Revised Common Lectionary (Complementary)
আসফের সঙ্গীতগুলির অন্যতম।
50 প্রভু, যিনি ঈশ্বরদেরও ঈশ্বর স্বয়ং তিনি কথা বলছেন।
তিনি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, অর্থাৎ এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে চিৎকার করে ডাক দিচ্ছেন।
2 সিয়োন থেকে দীপ্তিমান ঈশ্বর অসীম সুন্দর!
3 আমাদের ঈশ্বর আসছেন এবং তিনি নীরব থাকবেন না।
তাঁর সামনে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বলছে।
তাঁর চারদিকে প্রচণ্ড ঝড় বইছে।
4 যখন তিনি তাঁর লোকদের বিচার করেন
তখন তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে সাক্ষী থাকতে ডাকেন।
5 ঈশ্বর বলেন, “হে আমার অনুগামীরা আমার চারিদিকে এস।
হে আমার ভক্তসকল, আমরা একে অন্যের সঙ্গে চুক্তি করেছি।”
6 ঈশ্বর হলেন বিচারক,
আকাশ তাঁর যথাযথ ধার্ম্মিকতার কথা ঘোষণা করে।
7 ঈশ্বর বলেন, “আমার লোকরা, আমার কথা শোন!
হে ইস্রায়েলের লোকরা, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেব। আমিই ঈশ্বর, তোমাদের ঈশ্বর।
8 আমি তোমাদের বলি সম্পর্কে অভিযোগ করছি না।
তোমরা ইস্রায়েলের লোকেরা সর্বদাই আমার কাছে হোমবলি দিয়েছ এবং প্রতিদিনই তোমরা তা আমায় দিয়েছ।
9 তোমাদের ঘর থেকে আমি ষাঁড় নেব না।
তোমাদের খোঁয়াড় থেকে আমি ছাগলও নেব না।
10 ঐ পশুগুলো আমি চাই না, ইতিমধ্যেই জঙ্গলের সমস্ত পশুসমুহের আমি অধিকারী।
হাজার হাজার পর্বতের ওপরের সমস্ত পশুগুলি ইতিমধ্যে আমার অধিকারে।
11 উচ্চতম পর্বতের প্রত্যেকটি পাখিকে আমি চিনি।
পাহাড়ের প্রত্যেকটি চলমান বস্তুই আমার।
12 আমি ক্ষুধার্ত নই! যদি আমি ক্ষুধার্তও হতাম আমি তোমাদের কাছে আহার চাইতাম না।
সারা পৃথিবী এবং তার মধ্যে যা যা আছে, আমিই পৃথিবীর এবং পৃথিবীর সমস্ত জিনিষের মালিক।
13 আমি ষাঁড়ের মাংস খাই না অথবা ছাগলের দেহ থেকে রক্ত পান করি না।”
14 অতএব, অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য তোমাদের ঈশ্বরের কাছে দেয় ধন্যবাদ নৈবেদ্য নিয়ে এস
এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকার জন্য এসো এবং তোমাদের পরাৎপরের কাছে যা প্রতিশ্রুতি করেছিলে তোমরা তাঁকে তাই দাও।
15 ঈশ্বর বলেন, “যখন তুমি সংকটে পড়বে তখন আমায় ডেকো!
আমি তোমাকে সাহায্য করবো!
তারপর তুমি আমাকে সম্মান করতে পারবে।”
16 কিন্তু দুষ্ট লোকেদের ঈশ্বর বলেন,
“তোমরা আমার বিধির সম্বন্ধে কথা বল।
তোমরা আমার চুক্তির সম্বন্ধে কথা বল।
17 আমি যখন তোমাদের ভুল সংশোধন করে দিই, তখন কেন তোমরা তা ঘৃণা কর?
আমি যা বলি কেন তোমরা তা উপেক্ষা কর?
18 তোমরা একটা চোরকে দেখ এবং তার সঙ্গে যোগ দিতে ছুটে যাও।
যারা ব্যভিচার করে তোমরা তাদের সঙ্গে বিছানায় ঝাঁপিয়ে পড়।
19 তোমরা মিথ্যা কথা বল এবং
অশুভ ব্যাপারে কথা বল।
20 অন্য লোকদের সম্পর্কে তোমরা সব সময় খারাপ কথা বল।
এমনকি তোমরা নিজের ভাইদের সম্পর্কেও খারাপ কথা বল।
21 তোমরা ঐসব বাজে কাজ করেছো এবং আমি কিছু বলি নি।
তাই তোমরা ভেবেছো আমিও ঠিক তোমাদের মত।
তবে হ্যাঁ, আর বেশীদিন আমি চুপ করে থাকবো না!
