Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
বৈৎ
9 একজন যুবক কি করে শুদ্ধ জীবনযাপন করবে?
আপনার আদেশসমুহ মেনে সে এরকম করতে পারবে।
10 সমগ্র অন্তর দিয়ে আমি প্রভুর সেবা করতে চেষ্টা করি।
ঈশ্বর, আপনার আজ্ঞা মানতে আমায় সাহায্য করুন।
11 আপনার শিক্ষামালা আমি যত্ন করে অনুধাবন করি,
যাতে আমি আপনার বিরুদ্ধে পাপ না করি।
12 হে প্রভু, আপনি ধন্য।
আপনার বিধিসমূহ আমায় শেখান।
13 আমি আপনার সব প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্তের কথা বলবো।
14 আমি যে কোন জিনিসের চেয়ে
আপনার চুক্তিসমুহ জানতে বেশী উপভোগ করি।
15 আমি আপনার নিয়মের আলোচনা করি।
আমি আপনার জীবনধারা অনুসরণ করি।
16 আমি আপনার বিধিসমুহ উপভোগ করি।
আপনার বাক্য আমি ভুলবো না।
প্রভু লোকদের উৎসাহিত করলেন
2 প্রভু তাঁর ভাববাদী হগয়কে সপ্তম মাসের 21তম দিনে এই বার্তা দিয়েছিলেন। 2 “যিহূদার অধ্যক্ষ শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিলের সঙ্গে যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়র সঙ্গে এবং সমস্ত লোকের সঙ্গে কথা বল। তাদের বল: 3 ‘তোমাদের মধ্যে এমন কে রয়েছে যে এই মন্দিরকে তার পূর্বের গৌরব মণ্ডিত অবস্থায় দেখেছিলে? তোমাদের কি মনে হয়? প্রথম মন্দিরটির তুলনায় এই মন্দিরটি কি দেখতে কিছুই নয়? 4 কিন্তু এখন প্রভু বলেন, “সরুব্বাবিল সাহস হারিয়ো না, শক্ত হও।” যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়, “সাহস হারিয়ো না, শক্ত হও।” এই দেশের সমস্ত লোককে প্রভু এই কথা বলেন, “সাহস হারিয়ো না, শক্ত হও। এই কাজ করে যাও কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি!” প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথা বলেন!
5 “‘তোমরা যখন মিশর দেশ ত্যাগ করেছিলে সেই সময় আমি তোমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলাম। আর আমি আমার সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আমার আত্মা তোমাদের সঙ্গে রয়েছে। সুতরাং ভয় পেও না।’ 6 কারণ প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলো বলছেন! ‘কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমি আকাশ ও পৃথিবীকে নাড়া দেব। আমি সমুদ্র ও শুকনো জমিকেও কাঁপিয়ে তুলব। 7 আমি প্রত্যেকটি জাতিকে নাড়া দেব এবং তারা সমস্ত জাতিদের সমস্ত সম্পদ নিয়ে তোমার কাছে আসবে। তখন আমি এই মন্দির মহিমায় পূর্ণ করব।’ প্রভু সর্বশক্তিমান এইসব কথা বলছেন। 8 ‘সমস্ত রূপো আমারই, সোনাও আমার!’ সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন। 9 ‘এই মন্দিরটির গৌরব প্রথম মন্দিরের গৌরবের চেয়ে অনেক বেশী হবে। সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেছেন।’ এই স্থানে আমি শান্তি প্রদান করব, সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেছেন।”
20 মাসের 24তম দিনে প্রভুর কাছ থেকে হগয়ের কাছে আর একটি বার্তা এল। এই সেই বার্তা: 21 “যিহূদার অধ্যক্ষ সরুব্বাবিলের কাছে গিয়ে বল যে আমি আকাশ ও পৃথিবীকে কাঁপিয়ে তুলব। 22 আমি অনেক রাজা ও তাদের রাজ্যকে উল্টে ফেলব। আমি ঐসব রাজ্যের লোকদের শক্তিকেও খর্ব করব। আমি তাদের রথ ও রথের আরোহীদের ধ্বংস করব। তাদের যুদ্ধের ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ারীকেও আমি ধ্বংস করব। সেই সমস্ত সৈন্যরা এখন পরস্পরের মিত্র কিন্তু তারাই একে অপরের বিরোধিতা করে তরবারি দিয়ে একে অপরকে হত্যা করবে।” 23 প্রভু সর্বশক্তিমান এইসব কথা বলেন, “শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, তুমি আমার দাস। আমি তোমায় মনোনীত করেছি। সেই সময়ে আমি তোমাকে মোহরাঙ্কিত আংটির মত করে দেব। আমি যে এসব করেছি তার প্রমাণ তুমিই হবে।”
সর্বশক্তিমান প্রভু এইসব কথা বলেন।
34 এর উত্তরে লোকেরা তাঁকে বলল, “আমরা মোশির দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা থেকে শুনেছি যে খ্রীষ্ট চিরকাল বাঁচবেন। তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন যে, ‘মানবপুত্রকে উঁচুতে তোলা হবে’? এই ‘মানবপুত্র’ তবে কে?”
