Revised Common Lectionary (Complementary)
6 প্রভু ইস্রায়েলের রাজা। প্রভু সর্বশক্তিমান ইস্রায়েলকে রক্ষা করবেন। প্রভু বলেন, “আমিই একমাত্র ঈশ্বর। অন্য কোন দেবতা নেই। আমিই আদি, আমিই অন্ত। 7 আমার মতো অন্য কোন ঈশ্বর নেই। যদি কেউ থাকেন তাহলে সেই দেবতার কথা বলা উচিৎ। সেই দেবতার উচিৎ ছিল এখানে এসে প্রমাণ করা যে তিনিও আমারই মতো। আমি যখন এই প্রাচীন লোকদের সৃষ্টি করেছিলাম তখন কি ঘটেছিল সেই দেবতার আমাকে বলা উচিৎ। ভবিষ্যতে কি ঘটবে তিনি যে তা জানেন তা প্রমাণ করার জন্য ঐ দেবতার আমাকে কোন নিদর্শন দেওয়া উচিৎ।
8 “ভীত হয়ো না। উদ্বিগ্ন হয়ো না! আমি সর্বদাই তোমাদের বলেছি যে কি ঘটবে। তোমরাই আমার সাক্ষী! অন্য কোন ঈশ্বর নেই। আমিই একমাত্র। অন্য কোন ‘শিলা’ নেই। আমি জানি আমিই একমাত্র!”
11 প্রভু, আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন
এবং আমি আপনার সত্য পথ অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো।
আপনার উপাসনা করাকে আমার জীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করতে আমায় সাহায্য করুন।
12 ঈশ্বর, প্রভু আমার, আমার সকল অন্তর দিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিন আমি আপনার নামের সম্মান করবো!
13 ঈশ্বর আপনি আমার জন্য কত মহান ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন
এবং মৃত্যুর হাত থেকে আমায় রক্ষা করেছেন।
14 ঈশ্বর, অহঙ্কারী লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
একদল নৃশংস লোক আমায় হত্যার চেষ্টা করছে।
ওই সব লোক আপনাকে সম্মান করে না।
15 প্রভু, আপনি দয়াময় ও করুণাময় ঈশ্বর।
আপনি ধৈর্য্যশীল, বিশ্বস্ত এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
16 ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং দেখান যে আপনি আমার কথা শুনেছেন।
আমি আপনার দাস, আমায় শক্তি দিন।
আমি আপনার দাস, আমায় রক্ষা করুন!
17 ঈশ্বর, আপনি যে আমায় সাহায্য করবেন তা প্রদর্শন করে আমায় একটা চিহ্ন দিন।
আমার শত্রুরা সেই চিহ্ন দেখবে এবং ওরা হতাশ হবে।
সেটা প্রমাণ করবে যে আপনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।
12 তাই ভাই ও বোনেরা, আমরা ঋণী কিন্তু সেই ঋণ আমাদের দৈহিক প্রবৃত্তির কাছে নয়। আমরা অবশ্যই আর দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা জীবন পরিচালিত করব না। 13 কারণ যদি তোমরা দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা চল তবে মরবে। কিন্তু পবিত্র আত্মার সাহায্যে যদি দেহের মন্দ কাজগুলি থেকে বিরত থাক তবে জীবন পাবে।
14 ঈশ্বরের প্রকৃত সন্তানরা ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়। 15 তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তা তো দাসত্বের আত্মা নয় যে পুনরায় ভয়ে থাকবে। বরং তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তার দ্বারা পুত্রত্ব পেয়েছ; আর সেই আত্মাতে আমরা ডাকি, “আব্বা, পিতা।” 16 পবিত্র আত্মা নিজেও আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়ে বলছেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। 17 আর যদি সন্তান হই, তবে আমরা তাঁর উত্তরাধিকারী এবং খ্রীষ্টের সাথে উত্তরাধিকারী, যদি অবশ্য খ্রীষ্ট যেমন দুঃখভোগ করেছিলেন, তেমনি আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি, আর তা করলে আমরা খ্রীষ্টের সঙ্গে মহিমান্বিত হব।
ভবিষ্যতে আমরা মহিমান্বিত হব
