”
22 তখন পৌল আরেয়পাগের সভার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকলেন, “হে আথীনীয় লোকেরা, আপনারা দেখছি সমস্ত ব্যাপারেই খুব ধর্মপ্রবণ। 23 কারণ আমি বেড়াতে বেড়াতে আপনারা যাদের উপাসনা করেন সেগুলি লক্ষ্য করতে করতে একটা বেদী দেখলাম, যার গায়ে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে!’ তাই যে অজানা দেবতার উপাসনা আপনারা করছেন তাঁকেই আমি আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি।
24 “ঈশ্বর, যিনি এই জগত ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর নির্মাণকর্তা, তিনিই স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, তিনি মানুষের হাতে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না। 25 মানুষের হাতের সেবা কার্যের প্রয়োজন তাঁর নেই। তাঁর তো কোন কিছুরই অভাব নেই। তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও যা কিছু প্রয়োজন তা দিচ্ছেন। 26 শুরুতে ঈশ্বর একটি মানুষকে সৃষ্টি করে সেই একজন মানুষ থেকেই মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন, আর গোটা পৃথিবীটা তাদের বসবাসের জন্য দিয়েছেন। তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন কোথায় ও কখন তারা থাকবে।
27 “ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন মানুষ তাঁর অন্বেষণ করে। তাঁর খোঁজ করতে করতে তারা যেন শেষ পর্যন্ত তাঁর নাগাল পায়। অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে তো দূরে নন, 28 ‘কারণ তাঁর সত্ত্বাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্ত্বা।’ আবার আপনাদের কোন কোন কবিও একথা বলেছেন: ‘কারণ আমরা তাঁর সন্তান।’
29 “তাহলে আমরা যখন ঈশ্বরের সন্তান, তখন ঈশ্বরকে মানুষের শিল্পকলা বা কল্পনা অনুসারে সোনা, রূপো বা পাথরের তৈরী কোন মূর্তির সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয়। 30 মানুষের এই অজ্ঞতার সময়কে ঈশ্বর ক্ষমার চোখে দেখেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গায় সকল মানুষকে তিনি এর জন্য মন-ফেরাতে বলছেন। 31 কারণ তিনি একটি দিন স্থির করেছেন, যে দিনে তিনি তাঁর নিরূপিত একজনকে দিয়ে সারা জগত সংসারের বিচার করবেন। এই বিষয়ে সকলে যেন বিশ্বাস করতে পারে এমন প্রমাণও তিনি দিয়েছেন: এই প্রমাণস্বরূপ তিনি মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে পুনরত্থিত করেছেন!”
32 মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের কথা শুনে তাদের মধ্যে কয়েকজন উপহাস করতে লাগল, কিন্তু অন্যরা বলল, “আমরা এ বিষয়ে আর একদিন আপনার কাছ থেকে শুনব!” 33 এরপর পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন। 34 তাদের মধ্যে কয়েকজন বিশ্বাস করল ও পৌলের সঙ্গ নিল। এদের মধ্যে আরেয়পাগীয়ের[a] সভ্য দিয়নুষিয়, দামারী নামে এক মহিলা ও আরো কয়েকজন ছিলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International