Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
1 বংশাবলি 13-14

সাক্ষ্যসিন্দুক ফেরৎ‌ আনা

13 দায়ূদ তাঁর সেনাবাহিনীর সমস্ত অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলার পর ইস্রায়েলের লোকদের এক জায়গায় জড়ো করে বললেন, “প্রভুর যদি ইচ্ছে হয় এবং তোমরা সকলেও যদি তাই মনে কর, তাহলে ইস্রায়েলের সর্বত্র আমাদের সহ-নাগরিক ও জ্ঞাতিদের, যাজক ও লেবীয়দের সবাইকে, যাঁরা বিভিন্ন শহরে ও তার আশেপাশে আমাদের জ্ঞাতিদের সঙ্গে বাস করেন, তাঁদের খবর পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হোক্। তারপর আমরা সাক্ষ্যসিন্দুকটা জেরুশালেমে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনি। শৌল রাজা থাকাকালীন আমরা ঐ সাক্ষ্যসিন্দুকটার ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি।” দায়ূদের সঙ্গে ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা এক মত হল এবং তারা সকলে ভাবল এটিই তাদের করা উচিৎ‌।

কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিয়ে আনার জন্য মিশরে সীহোর নদী থেকে লেবো হমাত শহর পর্যন্ত ইস্রায়েলের সকলকে জড়ো করলেন। তারপর দায়ূদ ও এই সমস্ত লোকরা মিলে যিহূদার বালা (অর্থাৎ‌ কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে) সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিয়ে আনতে গেলেন। ঐ সাক্ষ্যসিন্দুককে করূব দূতদের ঊর্দ্ধে যিনি বসেন সেই প্রভু ঈশ্বরের সিন্দুকও বলা হত।

সবাই মিলে সাক্ষ্যসিন্দুকখানা অবীনাদবের বাড়ি থেকে বের করে নতুন একটা ঠেলা গাড়িতে বসালেন। উষঃ আর অহিয়ো ঐ গাড়িকে পথ দেখাচ্ছিলেন।

দায়ূদ ও ইস্রায়েলের লোকরা বাঁশি, বীণা, ঢাক, খোল, কর্তাল, শিঙা বাজিয়ে ঈশ্বরের বন্দনা গান গেয়ে ঈশ্বরের সামনে উৎসব পালন করছিলেন।

কীদোনের শস্য মাড়াইয়ের উঠান পর্যন্ত আসার পর যে ষাঁড়গুলো গাড়ি টানছিল তারা হোঁচট খাওয়ায় সাক্ষ্যসিন্দুকটা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল, উষঃ কোনমতে হাত বাড়িয়ে সিন্দুকটাকে আটকালেন। 10 কিন্তু ঐ সিন্দুক স্পর্শ করার অপরাধে ক্রুদ্ধ প্রভু ঘটনাস্থলেই উষের প্রাণ নিলেন। 11 এই ঘটনায় দায়ূদ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। তারপর থেকে ঐ জায়গা “পেরস-উষঃ” নামে পরিচিত।

12 ঈশ্বরের রোষে ভয় পেয়ে দায়ূদ বললেন, “আমি আর এই সাক্ষ্যসিন্দুক আমার কাছে নিতে পারব না!” 13 তাই দায়ূদ সাক্ষ্যসিন্দুকটি দায়ূদ নগরে নিজের কাছে না এনে গাতের ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রেখে এলেন। 14 সাক্ষ্যসিন্দুকটা তিন মাসের জন্য ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। এজন্য ওবেদ-ইদোমের পরিবারের প্রতি এবং তার নিজের সব জিনিষের ওপর প্রভুর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।

দায়ূদের রাজ্য বিস্তার

14 সোরের রাজা হীরম, দায়ূদের জন্য একটি সুন্দর বাড়ি বানাতে চেয়ে তাঁর কাছে কাঠের গুঁড়ি এবং পাথর-কাটুরে ও ছুতোর মিস্ত্রি পাঠালেন। দায়ূদ তখন উপলব্ধি করলেন যে প্রভু আসলে তাঁকে ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে মনোনীত করেছেন। প্রভু দায়ূদের সাম্রাজ্য সুবিশাল ও তার ভিত সুদৃঢ় করেছিলেন কারণ ঈশ্বর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের লোকদের ভালবাসতেন।

