Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মোশি মারা গেলেন
34 মোশি নবো পর্বতে উঠলেন। তিনি মোয়াবের যর্দন উপত্যকা থেকে পিস্গার চূড়ায় উঠলেন। এটা ছিল যর্দ্দনের ধারে যিরীহোর অপর পারে। প্রভু মোশিকে গিলিয়দ থেকে দান পর্যন্ত সমস্ত দেশ দেখালেন।
2 প্রভু তাকে নপ্তালি, ইফ্রয়িম ও মনঃশির সমস্ত দেশ দেখালেন। তিনি ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত যিহূদার সমস্ত দেশ দেখালেন। 3 প্রভু মোশিকে নেগেভ স্থানটি এবং সোর থেকে যে উপত্যকা খেজুর গাছের শহর যিরীহো চলে গেছে তাও দেখালেন। 4 প্রভু মোশিকে বললেন, “এই সেই দেশ, যার বিষয়ে আমি অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘এই দেশ আমি তোমার উত্তরপুরুষদের দেব। আমি তোমায় সেই দেশ দেখতে দিয়েছি, কিন্তু তুমি সেখানে যেতে পারবে না।’”
5 তারপর প্রভুর দাস মোশি মোয়াব দেশে মারা গেলেন। এই রকমই যে ঘটবে তা প্রভু মোশিকে জানিয়েছিলেন। 6 প্রভু মোশিকে মোয়াব দেশে কবর দিলেন। এটি ছিল বৈৎপিয়োরের সামনের উপত্যকা। কিন্তু আজও লোক জানে না মোশির কবরটা ঠিক কোথায় রয়েছে। 7 মারা যাবার সময় মোশির বয়স হয়েছিল 120 বছর। তিনি আগেকার মতই শক্ত সমর্থ ছিলেন এবং তার চোখও ক্ষীণ হয়ে যায় নি। 8 ইস্রায়েলের লোকরা 30 দিন ধরে মোশির জন্য শোক করেছিলেন। সেই শোকের সময় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত তারা মোয়াব দেশের যর্দন উপত্যকায় কাটালেন।
যিহোশূয় নতুন নেতা হলেন
9 মোশি যিহোশূয়োর উপরে তাঁর হাত রেখে তাকে নতুন নেতা হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। আর তখন নূনের পুত্র যিহোশূয় প্রজ্ঞার আত্মায পূর্ণ হয়েছিলেন। তাই ইস্রায়েলের লোকরা যিহোশূয়োর কথার বাধ্য হতে লাগল। প্রভু মোশিকে যা আজ্ঞা করেছিলেন তারা সেই মত কাজ করতে থাকল।
10 মোশির মত ইস্রায়েলে আর কোন ভাববাদী ছিল না। প্রভু মোশির সামনাসামনি আলাপ করতেন। 11 প্রভু মোশিকে মিশর দেশে মহা পরাক্রমের অলৌকিক কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন। ফরৌণ, তার উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও মিশরের সমস্ত লোক সেই সব অলৌকিক কাজ দেখেছিল। 12 আর কোন ভাববাদী মোশির মত এত পরাক্রমের ও আশ্চর্য কাজ করেন নি। ইস্রায়েলের সমস্ত লোক তাঁর মহান কাজগুলি দেখেছিল।
চতুর্থ খণ্ড
(গীতসংহিতা 90–106)
ঈশ্বরের লোক, মোশির প্রার্থনা।
90 হে প্রভু, আমাদের সমস্ত প্রজন্মের জন্য আপনি আমাদের গৃহ ছিলেন।
2 হে ঈশ্বর, পর্বতমালার জন্মের আগে,
এই পৃথিবীর এবং জগৎ সৃষ্টির আগে, আপনিই ঈশ্বর ছিলেন।
হে ঈশ্বর, আপনি চিরদিন ছিলেন এবং আপনি চিরদিন থাকবেন।
3 এই পৃথিবীতে আপনিই মানুষকে এনেছেন।
আপনি পুনরায় তাদের ধূলোয় পরিণত করেন।
4 আপনার কাছে হাজার বছর গতকালের মত,
যেন গত রাত্রি।
5 আপনি আমাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেন, আমাদের জীবন একটা স্বপ্নের মত, সকাল হলেই আমরা চলে যাই।
আমরা ঘাসের মত।
6 সকালে ঘাসগুলো জন্মায়
এবং বিকেলে তা শুকিয়ে মরে যায়।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
থিষলনীকায় পৌলের কাজ
