Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Revised Common Lectionary (Complementary)

Daily Bible readings that follow the church liturgical year, with thematically matched Old and New Testament readings.
Duration: 1245 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 18:1-19

পরিচালকের প্রতি: প্রভুর দাস দায়ূদের একটি গীত। প্রভু যখন দায়ূদকে শৌল এবং অন্যান্য শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, তখন দায়ূদ এই গীতটি লিখেছিলেন।

18 তিনি বললেন, “প্রভু আমার শক্তি,
    আমি আপনাকে ভালোবাসি!”

প্রভুই আমার শিলা, আমার দুর্গ, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    আমার ঈশ্বর, আমার শিলা। আমি তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যাই।
ঈশ্বরই আমার ঢালস্বরূপ। তাঁর শক্তি আমায় রক্ষা করে।
    দুর্গম পাহাড়ে প্রভুই আমার গোপন আশ্রয়স্থল।

ওরা আমায় উপহাস করেছে।
    কিন্তু আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চেয়েছি
    এবং আমার শত্রুদের কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছি!
আমার শত্রুরা আমায় হত্যা করতে চাইছিল!
    আমার চারপাশে ছিল মৃত্যুর দড়ি।
    এক তীব্র বন্যা আমাকে পাতালের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
আমার চারপাশে ছিল কবরের রজ্জুগুলি।
    আমার সামনে পড়েছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
ফাঁদে বদ্ধ হয়ে, আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চাইলাম।
    হ্যাঁ, আমি আমার ঈশ্বরকে ডাকলাম।
ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে ছিলেন।
    তিনি আমার কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন।
    তিনি আমার সাহায্যের জন্য কান্না শুনতে পেলেন।
সারা পৃথিবী কেঁপে উঠলো,
    পর্বতের ভিতগুলো পর্যন্ত নড়ে উঠেছিল। কেন?
    কারণ প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন!
ঈশ্বরের নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে এলো।
    ঈশ্বরের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
    তাঁর দেহ থেকে জ্বলন্ত আগুন বিচ্ছুরিত হতে লাগলো।
আকাশমণ্ডল বিদীর্ণ করে প্রভু নীচে নেমে এলেন!
    একটি ঘন কালো মেঘের ওপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।
10 বাতাসের পাখায় চড়ে তিনি আকাশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন।
    বাতাসের ওপর ভর করে, তিনি সুদূর শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন।
11 প্রভু একটা ঘন কালো মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন, সেই মেঘ তাঁকে তাঁবুর মত ঘিরেছিল।
    তিনি ঘন বজ্রময় মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন।
12 তারপর মেঘ ভেদ করে ঈশ্বরের আলোকময় ঔজ্জ্বল্য বেরিয়ে এলো।
    সেখানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি এবং বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা দিল।
13 আকাশ থেকে প্রভু বিদ্যুতের মত ঝলসে উঠলেন!
    পরাৎ‌‌পরের রব শোনা গেল।
    সেখানে তখন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ অগ্নিময় বিদ্যুতের ঝলক ছিল।
14 প্রভু তাঁর তীরসমূহ[a] নিক্ষেপ করে শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেন।
    প্রভু তীরের মত ক্ষিপ্রগতিতে অনেকগুলো অশনিপাত করলেন এবং লোকরা বিভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়লো।

15 প্রভু আপনি উচ্চস্বরে আপনার আজ্ঞা দিলেন
    এবং তীব্র বেগে বাতাস বইতে শুরু করলো।
জল পেছনে সরে গেল এবং আমরা সমুদ্রের তলদেশ দেখতে সমর্থ হলাম।
    আমরা পৃথিবীর ভিত দেখতে পেলাম।

16 প্রভু ওপর থেকে নীচে পৌঁছলেন এবং আমাকে রক্ষা করলেন।
    প্রভু আমাকে গভীর জল থেকে টেনে তুললেন।
17 আমার শত্রুরা আমার চেয়ে শক্তিশালী ছিলো।
    ওই সব লোক আমায় ঘৃণা করেছে।
    আমার কাছে আমার শত্রুরা বেশ শক্তিশালীই ছিল, তাই ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেছেন!
18 আমি সমস্যার মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম এবং আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিল।
    কিন্তু আমাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রভু সেখানে ছিলেন!
19 প্রভু আমায় ভালোবাসেন, তাই তিনি আমায় উদ্ধার করলেন।
    তিনি আমায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেলেন।

