Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
সুন্নতের চুক্তির প্রমাণ
17 অব্রামের 99 বছর বয়স হলে প্রভু তাঁর সামনে আবির্ভূত হলেন। প্রভু বললেন, “আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। আমার জন্য এই কাজগুলি করো: আমার কথামত চলো এবং সৎ পথে জীবনযাপন করো। 2 এটা যদি করো তাহলে আমাদের মধ্যে একটা চুক্তির ব্যবস্থা করব। আমি প্রতিশ্রুতি করছি যে তোমার বংশধরদের আমি এক মহান জাতিতে পরিণত করব।”
3 তখন অব্রাম ঈশ্বরের সামনে প্রণামে নত হলেন। ঈশ্বর তাঁকে বললেন, 4 “আমাদের চুক্তিতে এটি আমার অংশ। আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করব। 5 আমি তোমার নাম পরিবর্তন করব। তোমার নাম অব্রামের পরিবর্তে অব্রাহাম হবে। আমি তোমায় এই নাম দিচ্ছি কারণ আমি তোমায় বহু জাতির পিতা করছি। 6 আমি তোমার বংশ অতিশয় বৃদ্ধি করব। তোমার থেকে নতুন নতুন জাতির এবং রাজার জন্ম হবে। 7 এবং তোমার ও আমার মধ্যে এক চুক্তি সম্পন্ন হবে। তোমার সমস্ত উত্তরপুরুষগণের জন্যও এই একই চুক্তি প্রযোজ্য হবে। এই চুক্তি চিরকাল বহাল থাকবে। আমি তোমার ও তোমার উত্তরপুরুষগণের জন্য ঈশ্বর থাকব।
প্রতিশ্রুত পুত্র ইস্হাক
15 ঈশ্বর অব্রাহামকে বললেন, “তোমার স্ত্রী সারীকে আমি এক নতুন নাম দেব। তার নতুন নাম হবে সারা অর্থাৎ রানী। 16 আমি তাকে আশীর্বাদ করব। আমি তাকে একটি পুত্র দেব এবং তুমি হবে সেই পুত্রের পিতা। সারা হবে বহু নতুন জাতির মাতা। সারা থেকে আসবে বহু জাতির বহু রাজা।”
23 তোমরা যারা প্রভুর উপাসনা কর, তারা প্রভুর প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের উত্তরপুরুষগণ প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর!
হে ইস্রায়েলের মানুষ, প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা কর।
24 কেন? কারণ প্রভু দরিদ্র লোকদের তাদের সংকটে সাহায্য করেন।
প্রভু তাদের জন্য লজ্জিত নন।
যদি মানুষ তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে
তিনি তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকেন না।
25 প্রভু, মহাসমাজে আমার প্রশংসা আপনার কাছ থেকেই আসে।
এইসব উপাসনাকারী ভক্তদের সামনে, আমার মানত করা বলি আমি আপনাকে উৎসর্গ করবো।
26 দরিদ্র লোকরা খেয়ে তৃপ্ত হবে।
তোমরা যারা প্রভুকে খুঁজছ, তারা তাঁর প্রশংসা কর!
তোমাদের অন্তঃকরণ চিরজীবি হউক!
27 তোমরা, সুদূর দেশগুলির জনগণ, প্রভুকে মনে রেখো
এবং তাঁর কাছে ফিরে এস!
যে সব মানুষ বিদেশে থাকে তারাও যেন প্রভুরই উপাসনা করে।
28 কেন? কারণ প্রভুই রাজা।
তিনি সব জাতিকে শাসন করেন।
29 বলিষ্ঠ এবং সুদেহী লোকেরা আহারান্তে ঈশ্বরের কাছে প্রণিপাত করবে।
বস্তুতঃ সকলে যারা মারা যাবে
এবং যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছে
তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে অবনত হবে!