2 প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা নিজেরাই জান, তোমাদের কাছে আমাদের যাওয়া ব্যর্থ হয় নি। 2 তোমরা একথাও জান যে, তোমাদের ওখানে যাবার পূর্বে ফিলীপিতে আমাদের দুঃখভোগ করতে হয়েছিল, কারণ সেখানকার লোকরা আমাদের চরম অপমান করেছিল; কিন্তু সেখানে চরম বিরোধিতার মধ্যেও আমাদের ঈশ্বর সাহসে বুক বাঁধতে এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার তোমাদের কাছে ঘোষণা করতে সাহায্য করেছিলেন। 3 আমরা আমাদের বার্তা গ্রহণ করতে লোকেদের কাছে যে আবেদন রেখেছিলাম, তার মধ্যে কোন ফাঁকি বা ছলনা ছিল না। আমরা লোকেদের ঠকাতে চাই নি এবং তার পেছনে কোন রকম অপবিত্র উদ্দেশ্যও আমাদের ছিল না। 4 বরং আমরা সুসমাচার প্রচার করি কারণ ঈশ্বর এই বার্তা প্রচার করার জন্য আমাদের পরীক্ষা করে প্রমাণসিদ্ধ বলে মনে করেছেন। তাই আমরা যখন প্রচার করি তখন মানুষকে সন্তষ্ট করতে নয়, বরং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতেই চেষ্টা করি, যিনি আমাদের কাজের উদ্দেশ্য পরীক্ষা করেন।
5 তোমরা ভাল করে জান যে আমরা তোমাদের কাছে তোষামোদজনক কোন বাক্য বলি নি, আর লোভকে ঢেকে রাখবার ছলনা যে আমরা করেছি তাও নয়; ঈশ্বরই এবিষয়ে সাক্ষী আছেন। 6 আমরা লোকদের কাছ থেকে কোন প্রশংসা পেতে চাই নি। তোমাদের বা অন্য কারোর কাছ থেকেও আমরা প্রশংসা পেতে চাই নি।
7 আমরা খ্রীষ্টের প্রেরিত, তাই আমরা যখন তোমাদের ওখানে ছিলাম তখন কর্ত্তৃত্ব খাটিয়ে তোমাদের কাছে অনেক বড় কিছু চাইতে পারতাম; কিন্তু আমরা তোমাদের কাছে বিনয়ী ছিলাম। আমরা তোমাদের কাছে সেই সেবিকার মতো ছিলাম যে তার শিশুদের যত্ন নেয়। 8 তোমাদের ওপর গভীর মায়া মমতা থাকাতে তোমাদের কেবল যে ঈশ্বরের সুসমাচারের অংশীদার করতে চেয়েছিলাম তা নয়, আমরা নিজেদের জীবনও তোমাদের জন্য উৎসর্গ করতে চেয়েছিলাম, কারণ তোমরা আমাদের খুব প্রিয় ছিলে।
কোন্ আদেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
(মার্ক 12:28-34; লূক 10:25-28)
34 ফরীশীরা যখন শুনলেন যে যীশুর জবাবে সদ্দূকীরা নিরুত্তর হয়ে গেছেন তখন তাঁরা দল বেঁধে যীশুর কাছে এলেন। 35 তাঁদের মধ্যে একজন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত যীশুকে ফাঁদে ফেলবার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন, 36 “গুরু, বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে মহান আদেশ কোনটি?”
37 যীশু তাঁকে বললেন, “‘তোমার সমস্ত অন্তর ও তোমার সমস্ত প্রাণ ও মন দিয়ে তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরকে ভালবাসবে।’(A) 38 এটিই হচ্ছে সর্বপ্রথম ও মহান আদেশ। 39 আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে এরই অনুরূপ, ‘তুমি নিজেকে যেমন ভালবাস, তেমনি তোমার প্রতিবেশীকেও ভালবাসবে।’(B) 40 সমস্ত বিধি-ব্যবস্থা ভাববাদীদের সমস্ত শিক্ষা, এই দুটি আদেশের উপর নির্ভর করে।”
যীশু ফরীশীদের প্রশ্ন করলেন
(মার্ক 12:35-37; লূক 20:41-44)
41 ফরীশীরা তখনও সেখানে সমবেত ছিলেন, সেই সময় যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, 42 “খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমরা কি মনে কর? তিনি কার বংশধর?”
তাঁরা বললেন, “তিনি দায়ূদের পুত্র।”
43 যীশু তাদের বললেন, “তবে দায়ূদ কিভাবে পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় তাঁকে ‘প্রভু’ বলে সম্বোধন করেছেন? তিনি বলেছিলেন,
44 ‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,
যতক্ষন না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের নীচে রাখি
ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস ও শাসন কর।’(C)
45 তাহলে, দায়ূদ যখন তাঁকে ‘প্রভু’ বলে সম্বোধন করেছেন, তখন তিনি কেমন করে তাঁর সন্তান হতে পারেন?”
46 কিন্তু এর উত্তরে কেউ একটি কথাও তাঁকে বলতে পারলেন না, আর সেই দিন থেকে কেউ তাঁকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করতেও সাহস করলেন না।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International