দায়ূদ জেরুশালেম শহরে অনেককে বিয়ে করেন এবং তাঁর বহু পুত্রকন্যা হয়। জেরুশালেমে দায়ূদের যে সমস্ত সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল তাদের নাম: শম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন, যিভর, ইলীশূয়, ইল্পেলট, নোগহ, নেফগ, যাফিয়, ইলীশামা, বীলিয়াদা এবং ইলীফেলট।

দায়ূদ পলেষ্টীয়দের পরাজিত করলেন

পলেষ্টীয়রা যখন দায়ূদ সম্পর্কে জানতে পারল যে দায়ূদ ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে মনোনীত হয়েছে, তারা তখন দায়ূদকে খুঁজতে বের হল। দায়ূদ পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করলেন। পলেষ্টীয়রা রফায়ীমের লোকদের আক্রমণ করে তাদের জিনিসপত্র অপহরণ করল। 10 দায়ূদ ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করব? আপনি কি আমার সহায় হয়ে পলেষ্টীয়দের যুদ্ধে হারাতে সাহায্য করবেন?”

প্রভু দায়ূদকে উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ যাও। আমি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে জয় লাভে তোমার সহায় হব।”

11 তখন দায়ূদ ও তাঁর লোকরা গিয়ে বাল্-পরাসীমে জড়ো হলেন এবং সেখানে তাঁরা পলেষ্টীয়দের যুদ্ধে পরাজিত করলেন। দায়ূদ বললেন, “বাঁধ ভাঙা জল যেমন তোড়ে বেরিয়ে আসে ঈশ্বর সেই ভাবে আমার শত্রুদের ভেদ করেছেন। ঈশ্বর আমার সহায় ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হল।” সেই কারণে ঐ জায়গার নাম বাল্-পরাসীম রাখা হয়েছিল। 12 পলেষ্টীয়রা ওখানে ওদের আরাধ্য দেবদেবীর মূর্ত্তি ফেলে গিয়েছিল। দায়ূদ তাঁর লোকেদের সেই সমস্ত পুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন।

পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে আরেকটি জয়যাত্রা

13 পলেষ্টীয়রা রফায়িম উপত্যকার লোকদের আবার আক্রমণ করলে, 14 দায়ূদ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন। ঈশ্বর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, “দায়ূদ, আক্রমণের সময় পলেষ্টীয়দের পিছু ধাওয়া করে পাহাড়ে না গিয়ে চতুর্দিক থেকে ঘিরে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকো। 15 তারপর গাছের ওপর কাউকে তুলে দিয়ে নজর রাখবে। যেই পলেষ্টীয়দের পায়ের শব্দ শুনতে পাবে, তাদের আক্রমণ করবে। আমি, ঈশ্বর তোমাদের আগে বেরিয়ে যাব এবং পলেষ্টীয় সেনাদলকে পরাজিত করব।” 16 দায়ূদ হুবহু ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী পথ অনুসরণ করে পলেষ্টীয় সেনাবাহিনীকে পরাজিত করলেন এবং গিবিয়োন শহর থেকে গেষর পর্যন্ত পলেষ্টীয় সেনাদের হত্যা করলেন। 17 এ ঘটনার পর দায়ূদের খ্যাতি সমস্ত দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ল এবং প্রভু সমস্ত জাতিদের দায়ূদের পরাক্রমের ভয়ে ভীত করে তুললেন।

যাকোব 1

আমি যাকোব, ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস, নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা ঈশ্বরের বারো গোষ্ঠীর লোকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিশ্বাস ও প্রজ্ঞা

আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা যখন নানারকম প্রলোভনের মধ্যে পড়, তখন তা মহা আনন্দের বিষয় বলে মনে কর। একথা জেনো, এই সকল বিষয় তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা করে ও তোমাদের ধৈর্য্য্যগুণ বাড়িয়ে দেয়। সেই ধৈর্য্য্যগুণকে তোমাদের জীবনে পুরোপুরিভাবে কাজ করতে দাও। এর ফলে তোমরা নিখুঁত ও সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে এবং কোন বিষয়ে তোমাদের কোন অভাব থাকবে না।

