Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
প্রভুর আগমনের দিন
2 সিয়োনে শিঙা বাজাও।
আমার পবিত্র পর্বতে জোরে চিৎকার করো।
দেশের সমস্ত বাসিন্দারা
ভয়ে কেঁপে উঠুক।
কারণ প্রভুর দিন আসছে
এবং তা সন্নিকট।
2 সেটা এক অন্ধকার, বিষণ্ন দিন হবে।
এটা অন্ধকার এবং মেঘলা দিন হবে।
অন্ধকার যেভাবে পর্বতে ছেয়ে যায়
সেইভাবে বিশাল ও শক্তিশালী সৈন্য দেখা যাবে।
এর আগে কখনও এমন হয় নি।
আর এর পরেও এমন হবে না।
পরিবর্তনের জন্য লোকদের কাছে প্রভুর আহবান
12 প্রভু বললেন,
“এখন তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার কাছে ফিরে এস।
উপবাস, রোদন ও বিলাপ করতে করতে এস!
13 আর তোমাদের হৃদয় ছিন্ন কর, তোমাদের বস্ত্র নয়।”
তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছেই ফিরে এস।
কারণ তিনি কৃপাময়।
তিনি চট করে রেগে ওঠেন না।
তিনি মহা দয়াময়।
হয়তো তিনি যে অমঙ্গলের পরিকল্পনা করেছিলেন
সে বিষয়ে তাঁর মন পরিবর্তন করবেন।
14 কে জানে, প্রভু হয়তো তাঁর মন পরিবর্তন করতে পারেন।
এমনকি তিনি হয়তো তোমাদের জন্য পশ্চাতে আশীর্বাদ রেখেও যেতে পারেন।
তাহলে তোমরা প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে
বলি ও পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে সক্ষম হবে।
প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর
15 সিয়োনে শিঙা বাজাও।
উপবাসের দিন ঠিক কর।
বিশেষ সভার দিন ঘোষণা কর।
16 লোকদের একত্র কর।
বিশেষ সভা ডাক।
বয়স্ক লোকদের একত্র কর।
শিশু ও বাচ্চাদের একত্র কর।
বর ও কনেরা তাদের শয্যা ঘর
থেকে বেরিয়ে আসুক।
17 বারান্দা ও বেদীর মধ্যে
যাজকরা, প্রভুর দাসরা কাঁদুক।
তাদের সবাই বলুক:
“প্রভু তোমার লোকদের প্রতি কৃপা কর।
তোমার লোকদের লজ্জায় পড়তে দিও না।
অন্য দেশের লোকদের তোমার লোকদের নিয়ে ঠাট্টা করতে দিও না।
অন্য দেশের লোকদের হেসে বলতে দিও না,
‘ওদের ঈশ্বর কোথায়?’”
ঈশ্বরকে মেনে চলার কথা লোকদের বলতে হবে
58 যত জোরে পারো চিৎকার করো! নিজেকে থামিয়ো না।
শিঙার মতো চেঁচিয়ে ওঠো।
মানুষকে তাদের ভুল কাজের কথা বলে দাও।
যাকোবের পরিবারকে তাদের পাপের কথা জানিয়ে দাও!
2 তারা আমার খোঁজে প্রতিদিন আসে
এবং আমার পথ শিখতে চায়,
যেন তারা সঠিক পথের জাতি,
যারা তাদের ঈশ্বরের বিধি অনুসরণ করা বন্ধ করেনি।
তারা আমার কাছে তাদের ন্যায্য বিচার চায়।
তারা ঈশ্বরকে কাছে পাবার ইচ্ছা করে।
3 এখন তারা বলে, “আপনাকে সম্মান জানাতে, আমরা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আপনি কেন আমাদের দিকে তাকাচ্ছেন না? আমরা আপনাকে সম্মান জানাতে আমাদের শরীরকে আঘাত করছি। আপনি কেন আমাদের লক্ষ্য করছেন না?”
