Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
দায়ূদ শৌলের মৃত্যু সম্পর্কে জানলেন
1 দায়ূদ অমালেকীয়দের পরাজিত করে সিক্লগে ফিরে গেলেন। শৌলের মৃত্যুর ঠিক পরে দায়ূদ সিক্লগে দু’দিন থাকলেন।
শৌল এবং যোনাথনের সম্বন্ধে দায়ূদের শোক গীত
17 শৌল ও যোনাথন সম্পর্কে দায়ূদ একটি শোক গীত গাইলেন। 18 সেই গান যিহূদার অধিবাসীদের শিখিয়ে দেবার জন্য দায়ূদ তাঁর অনুগামীদের আদেশ দিলেন। এ গান “ধনু” নামে পরিচিত যা যাশের গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।
19 “হে ইস্রায়েল, তোমার পাহাড়ে তোমার সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়েছিল।
হায়! সেই বীরদের কেমন করে পতন হল!
20 এ খবর গাতে জানিও না।
অস্কিলোনের পথে পথে এ খবর প্রচার করো না।
এতে পলেষ্টীয়রা উল্লাস করবে।
ঐ সব বিদেশীরা[a] আনন্দিত হবে।
21 “গিল্বোয় পর্বতে উৎসর্গ ক্ষেত্রগুলির[b] ওপরে
যেন কোন বৃষ্টি বা শিশির কণা না পড়ে।
সেখানে বীরপুরুষদের ঢালগুলিতে মরচে পড়েছে।
শৌলের ঢাল তেল দিয়ে ঘষা হয় নি।
22 যোনাথনের ধনুক তার শত্রুদের হত্যা করেছে।
শৌলের তরবারিও শত্রুদের হত্যা করেছে।
যোনাথন ও শৌল পরাক্রান্ত শত্রু সৈন্যদের রক্তপাত ঘটিয়েছে।
তাঁরা শক্তিমান লোকদের মেদ মাংস ছিন্নভিন্ন করেছেন।
23 “শৌল এবং যোনাথন একে অপরকে ভালোবাসতেন
এবং জীবনভর একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছিলেন।
মৃত্যুও তাঁদের আলাদা করতে পারে নি।
তাঁদের গতি ঈগলের থেকেও তীব্র ছিলো।
তাঁরা সিংহের থেকেও বলবান ছিলেন।
24 হে ইস্রায়েলের কন্যাগণ, শৌলের জন্য বিলাপ কর।
শৌল তোমাদের সুন্দর লাল পোষাক দিয়েছেন
এবং তা সোনার অলঙ্কারে ঢেকে দিয়েছেন।
25 “বীরগণ যুদ্ধে ভূপতিত হলেন।
যোনাথন গিলবোয় পর্বতে মৃত্যুবরণ করলেন।
26 যোনাথন, ভাই আমার, আমি তোমার জন্য শোকাভিভূত।
তুমি আমার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছ।
আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা
একজন নারীর ভালোবাসার থেকেও অনুপম ছিল।
27 বীরগণ যুদ্ধে ভূপতিত হলেন।
যুদ্ধের সকল অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে হারিয়ে গিয়েছিল।”
মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।
130 হে প্রভু, আমি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছি,
তাই সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
2 হে আমার প্রভু, আমার কথা শুনুন।
সাহায্যের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 হে প্রভু, আপনি যদি লোকদের তাদের পাপ সমূহের জন্য শাস্তি দেন
তাহলে কেউই আর জীবিত থাকবে না।
4 প্রভু আপনার লোকদের ক্ষমা করে দিন।
তাহলে আপনার উপাসনা করার মত লোক থাকবে।
5 প্রভু আমায় সাহায্য করবেন আমি এই প্রতীক্ষায় রয়েছি।
আমার আত্মা তাঁর জন্য প্রতীক্ষা করে।
প্রভু যা বলেন আমি তা বিশ্বাস করি।
6 আমি আমার প্রভুর প্রতীক্ষায় রয়েছি,
যেমন একজন প্রহরী সকাল হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকে।
7 হে ইস্রায়েল, প্রভুকে বিশ্বাস কর।
প্রকৃত প্রেম একমাত্র প্রভুতেই খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রভু আমাদের বারে বারে রক্ষা করেন
8 এবং প্রভু ইস্রায়েলকে তাদের সব পাপের জন্যই ক্ষমা করবেন।
7 সবকিছু যেমন তোমাদের প্রচুর পরিমাণে আছে—বিশ্বাস, বলার ক্ষমতা, জ্ঞান, সব বিষয়ের প্রতি তোমাদের আগ্রহ এবং আমাদের প্রতি ভালবাসা, ঠিক এইভাবে দান করার গুণটিও যেন তোমাদের প্রচুর পরিমাণে থাকে।
8 আমি আদেশ করে বলছি না, কিন্তু অন্যের আগ্রহের উদাহরণ দিয়ে তোমাদের ভালবাসা যথার্থ কিনা পরীক্ষা করছি। 9 কারণ তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহের কথা জান। তিনি ধনী হয়েও তোমাদের জন্য দরিদ্র হলেন, যাতে তোমরা তাঁর দারিদ্র্যে ধনবান হয়ে উঠতে পার।
