Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
21 তুমি নিশ্চয়ই আসল সত্যটা জানো, জানো না কি?
তোমাকে নিশ্চয়ই অনেক বছর আগে কেউ বলেছে!
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ কে পৃথিবীটা তৈরি করেছে!
22 প্রভুই সত্যিকারের ঈশ্বর!
তিনি পৃথিবীর বৃত্তের ওপর বসে থাকেন।
তাঁর তুলনায় মানুষ ঘাস ফড়িং-এর মতো।
বস্ত্রখণ্ডের মতো তিনি আকাশকে মেলে ধরেন।
আকাশের তলায় বসার জন্য তিনি তাকে তাঁবুর মত বিছিয়ে ধরেন।
23 তিনি শাসকদের গুরুত্বহীন করেন,
তিনি পৃথিবীর বিচারকদের করেন সম্পূর্ণ মূল্যহীন।
24 সেই সব শাসকরা চারা গাছের মতো, তাদের মাটিতে রোপন করা হয়,
কিন্তু শিকড় গাড়ার আগেই
ঈশ্বর সেই সব চারা “গাছদের” ওপর দিয়ে বয়ে যান
এবং সেই সব চারা গাছ মরে শুকনো হয়ে যায়।
বাতাস তাদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে নিয়ে যায়।
25 পবিত্র ঈশ্বর বলেন: “আমার সঙ্গে কারও তুলনা করতে পারবে কি?
না! কেউ আমার সমান নয়।”
26 আকাশের দিকে তাকাও।
তারাগুলি তৈরী করেছে কে?
আকাশের “সেনাদের” সৃষ্টিকর্তা কে?
কে সব তারাদের নাম জানে?
সত্যিকারের ঈশ্বর প্রচণ্ড শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান,
তাই কোন তারা হারিয়ে যায় না।
27 যাকোবের লোকরা, এসবই সত্য!
ইস্রায়েল, তোমারও এইসব বিশ্বাস করা উচিৎ!
তবু কেন তোমরা বলছ, “আমরা কেমনভাবে জীবনযাপন করছি তা প্রভু দেখতে পাবেন না
এবং আমাদের শাস্তি দিতে পারবেন না?”
28 তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছো
এবং জানো যে প্রভু ঈশ্বর অত্যন্ত জ্ঞানী।
তিনি যা জানেন মানুষ তা শিখতে পারে না।
প্রভু কখনও ক্লান্ত হন না এবং তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন নেই।
প্রভু পৃথিবীর সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল সৃষ্টি করেছেন।
তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
29 প্রভু দুর্বলকে সবল হতে সাহায্য করেন।
ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করেন।
30 যুবকরাও ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
তারাও মাটিতে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়।
31 কিন্তু প্রভুতে বিশ্বাসী লোকরা ঈগল পাখির নতুন ডানা গজানোর মতো আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এইসব লোকরা শত দৌড়লেও দুর্বল হয় না,
ক্লান্ত হয়ে পড়ে না।
147 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনি মঙ্গলকর।
আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার গান কর।
তাঁর প্রশংসা করা ভালো এবং মনোরম।
2 প্রভু জেরুশালেম শহরটি বানিয়েছেন।
যে সব ইস্রায়েলীয়কে বন্দী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো ঈশ্বর তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
3 ঈশ্বর তাদের ভগ্নহৃদয় সারিয়ে তুলেছিলেন
এবং তাদের ক্ষতের শুশ্রূষা করেছিলেন।
4 ঈশ্বর তারা গণনা করেন
এবং প্রত্যেকটিকে তাদের নাম ধরে ডাকেন।
5 আমাদের প্রভু মহান; তিনি প্রচণ্ড শক্তিশালী।
তিনি যে কত জানেন তার কোন সীমা নেই।
6 বিনয়ী লোকদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের তিনি হতবিহ্বল করে দেন।
7 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও।
বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর।
8 ঈশ্বর আকাশকে মেঘে ঢেকে দেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি আনেন।
ঈশ্বরই পাহাড়ে ঘাসের জন্ম দেন।
9 ঈশ্বর প্রাণীকে খাদ্য দেন।
ঈশ্বর নবীন পাখীদের আহার দেন।
10 মানবিক ইচ্ছাসমূহ ঈশ্বরের মধ্যে থাকে না।
যুদ্ধের শক্তিশালী ঘোড়াগুলো তিনি চান না।
11 যারা তাঁর উপাসনা করে তাদের নিয়েই প্রভু সুখী।
