Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
10 প্রভু, আপনি এত দূরে থাকেন কেন?
সমস্যা জর্জরিত মানুষ আপনাকে দেখতে পায় না।
2 অহঙ্কারী এবং দুষ্ট লোকরা মন্দ ফন্দি আঁটছে
এবং তারা দরিদ্র লোকেদের আঘাত করে।
3 মন্দ লোকরা যা চায় তার বড়াই করে।
ঐসব লোভী লোকরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।
এইভাবেই মন্দ লোকেরা প্রকাশ করে যে তারা প্রভুকে ঘৃণা করে।
4 মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম্ভিক।
তারা রাশি রাশি মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা এমন ভাব করে যেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
5 মন্দ লোকরা সর্বদাই কুটিল কাজকর্ম করে।
এমনকি তারা ঈশ্বরের বিধিসকল ও মহান শিক্ষামালাকে লক্ষ্য করে না।[a]
ঈশ্বরের শত্রুরা তাঁর শিক্ষামালাকে উপেক্ষা করে।
6 ঐসব লোকজন মনে করে, কোনদিন ওদের খারাপ কিছু হবে না।
তারা বলে, “আমরা সব দিনই মজা করবো, আমাদের কোন শাস্তি হবে না।”
7 ঐসব লোকরা সর্বদা অভিশাপ দিচ্ছে।
অন্যান্য লোকজন সম্পর্কে তারা সর্বদাই কটু ও মিথ্যা কথা বলে চলেছে।
সর্বদাই তারা অহিতকর কাজ করার ফন্দি আঁটে।
8 ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের ধরার জন্য গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকে।
তারা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে আঘাত করার জন্য খুঁজতে থাকে।
নির্দোষ লোকদের ওরা হত্যা করে।
9 মন্দ লোকরা সেই সব সিংহের মত
যারা তাদের আহার্য পশুকে ধরার জন্য ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে থাকে।
তারা দরিদ্র লোকদের আক্রমণ করে।
মন্দ লোকদের তৈরী ফাঁদে দরিদ্র লোকরা ধরা পড়ে।
10 ঐসব লোক হতভাগ্য ও বিড়ম্বিত মানুষকে
বার বার আঘাত করে।
11 এই কারণে ভাগ্যহত লোকরা ভাবে, “ঈশ্বর আমাদের ভুলেই গেছেন
আমাদের থেকে তিনি চিরদিনের জন্য বিমুখ হয়েছেন!
আমাদের ওপর যা যা ঘটে চলেছে প্রভু তা দেখছেন না!”
12 প্রভু জেগে উঠুন এবং কিছু করুন!
ঈশ্বর, ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দিন!
ঐসব বঞ্চিত দরিদ্র লোকদের ভুলে যাবেন না!
13 মন্দ লোকরা কেন ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে?
কারণ তারা ভাবে, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন না।
14 প্রভু, মন্দ লোকরা যে সব নির্দয় ও অহিতকর কাজ করে, নিশ্চয় আপনি তা দেখতে পান।
ঐসবের দিকে দেখুন এবং কিছু করুন!
সমস্যাগ্রস্ত মানুষ আপনার সাহায্যের দিকে চেয়ে রয়েছে।
হে প্রভু, আপনিই সেইজন যিনি অনাথদের সাহায্য করেন।
অতএব তাদের সাহায্য করুন!
15 প্রভু, মন্দ লোকদের বিনাশ করুন।
16 প্রভু চিরকালের এবং অনন্তকালের রাজা।
বিদেশী জাতিগুলি তাঁর দেশ থেকে অদৃশ্য হয়েছে।
17 হে প্রভু, দরিদ্র লোকরা কি চায় তা আপনি শুনেছেন।
তাদের প্রার্থনা শুনুন এবং তারা যা চায় তাই করুন!
