Revised Common Lectionary (Complementary)
10 আমি মনে মনে বলেছিলাম বৃদ্ধ হবার জন্য বাঁচব।
তবে সেই সময়টা ছিল আমার মৃত্যুপথযাত্রী লোকদের মতো পাতালের ফটকে যাওয়ার সময়।
এখন আমার সমস্ত সময় আমি সেখানেই অতিবাহিত করব।
11 সুতরাং আমি বলেছিলাম: “জীবিতদের দেশে আমি আর কখনও প্রভু ইয়াকে দেখতে পাবো না।
আমি আর কখনও পৃথিবীতে লোকদের জীবিত দেখতে পাব না।
12 আমার জীবনকে তছনছ করে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাঁতী যেমন তাঁত থেকে কাপড়ের টুকরো কেটে নেয় তেমন করে আমি আমার জীবনকে কেটে ছোট করেছি।
এক দিনেই আপনি আমায় শেষ করে দিয়েছেন।
13 সারা রাত ধরে আমি সিংহের মত চিৎকার করে কেঁদেছিলাম।
কিন্তু সিংহের হাড় খাবার মত আমার সব আশা-আকাঙ্খা ভেঙে চূরমার হয়ে গিয়েছিল।
মাত্র এক দিনে আপনি আমার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছিলেন।
14 আমি একটি ঘুঘুর মতো কেঁদেছিলাম,
আমার চোখগুলি ক্লান্ত হয়েছিল,
কিন্তু তবুও আমি স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
আমার প্রভু, মাত্র একদিনের মধ্যে আপনি আমার জীবনের পরিসমাপ্তি এনেছেন।
আমি খুবই সংকটের মধ্যে রয়েছি।
আমাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিন।”
15 আমি কি বলতে পারি?
আমার প্রভু আমাকে বলেছিলেন কি কি ঘটবে
এবং তিনিই সে ব্যক্তি যিনি সে সব ঘটাবেন!
এইসব সমস্যা বরাবরই আমার আত্মায় রয়েছে।
তাই গোটা জীবন ধরেই আমি এখন নম্র থাকব।
16 প্রভু আমার এই কঠিন সময়কে আমার আত্মার পুনরুজ্জীবনের জন্য ব্যবহার করুন।
আমার আত্মাকে শক্ত ও স্বাস্থ্যবান করতে সহায়তা দান করুন।
আমাকে সুস্থ হতে সাহায্য করুন।
আমাকে পুনরায় বাঁচতে সাহায্য করুন।
17 দেখ আমার সমস্যা চলে গেছে।
এখন আমার শান্তি আছে।
আপনি আমাকে খুব ভালবাসেন।
আপনি আমাকে কবরে পচতে দেননি।
আপনি আমার সব পাপকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
দূরে ফেলে দিয়েছেন।
18 মৃত লোকরা আপনার প্রশংসার গান গায় না।
পাতালে লোকরা আপনার প্রশংসা করে না।
মৃত লোকরা সাহায্যের জন্য আপনার উপর বিশ্বাস রাখে না।
তারা মাটির ভেতরে একটা গর্তে চলে যায়।
আর, কখনও কথা বলতে পারে না।
19 লোকরা যারা আজ আমার মত বেঁচে আছে,
তারাই আপনার প্রশংসা করে।
একজন পিতার তার সন্তানদের বলা উচিৎ যে আপনার প্রতি আস্থা রাখা যায়।
20 তাই আমি বলি: “প্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন।
তাই আমরা প্রভুর মন্দিরে জীবনভর গান গেয়ে এবং গান বাজিয়ে যাব।”
9 পলেষ্টীয়রা যিহূদায় চলে গেল। লিহী নামের একটি জায়গায় তারা বিশ্রাম নিল। তাদের সৈন্যরা সেখানে তাঁবু গাড়ল। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হল। 10 যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা তাদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা পলেষ্টীয়রা কেন এখানে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছ?”
তারা বলল, “আমরা শিম্শোনকে ধরতে এসেছি। আমরা তাকে বন্দী করতে চাই। সে আমাদের প্রতি যা অন্যায় করেছে তার জন্য তাকে শাস্তি দিতে চাই।”
11 যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর 3000 লোক তখন শিম্শোনের কাছে গেল। ঐটম শিলার গুহায় গিয়ে তারা তাকে বলল, “তুমি আমাদের এ কি করলে? তুমি কি জানো না যে পলেষ্টীয়রা আমাদের শাসন করছে?”