যারা তাঁর প্রকৃত প্রেমে বিশ্বাস রাখে ঈশ্বর তাদের নিয়েই খুশী হন।
20 অন্য কোন জাতির জন্য ঈশ্বর এসব করেন নি।
তাঁর বিধিগুলো ঈশ্বর অন্য লোকদের শেখান নি।
প্রভুর প্রশংসা কর।
16 তবে আমি সুসমাচার প্রচার করি বলে গর্ব করছি না। সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, এটি আমার অবশ্য করণীয়। আমি যদি সুসমাচার প্রচার না করি তবে তা আমার পক্ষে কত দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে! 17 যদি নিজের ইচ্ছায় সুসমাচার প্রচার করতাম তবে আমি পুরস্কার পাবার যোগ্য হতাম। কিন্তু যেখানে আমি নিজে থেকে এই কাজ করিনি কিন্তু দায়িত্ব হিসাবে আমার ওপর এই কাজ ন্যস্ত হয়েছে, 18 সেখানে আমি কি পুরস্কার পাব? এই আমার পুরস্কার; যখন আমি সুসমাচার প্রচার করি, তা বিনামূল্যে করি। এইভাবে সুসমাচার প্রচার করা কালীন আমার বেতন পাবার যে অধিকার আছে, তা আমি ব্যবহার করি না।
19 আমি স্বাধীন! আমি কারোর অধীনে নেই, তবু আমি সকলের দাস হলাম, যাতে অনেককে আমি খ্রীষ্টের জন্য লাভ করতে পারি। 20 ইহুদীদের জয় করার জন্য আমি ইহুদীদের কাছে ইহুদীদের মতো হলাম। যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটাচ্ছে, তাদের লাভ করার জন্য আমি নিজে বিধি-ব্যবস্থার অধীন না হলেও আমি তাদের মত হলাম। 21 আবার যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে নেই তাদের জয় করার জন্য আমি তাদের মতো হলাম। অবশ্য এর মানে এই নয় যে আমি বিধি-ব্যবস্থা মানি না, আমি তো খ্রীষ্টের বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করছি। 22 যারা দুর্বল, তাদের কাছে আমি দুর্বল হলাম, যেন তাদেরকে জয় করতে পারি। আমি সকলের কাছে তাদের মনের মত হলাম, যাতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের বাঁচাতে পারি। 23 আমি এসব সুসমাচারের জন্যই করি, যেন এর আশীর্বাদের সহভাগী হই।
যীশু বহুলোককে সুস্থ করলেন
(মথি 8:14-17; লূক 4:38-41)
29 তখন যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সমাজ-গৃহ ছেড়ে যাকোব এবং যোহনকে সঙ্গে নিয়ে সোজা শিমোন এবং আন্দ্রিয়ের বাড়িতে গেলেন।। 30 সেখানে শিমোনের শাশুড়ী জ্বরে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে শিমোনের শাশুড়ীর জ্বরের কথা যীশুকে বললেন। 31 যীশু তাঁর কাছে গেলেন এবং তাঁর হাত ধরে উঠিয়ে বসালেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জ্বর ছেড়ে গেল এবং তিনি তাঁদের সেবা করতে লাগলেন।
32 সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সন্ধ্যে হলে, লোকেরা অনেক অসুস্থ ও ভূতে-পাওয়া লোককে যীশুর কাছে নিয়ে এল। 33 আর শহরের সমস্ত লোক সেই বাড়ির দরজায় জমা হল। 34 তিনি বহু অসুস্থ রোগীকে নানা প্রকার রোগ থেকে সুস্থ করলেন এবং লোকদের মধ্যে থেকে বহু ভূত তাড়ালেন। কিন্তু তিনি ভুতদের কোন কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা তাঁকে চিনত।
সুসমাচার প্রচারের জন্য যীশুর প্রস্তুতি
(লূক 4:42-44)
35 পরের দিন ভোর হবার আগে, রাত থাকতে থাকতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন আর নির্জন স্থানে গিয়ে প্রার্থনায় কাটালেন। 36 শিমোন ও তাঁর সঙ্গী যাঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন, তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়লেন। 37 পরে যীশুকে দেখতে পেয়ে বললেন, “সবাই আপনার খোঁজ করছে।”
38 কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “চল, আমরা অন্য শহরে যাই। যেন সেখানেও আমি প্রচার করতে পারি, কারণ সেই জন্যই আমি এসেছি।” 39 তাই তিনি সমস্ত গালীল প্রদেশে বিভিন্ন সমাজ-গৃহে গিয়ে প্রচার করতে ও ভূত ছাড়াতে লাগলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International