আদি 19:1-29

লোটের অতিথিগণ

19 1-2 সেদিন সন্ধ্যায় সদোম নগরে দুজন দূত এলেন। তখন লোট নগরের প্রবেশ পথে বসেছিলেন। তিনি দূতদের আসতে দেখলেন। লোট ভাবলেন যে তারা সাধারণ পথিক, নগরের মধ্য দিয়ে কোথাও যাচ্ছে। লোট উঠে গিয়ে তাঁদের অভিবাদন করে বললেন, “মহাশয়গণ, অনুগ্রহ করে একবার আমার বাড়ীতে আসুন এবং আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। সেখানে আপনারা হাত-পা ধুয়ে রাত্রিবাস করতে পারেন। তাহলে কাল সকালে আবার আপনাদের গন্তব্যস্থল অভিমুখে যাত্রা করতে পারবেন।”

দূত দুজন বললেন, “না, আমরা চকেই রাত্রিবাস করব।”

কিন্তু লোট নিজের বাড়ীতে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। তাই দূতরা শেষ পর্যন্ত লোটের বাড়ীতে থেকে যেতে রাজী হলেন। তাঁরা লোটের বাড়ীতে গেলেন। লোট তাঁদের কিছু পানীয় দিলেন। লোট তাঁদের রুটি বানিয়ে দিলেন এবং তাঁরা সেই রুটি খেলেন।

সেদিন সন্ধ্যায় ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে, নগরের নানা প্রান্ত থেকে নানা বয়সের বহু লোক লোটের বাড়িতে এল। সদোমের সেইসব লোকেরা লোটের বাড়ী ঘিরে ফেলল এবং লোটকে চিৎকার করে ডাকতে লাগল। তারা বলল, “আজ সন্ধ্যায় যারা এসেছে, কোথায় তারা? তাদের বাইরে নিয়ে এস—আমরা তাদের সাথে যৌন সহবাস করতে চাই।”

লোট বাইরে বেরিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। সেই জনতার উদ্দেশ্যে লোট বললেন, “না! বন্ধুরা, আমি মিনতি করছি, এমন খারাপ কাজ কোরো না। দেখ, আমার দুটি মেয়ে আছে—কোনও পুরুষ তাদের স্পর্শ করে নি। তোমাদের জন্য আমি নিজের কন্যাদের দেব। তোমরা তাদের নিয়ে যা খুশী করতে পারো। কিন্তু দয়া করে এই অতিথি দুজনের প্রতি কিছু কোরো না। এই দুজন আমার ঘরে এসেছে এবং আমার অবশ্যই এদের রক্ষা করা উচিৎ‌।”

যেসব লোকেরা লোটের বাড়ী ঘিরে রেখেছিল তারা উত্তর দিল, “আমাদের পথ থেকে সরে যাও।” তারপর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “এই লোকটা একদিন অতিথি হিসেবে আমাদের নগরে বাস করতে এসেছিল। এখন জ্ঞান দিচ্ছে, আমরা কি করব না করব!” তখন সেই লোকেরা লোটকে বলল, “এখন তোমার প্রতি ওদের চেয়ে আরও বেশী খারাপ ব্যবহার করব।” অতএব সেই জনতা লোটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। ক্রমে দরজা ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম।

10 কিন্তু যে দুজন পুরুষ লোটের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা হঠাৎ‌‌ দরজা খুলে বেরিয়ে এসে লোটকে ভেতরে টেনে নিয়ে গেলেন এবং ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। 11 তারপর তাঁরা বাইরের মারমুখো জনতার জন্য কিছু একটা করলেন। ফলে যুবক, বৃদ্ধ, সব বদমাশ লোকেরা অন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে যারা বাড়ির ভেতর জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা ভেতরে ঢোকার দরজাই খুঁজে পেল না।

সদোম হতে পলায়ন

12 অতিথি দুজন লোটকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার পরিবারের আর কেউ কি এই শহরে বাস করে? তোমার জামাই, ছেলে, মেয়ে কিংবা পরিবারের আর কেউ কি এখানে আছে? যদি থাকে তাহলে তাদের এখনই এই জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলো। 13 আমরা এই নগর ধ্বংস করে দেব। এই নগর যে কত খারাপ তা প্রভু শুনেছেন। তাই এই নগর ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন।”

14 তখন লোট বেরিয়ে গিয়ে তাঁর অন্যান্য মেয়েদের যারা বিয়ে করেছে সেই মেয়েদের স্বামীদের অর্থাৎ‌ জামাইদের সঙ্গে কথা বললেন। লোট বলল, “তাড়াতাড়ি করো! এক্ষুনি এই জায়গা ছেড়ে চলে যাও! প্রভু এখনই এই জায়গা ধ্বংস করবেন।” কিন্তু তারা ভাবল, লোট বোধহয় তামাশা করছেন।

