Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
ইষ্রাহীয় এথনের কাছ থেকে একটি মস্কীল।
89 প্রভুর প্রেম সম্পর্কে আমি সর্বদাই গান গাইবো।
তাঁর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে আমি চিরকাল এবং অনন্তকাল গাই গাইবো!
2 প্রভু, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনার ভালোবাসা চিরন্তন!
আপনার বিশ্বস্ততা আকাশের মত থেকে যায়!
3 ঈশ্বর বলেছেন, “আমার মনোনীত রাজার সঙ্গে আমি একটি চুক্তি করেছি।
আমার দাস দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
4 ‘দায়ূদ, তোমার পরিবারকে আমি চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবো।
তোমার রাজ্যকে আমি চিরকাল অব্যাহত রাখতে সাহায্য করব।’”
19 আপনার বিশ্বস্ত অনুগামীদের সঙ্গে আপনি এক স্বপ্নদর্শনের কথা বলেছিলেন,
“জনতার মধ্যে থেকে আমি একজন তরুণকে মনোনীত করেছি।
আমি সেই তরুণকে একজন গুরুত্বপূর্ণ লোক করে তুলেছি।
সেই তরুণ সৈন্যকে আমি শক্তিশালী করেছি।
20 আমার দাস দায়ূদকে আমি খুঁজে পেয়েছি।
বিশেষ তৈল দ্বারা আমি দায়ূদকে অভিষিক্ত করেছি।
21 আমার ডান হাত দিয়ে আমি দায়ূদকে সহায়তা দিয়েছি
এবং আমার শক্তি দিয়ে আমি তাকে শক্তিশালী করেছি।
22 এই মনোনীত রাজাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারে নি।
দুষ্ট লোকরা ওকে হারাতে পারে নি।
23 আমি ওর শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি।
যারা আমার মনোনীত রাজাকে ঘৃণা করেছে, তাদের আমি পরাজিত করেছি।
24 যে রাজাকে আমি পছন্দ করেছি, তাকে আমি সর্বদা ভালোবাসবো ও সমর্থন করবো।
সর্বদাই আমি তাকে শক্তিশালী করে তুলবো।
25 আমার মনোনীত রাজাকে আমি সমুদ্রের দায়িত্ব দিয়েছি।
নদীগুলোকে সে নিয়ন্ত্রণ করবে।
26 সে আমাকে বলবে, ‘আপনিই আমার পিতা।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার শিলা, আমার পরিত্রাতা।’
2 সরা শহরে মানোহ নামে একজন লোক ছিল। সে ছিল দান পরিবারগোষ্ঠীর লোক। মানোহর স্ত্রী ছিল নিঃসন্তান। 3 একদিন প্রভুর এক দূত তার স্ত্রীর কাছে দেখা দিয়ে বলল, “তুমি বন্ধ্যা হয়ে রয়েছ। কিন্তু তুমি গর্ভবতী হবে, তোমার সন্তান হবে। 4 দ্রাক্ষারস বা কোন কড়া পানীয় পান করো না। অশুচি কোন খাদ্য খাবে না। 5 কারণ তুমি গর্ভবতী হবে এবং একটি পুত্রের জন্ম দেবে। সেই পুত্রকে ঈশ্বরের কাছে একটা বিশেষ উপায়ে উৎসর্গ করা হবে। উপায়টা হচ্ছে, সে হবে নাসরতীয়। তাই কখনও তার চুল কাটবে না। সে জন্মাবার আগে থেকেই ঈশ্বরের একজন বিশেষ ব্যক্তি হবে। সে-ই পলেষ্টীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করবে।”
6 তখন সেই স্ত্রী তার স্বামীর কাছে গিয়ে সব কিছু বলল। সে বলল, “ঈশ্বরের কাছ থেকে একজন আমার কাছে এসেছিল। তাকে দেখতে ঈশ্বরের এক দূতের মতো। আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম। এমনকি আমি তাকে জিজ্ঞাসাও করি নি সে কোথা থেকে এসেছে। সে তার নাম কিছুই বলল না। 7 সে শুধু এটুকুই বলল, ‘তুমি গর্ভবতী হবে। তোমার পুত্র হবে। দ্রাক্ষারস বা কোন ঝাঁজাল কড়া পানীয় পান করবে না। কোন অশুদ্ধ খাবার খাবে না। কারণ তোমার সেই সন্তানকে ঈশ্বরের কাছে কোন বিশেষ পদ্ধতিতে উৎসর্গ করা হবে। সে জন্মাবার আগে থেকেই ঈশ্বরের একজন বিশেষ ব্যক্তি হবে এবং আমৃত্যু সে তাই থাকবে।’”
8 তাই শুনে মানোহ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করল। সে বলল, “হে প্রভু, দয়া করে আপনি ঈশ্বরের সেই ব্যক্তিকে আবার আমাদের কাছে পাঠান। যে শিশু অচিরেই জন্মাবে, তাকে আমরা কিভাবে গড়ে তুলব বলে দিন।”
9 ঈশ্বর মানোহর প্রার্থনা শুনলেন। ঈশ্বরের দূত আবার তার স্ত্রীকে দেখা দিলেন। সে তখন মাঠের মধ্যে একা বসেছিল। মানোহ তার সঙ্গে ছিল না। 10 সে ছুটে স্বামীর কাছে গিয়ে বলল, “সেই ব্যক্তিটি যে আগে একবার আমার কাছে এসেছিল, আবার এসেছে!”
