Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গানগুলির মধ্যে একটি গীত। বৎশেবার প্রতি দায়ূদের পাপকর্মের পর ভাববাদী নাথন দায়ূদের কাছে গিয়েছিল। এটা প্রায় সেই সময়ের গীত।
51 আপনার মহান প্রেমময় দয়ার জন্য
এবং আপনার মহান করুণা দিয়ে
আমার সমস্ত পাপসমূহ ধুয়ে মুছে দিন!
2 ঈশ্বর, আমার অপরাধ মুছে দিন, আমার সব পাপ ধুয়ে দিন।
আবার আমায় পাপমুক্ত করে দিন!
3 আমি জানি আমি পাপ করেছি।
সব সময় আমি সেই সব পাপ দেখতে পাই।
4 যে সব কাজকে আপনি গর্হিত বলেন, সেই সব কাজই আমি করেছি।
ঈশ্বর আপনিই সেই পরম এক যার বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি।
এইসব কথা আমি স্বীকার করেছি যাতে মানুষ বোঝে
আমি ভুল কিন্তু আপনি সঠিক।
আপনার সব সিদ্ধান্ত যথাযথ নিরপেক্ষ।
5 আমি পাপের মধ্যে দিয়ে জন্মেছিলাম
এবং পাপের মধ্যেই আমার মা আমায় গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
6 হে ঈশ্বর, আপনি চান আমি প্রকৃতভাবে অনুগত হই।
তাই আমার মনের গভীরে প্রকৃত প্রজ্ঞা দান করুন।
7 এসবের দ্বারা আমার সব পাপ মুছে দিন, আমায় পবিত্র করে দিন।
সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে আমাকে তুষারের থেকেও শুভ্র করে দিন!
8 আমায় সুখী করুন! আবার কি করে সুখী হতে পারবো তা বলে দিন।
আপনি যে হাড়গুলো চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন সেগুলো আবার সুখী হোক্!
9 আমার পাপের দিকে তাকাবেন না!
আমার সব পাপ মুছে দিন!
10 ঈশ্বর আমার মধ্যে বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করুন!
আমার আত্মাকে আবার শক্তিশালী করুন!
11 আমাকে দূরে ঠেলে দেবেন না!
আমার কাছ থেকে আপনার পবিত্র আত্মাকে সরিয়ে নেবেন না!
12 আপনার সাহায্য আমাকে প্রচণ্ড সুখী করেছে!
সেই আনন্দ আবার আমায় ফিরিয়ে দিন।
আপনার নির্দেশ মান্য করার জন্য, আমার আত্মাকে শক্তিশালী করে দিন।
15 প্রভু, আমার গুরু, ইস্রায়েলের পবিত্র জনটি বলেন, “তোমরা যদি আমার কাছে ফিরে আসো তবে সুরক্ষিত হবে। তোমরা যদি আমার ওপর আস্থা রাখ তবেই পাবে আসল শক্তি। কিন্তু তোমাদের শান্ত হতে হবে।”
কিন্তু তোমরা তা করতে চাও না! 16 তোমরা বলবে, “না, আমাদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোড়া চাই।” নিশ্চয়ই তোমরা ঘোড়ায় চেপে পালিয়ে যাবে। কিন্তু শত্রুরা তোমাদের পেছনে তাড়া করবে এবং শত্রুরা তোমাদের ঘোড়ার থেকেও দ্রুতগামী হবে। 17 একজন শত্রু তোমাদের ভয় দেখাবে এবং তোমাদের এক হাজার লোক পালিয়ে যাবে। যখন পাঁচজন শত্রু তোমাদের ভয় দেখাবে তখন তোমরা সবাই ওদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। তোমাদের সেনাদের যে জিনিসটা শুধুমাত্র পড়ে থাকবে তা হল পাহাড়ের ওপর একটি পতাকার দণ্ড।
18 প্রভু তোমাদের প্রতি তাঁর করুণা দেখাতে চান। তিনি অপেক্ষা করছেন। তিনি উঠে দাঁড়াতে চান এবং তোমাদের আরাম দিতে চান। প্রভু ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ এবং যারা প্রভুর কৃপার অপেক্ষায় আছেন তারা সুখী হবে।
4 ঈশ্বর সেই লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও আমাদের জন্য রয়েছে। এই সেই প্রতিশ্রুতি যে, আমরা ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারব। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ না হও। 2 পরিত্রাণ লাভের জন্য সুসমাচার যেমন ওদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও প্রচার করা হয়েছে, তবু সেই সুসমাচার শিক্ষা শুনেও তাদের কোন শুভ ফল দেখা গেল না, কারণ তারা তা শুনে বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে নি। 3 আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারাই সেই বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে সক্ষম। ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন,
“আমি ক্রুদ্ধ হয়ে শপথ করেছি:
‘এরা কখনও আমার বিশ্রামস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
একথা ঈশ্বর বলেছেন যদিও ঈশ্বরের সমস্ত কাজ জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়েছিল। 4 শাস্ত্রের কোন কোন জায়গায় ঈশ্বর সপ্তাহের সপ্তম দিনের বিষয়ে বলেছিলেন: “সৃষ্টির সমস্ত কাজ শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন।”(B) 5 আবার শাস্ত্রের অন্য একস্থানে ঈশ্বর বলছেন: “আমার বিশ্রামে ঐ মানুষদের কখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
6 তবুও একথা এখনও সত্য যে কেউ সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেই লোকেরা যারা প্রথমে সুসমাচারের কথা শুনেছিল, অবাধ্য হওয়ার কারণে সেখানে প্রবেশ করে নি। 7 তখন ঈশ্বর আবার একটি দিন স্থির করলেন, আর সেই দিনের বিষয়ে তিনি বললেন, “আজ”। ঈশ্বর এর বহুদিন পর রাজা দায়ূদের মাধ্যমে এই দিনটির বিষয়ে বলেছিলেন। যেমন এ বিষয়ে আগেই শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তবে অতীত দিনের মতো তোমাদের হৃদয় কঠোর করো না।”(C)
8 যিহোশূয় তাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত বিশ্রামের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন নি। এবিষয়ে আমরা জানি কারণ ঈশ্বর এরপর আবার বিশ্রামের জন্য আর এক দিনের “আজ” কথাটি উল্লেখ করেছেন। 9 এতে বোঝা যায় যে ঈশ্বরের লোকদের জন্য সেই সপ্তম দিনে যে বিশ্রাম তা আসছে, 10 কারণ ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করার পর বিশ্রাম করেছিলেন। তেমনি যে কেউ ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করে সেও ঈশ্বরের মত তার কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করে। 11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
12 ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়। তাঁর বাক্য দুপাশে ধারযুক্ত তলোয়ারের ধারের থেকেও তীক্ষ্ণ। এটা প্রাণ ও আত্মার গভীর সংযোগস্থল এবং সন্ধি ও অস্থির কেন্দ্র ভেদ করে মনের চিন্তা ও ভাবনার বিচার করে। 13 ঈশ্বরের সামনে কোন সৃষ্ট বস্তুই তাঁর অগোচরে থাকতে পারে না, তিনি সব কিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পান। তাঁর সাক্ষাতে সমস্ত কিছুই খোলা ও প্রকাশিত রয়েছে, আর তাঁরই কাছে একদিন সব কাজকর্মের হিসেব দিতে হবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International