Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
125 যে লোকরা প্রভুতে আস্থা রাখে তারা সিয়োন পর্বতের মত হবে।
তারা কখনই কাঁপবে না
এবং তারা চিরদিন অব্যাহত থাকবে।
2 জেরুশালেমের চারদিকেই পর্বত রয়েছে এবং প্রভু তাঁর লোকদের চারদিকে রয়েছেন।
তাঁর লোককে তিনি চিরদিন রক্ষা করবেন।
3 দুষ্ট লোকরা ভাল লোকদের দেশকে চিরদিন শাসন করবে না।
যদি তাই হত তাহলে সৎ লোকরাও হয়তো মন্দ কাজ করা শুরু করতো।
4 হে প্রভু, ভাল ও সৎ লোকদের প্রতি ভালো ব্যবহার করুন।
শুদ্ধ হৃদয়ের লোকদের প্রতি সৎ ব্যবহার করুন।
5 মন্দ লোকরা মন্দ কাজকর্ম করে।
প্রভু ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দেবেন।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক!
9 নদী পার হবার পর এলিয় ইলীশায়কে বললেন, “ঈশ্বর আমাকে তোমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার আগে বলো, আমি তোমার জন্য কি করতে পারি?”
ইলীশায় বলল, “আমি চাই আপনার আত্মার দ্বিগুণ অংশ আমার ওপর ভর করুক।”
10 এলিয় বললেন, “তুমি বড় কঠিন বস্তু চেয়েছ। আমাকে যখন তোমার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে, তখন যদি তুমি আমাকে দেখতে পাও তাহলে তোমার মনের ইচ্ছা পূর্ণ হবে; কিন্তু যদি দেখতে না পাও তাহলে তোমার মনের ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যাবে।”
ঈশ্বর এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিলেন
11 এসব কথাবার্তা বলতে বলতে এলিয় আর ইলীশায় একসঙ্গে হাঁটছিলেন। হঠাৎ কোথা থেকে আগুনের মতো দ্রুত গতিতে ঘোড়ায় টানা একটা রথ এসে দুজনকে আলাদা করে দিল। তারপর একটা ঘূর্ণি ঝড় এসে এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিয়ে গেল।
12 ইলীশায় স্বচক্ষে এ ঘটনা দেখে চিৎকার করে উঠলেন, “আমার মনিব! হে আমার পিতা! তোমরা সবাই দেখ! ইস্রায়েলের রথ আর তাঁর অশ্ববাহিনী!”[a]
ইলীশায় এরপর আর কখনও এলিয়কে দেখতে পান নি। এ ঘটনার পর ইলীশায় মনের দুঃখে তাঁর পরিধেয় বস্ত্র ছিঁড়ে ফেললেন। 13 এলিয়র শালটা তখনও মাটিতে পড়ে ছিল, তাই ইলীশায় সেটা তুলে নিলেন। তারপর তিনি নদীর জলে আঘাত করলেন এবং বললেন, “কই, কোথায় প্রভু? এলিয়র ঈশ্বর কই?”
14 যে মূহুর্তে শালটা গিয়ে জলে পড়ল, জলরাশি দুভাগ হয়ে গেল, আর ইলীশায় হেঁটে নদী পার হলেন!
ভাববাদীরা এলিয়কে চাইল
15 ভাববাদীদের সেই দলটি যখন যিরীহোতে ইলীশায়কে দেখতে পেলেন, তাঁরা বললেন, “এলিয়র আত্মা এখন ইলীশায়ের ওপরে ভর করেছেন!” তারপর তাঁরা ইলীশায়ের কাছে এলেন এবং তাঁর সামনে মাথা নত করলেন। 16 তাঁরা তাঁকে বললেন, “দেখুন, আমাদের নিয়ে এখানে 50 জন লোক আছে, তারা সবাই যোদ্ধার জাত। আপনি যদি অনুমতি করেন, ওরা আপনার মনিবের খোঁজে যাবে। হয়তো প্রভুর আত্মা আপনার মনিবকে তুলে নিয়েছে এবং কোন পর্বতের ওপর বা কোন উপত্যকায় ফেলে গেছেন!”
কিন্তু ইলীশায় বললেন, “না না, ওঁর খোঁজে কাউকে পাঠানোর প্রয়োজন নেই!”