এটা আমি তোমার পরিষ্কার বুঝিয়ে দেবো এবং আমি সামনাসামনি তোমার সমালোচনা করবো!
22 তোমরা ঈশ্বরকে ভুলে গেছ।
তাই আমি তোমাদের ছিন্নভিন্ন করার আগে যদি তোমরা উপলদ্ধি কর তো ভাল!
আর যদি না বোঝ
কেউ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না!
23 তাই যদি কোন লোক আমায় ধন্যবাদ বলি দেয় তবে সে আমার সম্মান করে।
যদি সে সৎ উপায়ে বাঁচে তাকে বাঁচানোর জন্য আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা প্রদর্শন করবো।”
12 কেন? কারণ, আমি তোমাদের বহু অপরাধের খবর জানি।
তোমাদের পাপ আচার খুবই খারাপ।
যে সব মানুষ ভাল কাজ করছে তাদের তোমরা আঘাত করেছ।
অপরাধ চাপা দেবার জন্য তোমরা অর্থ নিচ্ছ।
তোমরা গরীব লোকদের তাদের মামলাগুলির সুবিচারের জন্য আদালতে আনার সুযোগ দাও না।
13 সেই সময়, বিজ্ঞ শিক্ষকরা নীরব হয়ে যাবেন।
কেন? কারণ, সময়টা খারাপ।
14 তোমরা বলো যে, ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন।
সে জন্যে ভাল কাজ কর, খারাপ কাজ নয়।
তাহলে তোমরা বাঁচবে
এবং প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সত্যিই তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
15 যা মন্দ তাকে ঘৃণা কর এবং যা ভাল তাকে ভালবাসো।
আদালতে ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
হয়তো তাহলে প্রভু সর্বশক্তিমান
যোষেফের পরিবারে যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের প্রতি দয়াপরবশ হবেন।
বড় দুঃখের সময় আসছে
16 আমার সদাপ্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেন,
“লোকে জনসাধারন্যে বিলাপ করবে।
সাধারণ লোক রাস্তাঘাটে কাঁদবে।
লোকে পেশাদারী বিলাপকারীদের ভাড়া করে আনবে।
17 দ্রাক্ষাক্ষেতে সাধারণ লোকরা চিৎকার করে কাঁদবে।
কারণ আমি সে পথ দিয়ে যাবার সময়ে তোমাদের শাস্তি দেব।”
প্রভু ঐ কথাগুলো বলেছিলেন।
18 তোমাদের মধ্যে কয়েক জন
প্রভুর বিচারের বিশেষ দিনটি দেখতে চাইছো।
তোমরা কেন ঐ বিশেষ দিনটি দেখতে চাইছো?
প্রভুর ঐ বিশেষ দিনটিতে অন্ধকারই নিয়ে আসবে, আলো নয়।
19 তোমরা এমন মানুষের মতো হবে যে সিংহের আক্রমণ থেকে পালাতে পারে
কিন্তু ভাল্লুকের দ্বারা আক্রান্ত হয়!
তোমরা এমন একটি লোকের মত হবে
যে নিরাপত্তার জন্য বাড়ীতে যায়
অথচ দেওয়ালে হেলান দিলেই সাপ তাকে কামড়ায়!
20 প্রভুর বিশেষ দিনটি দুঃখের হবে, আনন্দের নয়!
অন্ধকারের দিন হবে, আলোর নয়-তা নৈরাশ্যের দিন হবে, মিটমিটে আলোও সেখানে থাকবে না।
প্রভু ইস্রায়েলের উপাসনা প্রত্যাখান করছেন
21 “আমি তোমার ছুটির দিনগুলো ঘৃণা করি!
আমি তাদের স্বীকার করবো না!
আমি তোমাদের ধর্মীয় সভাগুলো উপভোগ করতে পারি না!
22 এমনকি আমাকে উৎসর্গ করার জন্য যদি হোমবলি উৎসর্গ এবং শস্যের উৎসর্গ দাও
আমি সেগুলো গ্রহণ করব না!
