Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
পরিচালকের প্রতি: প্রভুর দাস দায়ূদের একটি গীত। প্রভু যখন দায়ূদকে শৌল এবং অন্যান্য শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, তখন দায়ূদ এই গীতটি লিখেছিলেন।
18 তিনি বললেন, “প্রভু আমার শক্তি,
আমি আপনাকে ভালোবাসি!”
2 প্রভুই আমার শিলা, আমার দুর্গ, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আমার ঈশ্বর, আমার শিলা। আমি তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যাই।
ঈশ্বরই আমার ঢালস্বরূপ। তাঁর শক্তি আমায় রক্ষা করে।
দুর্গম পাহাড়ে প্রভুই আমার গোপন আশ্রয়স্থল।
3 ওরা আমায় উপহাস করেছে।
কিন্তু আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চেয়েছি
এবং আমার শত্রুদের কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছি!
4 আমার শত্রুরা আমায় হত্যা করতে চাইছিল!
আমার চারপাশে ছিল মৃত্যুর দড়ি।
এক তীব্র বন্যা আমাকে পাতালের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
5 আমার চারপাশে ছিল কবরের রজ্জুগুলি।
আমার সামনে পড়েছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
6 ফাঁদে বদ্ধ হয়ে, আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চাইলাম।
হ্যাঁ, আমি আমার ঈশ্বরকে ডাকলাম।
ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে ছিলেন।
তিনি আমার কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন।
তিনি আমার সাহায্যের জন্য কান্না শুনতে পেলেন।
43 যারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আমাকে সেই সব জাতির নেতা বানিয়ে দিন।
যে সব লোকদের আমি জানি না, তারা আমার সেবা করবে।
44 সেই সব লোক আমার সম্পর্কে শোনামাত্রই আমার আজ্ঞাকারী হবে।
ঐ বিদেশীরা আমায় ভয় করবে।
45 ঐসব বিদেশীরা ভয়ে শুকিয়ে যাবে।
ভয়ে কম্পমান হয়ে ওরা ওদের গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে আসবে।
46 প্রভু জীবন্ত!
আমি আমার শিলার প্রশংসা করি। ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
তিনি মহান!
47 ঈশ্বর আমার জন্য আমার শত্রুদের শাস্তি দিয়েছেন।
তিনি লোকদের আমার অধীনে এনে দিয়েছেন।
48 প্রভু, আপনি শত্রুর হাত থেকে আমায় বাঁচিয়েছেন।
যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের পরাস্ত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন।
নিষ্ঠুর মানুষের হাত থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
49 হে প্রভু, এই কারণে আমি সকল জাতির কাছে আপনার প্রশংসা করি।
এই জন্যই আপনার নামে আমি স্তোত্র গান করি।
50 প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে বহু যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করেন!
তাঁর মনোনীত রাজার প্রতি তিনি প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
তিনি দায়ূদ এবং তাঁর উত্তরপুরুষদের প্রতি চিরদিন বিশ্বস্ত থাকবেন!
রাজা শৌলের মৃত্যু
10 পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলীয় লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলে ইস্রায়েলীয়রা পালিয়ে গিয়েছিল। গিল্বোয় পাহাড়ে মারাও গিয়েছিল অনেকে। 2 পলেষ্টীয়রা রাজা শৌল ও তাঁর পুত্রদের পেছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত তাঁদের ধরে ফেলে হত্যাও করেছিল। শৌলের তিন পুত্র যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কি-শূয় পলেষ্টীয়দের হাতে মারা পড়েছিলেন। 3 এবং শৌলের চারপাশে যুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠে এবং শৌলকে পলেষ্টীয় তীরন্দাজরা তীর ছুঁড়ে আহত করে।
4 রাজা শৌল তখন তাঁর অস্ত্রবাহককে বললেন, “তুমি তরবারি বের করে নিজের হাতে আমায় হত্যা কর। তাহলে আর এই ভিন দেশীরা এসে আমায় নিয়ে মস্করা করতে বা আমায় আঘাত করতে পারবে না।”
কিন্তু রাজার অস্ত্রবাহক মহারাজকে হত্যা করতে ভয় পেল। তাই শৌল তখন নিজের তরবারি দিয়েই আত্মহত্যা করলেন। 5 অস্ত্রবাহক যখন দেখতে পেল রাজা শৌলের মৃত্যু হয়েছে তখন সেও নিজের তরবারি দিয়ে নিজেকে হত্যা করল। 6 অর্থাৎ রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র এক সঙ্গে মারা গেলেন।