কিন্তু প্রভু বলেন, “উপবাসের দিনগুলিতে তোমরা তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো। এবং তোমরা তোমাদের ভৃত্যদের কষ্ট দাও; নিজের শরীরকে নয়। 4 তোমরা ক্ষুধার্ত, কিন্তু খাদ্যের জন্য নয়। তোমাদের খিদে তর্ক আর যুদ্ধ করার জন্য, রুটির জন্য নয়। তোমরা তোমাদের শয়তান হাত দিয়ে লোককে আঘাত করার জন্য ক্ষুধার্ত। তোমরা যখন খাওয়া বন্ধ করো সেটা আমার জন্য নয়। তোমরা আমার প্রশংসার জন্য তোমাদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করো না। 5 তোমরা কি মনে কর ঐসব বিশেষ দিনে আমি চাই তোমরা উপবাস করে নিজেদের শরীরকে কষ্ট দাও? তোমরা কি মনে কর, আমি তোমাদের দুঃখী দেখতে চাই? তোমরা কি মনে কর আমি তোমাদের একটি ঘাসের মত মাথা নোয়াতে চাই? তোমরা কি মনে কর আমি তোমাদের শোকবস্ত্র পরাতে চাই? তোমরা কি মনে কর যে আমি চাই লোকরা ছাইয়ের ওপরে বসে তাদের দুঃখ দেখাক? খাবার না খেয়ে তোমরা তোমাদের বিশেষ দিনে তাই করো। তোমরা কি ভাবো যে সত্যিই প্রভু এসব চান?
6 “আমি তোমাদের জানাবো কোন ধরণের বিশেষ দিন আমি চাই, এটা লোকদের মুক্ত করার দিন। আমি একটা দিন চাই যেদিন তোমরা লোকদের তাদের বোঝার ভার থেকে মুক্তি দেবে। আমি চাই একটা দিন, যে দিন তোমরা লোককে কষ্ট মুক্ত করবে। আমি চাই একটা দিন যেদিন তোমরা মানুষের বোঝা নামিয়ে দেবে। 7 আমি চাই তোমরা তোমাদের খাদ্য ভাগ করে নেবে ক্ষুধার্ত মানুষের সঙ্গে। আমি চাই তোমরা গৃহহীনদের খুঁজে নিজের ঘরে নিয়ে এসে রাখো। কোন মানুষকে বস্ত্রহীন দেখলে তাকে নিজের পোশাক দেবে। তারাও তোমাদের মত, তাদের দেখে নিজেকে লুকিয়ে রেখো না।”
8 তোমরা যদি এইসব করো তবে তোমাদের আলো ভোরের আলোর মতো কিরণ দিতে শুরু করবে। তখন তোমাদের সব ক্ষত নিরাময় হবে। তোমাদের “ধার্মিকতা” (ঈশ্বর) তোমাদের সামনে দিয়ে হাঁটবে, এবং প্রভুর মহিমা[a] তোমাদের পেছন পেছন চলবে। 9 তখন তোমরা প্রভুর সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারবে। প্রভু তোমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন! তোমরা প্রভুর জন্য চিৎকার করবে এবং তিনি বলবেন, “আমি এই খানে।”
তোমাদের উচিৎ অন্যের সমস্যা ও বোঝা বানানো বন্ধ করা। তোমাদের অন্যকে আঘাত করে বা দোষারোপ করে কথা বলা বন্ধ করা উচিৎ। 10 ক্ষুধার্ত মানুষদের জন্য দুঃখী হয়ে তাদের খাদ্য দেওয়া উচিৎ। যারা সমস্যায় পড়েছে তাদের প্রয়োজন মতো তোমাদের সাহায্য করা উচিৎ। তাহলে অন্ধকারের মধ্যে তোমরা আলোর দিশা পাবে এবং তোমাদের কোন দুঃখ থাকবে না। দুপুরের সূর্যালোকের মতো উজ্জল হবে তোমরা।
11 প্রভু তোমাদের সর্বদা নেতৃত্ব দেবেন। শুকনো জমিতেও তিনি তোমাদের আত্মাকে সন্তুষ্ট করবেন। প্রভু তোমাদের হাড়কে শক্তি দেবেন। তোমরা যথেষ্ট জল পাওয়া বাগানের মতো। তোমরা হবে সর্বদা জলে ভরা ঝর্ণার মতো।
12 বহু বছর ধরে ধ্বংস হলেও তোমরা তোমাদের শহরগুলি পুর্নগঠন করবে এবং বহু বছর ধরে থেকে যাবে। তোমাদের বলা হবে “যারা বেড়া মেরামত করে” এবং “যারা রাস্তাসমূহ ও বাড়ীগুলি তৈরী করে।”
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গানগুলির মধ্যে একটি গীত। বৎশেবার প্রতি দায়ূদের পাপকর্মের পর ভাববাদী নাথন দায়ূদের কাছে গিয়েছিল। এটা প্রায় সেই সময়ের গীত।
51 আপনার মহান প্রেমময় দয়ার জন্য
এবং আপনার মহান করুণা দিয়ে
আমার সমস্ত পাপসমূহ ধুয়ে মুছে দিন!
2 ঈশ্বর, আমার অপরাধ মুছে দিন, আমার সব পাপ ধুয়ে দিন।
আবার আমায় পাপমুক্ত করে দিন!