10 এবিষয়ে আমি আমার পরামর্শ তোমাদের দিচ্ছি কারণ তোমাদের পক্ষে এটা মঙ্গলজনক। যেহেতু গত বছর তোমরাই প্রথম কাজ করতে আরম্ভ করেছিলে, শুধু তাই নয় সেই কাজ করার ইচ্ছাও তোমরাই প্রথমে প্রকাশ করেছিলে। 11 তোমরা আগ্রহের সাথে যে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলে, এখন তা সেই একই আগ্রহের সঙ্গে তোমাদের সাধ্যমত শেষ কর। 12 কারণ দেবার মতো ইচ্ছা থাকলে তবেই তোমাদের দান গ্রাহ্য হবে। তোমাদের যা আছে সেই ভিত্তিতে দিলেই তোমাদের দান গ্রাহ্য হবে, তোমাদের যা নেই সেই অনুযায়ী নয়। 13 কারণ আমাদের উদ্দেশ্য এই নয় যে, অন্য সকলে আরাম করবে আর তোমরা কষ্টে পড়বে, বরং সব কিছুতে যেন সমতা থাকে। 14 বর্তমানে তোমাদের যথেষ্ট রয়েছে, তার থেকে দিয়ে তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে, আবার প্রয়োজনে তাদের যা বেশী হবে তা দিয়ে তোমাদের অভাব মিটবে। এইভাবে যেন সর্বত্র সমতা বজায় থাকে। 15 শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে,
“যে বেশী কুড়োলো, তার বাড়তি থাকল না;
যে অল্প কুড়োলো, তার অভাব হল না।”(A)
মৃত বালিকার জীবন লাভ ও অসুস্থ স্ত্রীলোকের আরোগ্য লাভ
(মথি 9:18-26; লূক 8:40-56)
21 পরে যীশু নৌকায় আবার হ্রদ পার হয়ে অন্য পাড়ে এলে অনেক লোক তাঁর কাছে ভীড় করল। তিনি হ্রদের তীরেই ছিলেন। 22 আর সমাজগৃহের নেতাদের মধ্যে যায়ীর নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন 23 এবং অনেক অনুনয় করে তাঁকে বললেন, “আমার মেয়ে মর মর, আপনি এসে মেয়েটির ওপর হাত রাখুন যাতে সে সুস্থ হয় ও বাঁচে।”
24 তখন তিনি তার সঙ্গে গেলেন। বহুলোক তাঁর পেছন পেছন চলল, আর তাঁর চারদিকে ঠেলাঠেলি করতে লাগল।
25 একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। 26 অনেক চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
27 সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল। 28 সে মনে মনে ভেবেছিল, “যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।” 29 আর সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল যে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে। 30 যীশু সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলেন যে তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বার হয়েছে। তাই ভীড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?”
31 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আপনি দেখছেন, লোকরা আপনার ওপরে ঠেলাঠেলি করে পড়ছে, তবু বলছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল?’”
32 কিন্তু যে এই কাজ করেছে, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখতে লাগলেন। 33 তখন সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার প্রতি কি করা হয়েছে তা জানাতে তাঁর পায়ে পড়ল এবং সমস্ত সত্যি কথা তাঁকে বলল। 34 তখন যীশু তাকে বললেন, “তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভাল করেছে, শান্তিতে চলে যাও ও তোমার রোগ থেকে সুস্থ থাক।”
35 তিনি এই কথা বলছেন, সেই সময় সমাজগৃহের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে বলল, “আপনার মেয়ে মারা গেছে, গুরুকে আর কষ্ট দেবার কোন কারণ নেই।”
36 কিন্তু যীশু তাদের কথায় কান না দিয়ে যায়ীরকে বললেন, “ভয় করো না, কেবল বিশ্বাস রাখো।”
37 আর তিনি পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই যোহনকে ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না। 38 পরে তাঁরা সমাজগৃহের নেতার বাড়িতে এসে দেখলেন সেখানে গোলমাল হচ্ছে, কেউ কেউ শোকে চিৎকার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে। 39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা গোলমাল করছ ও কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে নি, সে ঘুমিয়ে আছে।” 40 এতে তারা তাঁকে উপহাস করল।
কিন্তু তিনি সকলকে বাইরে বার করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা, মা ও নিজের শিষ্যদের নিয়ে যেখানে মেয়েটি ছিল সেখানে গেলেন। 41 আর মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “টালিথা কুমী!” যার অর্থ “খুকুমনি, আমি তোমাকে বলছি ওঠ!” 42 মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল। তার বয়স তখন বারো বছর ছিল। তাই দেখে তারা সকলে খুব আশ্চর্য হয়ে গেল। 43 পরে তিনি তাদের এই দৃঢ় আদেশ দিলেন যাতে কেউ এটা জানতে না পারে; আর মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে বললেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International