18 প্রভু পিতৃ-মাতৃহীন সন্তানদের রক্ষা করুন।
দুঃখী লোকেদের অধিক যন্ত্রণার সম্মুখীন করবেন না।
এমন করুন যেন মন্দ লোকরা এখানে থাকতে ভয় পায়।
মন্দিরে যিরমিয়র ধর্মপোদেশ
7 এ হল যিরমিয়র প্রতি প্রভুর বার্তা: 2 “যাও যিরমিয়, প্রভুর গৃহের দরজায় দাঁড়িয়ে এই ধর্মোপদেশ দাও:
“‘যিহূদার লোকরা, এই সেই প্রভুর বার্তা। তোমরা সবাই যারা এই ফটকগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রভুকে উপাসনা করতে আসো, তারা এই বার্তা শোন। 3 ইস্রায়েলের লোকদের কাছে প্রভুই হলেন ঈশ্বর। প্রভু সর্বশক্তিমান বললেন: তোমরা তোমাদের জীবনযাত্রা বদলে ফেল। সৎ কাজ করো। যদি তোমরা তা করো তাহলে তোমাদের আমি এখানে বাস করতে দেব। 4 মিথ্যেবাদীদের বিশ্বাস করো না। তারা বলে, “এই হল প্রভুর মন্দির স্থান।” 5 তোমরা যদি সত্যিই তোমাদের জীবন ধারা বদলাও এবং ভালো কর্মসমূহ কর এবং তোমরা যদি পরস্পরের প্রতি সৎ ও পক্ষপাতহীন থাকো, আমি তোমাদের এখানে থাকতে দেব। 6 বিদেশী ব্যক্তিদের প্রতিও সৎ থেকো। বিধবা এবং অনাথ শিশুদের উপকার করো। তাদের প্রতি সুবিচার করো। নিরীহ মানুষদের হত্যা করো না। আর অন্য কোন দেবতাদের অনুসরণ কোরো না। কারণ তারা তোমাদের জীবন ধ্বংস করে দেবে। 7 যদি তোমরা আমাকে মেনে চলো তাহলে আমি তোমাদের এখানে বাস করতে দেব। আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের চিরকাল বসবাসের জন্য এই জমি দিয়েছিলাম।
8 “‘কিন্তু তোমরা মূল্যহীন মিথ্যায় তোমাদের আস্থা স্থাপন করো। 9 তোমরা কি খুনী অথবা চোর হতে চাও? তোমরা কি ব্যভিচারের পাপ গায়ে মাখতে চাও? তোমরা কি মিথ্যে অভিযোগে অন্যদের ফাঁসাতে চাও? তোমরা কি বালের মূর্ত্তি এবং অন্য দেবতাদের যাদের তোমরা জানো না তাদের পূজা করতে চাও? 10 তোমরা যদি এ সব পাপগুলো করো, তাহলে কি তোমরা এই গৃহের ভেতর, যেটি আমার নামে অভিহিত সেখানে আসতে পারবে এবং আমার সামনে এসে দাঁড়াতে পারবে? তোমরা কি মনে করো আমার সামনে দাঁড়িয়ে তোমরা বলবে, “আমরা সুরক্ষিত” তাই আমরা এই ধরণের ভয়ঙ্কর কাজ করব? 11 আরাধনার এই জায়গাটি আমার নামে নামাঙ্কিত। এই মন্দির কি তোমাদের কাছে ডাকাতদের গোপন ডেরা ছাড়া আর বেশী কিছু নয়? আমি তোমাদের লক্ষ্য করে যাচ্ছি।’” এই ছিল প্রভুর বার্তা।
12 “‘যিহূদার লোকরা, তোমরা এখন শীলো শহরে চলে যাও। সেই স্থানে যাও যেখানে আমি আমার প্রথম নামাঙ্কিত বাড়িটি তৈরী করেছিলাম। যাও, গিয়ে দেখে এসো, আমার লোকদের, ইস্রায়েলের লোকদের মন্দ কাজের জন্য আমি ঐ জায়গার কি অবস্থা করেছি। 13 এবং আমি এগুলো করব কারণ তোমরা এগুলো সব করছিলে। এই হল প্রভুর বার্তা। আমি তোমাদের সঙ্গে বারে বারে কথা বলেছি। কিন্তু তোমরা আমার কথা শুনতে চাও নি। আমি তোমাদের ডেকেছিলাম কিন্তু তোমরা কোন উত্তর দাও নি। 14 তাই জেরুশালেমে অবস্থিত আমার নামাঙ্কিত গৃহ আমি নিজেই ধ্বংস করে দেব, ঠিক শীলো শহরের উপাসনালয়ের ক্ষেত্রে যেমন আমি করেছিলাম। জেরুশালেমের সেই মন্দিরকে, যেটি আমার নামে অভিহিত, সেটিকে তোমরা বিশ্বাস কর। আমি সেই জায়গা তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম। 15 ইফ্রয়িম থেকে তোমাদের সব ভাইদের যেমন ছুঁড়ে ফেলেছিলাম তেমনি তোমাদেরও আমার কাছ থেকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেব।’
আমরা অবশ্যই নিয়ত ঈশ্বরকে অনুসরণ করব
7 তাই পবিত্র আত্মা যেমন বলছেন:
“আজ, তোমরা যদি ঈশ্বরের রব শোন,
8 অতীত দিনের মতো হৃদয় কঠিন করো না, যে দিন তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে;
সেদিন তোমরা প্রান্তরে ঈশ্বরের পরীক্ষা করেছিলে।
9 সেই প্রান্তরে তোমাদের পিতৃপুরুষরা চল্লিশ বছর ধরে আমার সমস্ত কীর্তি দেখতে পেয়েছিল,
তবু তারা আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা করল।
10 তাই আমি এই জাতির ওপর ক্রুদ্ধ হলাম ও বললাম,
‘এরা সব সময় ভুল চিন্তা করে,
এই লোকেরা কখনও আমার পথ বুঝল না।’
11 তখন আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এই শপথ করলাম:
‘তারা কখনই আমার বিশ্রাম স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