শিম্শোন বলল, “তারা আমার ওপর যে অন্যায় কাজ করেছে শুধুমাত্র তার জন্যেই আমি তাদের শাস্তি দিয়েছি।”
12 ওরা তখন বলল, “আমরা তোমাকে বেঁধে নিয়ে যাবার জন্য এসেছি। তোমাকে পলেষ্টীয়দের হাতে তুলে দেব।”
শিম্শোন বলল, “প্রতিশ্রুতি দাও তোমরা আমাকে মারবে না।”
13 ওরা বলল, “ঠিক আছে। আমরা শুধু তোমাকে বেঁধে পলেষ্টীয়দের কাছে ধরিয়ে দেব। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা তোমায় হত্যা করব না।” এই বলে ওরা দুটো নতুন দড়ি দিয়ে শিম্শোনকে বেঁধে ফেলল। গুহা থেকে তাকে বার করে নিয়ে চলল।
14 শিম্শোন যখন লিহীতে এল, পলেষ্টীয়রা তাকে দেখতে এল। তারা আনন্দে চিৎকার করে উঠল। তখন প্রভুর আত্মা সবলে শিম্শোনের ওপর এল। দড়িগুলো পোড়া সূতোর মতো পলকা মনে হল এবং তার হাত থেকে খসে পড়ল। যেন সব গলে পড়েছে। 15 শিম্শোন একটা মরা গাধার চোয়ালের হাড় দেখতে পেল। হাড়টা নিয়ে তাই দিয়ে সে 1000 জন পলেষ্টীয়কে হত্যা করল।
16 তখন শিম্শোন বলল:
“গাধার একটি চোয়ালের হাড় দিয়েই
আমি 1000 লোক হত্যা করেছি।
একটি গাধার চোয়ালের হাড় দিয়ে
আমি তাদের মৃতদেহগুলি জড়ো করেছি।”
17 এই কথা বলে চোয়ালের হাড়টা শিম্শোন ছুঁড়ে ফেলে দিল। সেই জায়গার নাম রামৎ লিহী।
18 শিম্শোনের খুব পিপাসা পেয়েছিল। প্রভুর কাছে সে প্রার্থনা করল। সে বলল, “হে প্রভু আমি তোমার দাস। এই যে আমার বিরাট জয় হল, সে তো তোমারই দয়ায়। পিপাসায় যেন আমি মারা না যাই। তাই এখন দয়া করো তুমি। দয়া করো, যেন ওরা আমায় ধরে না ফেলে, যাদের এখনও সুন্নৎ পর্যন্ত হয় নি।”
19 লিহীর মাঠে একটা গর্ত আছে। ঈশ্বর সেই গর্ত ফাটিয়ে ঝর্ণা তৈরী করলেন। সেই জল পান করে শিম্শোন তাজা হয়ে উঠল। সে আবার শক্তি অনুভব করল। সে সেই ঝর্ণার নাম দিল এন-হক্কোরী। লিহী শহরে এই ঝর্ণা আজও আছে।
20 শিম্শোন 20 বছর ইস্রায়েলীয়দের বিচারক ছিল। সেটা ছিল পলেষ্টীয়দের রাজত্ব কাল।
যীশু অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করলেন
(মার্ক 9:14-29; লূক 9:37-43)
14 যীশু যখন লোকদের মাঝে আবার ফিরে এলেন, তখন একজন লোক যীশুর কাছে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বলল, 15 “প্রভু আমার ছেলেটিকে দয়া করুন। তার মৃগী রোগ হয়েছে, তাতে সে খুবই কষ্ট পাচ্ছে। সে প্রায়ই হয় আগুনে, নয় তো জলে পড়ে যায়। 16 আমি তাকে আপনার শিষ্যদের কাছে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারেন নি।”
17 এর উত্তরে যীশু বললেন, “তোমরা অবিশ্বাসী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। কতকাল আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব? কতকাল আমি তোমাদের বহন করব? ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে এস।” 18 তখন যীশু সেই ভূতকে তিরস্কার করলে ভূতটি ছেলেটির মধ্য থেকে বার হয়ে গেল, আর সেই মুহূর্ত্ত থেকেই ছেলেটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।
19 পরে শিষ্যরা একান্তে যীশুর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা সেই ভূতকে তাড়াতে পারলাম না কেন?”
20 যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের অল্প বিশ্বাসের কারণেই তোমরা তা পারলে না। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট্ট সরষে দানার মতো এতটুকু বিশ্বাসও যদি তোমাদের থাকে, তবে তোমরা যদি এই পাহাড়কে বল, ‘এখান থেকে সরে ওখানে যাও’ তবে তা সরে যাবে। তোমাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব হবে না।” 21 [a]
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International