Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
দায়ূদের একটি গীত।
28 হে প্রভু, আপনি আমার শিলা।
আপনার সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
আমার প্রার্থনা থেকে কান ফিরিয়ে নেবেন না।
যদি আপনি আমার ডাকে সাড়া না দেন,
লোকে ভাববে আমি কবরের মৃত ব্যক্তির চেয়ে উন্নত কিছু নই।
2 প্রভু, আমার দু হাত তুলে আপনার পবিত্রতম স্থানে আমি প্রার্থনা জানাই।
যখন আমি আপনাকে ডাকি আমার ডাক শুনুন।
আমার প্রতি কৃপা প্রদর্শন করুন।
3 প্রভু, আমাকে খারাপ লোকদের একজন ভাববেন না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের বন্ধুভাবে অভিবাদন করে।
কিন্তু মনে মনে তারা প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মন্দ ফন্দি আঁটে।
4 প্রভু, ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের প্রতি মন্দ আচরণ করে।
অতএব তাদের যাতে খারাপ হয় তাই করুন।
যেমন ওরা অন্যদের করেছিল।
5 মন্দ লোকরা কখনই প্রভুর ভালো কাজগুলো বুঝতে পারে না।
প্রভু যে সব ভালো কাজ করেন তা তারা দেখে না।
না তারা বুঝতে চায় না, তারা শুধু ধ্বংস করতে চায়।
6 প্রভুর প্রশংসা কর!
তিনি আমার প্রতি করুণা করার প্রার্থনা শুনেছেন!
7 প্রভুই আমার শক্তি, তিনিই আমার ঢাল।
আমি তাঁকে বিশ্বাস করেছি।
তিনি আমায় সাহায্য করেছেন এবং আমি প্রচণ্ড খুশী!
এবং তাই আমি তাঁর প্রশংসা করে গান গাইছি।
8 প্রভু যাকে পছন্দ করেন তাঁকে রক্ষা করেন।
প্রভুই তাঁর শক্তি!
9 ঈশ্বর আপনার লোকদের রক্ষা করেন।
আপনার অধিকারভুক্ত যারা তাদের আশীর্বাদ করুন।
তাদের আপনি চিরকালের জন্য নেতৃত্ব দিন এবং তাদের সম্মান দিন!
যোষেফকে মিশরে পোটীফরের কাছে বিক্রী করা হল
39 বণিকরা যারা যোষেফকে কিনেছিল, তারা তাকে মিশরে নিয়ে গেল এবং ফরৌণের রক্ষকদের সেনাপতি পোটীফরের কাছে বিক্রি করে দিল। 2 কিন্তু প্রভু যোষেফকে সাহায্য করলেন। যোষেফ সফলকর্মা হলেন। যোষেফ সেই মিশরীয় পোটীফরের অর্থাৎ তার মনিবের বাড়ীতেই বাস করতেন।
3 পোটীফর দেখলেন যে প্রভু যোষেফের সাথে রয়েছেন এবং যোষেফ যা কিছু করেন তাতেই তিনি তাকে সফল হতে দেন। 4 সেইজন্য পোটীফর খুশী হয়ে যোষেফকে তাঁর নিজের বাড়ীর অধ্যক্ষ করে তারই হাতে সব কিছুর ভার দিলেন। 5 যোষেফকে সেই বাড়ীর অধ্যক্ষ করা হলে প্রভু পোটীফরের বাড়ী এবং তাঁর সব কিছুকে আশীর্বাদ করলেন। যোষেফের জন্যই প্রভু একাজ করলেন। আর তিনি পোটীফরের ক্ষেতে যা জন্মাত তাকেও আশীর্বাদযুক্ত করলেন। 6 তাই পোটীফর তাঁর বাড়ীর সব কিছুর ভারই যোষেফের হাতে দিয়ে দিলেন, কেবল নিজের খাবারটা ছাড়া আর কিছুরই জন্য তিনি চিন্তিত ছিলেন না।
যোষেফ পোটীফরের স্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করলেন
যোষেফ ছিলেন অত্যন্ত রূপবান ও সুদর্শন পুরুষ। 7 কিছু সময় পরে যোষেফের মনিবের স্ত্রীও তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করল। একদিন সে তাকে বলল, “আমার সঙ্গে শোও।”
