Revised Common Lectionary (Complementary)
12 আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে যে কত ছোট তা আমাদের দেখান।
যাতে আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
লোকরা ঈশ্বর সম্পর্কে ভীত ছিল
22 মোশি বলেছিলেন, “যখন তোমরা সকলে পর্বতে একসঙ্গে এসেছিলে, সেই সময়ে প্রভু তোমাদের সকলকে এই আদেশগুলো দিয়েছিলেন। প্রভু মহারবে আগুনের মধ্য থেকে, মেঘের মধ্য থেকে এবং ঘোর অন্ধকারের মধ্য থেকে কথা বলেছিলেন। আমাদের এই আদেশগুলো দেওয়ার পরে তিনি আর কিছুই বলেন নি। তিনি তাঁর কথাগুলো দুটি পাথরের ফলকের ওপরে লিখেছিলেন এবং সেই গুলো আমাকে দিয়েছিলেন।
23 “যখন পর্বতমালা আগুনে প্রজ্বলিত হচ্ছিল, সেই সময় তোমরা অন্ধকারের মধ্য থেকে গলার রব শুনতে পেয়েছিলে। সেই সময় প্রবীণরা এবং তোমাদের পরিবারগোষ্ঠীর অন্যান্য নেতারা আমার কাছে এসেছিল। 24 তারা বলেছিল, ‘প্রভু আমাদের ঈশ্বর আমাদের তাঁর মহিমা এবং তাঁর মহত্ব দেখিয়েছেন! আমরা তাঁকে আগুনের মধ্য থেকে কথা বলতে শুনেছিলাম! ঈশ্বর মানুষের সাথে কথা বলার পরেও সে যে বেঁচে থাকতে পারে তা আজ আমরা দেখলাম। 25 কিন্তু আমরা যদি আবার প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে শুনি, নিশ্চিত আমরা মারা যাবো! সেই ভয়ঙ্কর আগুন আমাদের ধ্বংস করবে। আমরা মরতে চাই না। 26 কোনোও ব্যক্তি আগুনের মধ্য থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের কন্ঠস্বর শোনে নি, যেমন আমরা শুনেছি এবং শুনে এখনও বেঁচে আছি! 27 মোশি তুমি কাছে যাও এবং প্রভু আমাদের ঈশ্বর যা বলেন তার সমস্তটা শোনো। এরপর প্রভু আমাদের ঈশ্বর তোমকে যা কিছু বলেন আমাদের বলো। আমরা তোমার কথা শুনব এবং তোমার কথামতো সমস্ত কাজ করব।’
প্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন
28 “তোমরা যা বলেছিলে প্রভু সেগুলো শুনে আমায় বলেছিলেন, ‘লোকরা যা বলছে, সেগুলো আমি শুনেছি এবং তারা ভালই বলেছে। 29 আমার ইচ্ছা তারা যেন হৃদয়ের মধ্য থেকে সর্বদাই আমাকে সম্মান করে এবং আমার সমস্ত আদেশগুলো মেনে চলে। তাহলে তাদের এবং তাদের উত্তরপুরুষদের পক্ষে সমস্ত কিছুই চিরকালের জন্য ভালো হবে।
30 “‘যাও, লোকদের বলো তাদের তাঁবুতে ফিরে যেতে। 31 কিন্তু তুমি, মোশি এখানে আমার কাছে দাঁড়িয়ে থাকো। আমি তোমাকে যে সমস্ত আজ্ঞা, বিধি এবং নিয়মসমূহ বলবো, সেগুলো তুমি অবশ্যই তাদের শিখিয়ে দেবে। আমি তাদের বাস করার জন্য যে দেশ দিচ্ছি সেই দেশে তারা অবশ্যই এই কাজগুলো করবে।’
32 “সুতরাং প্রভু তোমাদের যেমন আজ্ঞা করেছিলেন, সেইগুলো যত্ন সহকারে পালন করবে, তার ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরবে না! 33 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর যে ভাবে আজ্ঞা করেছিলেন, তোমরা অবশ্যই ঠিক সেভাবেই জীবনযাপন করবে। তাহলেই তোমরা দীর্ঘজীবি হবে এবং তোমাদের পক্ষে সব কিছুই ভালো হবে। যে দেশ তোমাদের হবে সেই দেশে তোমরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে।
4 ঈশ্বর সেই লোকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও আমাদের জন্য রয়েছে। এই সেই প্রতিশ্রুতি যে, আমরা ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারব। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার, যেন তোমাদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ না হও। 2 পরিত্রাণ লাভের জন্য সুসমাচার যেমন ওদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও প্রচার করা হয়েছে, তবু সেই সুসমাচার শিক্ষা শুনেও তাদের কোন শুভ ফল দেখা গেল না, কারণ তারা তা শুনে বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে নি। 3 আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারাই সেই বিশ্রামের স্থানে প্রবেশ করতে সক্ষম। ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন,
“আমি ক্রুদ্ধ হয়ে শপথ করেছি:
‘এরা কখনও আমার বিশ্রামস্থলে প্রবেশ করতে পারবে না।’”(A)
একথা ঈশ্বর বলেছেন যদিও ঈশ্বরের সমস্ত কাজ জগৎ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়েছিল। 4 শাস্ত্রের কোন কোন জায়গায় ঈশ্বর সপ্তাহের সপ্তম দিনের বিষয়ে বলেছিলেন: “সৃষ্টির সমস্ত কাজ শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম করলেন।”(B) 5 আবার শাস্ত্রের অন্য একস্থানে ঈশ্বর বলছেন: “আমার বিশ্রামে ঐ মানুষদের কখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
6 তবুও একথা এখনও সত্য যে কেউ সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেই লোকেরা যারা প্রথমে সুসমাচারের কথা শুনেছিল, অবাধ্য হওয়ার কারণে সেখানে প্রবেশ করে নি। 7 তখন ঈশ্বর আবার একটি দিন স্থির করলেন, আর সেই দিনের বিষয়ে তিনি বললেন, “আজ”। ঈশ্বর এর বহুদিন পর রাজা দায়ূদের মাধ্যমে এই দিনটির বিষয়ে বলেছিলেন। যেমন এ বিষয়ে আগেই শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
“আজ যদি তোমরা ঈশ্বরের রব শোন,
তবে অতীত দিনের মতো তোমাদের হৃদয় কঠোর করো না।”(C)
8 যিহোশূয় তাদের ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত বিশ্রামের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন নি। এবিষয়ে আমরা জানি কারণ ঈশ্বর এরপর আবার বিশ্রামের জন্য আর এক দিনের “আজ” কথাটি উল্লেখ করেছেন। 9 এতে বোঝা যায় যে ঈশ্বরের লোকদের জন্য সেই সপ্তম দিনে যে বিশ্রাম তা আসছে, 10 কারণ ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করার পর বিশ্রাম করেছিলেন। তেমনি যে কেউ ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করে সেও ঈশ্বরের মত তার কাজ শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করে। 11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International