30 এবং ভবিষ্যতে আমাদের উত্তরপুরুষরা প্রভুর সেবা করবে।
লোকে চিরদিন তাঁর কথা বলবে।
31 প্রত্যেকটি প্রজন্ম তাদের শিশুদের কাছে
ঈশ্বর যে ভাল জিনিসগুলি করেছেন সে সম্পর্কে বলবে।
বিশ্বাসের দ্বারা প্রাপ্ত ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি
13 জগতের উত্তরাধিকারী হবার যে প্রতিজ্ঞা ঈশ্বর অব্রাহাম ও তার বংশধরদের কাছে করেছিলেন, তা বিধি-ব্যবস্থার মাধ্যমে আসেনি কিন্তু বিশ্বাসের দ্বারা যে ধার্মিকতা লাভ হয় তার মধ্য দিয়েই সেই প্রতিজ্ঞা করা হযেছিল। 14 কারণ যদি বিধি-ব্যবস্থায় নির্ভর কেউ জগতের উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসের কোন অর্থ হয় না এবং সেক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাও মূল্যহীন। 15 কারণ বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলা না হলে তা শুধুই ঈশ্বরের ক্রোধ বয়ে আনে। বিধি-ব্যবস্থা যেখানে নেই, সেখানে তার লঙ্ঘনও নেই।
16 তাই ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির পূর্ণতা বিশ্বাসের ফলেই লাভ হয়, যেন তা অনুগ্রহের দান হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এইভাবে অব্রাহামের সব বংশধরদের জন্য সেই প্রতিজ্ঞা দৃঢ়ভাবে রয়েছে। যাদের বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে কেবল তাদের জন্যই সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে তা নয়, কিন্তু তাদের জন্যও সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে যাদের অব্রাহামের মতো বিশ্বাস রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি তাদেরই জন্য যারা অব্রাহামের মত বিশ্বাসে চলে। অব্রাহাম আমাদের সকলেরই পিতা। 17 শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম।”(A) ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অব্রাহাম আমাদের পিতা। তিনি সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন, যিনি মৃতকে জীবন দেন ও যার অস্তিত্ব নেই তাকে অস্তিত্বে আনেন।
18 অব্রাহামের সন্তান হবার কোন আশা ছিল না। কিন্তু অব্রাহাম ঈশ্বর বিশ্বাসে স্থির ছিলেন। আশা না থাকলেও আশা করে যাচ্ছিলেন, আর এই জন্যই তিনি বহুজাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। ঠিক ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন, “তোমার বংশধররা আকাশের তারার মত অসংখ্য হবে।”(B) 19 অব্রাহামের বয়স তখন একশ বছর, কাজেই সন্তান লাভের জন্য তাঁর দৈহিক ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর স্ত্রী সারার সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা ছিল না। অব্রাহাম এসব কথা চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন নি। 20 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পূর্ণতার বিষয়ে অব্রাহামের কোন সন্দেহ ছিল না। অব্রাহাম অবিশ্বাস করলেন না বরং তিনি বিশ্বাসে বলবান হয়ে উঠলেন এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন। 21 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যে তিনি সফল করতে পারবেন সেই সম্বন্ধে অব্রাহাম সুনিশ্চিত ছিলেন। 22 আর তাই, “এই বিশ্বাস তাকে ঈশ্বরের সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছিল।” 