17 কিন্তু ভাববাদীদের সেই শিষ্যদের দল ইলীশায়কে এমন ভাবে মিনতি করতে লাগলো যে তিনি হতবুদ্ধি হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি বললেন, “ঠিক আছে। এলিয়কে খুঁজতে কাউকে পাঠাও।”
ভাববাদীদের দলটি এলিয়কে খুঁজে বার করবার জন্য 50 জন শিষ্যকে পাঠিয়ে দিলেন। তিনদিন খোঁজাখুজির পরেও তাঁরা এলিয়কে খুঁজে পেলেন না। 18 অতএব তাঁরা যিরীহোতে থাকাকালীন সময়ে ইলীশায়ের কাছে ফিরে গেলেন এবং তাঁকে এখবর দিলেন। ইলীশায় তাদের বললেন, “আমি তো আগেই তোমাদের যেতে বারণ করেছিলাম।”
ইলীশায় জল শুদ্ধ করলেন
19 শহরের লোকরা এসে ইলীশায়কে বলল, “মহাশয় আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন যে এটি শহরের জন্য একটি উত্তম জায়গা। কিন্তু এখানকার জল খুবই খারাপ এবং জমি সুফলা নয়।”
20 ইলীশায় বললেন, “একটা নতুন বাটিতে করে আমাকে কিছুটা লবণ এনে দাও।”
লোকরা কথা মতো ইলীশায়কে বাটি এনে দিতে, 21 ইলীশায় সেটাকে জলের উৎসের কাছে নিয়ে গেলেন, লবণটা তাতে ফেলে দিলেন এবং বললেন, “প্রভু যা বলেন তা হল এই: ‘আমি এই জল পবিত্র করলাম! এরপর থেকে এই জল খেলে আর কারো মৃত্যু হবে না। এই জমিতেও এবার থেকে ফসল হবে।’”
22 ইলীশায়ের কথা মতো তখন সেই জল বিশুদ্ধ হয়ে গেল এবং আজ পর্যন্ত তা সে রকমই আছে!
17 “এখন আমার ভাইরা, আমি জানি যে অজ্ঞতা বশতঃই আপনারা এমন কাজ করেছিলেন, আর আপনাদের নেতারাও তাই করেছিলেন। 18 কিন্তু ভাববাদীদের মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁর খ্রীষ্টের দুঃখভোগের কথা যা জানিয়েছেন, সে সবই তিনি এইভাবে পূর্ণ করেছেন। 19 তাই আপনারা মন-ফিরান এবং ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসুন, যেন আপনাদের পাপ মুছে দেওয়া হয়। 20 এইভাবে যেন প্রভুর কাছ থেকে আত্মিক বিশ্রামের সময় আসে; আর তিনি যেন আপনাদের জন্য আগেই যে খ্রীষ্টকে মনোনীত করেছেন সেই যীশুকে পাঠান।
21 “যতক্ষণ পর্যন্ত না সব কিছু পুনঃস্থাপন হয় যা বহুপূর্বে ঈশ্বর তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মুখ দিয়ে বলেছেন, ততক্ষণ খ্রীষ্টকে অবশ্যই স্বর্গে থাকতে হবে। 22 কারণ মোশি বলেছেন, ‘প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে আমার মত এক ভাববাদীকে উৎপন্ন করবেন। তিনি তোমাদের যা যা বলবেন, তোমরা তাঁর সকল কথা শুনবে। 23 যে কেউ তাঁর কথা না শুনবে, সে লোকদের কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হবে।’(A)
24 “হ্যাঁ, সমস্ত ভাববাদী, এমনকি শমূয়েল ও তাঁর পরে যে সকল ভাববাদী এসেছেন তাঁরা সকলে এই দিনের কথা বলে গেছেন। 25 আপনারা তো ভাববাদীদের বংশধর, আপনারা ঈশ্বরের সেই চুক্তির উত্তরাধিকারী, যে চুক্তি ঈশ্বর আপনাদের পিতৃপুরুষের সাথে করেছিলেন। তিনি তো অব্রাহামকে বলেছিলেন, ‘তোমার বংশ দ্বারা পৃথিবীর সকল জাতিই আশীর্বাদ লাভ করবে।’(B) 26 ঈশ্বর তাঁর দাসকে পুনরুত্থিত করে প্রথমে তাঁকে আপনাদের কাছেই পাঠাবেন, যেন আপনাদের প্রত্যেককে মন্দ থেকে ফিরিয়ে এনে আশীর্বাদ করতে পারেন।”
ইহুদী মহাসভার সামনে পিতর ও যোহন
4 পিতর ও যোহন যখন লোকদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন মন্দির থেকে ইহুদী যাজকরা, মন্দিরের রক্ষীবাহিনীর সেনাপতি ও সদ্দূকীরা তাঁদের কাছে এসে হাজির হল। 2 পিতর ও যোহন লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন ও মৃতদের মধ্য থেকে যীশুর পুনরুত্থানের বিষয়ে লোকদের কাছে বলছিলেন বলে ঐ লোকরা বিরক্ত হয়েছিল। 3 তারা পিতর ও যোহনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল ও পরের দিন পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখল কারণ তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। 4 কিন্তু অনেকে যারা পিতর ও যোহনের মুখ থেকে সেই শিক্ষা শুনেছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই যীশুকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল, সেই বিশ্বাসীদের মধ্যে পুরুষ মানুষই ছিল প্রায় পাঁচ হাজার।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International