18 এখন আমরা দুঃখ ভোগ করছি; কিন্তু আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার সঙ্গে বর্তমান কালের এই দুঃখভোগ তুলনার যোগ্যই নয়। 19 বিশ্বসৃষ্টি ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে ঈশ্বর কবে তাঁর পুত্রদের প্রকাশ করবেন। সমগ্র বিশ্ব এর জন্য আকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে। 20 বিশ্ব সৃষ্টিকে তো ব্যর্থতার বন্ধনে বেঁধে রাখা হয়েছে যদিও তা তার নিজের ইচ্ছায় নয় কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায়, যিনি সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেছেন। 21 তবুও বিশ্বসৃষ্টির এই আশা রয়েছে যে সেও একদিন এই অবক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত হবে আর ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাময় স্বাধীনতার অংশীদার হবে।
22 আমরা জানি যে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি ব্যথায় আর্তনাদ করছে যেমন করে নারী সন্তান প্রসবের ব্যথা ভোগ করে। 23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি। 24 আমরা উদ্ধার পেয়েছি তাই আমাদের অন্তরে এই প্রত্যাশা রয়েছে। প্রত্যাশার বিষয় প্রত্যক্ষ হলে তা প্রত্যাশা নয়। যা পাওয়া হয়ে গেছে তার জন্য কে প্রত্যাশা করে? 25 আমরা যা এখনও পাই নি তারই জন্য প্রত্যাশা করছি, ধৈর্য্য্যের সঙ্গেই তার জন্য প্রতীক্ষা করছি।
গম এবং শ্যামা ঘাসের দৃষ্টান্ত
24 এবার যীশু তাদের কাছে আর একটি দৃষ্টান্ত রাখলেন। স্বর্গরাজ্য এমন একজন লোকের মতো যিনি তাঁর জমিতে ভাল বীজ বুনলেন। 25 কিন্তু লোকেরা যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল, তখন সেই মালিকের শত্রু এসে গমের মধ্যে শ্যামা ঘাসের বীজ বুনে দিয়ে চলে গেল। 26 শেষে গমের চারা যখন বেড়ে উঠে ফল ধরল, তখন তার মধ্যে শ্যামাঘাসও দেখা গেল। 27 সেই মালিকের মজুররা এসে তাঁকে বলল, “আপনি কি জমিতে ভাল বীজ বোনেন নি? তবে শ্যামাঘাস কোথা থেকে এল?”
28 “তিনি তাদের বললেন, ‘এটা নিশ্চয়ই কোন শত্রুর কাজ।’
“তাঁর চাকরেরা তখন তাঁকে বলল, ‘আপনি কি চান, আমরা গিয়ে কি শ্যামা ঘাসগুলি উপড়ে ফেলব?’
29 “তিনি বললেন, ‘না, কারণ তোমরা যখন শ্যামা ঘাস ওপড়াতে যাবে তখন হয়তো ঐগুলোর সাথে গমের গাছগুলোও উপড়ে ফেলবে। 30 ফসল কাটার সময় না হওয়া পর্যন্ত একসঙ্গে সব বাড়তে দাও। পরে ফসল কাটার সময় আমি মজুরদের বলব তারা যেন প্রথমে শ্যামা ঘাস সংগ্রহ করে আঁটি আঁটি করে বাঁধে ও তা পুড়িয়ে দেয় এবং গম সংগ্রহ করে গোলায় তোলে।’”
যীশু কঠিন গল্পের ব্যাখ্যা দিলেন
36 পরে যীশু লোকদের বিদায় দিয়ে ঘরে চলে গেলেন। তখন তাঁর শিষ্যরা এসে তাঁকে বললেন, “সেই ক্ষেতের ও শ্যামা ঘাসের দৃষ্টান্তটি আমাদের বুঝিয়ে দিন।”
37 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “যিনি ভাল বীজ বোনেন, তিনি মানবপুত্র। 38 জমি বা ক্ষেত হল এই জগত, স্বর্গরাজ্যের লোকরা হল ভাল বীজ। আর শ্যামাঘাস তাদেরই বোঝায়, যারা মন্দ লোক। 39 গমের মধ্যে যে শত্রু শ্যামা ঘাস বুনে দিয়েছিল, সে হল দিয়াবল। ফসল কাটার সময় হল জগতের শেষ সময় এবং মজুররা যারা সংগ্রহ করে, তারা ঈশ্বরের স্বর্গদূত।
40 “শ্যামা ঘাস জড় করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পৃথিবীর শেষের সময়েও ঠিক তেমনি হবে। 41 মানবপুত্র তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠিয়ে দেবেন, আর যারা পাপ করে ও অপরকে মন্দের পথে ঠেলে দেয়, তাদের সবাইকে সেই স্বর্গদূতরা মানবপুত্রের রাজ্যের মধ্য থেকে একসঙ্গে জড় করবেন। 42 তাদের জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে ফেলে দেবেন। সেখানে লোকে কান্নাকাটি করবে ও দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে। 43 তারপর যারা ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছে, তারা পিতার রাজ্যে সূর্যের মতো উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেবে। যার শোনার মতো কান আছে সে শুনুক!
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International