3 আমি জানি আমি পাপ করেছি।
সব সময় আমি সেই সব পাপ দেখতে পাই।
4 যে সব কাজকে আপনি গর্হিত বলেন, সেই সব কাজই আমি করেছি।
ঈশ্বর আপনিই সেই পরম এক যার বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি।
এইসব কথা আমি স্বীকার করেছি যাতে মানুষ বোঝে
আমি ভুল কিন্তু আপনি সঠিক।
আপনার সব সিদ্ধান্ত যথাযথ নিরপেক্ষ।
5 আমি পাপের মধ্যে দিয়ে জন্মেছিলাম
এবং পাপের মধ্যেই আমার মা আমায় গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
6 হে ঈশ্বর, আপনি চান আমি প্রকৃতভাবে অনুগত হই।
তাই আমার মনের গভীরে প্রকৃত প্রজ্ঞা দান করুন।
7 এসবের দ্বারা আমার সব পাপ মুছে দিন, আমায় পবিত্র করে দিন।
সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে আমাকে তুষারের থেকেও শুভ্র করে দিন!
8 আমায় সুখী করুন! আবার কি করে সুখী হতে পারবো তা বলে দিন।
আপনি যে হাড়গুলো চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন সেগুলো আবার সুখী হোক্!
9 আমার পাপের দিকে তাকাবেন না!
আমার সব পাপ মুছে দিন!
10 ঈশ্বর আমার মধ্যে বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করুন!
আমার আত্মাকে আবার শক্তিশালী করুন!
11 আমাকে দূরে ঠেলে দেবেন না!
আমার কাছ থেকে আপনার পবিত্র আত্মাকে সরিয়ে নেবেন না!
12 আপনার সাহায্য আমাকে প্রচণ্ড সুখী করেছে!
সেই আনন্দ আবার আমায় ফিরিয়ে দিন।
আপনার নির্দেশ মান্য করার জন্য, আমার আত্মাকে শক্তিশালী করে দিন।
13 পাপীদের কেমন ধারা জীবনযাত্রা আপনি চান তা আমি ওদের শেখাবো
এবং ওরা আপনার কাছে ফিরে আসবে।
14 ঈশ্বর, মৃত্যুর শাস্তি থেকে আমায় নিষ্কৃতি দিন।
হে আমার ঈশ্বর, আপনিই সেই, যিনি আমায় রক্ষা করেন!
আমার জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেছেন, তা নিয়ে আমায় গান গাইতে দিন!
15 প্রভু আমার, আপনার সম্মানে আমি মুখ খুলবো এবং আপনার প্রশংসা গান গাইবো!
16 প্রকৃতপক্ষে আপনি কোন বলি চান না।
যদি আপনি চাইতেন আমি তা আপনার উদ্দেশ্যে দিতাম।
তাহলে কেন আপনাকে হোমবলি দেব যা আপনি প্রকৃত পক্ষে চান না!
17 ঈশ্বর যে বলি চান তা হল এক অনুতপ্ত আত্মা।
হে ঈশ্বর, যদি একজন লোক নম্র হৃদয়ে ও বশ্যতার মন নিয়ে আপনার কাছে আসে তাকে আপনি ফিরিয়ে দেবেন না।
20 খ্রীষ্টের হয়েই আমরা কথা বলেছি। খ্রীষ্টের হয়ে কথা বলতে আমাদের পাঠানো হয়েছে, এইভাবে আমাদের মাধ্যমে ঈশ্বর লোকদের ডাকছেন। আমরা খ্রীষ্টের হয়ে তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা ঈশ্বরের সাথে মিলিত হও। 21 খ্রীষ্ট কোন পাপ করেন নি; কিন্তু ঈশ্বর খ্রীষ্টের ওপর আমাদের পাপের সব দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন, যেন খ্রীষ্টের মধ্যে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়।
6 ঈশ্বরের সহকর্মী হিসাবে আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ লাভ করেছ তা নিষ্ফল হতে দিও না। 2 কারণ ঈশ্বর বলেন,
“আমি উপযুক্ত সময়ে তোমাদের প্রার্থনা শুনলাম
এবং পরিত্রাণের দিনে আমি তোমাদের সাহায্য করলাম।”(A)
আমি যা বলছি শোন, এখনই সেই “উপযুক্ত সময়।” আজই “পরিত্রাণের দিন।”
3 আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের কোন কাজের দ্বারা কেউ বিঘ্নিত না হয়। যেন আমাদের কাজের কোন রকম নিন্দা কেউ করতে না পারে। 4 আমরা সব বিষয়ে নিজেদের ঈশ্বরের সেবক বলে প্রমাণ করি। আমরা ধৈর্য্যের সঙ্গে দুঃখভোগ করে সবসময় কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করেছি। 5 আমাদের মারধোর করা হয়েছে, কারাগারে দেওয়া হয়েছে, মারমুখী জনতার সামনে আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে। কাজ করতে করতে অবসন্ন হয়েছি, কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, এমনকি অনাহারেও কতদিন কেটেছে। 6-7 এসব সত্ত্বেও আমরা আমাদের জীবনের পবিত্রতা, জ্ঞান, ধৈর্য্য, স্নেহ, মমতা, পবিত্র আত্মা, প্রকৃত ভালবাসা ও সত্যের প্রচার দ্বারা এবং ঈশ্বরের পরাক্রমের দ্বারা, কি আক্রমণে কি আত্মরক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই সদাচারের অস্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ দিয়েছি যে আমরা ঈশ্বরের সেবক।
