Revised Common Lectionary (Complementary)
7 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, পুনরায় আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন।
8 অতীতে আপনি আমাদের প্রতি
গুরুত্বপূর্ণ চারা গাছের মতই যত্ন নিয়েছিলেন।
মিশর থেকে আপনি আপনার দ্রাক্ষালতা এনেছিলেন।
অন্যান্য লোকদের আপনি এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আপনার দ্রাক্ষালতা আপনি এখানে রোপণ করেছিলেন।
9 সেই দ্রাক্ষালতার জন্য আপনি জমি তৈরী করেছিলেন।
এর শিকড়গুলোকে আপনি জমির গভীরে বাড়তে সাহায্য করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই দ্রাক্ষালতা সারা দেশ ছেয়ে ফেলেছে।
10 এটি পর্বতকে ঢেকে দিয়েছে।
এর পাতাগুলি বৃহৎ এরস গাছকেও ছায়া দিয়েছে।
11 এই দ্রাক্ষালতা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
এর লতাপাতা ফরাৎ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
12 ঈশ্বর, যে প্রাচীর আপনার দ্রাক্ষালতাকে রক্ষা করতো, কেন তাকে ভেঙে ফেললেন?
এখন যে কোন ব্যক্তিই এর ধার দিয়ে যায়, সেই এর দ্রাক্ষা তুলে নিয়ে যায়।
13 বুনো শূকররা এসে আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে ঘুরে বেড়ায়।
বুনো জন্তুরা এসে এর পাতা খায়।
14 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আপনি আসুন।
স্বর্গ থেকে আপনার দ্রাক্ষাক্ষেত দেখুন এবং তাকে রক্ষা করুন।
15 হে ঈশ্বর, নিজ হাতে যে দ্রাক্ষালতা আপনি লাগিয়েছিলেন, তার দিকে দেখুন।
যে চারাগাছকে[a] আপনি বড় হতে দিয়েছেন তার দিকে দেখুন।
শত্রু ঘিরে ধরল জেরুশালেমকে
6 “বিন্যামীনের লোক, প্রাণে বাঁচতে চাইলে
জেরুশালেম শহর ছেড়ে চলে যাও।
তকোয় শহরে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দাও।
সতর্কতা সূচক পতাকা ওড়াও বৈৎ-হক্কেরম শহরে।
কারণ উত্তর দিক থেকে অমঙ্গল ও ধ্বংস আসছে।
ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
2 সিয়োন কুমারী,
তুমি হলে সুন্দরী এবং কোমলা।
3 মেষপালকরা তাদের মেষপাল নিয়ে জেরুশালেমে এলো।
তারা সেই তৃণভূমির চারিদিকে তাঁবু গাড়লো।
প্রত্যেক মেষপালক তার নিজের
মেষপালকে দেখাশোনা করবে।
4 “জেরুশালেমকে আক্রমণ করার জন্য তৈরী হও।
উঠে পড়ো! আজ দুপুরেই আমরা এই শহরকে আক্রমণ করবো।
কিন্তু ইতিমধ্যেই খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
5 সুতরাং আজ রাতেই এই শহরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে প্রস্তুত হও!
জেরুশালেমের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দাও।”
6 প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বললেন:
“জেরুশালেমের চারপাশের সমস্ত গাছ কেটে ফেলো।
পাথর আর মাটি দিয়ে এমন স্তূপ তৈরী করো
যার সাহায্যে এ শহরের প্রাচীর অতি সহজেই অতিক্রম করতে পারবে।
এই শহরে শোষণ ছাড়া আর কিছু নেই।
তাই এই শহরকে শাস্তি পেতে হবে।
7 একটি কুয়ো যেমনভাবে জলকে তাজা রাখে,
ঠিক তেমনভাবেই জেরুশালেম তার পাপপূর্ণ কর্মগুলিকে তাজা করে রেখেছে।
আমি এই শহরের লুঠতরাজ ও হিংসার ঘটনার কথা সব সময় শুনে এসেছি।
এদের যন্ত্রণা আর অসুস্থতা দেখেছি।
8 জেরুশালেম এবার সতর্ক হও।
যদি তোমরা এখনও সাবধান না হও তাহলে আমি তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব।
তোমাদের দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করব।
কোন মানুষই আর ওখানে বাস করতে পারবে না।”
9 সর্বশক্তিমান প্রভু আরও বললেন:
“যে সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা এখনও তাদের দেশে পড়ে আছে
তাদের একত্রিত করো।
যেভাবে তোমরা দ্রাক্ষাক্ষেতের শেষ দ্রাক্ষাগুলিকে এক একটি করে তুলে নিয়ে একত্রিত করো
ঠিক সে ভাবে তাদের একত্রিত করো।
যেমনভাবে দ্রাক্ষা চয়ন করবার সময় একজন শ্রমিক প্রতিটি দ্রাক্ষালতা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখে
ঠিক সে ভাবে ইস্রায়েলীয়দের খুঁজে বার করো।”
10 আমি কাদের সঙ্গে কথা বলব?
আমি কাদের সতর্ক করব?
কারাই বা আমার কথা শুনবে?
ইস্রায়েলীয়রা আমার সতর্কবাণী শুনতে পাচ্ছে না
কারণ তাদের কান বন্ধ।
তারা প্রভুর কথা শুনতে অনিচ্ছুক।
তারা তাঁর বার্তা শুনতে পছন্দ করে না।
যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে তর্ক
40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী।”
41 অন্যরা বলল, “ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)।”
এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না। 42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?” 43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। 44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না।
ইহুদী নেতাদের অবিশ্বাস
45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল। তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?”
46 পদাতিকরা বলল, “উনি যে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!”
47 তখন ফরীশীরা বললেন, “তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে? 48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন? 49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না। তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত।”
50 তখন এই নেতাদের একজন নীকদীম, যিনি ফরীশীদের মধ্যে একজন, তাঁদের বললেন, তিনিই আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন। 51 কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না। সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না।
52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, “তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি, তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে যে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International