35 তখন যীশু তাদের বললেন, “আর সামান্য কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মধ্যে আলো থাকবে। যতক্ষণ তোমরা আলো পাচ্ছ, তারই মধ্য দিয়ে চল। তাহলে অন্ধকার তোমাদের আচ্ছন্ন করবে না। যে লোক অন্ধকারে চলে সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না। 36 যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে, সেই আলোতে বিশ্বাস কর, তাতে তোমরা আলোর সন্তান হবে।” এই কথা বলে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন ও তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন।
ইহুদীরা যীশুর ওপর আস্থা রাখতে অস্বীকার করল
37 যদিও যীশু তাদের চোখের সামনেই প্রচুর অলৌকিক চিহ্নকার্য করলেন, তবু তারা তাঁকে বিশ্বাস করল না। 38 ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন:
“প্রভু, আমাদের এই বার্তা কে বিশ্বাস করেছে?
আর কার কাছেই বা প্রভুর পরাক্রম প্রকাশ পেয়েছে?”(A)
39 এই কারণেই তারা বিশ্বাস করতে পারে নি, কারণ যিশাইয় আবার বলেছেন,
40 “ঈশ্বর তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন।
ঈশ্বর তাদের অন্তর কঠিন করেছেন
যাতে তারা চোখ দিয়ে দেখতে না পায়, অন্তর দিয়ে বুঝতে না পারে
এবং ভাল হবার জন্য আমার কাছে না আসে।”(B)
41 যিশাইয় একথা বলেছিলেন, কারণ তিনি যীশুর মহিমা দেখেছিলেন আর তিনি তাঁর বিষয়েই বলেছিলেন।
42 অনেকে, এমন কি ইহুদী নেতাদের মধ্যেও অনেকে তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করল; কিন্তু তারা ফরীশীদের ভয়ে প্রকাশ্যে তা স্বীকার করল না, পাছে তারা ইহুদীদের সমাজ-গৃহ থেকে বহিষ্কৃত হয়। 43 কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা অপেক্ষা মানুষের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা বেশী ভালবাসত।
যীশুর শিক্ষাই মানুষের বিচার করবে
44 যীশু চিৎকার করে বললেন, “যে আমাকে বিশ্বাস করে সে, প্রকৃতপক্ষে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই বিশ্বাস করে। 45 আর যে আমায় দেখে সে, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই দেখতে পায়। 46 আমি এ জগতে আলো রূপে এসেছি যাতে যে আমায় বিশ্বাস করে তাকে যেন অন্ধকারে থাকতে না হয়।
47 “আর যে কেউ আমার কথা শোনে অথচ তা মেনে চলে না, তার বিচার করতে আমি চাই না, কারণ আমি জগতের বিচার করতে আসিনি, এসেছি জগতকে রক্ষা করতে। 48 যে কেউ আমাকে অগ্রাহ্য করে ও আমার কথা গ্রহণ না করে, তার বিচার করার জন্য একজন বিচারক আছেন। আমি যে বার্তা দিয়েছি শেষ দিনে সেই বার্তাই তার বিচার করবে। 49 কারণ আমি নিজে থেকে একথা বলছি না, বরং পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমাকে কি বলতে হবে বা কি শিক্ষা দিতে হবে তা আদেশ করেছেন। 50 আমি জানি যে তাঁর আদেশ থেকেই অনন্ত জীবন আসে। আমি সেই সকল কথা বলি যা পিতা আমায় বলেছেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International