8 আমরা সম্মানিত হয়েছি, আবার অসম্মানিতও হয়েছি। আমরা অপমানিত হয়েছি, আবার প্রশংসিতও হয়েছি। আমাদের মিথ্যাবাদী হিসেবে ধরা হয়েছে যদিও আমরা সত্য বলি। 9 কিছু লোক আমাদের প্রেরিত বলে স্বীকার করে না, কিন্তু তবুও আমরা স্বীকৃত। মনে হচ্ছিল আমরা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু দেখ আমরা মরিনি। আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু মেরে ফেলা হচ্ছে না। 10 একদিকে মনে হয় আমরা দুঃখ পাচ্ছি কিন্তু আমরা সদাই আনন্দ করছি। মনে হয় আমরা নিঃস্ব, তবু সবকিছুই আমাদের আছে। ধরে নেওয়া হয় আমরা দরিদ্র কিন্তু আমরা অপরকে ধনবান করি।
দান করার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
6 “সাবধান! লোক দেখানো ধর্ম-কর্ম বা ঈশ্বরের কাজ করো না। তাহলে তোমাদের স্বর্গের পিতার কাছ থেকে কোন পুরস্কার পাবে না।
2 “তাই তুমি যখন কোন অভাবী মানুষকে কিছু দাও, তখন তূরী বাজিয়ে তা দিও না। যারা ভণ্ড তারা লোকদের প্রশংসা পাবার আশায় সমাজ-গৃহে ও পথে-ঘাটে ঐভাবে তূরী বাজিয়ে দান করে। আমি বলছি, তাদের পুরস্কার তারা পেয়ে গেছে। 3 কিন্তু তুমি যখন অভাবী লোকদের কিছু দান কর, তখন তোমার ডান হাত কি করছে তা তোমার বাঁ হাতকে জানতে দিও না, 4 যেন তোমার দান গোপনে দেওয়া হয়। তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপনে সব কিছু দেখেন, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন।
প্রার্থনার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 11:2-4)
5 “তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন ভণ্ডদের মতো করো না, তারা লোকদের কাছে নিজেদের দেখাবার জন্য সমাজ-গৃহে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে ভালবাসে। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। 6 কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার ঘরের ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে তোমার পিতা যাঁকে দেখা যায় না, তাঁর কাছে প্রার্থনা করো। তাহলে তোমার পিতা যিনি গোপনে যা কিছু করা হয় দেখেন, তিনি তোমাকে পুরস্কার দেবেন।
উপবাস বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
16 “যখন তোমরা উপবাস কর, তখন ভণ্ডদের মতো মুখ শুকনো করে রেখো না। তারা যে উপবাস করেছে তা লোকেদের দেখাবার জন্য তারা মুখ শুকনো করে ঘুরে বেড়ায়। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। 17 কিন্তু তুমি যখন উপবাস করবে, তোমার মাথায় তেল দিও আর মুখ ধুয়ো। 18 যেন অন্য লোকে জানতে না পারে যে তুমি উপবাস করছ। তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর, যাঁকে তুমি চোখে দেখতে পাচ্ছ না, তিনি দেখবেন। তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপন বিষয়ও দেখতে পান, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন।
ঈশ্বর অর্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ
(লূক 12:33-34; 11:34-36; 16:13)
19 “এই পৃথিবীতে তোমরা নিজেদের জন্য ধন-সম্পদ সঞ্চয় করো না। এখানে ঘুন ধরে ও মরচে পড়ে তা নষ্ট হয়ে যায়, আর চোরে সিঁধ কেটে তা চুরিও করতে পারে। 20 বরং স্বর্গে তোমার জন্য সম্পদ সঞ্চয় কর, সেখানে ঘুন ধরবে না, মরচেও পড়বে না, চোরেও চুরি করবে না। 21 তোমার ধন-সম্পদ যেখানে রয়েছে, তোমার মনও সেখানে পড়ে থাকবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International