15 পরদিন ভোরে সেই দূতরা লোটকে তাড়া দিলেন। তাঁরা বললেন, “এই নগরবাসীদের শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং তুমি, তোমার স্ত্রী এবং যে দুজন মেয়ে তোমার কাছে থাকে তাদের নিয়ে শীঘ্রই এই জায়গা ছেড়ে চলে যাও। তাহলে এই নগরের সঙ্গে তোমরা আর ধ্বংস হবে না।”

16 কিন্তু লোটের সব গুলিয়ে গেল এবং তিনি নগর ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাড়া করলেন না। সুতরাং ঐ দুজন লোট এবং তাঁর স্ত্রীর এবং দুই মেয়ের হাত চেপে ধরলেন। ঐ দুজন লোট এবং তাঁর পরিবারকে নিরাপদে নগরের বাইরে নিয়ে গেলেন। লোট এবং তাঁর পরিবারের প্রতি প্রভু দয়ালু ছিলেন। 17 তাই ঐ দুজন লোট এবং তাঁর পরিবারকে নগরের বাইরে নিয়ে এলেন। তাঁরা নগরের বাইরে চলে এলে সেই দুজন দুতের একজন বললেন, “এবার প্রাণ বাঁচাবার জন্য তোমরা দৌড় দাও! আর পেছনের দিকে তাকাবে না। উপত্যকার কোনও জায়গাতে দাঁড়াবে না। যতক্ষণ না ঐ পর্বতে পৌঁছবে ততক্ষণ শুধুই দৌড়বে। থামলে, নগরের সঙ্গে তোমরাও ধ্বংস হয়ে যাবে!”

18 কিন্তু লৌট এই দুজনকে বললেন, “মহাশয়গণ, দয়া করে আমায় অত দূরে দৌড়ে যেতে বলবেন না! 19 আমি আপনাদের সেবকমাত্র, তবু আমার প্রতি আপনাদের অসীম দয়া। দয়া করে আমার জীবন রক্ষা করেছেন। কিন্তু ঐ পর্বত পর্যন্ত সমস্ত পথ দৌড়োবার ক্ষমতা আমার নেই। যদি আমি খুব ধীরে যাই তবে বিপদ ঘটবে এবং আমি নিহত হব! 20 দেখুন, এখানে কাছেই একটা খুব ছোট শহর আছে। আমি সেই শহর পর্যন্ত দৌড়ে বেঁচে যেতে পারি।”

21 দূত লোটকে বললেন, “ভালো কথা আমি তোমার অনুরোধ স্বীকার করেছি। আমি তোমাকে সেটা করতে দেব। আমি ঐ শহর ধ্বংস করব না। 22 কিন্তু সেখানে শীঘ্রই দৌড়ে যাও। যতক্ষণ না নিরাপদে ঐ শহরে তুমি পৌঁছোচ্ছ ততক্ষণ সদোম ধ্বংস করতে পারব না।” (ঐ শহরের নাম সোয়র কারণ শহরটি খুব ছোট।)

সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস হল

23 সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে লোট সোয়রে পৌঁছলেন। 24 একই সময়ে প্রভু সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস করা শুরু করলেন। প্রভু আকাশ থেকে আগুন আর জ্বলন্ত গন্ধক বর্ষণ শুরু করলেন। 25 অর্থাৎ‌ প্রভু ঐ নগরগুলি ধ্বংস করলেন। সমস্ত গাছপালা, সমস্ত লোকজন, সমগ্র উপত্যকাটাই প্রভু ধ্বংস করলেন।

26 লোট যখন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন তখন লোটের স্ত্রী নিষেধ ভুলে একবার পেছনে নগরের দিকে তাকালেন এবং তখনই লবণের মূর্ত্তি হয়ে গেলেন।

27 খুব সকালে অব্রাহাম আগে যেখানটাতে প্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সেই স্থানটিতে তিনি আবার গিয়ে দাঁড়ালেন। 28 অব্রাহাম সদোম এবং ঘমোরার দিকে তাকিয়ে দেখলেন। সমগ্র উপত্যকার ওপর দৃষ্টিপাত করে অব্রাহাম দেখলেন যে সমস্ত উপত্যকা থেকে ধোঁয়া উঠছে। দেখে মনে হল বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ফলস্বরূপ ঐ ধোঁয়া।