8 কিন্তু যোষেফ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “আমার মনিব জানেন তাঁর বাড়ীর প্রতিটি বিষয়ের প্রতি আমি বিশ্বস্ত। তিনি এখানকার সব কিছুরই দায়-দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। 9 আমার মনিব আমাকে এই বাড়ীতে প্রায় তাঁর সমান স্থানেই রেখেছেন। আমি কখনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শুতে পারি না। এটা মারাত্মক ভুল কাজ! ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ।”
10 স্ত্রীলোকটি রোজই যোষেফকে এ কথা বলত, কিন্তু যোষেফ রাজী হতেন না। 11 একদিন যোষেফ নিজের কাজ করতে বাড়ীর ভেতরে গেলেন। সেই সময় সেই বাড়ীতে কেবল একা তিনিই ছিলেন। 12 তাঁর মনিবের স্ত্রী সেই সময় তাঁর কাপড় টেনে ধরে বলল, “আমার সঙ্গে বিছানায় এস।” কিন্তু যোষেফ সেই বাড়ী থেকে এত দ্রুত দৌড়ে পালাল যে জামাটা স্ত্রীলোকটির হাতেই রয়ে গেল।
13 স্ত্রীলোকটি দেখল যে যোষেফ তার হাতেই জামাটা ফেলে বাড়ীর বাইরে দৌড়ে বেরিয়ে গেছে। তাই সে চিন্তা করে ঠিক করল যা ঘটেছে সে সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বলবে। 14 সে তার বাড়ীর ভৃত্যদের ডেকে বলল, “দেখ! এই ইব্রীয় ক্রীতদাসকে কি আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করার জন্য এখানে আনা হয়েছে? সে ভিতরে এসে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি চেঁচিয়ে উঠলাম। 15 আমার চিৎকারে সে ভয় পেয়ে পালাল। কিন্তু সে তার জামাটা ফেলে গেছে।” 16 তারপর তার স্বামী অর্থাৎ যোষেফের মনিব আসা পর্যন্ত সে সেই জামাটা তার কাছে রেখে দিল। 17 স্বামীকেও সে ঐ একই ঘটনা বলল। সে বলল, “যে ইব্রীয় দাসটিকে তুমি এখানে এনেছ, সে আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। 18 কিন্তু সে আমার কাছে আসতেই আমি চিৎকার করে উঠলাম। সে দৌড়ে পালাল বটে কিন্তু তার জামাটা ফেলে গেল।”
19 যোষেফের মনিব তাঁর স্ত্রীর সব কথা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন। 20 তাই রাজার শত্রুদের যে কারাগারে রাখা হত, পোটীফর যোষেফকে সেইখানে রাখলেন। যোষেফ সেখানে রইলেন।
যোষেফ কারাগারে
21 কিন্তু প্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন। প্রভু যোষেফের প্রতি দয়া করে চললেন। কিছুদিন পরে সেই কারাগারের রক্ষকদের প্রধানের কাছে তিনি প্রিয় হলেন। 22 সেই কারাগারের সমস্ত বন্দীদের ভার যোষেফের হাতে দিলেন। সেই পদে অধিষ্ঠিত যে কোন পদাধিকারী স্বাভাবিকভাবে যা করেন, যোষেফ তাই করতেন। 23 সুতরাং যোষেফের অধীনের কোন কাজই কারাধিকারীকে তত্ত্বাবধান করতে হত না। এটা হয়েছিল কারণ প্রভু তাঁর সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁকে সব কাজে সফল করেছিলেন।