এমনকি আমি স্থূলকায় পশুগুলোর দিকে তাকাবো না
যা তুমি মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য উৎসর্গ কর।
23 তোমাদের চিৎকার করা গানগুলো এখান থেকে নিয়ে যাও।
আমি তোমাদের বীণার সুরও শুনতে চাই না।
24 তোমাদের দেশের মধ্যে সর্বত্র সুবিচারের ধারা জলের মতোই সহজে বয়ে যেতে দাও।
ধার্মিকতা স্রোতের মত বয়ে যাক যেটা কখনও শুকিয়ে যাবে না।
ঈশ্বর প্রদত্ত জিনিস ব্যবহর কর
(মথি 25:14-30)
11 যীশু জেরুশালেমের কাছাকাছি এগিয়ে গেলে লোকদের ধারণা হল যে তখনই বুঝি ঈশ্বরের রাজ্য এসে পড়ল। তাই তিনি তাদের কাছে এই দৃষ্টান্তটি দিলেন। 12 যীশু বললেন, “একজন সম্ভ্রান্ত বংশের লোক রাজ পদ নিয়ে ফিরে আসার জন্য দূর দেশে যাত্রা করলেন। 13 যাবার আগে তিনি তাঁর দশজন কর্মচারীকে ডেকে প্রত্যেকের হাতে একটি করে মোট দশটি মোহর দিয়ে বললেন, ‘আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই দিয়ে ব্যবসা করো।’ 14 কিন্তু তাঁর প্রজারা তাকে ঘৃণা করত; আর তিনি চলে যাওযার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকেরা একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে বলে পাঠাল, ‘আমরা চাই না যে এই লোক আমাদের রাজা হোক্!’
15 “কিন্তু সেই ব্যক্তি রাজপদ নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন; আর যে কর্মচারীদের তিনি টাকা দিয়েছিলেন তাদের সকলকে ডেকে পাঠালেন। তিনি দেখতে চাইলেন যে তারা কে কত লাভ করেছে। 16 প্রথম জন এসে বলল, ‘প্রভু, আপনার এক মোহর খাটিয়ে দশ মোহর লাভ হয়েছে।’ 17 তখন মনিব তাকে বললেন, ‘খুব ভাল করেছ, তুমি খুব ভাল কর্মচারী। তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত ছিলে তাই তোমাকে দশটি শহরের শাসক হিসেবে নিয়োগ করা হবে।’
18 “এরপর দ্বিতীয় জন এসে বলল, ‘প্রভু আপনার এক মোহর খাটিয়ে পাঁচ মোহর লাভ হয়েছে।’ 19 তিনি তাকে বললেন, ‘তোমাকে পাঁচটি শহরের শাসনভার দেওয়া হবে।’
20 “এরপর আর একজন এসে বলল, ‘প্রভু, এই নিন আপনার মোহর, এটা আমি রুমালে বেঁধে আলাদা করে রেখে দিয়েছিলাম। 21 আপনার বিষয়ে আমার খুব ভয় ছিল, কারণ আপনি খুব কঠিন লোক। আপনি যা জমা করেন নি তাই নিয়ে থাকেন, আর যা বোনেন না তার ফসল কাটেন।’
22 “তখন তার প্রভু তাকে বললেন, ‘তোমার কথা অনুসারেই আমি তোমার বিচার করব, তুমি একজন দুষ্ট কর্মচারী। তুমি জানতে আমি একজন কঠিন লোক, আমি যা জমা করি না তাই পেতে চাই, যা বুনি না তাই কাটি। 23 তবে তুমি আমার টাকা কেন মহাজনদের কাছে জমা রাখনি? তাহলে তো আমি টাকার সুদটাও অন্তত পেতাম।’ 24 আর যারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তিনি তাদের বললেন, ‘এর কাছ থেকে ঐ মোহর নিয়ে নাও আর যার দশ মোহর আছে তাকে ওটা দাও।’
25 “তখন তারা তাকে বলল, ‘প্রভু, ওর তো দশটা মোহর আছে!’
26 “প্রভু বললেন, ‘আমি তোমাদের বলছি, যার আছে তাকে আরো দেওয়া হবে আর যার নেই, তার যেটুকু আছে তাও কেড়ে নেওয়া হবে। 27 কিন্তু যারা আমার শত্রু, যারা চায় নি যে আমি তাদের ওপর রাজত্ব করি, তাদের এখানে নিয়ে এসে আমার সামনেই মেরে ফেল।’”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International