29 ঈশ্বর উপত্যকার সমস্ত নগর ধ্বংস করলেন। কিন্তু ঈশ্বর ঐ নগরগুলি ধ্বংস করার সময় অব্রাহামের কথা মনে রেখেছিলেন এবং তিনি অব্রাহামের ভ্রাতুষ্পুত্রকে ধ্বংস করেন নি। লোট ঐ উপত্যকার নগরগুলির মধ্যে বাস করছিলেন। কিন্তু নগরগুলি ধ্বংস করার আগে ঈশ্বর লোটকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

রোমীয় 9:14-29

14 তাহলে আমরা কি বলব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? আমরা তা বলতে পারি না। 15 ঈশ্বর, মোশিকে বলেছিলেন, “আমি যাকে দয়া করতে চাই, তাকেই দয়া করব। যাকে করুণা করতে চাই, তাকেই করুণা করব।”(A) 16 তাই ঈশ্বর তাকেই মনোনীত করেন যাকে করুণা করবেন বলে ঠিক করেছেন। তাই মানুষের চেষ্টা বা তার ইচ্ছার ওপর তাঁর মনোনয়ন নির্ভর করে না। 17 শাস্ত্রে আছে ঈশ্বর ফরৌণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তুমি আমার জন্য এই কাজ করবে, এই জন্যই আমি তোমাকে রাজা করেছি, যেন তোমার মধ্য দিয়ে আমি আমার ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারি ও সারা জগতে আমার নাম ঘোষিত হয়।”(B)

18 সেজন্য ঈশ্বর যাকে দয়া করতে চান, তাকেই দয়া করেন আর যার অন্তর ঈশ্বর কঠোর করতে চান, তার অন্তর কঠোর করে তোলেন।

19 তাহলে তোমরা হয়তো আমাকে বলতে পার: “তবে ঈশ্বর কেন পাপের জন্য মানুষকে দোষী করেন?” কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা কে প্রতিরোধ করতে পারে? 20 তা সত্য, কিন্তু তুমি কে? ঈশ্বরকে প্রশ্ন করার কোন অধিকার তোমার নেই। মাটির পাত্র কি নির্মাণকর্তাকে প্রশ্ন করতে পারে? মাটির পাত্র কখনও নির্মাতাকে বলে না, “তুমি কেন আমাকে এমন করে গড়লে?” 21 কাদামাটির ওপরে কুমোরের কি কোন অধিকার নেই, সে কি একই মাটির তাল থেকে তার ইচ্ছামত দুরকম পাত্র তৈরী করতে পারে না? একটি বিশেষ ব্যবহারের জন্য আর অন্যটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য?

22 ঈশ্বর যদিও চেয়েছিলেন, যে লোকেদের বিনাশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের ওপর তিনি তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন ও তাঁর ক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ দেবেন, তবু ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের পাত্রদের প্রতি অসীম ধৈর্য্য দেখিয়েছেন। 23 যাতে সেই দয়ার পাত্রদের, যাদের তিনি মহিমা প্রাপ্তির যোগ্য করে তৈরী করেছিলেন, তাদের কাছে তাঁর মহিমার ঐশ্বর্য্য সম্বন্ধে পরিচয় করাতে পারেন। 24 আমরাই সেই লোক, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন। ইহুদী বা অইহুদীর মধ্য থেকে ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেছেন। 25 এবিষয়ে হোশেয়ের পুস্তকে লেখা আছে:

“যারা আমার লোক নয়,
    তাদের আমি নিজের লোক বলব,
যে প্রিয়তমা ছিল না
    তাকে আমার প্রিয়তমা বলব।”(C)

26 “আর যেখানে ঈশ্বর বলেছিলেন
    ‘তোমরা আমার লোক নও’,
    সেখানেই তাদের বলা যাবে জীবন্ত ঈশ্বরের সন্তান।”(D)

27 যিশাইয় ইস্রায়েল সম্বন্ধে উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন:

“যদিও ইস্রায়েলীদের সংখ্যা সমুদ্র তীরের বালুকণার মত অগনিত হয়,
    তবুও তাদের মধ্য থেকে অবশিষ্ট কিছু মানুষ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে।
28 বিচারের ব্যাপারে প্রভু এই পৃথিবীতে যা করবেন বলেছেন, তিনি তা পূর্ণ করবেন, শিগ্গিরই তা শেষ করবেন।”(E)

29 এই রকম কথা যিশাইয় আগেই বলেছিলেন:

“সর্বশক্তিমান প্রভু যদি আমাদের জন্য
কিছু বংশধর রেখে না দিতেন
    তবে এতদিনে আমরা সদোমের তুল্য হতাম,
    আমরা এতদিনে ঘমোরার তুল্য হতাম।”(F)

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International