14 তাহলে আমরা কি বলব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? আমরা তা বলতে পারি না। 15 ঈশ্বর, মোশিকে বলেছিলেন, “আমি যাকে দয়া করতে চাই, তাকেই দয়া করব। যাকে করুণা করতে চাই, তাকেই করুণা করব।”(A) 16 তাই ঈশ্বর তাকেই মনোনীত করেন যাকে করুণা করবেন বলে ঠিক করেছেন। তাই মানুষের চেষ্টা বা তার ইচ্ছার ওপর তাঁর মনোনয়ন নির্ভর করে না। 17 শাস্ত্রে আছে ঈশ্বর ফরৌণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তুমি আমার জন্য এই কাজ করবে, এই জন্যই আমি তোমাকে রাজা করেছি, যেন তোমার মধ্য দিয়ে আমি আমার ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারি ও সারা জগতে আমার নাম ঘোষিত হয়।”(B)
18 সেজন্য ঈশ্বর যাকে দয়া করতে চান, তাকেই দয়া করেন আর যার অন্তর ঈশ্বর কঠোর করতে চান, তার অন্তর কঠোর করে তোলেন।
19 তাহলে তোমরা হয়তো আমাকে বলতে পার: “তবে ঈশ্বর কেন পাপের জন্য মানুষকে দোষী করেন?” কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা কে প্রতিরোধ করতে পারে? 20 তা সত্য, কিন্তু তুমি কে? ঈশ্বরকে প্রশ্ন করার কোন অধিকার তোমার নেই। মাটির পাত্র কি নির্মাণকর্তাকে প্রশ্ন করতে পারে? মাটির পাত্র কখনও নির্মাতাকে বলে না, “তুমি কেন আমাকে এমন করে গড়লে?” 21 কাদামাটির ওপরে কুমোরের কি কোন অধিকার নেই, সে কি একই মাটির তাল থেকে তার ইচ্ছামত দুরকম পাত্র তৈরী করতে পারে না? একটি বিশেষ ব্যবহারের জন্য আর অন্যটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য?
22 ঈশ্বর যদিও চেয়েছিলেন, যে লোকেদের বিনাশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের ওপর তিনি তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন ও তাঁর ক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ দেবেন, তবু ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের পাত্রদের প্রতি অসীম ধৈর্য্য দেখিয়েছেন। 23 যাতে সেই দয়ার পাত্রদের, যাদের তিনি মহিমা প্রাপ্তির যোগ্য করে তৈরী করেছিলেন, তাদের কাছে তাঁর মহিমার ঐশ্বর্য্য সম্বন্ধে পরিচয় করাতে পারেন। 24 আমরাই সেই লোক, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন। ইহুদী বা অইহুদীর মধ্য থেকে ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেছেন। 25 এবিষয়ে হোশেয়ের পুস্তকে লেখা আছে:
“যারা আমার লোক নয়,
তাদের আমি নিজের লোক বলব,
যে প্রিয়তমা ছিল না
তাকে আমার প্রিয়তমা বলব।”(C)
26 “আর যেখানে ঈশ্বর বলেছিলেন
‘তোমরা আমার লোক নও’,
সেখানেই তাদের বলা যাবে জীবন্ত ঈশ্বরের সন্তান।”(D)
27 যিশাইয় ইস্রায়েল সম্বন্ধে উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন:
“যদিও ইস্রায়েলীদের সংখ্যা সমুদ্র তীরের বালুকণার মত অগনিত হয়,
তবুও তাদের মধ্য থেকে অবশিষ্ট কিছু মানুষ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে।
28 বিচারের ব্যাপারে প্রভু এই পৃথিবীতে যা করবেন বলেছেন, তিনি তা পূর্ণ করবেন, শিগ্গিরই তা শেষ করবেন।”(E)
29 এই রকম কথা যিশাইয় আগেই বলেছিলেন:
“সর্বশক্তিমান প্রভু যদি আমাদের জন্য
কিছু বংশধর রেখে না দিতেন
তবে এতদিনে আমরা সদোমের তুল্য হতাম,
আমরা এতদিনে ঘমোরার তুল্য হতাম।”(F)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International