23 শাস্ত্রে এই কথা শুধু যে তাঁর জন্যই লেখা হয়েছিল তা নয়, 24 ঐ কথাগুলি আমাদের জন্যও লেখা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাসকেও ঈশ্বর আমাদের পক্ষে ধার্মিকতা হিসাবে প্রতিপন্ন করলেন। কারণ যিনি প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, সেই ঈশ্বরে আমরা বিশ্বাস করি। 25 আমাদের পাপের জন্য সেই যীশুকে মৃত্যুর হাতে সমর্পণ করা হল এবং আমাদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্য যীশু মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন।
যীশু বললেন তাঁর মৃত্যু অনিবার্য
(মথি 16:21-28; লূক 9:22-27)
31 এরপর তিনি তাঁদের এই শিক্ষা দিতে শুরু করলেন যে, মানবপুত্রকে অনেক দুঃখ ভোগ করতে হবে এবং বয়স্ক ইহুদী নেতারা, প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে, হত্যা করবে এবং মৃত্যুর তিনদিন পর তিনি আবার বেঁচে উঠবেন। 32 এই কথা তিনি তাঁদের স্পষ্টভাবে বললেন।
তাতে পিতর তাঁকে একপাশে নিয়ে গিয়ে অনুযোগ করতে লাগলেন। 33 কিন্তু যীশু তাঁর শিষ্যদের দিকে মুখ ফিরিয়ে পিতরকে ধমক দিয়ে বললেন, “আমার সামনে থেকে দূর হও, শয়তান! কারণ তুমি ঈশ্বরের ইচ্ছার সমাদর করছ না; তুমি মানুষের মতোই ভেবে এই কথা বলছ।”
34 এরপর তিনি শিষ্যদেব সঙ্গে অন্যান্য লোকদেরও নিজের কাছে ডেকে বললেন, “কেউ যদি আমার সঙ্গে আসতে চায়, সে নিজেকে অস্বীকার করুক এবং তার নিজের ক্রুশ তুলে নিয়ে আমার অনুসারী হোক্। 35 কারণ কেউ যদি নিজের প্রাণ রক্ষা করতে চায় তবে সে তা হারাবে; কিন্তু কেউ যদি আমার এবং সুসমাচারের জন্য নিজের প্রাণ হারায় তবে তার জীবন চিরস্থায়ী হবে। 36 মানুষ যদি নিজের জীবন হারিয়ে সমস্ত জগৎ লাভ করে তবে তার কি লাভ? 37 কিংবা মানুষ তার প্রাণের বিনিময়ে কি দিতে পারে? 38 যে কেউ এই ব্যভিচারী ও পাপীদের যুগে আমাকে এবং আমার শিক্ষাকে লজ্জার বিষয় মনে করে, মানবপুত্র যখন তাঁর পিতার মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে পবিত্র স্বর্গদূতদের সঙ্গে ফিরে আসবেন, তখন তিনিও সেই লোকের বিষয়ে লজ্জাবোধ করবেন।”
মোশি ও এলিয়র সঙ্গে যীশু
(মথি 17:1-13; লূক 9:28-36)
2 ছদিন বাদে যীশু পিতর, যাকোব এবং যোহনকে সঙ্গে করে এক উঁচু পাহাড়ে উঠে গেলেন। তাঁদের সামনে তাঁর রূপ পরিবর্তিত হয়ে গেল। 3 তাঁর পোশাক এত উজ্জ্বল ও শুভ্র হল যে পৃথিবীর কোন রজক সেই রকম সাদা করতে পারে না। 4 তখন মোশি এবং এলিয় তাঁদের সামনে এসে যীশুর সাথে কথা বলতে শুরু করলেন।
5 তখন পিতর যীশুকে বললেন, “গুরুদেব, এখানে আমাদের থাকা ভাল। আমরা তিনটি তাঁবু তৈরী করি। একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য এবং একটা এলিয়র জন্য।” 6 কারণ কি বলতে হবে তা তিনি জানতেন না, তাঁরা অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
7 পরে একখানা মেঘ এসে তাঁদের ছায়া দিয়ে ঢেকে ফেলল; আর সেই মেঘ থেকে এই রব শোনা গেল, “ইনি আমার প্রিয় পুত্র। তোমরা তাঁর কথা শোন।”
8 শিষ্যেরা তখনই চারদিকে তাকালেন; কিন্তু যীশু ছাড়া আর কাউকে সেখানে দেখতে পেলেন না।
9 পাহাড় থেকে নামার সময় তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “তোমরা যা যা দেখলে তা কাউকে বলো না যতক্ষণ না মৃত্যু থেকে মানবপুত্র বেঁচে উঠছেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International