7 সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দেখল তাদের সেনাবাহিনী রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র মারা গিয়েছে। তখন তারাও তাদের শহর ছেড়ে পালাল। পলেষ্টীয়রা সেই সমস্ত শহর দখল করে সেখানে বাস করতে শুরু করল।
8 পরের দিন পলেষ্টীয়রা মৃতদেহ থেকে দামী জিনিসপত্র খুলে নিতে এসে গিল্বোয় পর্বতে রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্রের মৃতদেহ খুঁজে পেল। 9 শৌলের দেহ থেকে দুর্মূল্য জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়ার পর পলেষ্টীয়রা শৌলের মুণ্ড এবং বর্ম নিয়ে নিল এবং তাদের লোকদের এবং তাদের দেবতাদের খবরটা জানানোর জন্য রাজ্যের সর্বত্র বার্তাবাহক পাঠাল। 10 তারপর তাদের ভ্রান্ত দেবতার মন্দিরে শৌলের কাটা মুণ্ডুটা ঝুলিয়ে দিল।
11 যাবেশ-গিলিয়দের সমস্ত লোকরা যখন জানতে পারল পলেষ্টীয়রা শৌলের কি দশা করেছে 12 তখন তারা শহরের সাহসী লোকদের রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ ফেরত আনতে পাঠাল। যাবেশ-গিলিয়দে রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ নিয়ে আসার পর তারা চার জনকেই যাবেশে একটা বড় গাছের তলায় সমাধিস্থ করে সাত দিন ধরে শোক প্রকাশ এবং উপোস করল।
13 প্রভুর প্রতি অনুগত না হওয়ার কারণেই এবং প্রভুর বাণী উপেক্ষা করার জন্যই শৌলের মৃত্যু হয়েছিল। প্রভুর উপদেশ নেবার পরিবর্তে শৌল এক মাধ্যমের কাছে পরামর্শের জন্য যেতেন। 14 এসব কারণেই প্রভু রাজা শৌলের মৃত্যু ঘটিয়ে যিশয়ের পুত্র দায়ূদের হাতে রাজ্য তুলে দিয়েছিলেন।
অসুস্থ ছেলেকে যীশুর আরোগ্যদান
(মথি 17:14-20; লূক 9:37-43)
14 পরে তাঁরা অন্য শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন তাঁদের চারদিকে অনেক লোক আর ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাদের সাথে তর্ক করছেন। 15 তাঁকে দেখামাত্র সমস্ত লোক অবাক হল এবং তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে প্রণাম জানাতে লাগল।
16 তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা এদের সঙ্গে কি নিয়ে তর্ক করছ?”
17 তাতে লোকেদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠল, “হে গুরু, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম। তাকে এক বোবা আত্মায় পেয়েছে, সে কথা বলতে পারে না। 18 সেই আত্মা তাকে যেখানে ধরে, সেইখানে আছাড় মারে; আর তার মুখে ফেনা ওঠে, সে দাঁত কিড়মিড় করে আর শক্ত হয়ে যায়। আমি আপনার শিষ্যদের এই আত্মাটাকে ছাড়াতে বললাম, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
19 তখন যীশু তাঁদের বললেন, “হে অবিশ্বাসী বংশ, আমাকে আর কতকাল তোমাদের সঙ্গে থাকতে হবে? তোমাদের নিয়ে আর আমি কত ধৈর্য্য ধরব? তাকে আমার কাছে নিয়ে এস।”
20 তারা তাকে তাঁর কাছে নিয়ে এল। যীশুকে দেখামাত্র সেই আত্মা ছেলেটিকে মুচড়ে ধরল; আর সে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি দিতে লাগল, তার মুখ দিয়ে ফেনা বার হচ্ছিল।
21 তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, “এর কতদিন এমন হয়েছে?”
ছেলেটির বাবা বলল, “ছেলেবেলা থেকে এরকম হয়েছে। 22 এই আত্মা একে মেরে ফেলার জন্য অনেকবার আগুনে ও জলে ফেলে দিয়েছে। আপনি যদি কিছু করতে পারেন, তবে দয়া করে আমাদের উপকার করুন।”
23 যীশু তাকে বললেন, “কি বললে, ‘যদি পারেন!’ যে বিশ্বাস করে তার পক্ষে সবই সম্ভব।”
24 সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটির বাবা চিৎকার করে কেঁদে বলল, “আমি বিশ্বাস করি! আমার অবিশ্বাসের প্রতিকার করুন!”
25 অনেক লোক সেদিকে আসছে দেখে যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকে বললেন, “হে বোবা কালার আত্মা, আমি তোমাকে বলছি, এর মধ্যে আর কখনও ঢুকবে না!”
26 তখন সেই আত্মা চেঁচিয়ে তাকে ভয়ঙ্করভাবে মুচড়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। তাতে ছেলেটি মড়ার মত হয়ে পড়ল, এমন কি অধিকাংশ লোক বলল, “সে মরে গেছে।” 27 কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তুললে সে উঠে দাঁড়াল।
28 পরে যীশু বাড়ি ফিরে এলে শিষ্যরা তাঁকে একান্তে জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা কেন ঐ অশুচি আত্মাকে তাড়াতে পারলাম না?”
29 যীশু তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা[a] ছাড়া আর কোন কিছুতেই এ আত্মাকে তাড়ানো যায় না।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International