11 মানোহ স্ত্রীর সঙ্গে তার কাছে এল। সে জিজ্ঞাসা করল, “আপনিই কি সেই, যিনি এর আগে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন?”
প্রভুর সে দূত বললেন, “হ্যাঁ, আমিই।”
12 মানোহ বলল, “আশা করি যা বলেছেন তাই হবে। এবার বলুন ছেলেটি কেমনভাবে জীবন কাটাবে? সে কি করবে?”
13 প্রভুর দূত মানোহকে বলল, “আমি যা-যা করতে বলেছি তোমার স্ত্রীকে সে সব অবশ্যই করতে হবে। 14 যে সব জিনিস দ্রাক্ষালতায় জন্মায়, সে সব যেন সে না খায়। কোন দ্রাক্ষারস বা চড়া ধরণের কোন পানীয় যেন সে কিছুতেই না পান করে। কোন অশুচি খাবার সে কোন মতেই খাবে না। ঠিক যা যা আদেশ দিয়েছি সেই রকমই কাজ যেন সে করে।”
15 তখন মানোহ প্রভুর দূতকে বলল, “দয়া করে আপনি একটু বসুন। আমরা আপনাকে কচি পাঁঠার মাংস রান্না করে খাওয়াব।”
16 প্রভুর দূত বলল, “তোমরা আমাকে যেতে না দিলেও আমি তোমাদের সঙ্গে খাবো না। তবে একান্তই যদি কিছু করতে চাও তাহলে প্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি উৎসর্গ করো।” (মানোহ বুঝতে পারে নি যে লোকটি সত্যিই প্রভুর দূত।)
17 মানোহ প্রভুর দূতকে জিজ্ঞাসা করল, “আমি কি আপনার নাম জানতে পারি? কারণ আপনার কথামত সব কিছু হলে আমরা আপনাকে সম্মান জানাব।”
18 প্রভুর দূত বললেন, “কেন তুমি আমার নাম জানতে চাইছ? এটা তো আশ্চর্য ব্যাপার!”
19 তারপর মানোহ একটা পাথরে একটা কচি পাঁঠাকে বলি দিল। সেই সঙ্গে একটি শস্য নৈবেদ্যও প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করল এবং সে একটি আশ্চর্য কাজ করল। 20 মানোহ আর তার স্ত্রী যা ঘটেছিল তার সব দেখল। বেদী থেকে আগুনের শিখা যখন আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছিল তখন প্রভুর দূত আগুনের মধ্য দিয়ে স্বর্গে চলে গেল।
এই দৃশ্য দেখার পর তারা দুজন ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করল। 21 প্রভুর সেই দূত আর কখনও মানোহ এবং তার স্ত্রীর কাছে আবির্ভূত হয় নি। অবশেষে মানোহ বুঝতে পারল যে লোকটি সত্যিই প্রভুর দূত। 22 মানোহ তার স্ত্রীকে বলল, “আমরা ঈশ্বর দর্শন করেছি! এখন আমরা নিশ্চিত মারা যাব!”
23 কিন্তু তার স্ত্রী বলল, “প্রভু আমাদের মারতে চান না। তা যদি হত তাহলে তিনি আমাদের হোমবলি ও শস্যের নৈবেদ্য গ্রহণ করতেন না। তিনি আমাদের এইসব দৃশ্য দেখাতেন না। তা যদি হত তাহলে তিনি আমাদের এইসব কথা বলতেন না।”
24 তারপর তার একটি সন্তান হল। সে তার নাম দিল শিম্শোন। শিম্শোন বড় হয়ে উঠল। প্রভু তাকে আশীর্বাদ করলেন।
যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে তর্ক
40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী।”
41 অন্যরা বলল, “ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)।”
এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না। 42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?” 43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। 44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না।
ইহুদী নেতাদের অবিশ্বাস
45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল। তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?”
46 পদাতিকরা বলল, “উনি যে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!”
47 তখন ফরীশীরা বললেন, “তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে? 48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন? 49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না। তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত।”
50 তখন এই নেতাদের একজন নীকদীম, যিনি ফরীশীদের মধ্যে একজন, তাঁদের বললেন, তিনিই আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন। 51 কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না। সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না।
52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, “তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি, তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে যে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International