Revised Common Lectionary (Complementary)
6 প্রভুর কাছে যাও এবং বেঁচে থাকো।
যদি তোমরা প্রভুর কাছে না যাও, তবে যোষেফের বাড়ীতে আগুন লাগাতে শুরু করবে।
সেই আগুন যোষেফের গৃহ ধ্বংস করবে এবং কোন মানুষই বৈথেলের সেই আগুন নেভাতে পারবে না।
7-9 সাহায্যের জন্য তোমাদের ঈশ্বরের কাছে যাওয়া উচিৎ।
ঈশ্বর প্লিয়েডস এবং ওরিওনকে[a] সৃষ্টি করেছিলেন।
তিনি অন্ধকারকে ভোরের আলোতে পরিবর্তিত করেছেন।
তিনি দিনকে অন্ধকারের রাত্রিতে পরিবর্তিত করেছেন।
তিনি সমুদ্রের জলকে আহবান করেছেন এবং পৃথিবীতে তাদের ঢেলে দিচ্ছেন।
তাঁর নাম হচ্ছে যিহোবা (প্রভু)।
তিনিই সেই যিনি শক্তিশালী শহরে হিংসা বাড়ান।
তিনিই সেই, যিনি একটা সুরক্ষিত শহরকে
হিংসাত্মক অপরাধ দ্বারা ধ্বংস হতে দেন।”
ইস্রায়েলবাসীরা যে মন্দগুলো করেছে
তোমরা ধার্মিকতাকে বিষে পরিবর্তন কর
এবং ন্যায় বিচারকে হত্যা করে তা ভূপতিত কর।
10 ভাববাদীরা জনসাধারণের কাছে যায়, এবং সাধারণ মানুষ যে খারাপ কাজ করছে তার বিরুদ্ধে কথা বলে।
যে ভাববাদীরা ন্যায় এবং সহজ সত্য শেখায় লোকে তাদের ঘৃণা করে এবং লোকরা ঐ ভাববাদীদের ঘৃণা করে।
11 তোমরা গরীব লোকদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে কর নিচ্ছ।
তোমরা তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ গম নিচ্ছ।
তোমরা পাথরের টুকরো দিয়ে শৌখিন বাড়ি বানাচ্ছ।
কিন্তু তোমরা কখনই ওই বাড়িগুলোতে বাস করতে পারবে না।
তোমরা সুন্দর দ্রাক্ষাক্ষেত তৈরী করছো।
কিন্তু তোমরা কখনই ঐ দ্রাক্ষাক্ষেত থেকে তৈরী পানীয় আস্বাদ করতে পারবে না।
12 কেন? কারণ, আমি তোমাদের বহু অপরাধের খবর জানি।
তোমাদের পাপ আচার খুবই খারাপ।
যে সব মানুষ ভাল কাজ করছে তাদের তোমরা আঘাত করেছ।
অপরাধ চাপা দেবার জন্য তোমরা অর্থ নিচ্ছ।
তোমরা গরীব লোকদের তাদের মামলাগুলির সুবিচারের জন্য আদালতে আনার সুযোগ দাও না।
13 সেই সময়, বিজ্ঞ শিক্ষকরা নীরব হয়ে যাবেন।
কেন? কারণ, সময়টা খারাপ।
14 তোমরা বলো যে, ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন।
সে জন্যে ভাল কাজ কর, খারাপ কাজ নয়।
তাহলে তোমরা বাঁচবে
এবং প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সত্যিই তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
15 যা মন্দ তাকে ঘৃণা কর এবং যা ভাল তাকে ভালবাসো।
আদালতে ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
হয়তো তাহলে প্রভু সর্বশক্তিমান
যোষেফের পরিবারে যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের প্রতি দয়াপরবশ হবেন।
12 আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে যে কত ছোট তা আমাদের দেখান।
যাতে আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
12 ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়। তাঁর বাক্য দুপাশে ধারযুক্ত তলোয়ারের ধারের থেকেও তীক্ষ্ণ। এটা প্রাণ ও আত্মার গভীর সংযোগস্থল এবং সন্ধি ও অস্থির কেন্দ্র ভেদ করে মনের চিন্তা ও ভাবনার বিচার করে। 13 ঈশ্বরের সামনে কোন সৃষ্ট বস্তুই তাঁর অগোচরে থাকতে পারে না, তিনি সব কিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পান। তাঁর সাক্ষাতে সমস্ত কিছুই খোলা ও প্রকাশিত রয়েছে, আর তাঁরই কাছে একদিন সব কাজকর্মের হিসেব দিতে হবে।
ঈশ্বরের সামনে আসতে যীশু আমাদের সাহায্য করেন
14 আমাদের এক মহাযাজক আছেন যিনি স্বর্গে ঈশ্বরের সাথে বাস করতে গেছেন। তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র। তাই এসো আমরা বিশ্বাসে অবিচল থাকি। 15 আমাদের মহাযাজক যীশু আমাদের দুর্বলতার কথা জানেন। যীশু এই পৃথিবীতে সবরকমভাবে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। আমরা যেভাবে পরীক্ষিত হই যীশু সেইভাবেই পরীক্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও পাপ করেন নি। 16 সেইজন্যে বিশ্বাসে ভর করে করুণা সিংহাসনের সামনে এসো, যাতে আমাদের প্রয়োজনে আমরা দয়া ও অনুগ্রহ পেতে পারি।
একজন ধনী লোকের যীশুকে অনুসরণ করতে অস্বীকার
(মথি 19:16-30; লূক 18:18-30)
17 পরে তিনি বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় একজন লোক দৌড়ে এসে, তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে সৎ গুরু, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমি কি করব?”
18 তখন যীশু তাকে বললেন, “তুমি কেন আমাকে সৎ বলছ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই সৎ নয়। 19 তুমি তো ঈশ্বরের সব আদেশ জানো, ‘নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, বাবা-মাকে সম্মান কোরো।’”(A)
20 লোকটি তাঁকে বলল, “হে গুরু, ছোটবেলা থেকে এগুলো আমি পালন করে আসছি।”
21 যীশু লোকটির দিকে সস্নেহে তাকালেন এবং বললেন, “একটা বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে। যাও তোমার যা কিছু আছে বিক্রি কর; আর সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাতে তুমি স্বর্গে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কর।”
22 এই কথায় সে মর্মাহত ও দুঃখিত হল এবং ম্লান মুখে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
23 তখন যীশু চারদিকে তাকিয়ে শিষ্যদের বললেন, “যাদের ধন আছে তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই দুষ্কর!”
24 শিষ্যরা তাঁর কথা শুনে অবাক হলেন। যীশু আবার তাঁদের বললেন, “শোন, ঈশ্বরের রাজ্যে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। 25 একজন ধনী লোকের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26 তখন তারা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, “তবে কারা উদ্ধার পেতে পারে?”
27 তখন যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব; কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে নয়, কারণ সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব।”
28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, “দেখুন! আমরা সবকিছু ত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।”
29 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি যে কেউ আমার জন্য বা আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে জমিজমা ছেড়ে এসেছে, 30 তার বদলে সে এই জগতে তার শতগুণ ফিরে পাবে। তাকে তাড়না ভোগ করতে হলেও এই জগতে শতগুণ বাড়িঘর, ভাইবোন, মা, ছেলেমেয়ে এবং জমিজমা পাবে, আর পরবর্তী যুগে পাবে অনন্ত জীবন। 31 কিন্তু আজ যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে এবং যারা আজ শেষের তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International