12 আমার ভাই ও বোনেরা, দেখো, তোমরা সতর্ক থেকো, তোমাদের মধ্যে কারো যেন দুষ্ট ও অবিশ্বাসী হৃদয় না থাকে যা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। 13 তোমরা দিনের পর দিন একে অপরকে উৎসাহিত কর যতক্ষণ সময় “আজ” আছে। পাপের ছলনা যেন তোমাদের হৃদয়কে নির্মম না করে। 14 শুরুতে আমাদের যে বিশ্বাস ছিল যদি শেষ পর্যন্ত আমরা সেই বিশ্বাসে স্থির থাকি তাহলে আমরা সকলেই খ্রীষ্টের সহভাগী। 15 শাস্ত্র তো এই কথা বলে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তাহলে তোমাদের অন্তর কঠোর করো না, যেমন সেই বিদ্রোহের দিনে করেছিলে।”(B)
16 যারা ঈশ্বরের রব শোনার পরও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, প্রশ্ন হল তারা কারা? মোশি যাদের মিশর থেকে বার করে নিয়ে এসেছিলেন তারাই কি নয়? 17 আর কাদের ওপরই বা ঈশ্বর চল্লিশ বছর ধরে ক্রুদ্ধ ছিলেন? সেই লোকদের ওপরে নয় কি যারা পাপ করেছিল ও তার ফলে প্রান্তরে মারা পড়েছিল? 18 তিনি কাদের বিরুদ্ধেই বা শপথ করে বলেছিলেন, “এরা আমার বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না?” যারা অবাধ্য হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কি নয়? 19 তাহলে এখন আমরা দেখলাম যে, অবিশ্বাসের দরুনই তারা ঈশ্বরের বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে পারল না।
4 ঈশ্বর সেই লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও আমাদের জন্য রয়েছে। এই সেই প্রতিশ্রুতি যে, আমরা ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারব। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ না হও। 2 পরিত্রাণ লাভের জন্য সুসমাচার যেমন ওদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও প্রচার করা হয়েছে, তবু সেই সুসমাচার শিক্ষা শুনেও তাদের কোন শুভ ফল দেখা গেল না, কারণ তারা তা শুনে বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে নি। 3 আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারাই সেই বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে সক্ষম। ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন,
“আমি ক্রুদ্ধ হয়ে শপথ করেছি:
‘এরা কখনও আমার বিশ্রামস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(C)
একথা ঈশ্বর বলেছেন যদিও ঈশ্বরের সমস্ত কাজ জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়েছিল। 4 শাস্ত্রের কোন কোন জায়গায় ঈশ্বর সপ্তাহের সপ্তম দিনের বিষয়ে বলেছিলেন: “সৃষ্টির সমস্ত কাজ শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন।”(D) 5 আবার শাস্ত্রের অন্য একস্থানে ঈশ্বর বলছেন: “আমার বিশ্রামে ঐ মানুষদের কখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
6 তবুও একথা এখনও সত্য যে কেউ সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেই লোকেরা যারা প্রথমে সুসমাচারের কথা শুনেছিল, অবাধ্য হওয়ার কারণে সেখানে প্রবেশ করে নি। 7 তখন ঈশ্বর আবার একটি দিন স্থির করলেন, আর সেই দিনের বিষয়ে তিনি বললেন, “আজ”। ঈশ্বর এর বহুদিন পর রাজা দায়ূদের মাধ্যমে এই দিনটির বিষয়ে বলেছিলেন। যেমন এ বিষয়ে আগেই শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তবে অতীত দিনের মতো তোমাদের হৃদয় কঠোর করো না।”(E)
8 যিহোশূয় তাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত বিশ্রামের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন নি। এবিষয়ে আমরা জানি কারণ ঈশ্বর এরপর আবার বিশ্রামের জন্য আর এক দিনের “আজ” কথাটি উল্লেখ করেছেন। 9 এতে বোঝা যায় যে ঈশ্বরের লোকদের জন্য সেই সপ্তম দিনে যে বিশ্রাম তা আসছে, 10 কারণ ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করার পর বিশ্রাম করেছিলেন। তেমনি যে কেউ ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করে সেও ঈশ্বরের মত তার কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করে। 11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International