তোমাদের কারো যদি প্রজ্ঞার অভাব হয়, তবে সে তার জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুক। ঈশ্বর দয়াবান; তিনি সকলকে উদারভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে দেন। অতএব ঈশ্বর তোমাদের প্রজ্ঞা প্রদান করবেন। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে চাইতে হলে কোনরকম সন্দেহ না রেখে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গেই তা চাইতে হবে, কারণ যে সন্দেহ করে, সে ঝোড়ো হাওয়ায় আলোড়িত উত্তাল সমুদ্র তরঙ্গের মতো। 7-8 এই প্রকার লোক দুই মনের মানুষ, প্রত্যেকটি কাজেই চঞ্চল ও অস্থির। এমন লোকের মনে করা উচিত নয় যে প্রভুর কাছে সে কিছু পাবে।

প্রকৃত সম্পদ

যে বিশ্বাসী ভাই গরীব, সে গর্ব অনুভব করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে আত্মিকভাবে উন্নত করেছেন। 10 যে বিশ্বাসী ভাই ধনী, সে গর্ব বোধ করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে দেখিয়েছেন যে সে আত্মিকভাবে দরিদ্র। ধনী ব্যক্তি একদিন বুনো ফুলের মতো ঝরে যাবে। 11 সূর্য ওঠার পর তার তাপ ক্রমশঃ বেড়েই যায়, তাপে তৃণ ঝলসে যায় ও ফুল ঝরে যায়। ফুল সুন্দর হলেও তার রূপের বাহার বিলীন হয়ে যায়। তেমনি ঘটে ধনী ব্যক্তির জীবনে। তার কাজের পরিকল্পনাকালেই সে হঠাৎ‌ মৃত্যুমুখে পড়ে।

ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রলোভন আসে না

12 পরীক্ষার সময় যে ধৈর্য্য ধরে ও স্থির থাকে সে ধন্য, কারণ বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ঈশ্বর তাকে পুরস্কার স্বরূপ অনন্ত জীবন দেবেন। ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে তাদের তিনি এই জীবন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 13 কেউ যখন প্রলুদ্ধ হয় তখন যেন সে না বলে, “ঈশ্বর আমাকে প্রলুদ্ধ করেছেন।” মন্দ ঈশ্বরকে কোন জিনিস প্রলোভিত করতে পারে না এবং ঈশ্বরও নিজে কাউকে প্রলোভনে ফেলেন না। 14 প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মন্দ অভিলাষের দ্বারা প্রলুদ্ধ হয়। তার মন্দ ইচ্ছা তাকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং ফাঁদে ফেলে। 15 এই মন্দ ইচ্ছা গর্ভবতী হয়ে পাপের জন্ম দেয় এবং পাপ পূর্ণতা লাভ করে মৃত্যুর জন্ম দেয়।

16 আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এ ব্যাপারে তোমরা প্রতারিত হয়ো না। 17 সমস্ত ভাল ও নিখুঁত দান স্বর্গ থেকে আসে, কারণ পিতা ঈশ্বর, যিনি স্বর্গীয় আলো সৃষ্টি করেছিলেন তিনি সর্বদা একই আছেন, তাঁর কোনও পরিবর্তন হয় না। 18 ঈশ্বর তাঁর নিজের ইচ্ছায় সত্য বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন দিয়েছেন। তিনি চান যেন তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে আমরা অগ্রগন্য হই।

শ্রবণ কর ও সেই মতো কাজ কর

19 আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা শ্রবণে সত্বর কিন্তু কথনে ধীর হও। চট করে রেগে যেও না। 20 ক্রোধ কখনই ঈশ্বরের প্রত্যাশা অনুযায়ী সৎ‌ জীবন যাপনের সহায়ক হতে পারে না। 21 তাই তোমাদের জীবন থেকে সব রকমের অপবিত্রতা ও যা কিছু মন্দ, যা তোমাদের চারপাশে রয়েছে তাকে দূরে সরিয়ে দাও; আর নম্রভাবে ঈশ্বরের শিক্ষা গ্রহণ কর যা তিনি তোমাদের হৃদয়ে বপন করেছেন।

22 ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে কাজ কর। শুনে কিছু না করে বসে থাকলে চলবে না। শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্যের শ্রোতা হয়ে নিজেকে ঠকিও না। 23 যদি কেউ শুধুমাত্র ঈশ্বরের বাক্যের শ্রোতাই হয় আর সেই মতো কাজ না করে, তবে সে এমন একজন লোকের মতো যে আয়নার দিকে তাকায়, 24 নিজেকে দেখে এবং চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে সে নিজে কেমন দেখতে তা ভুলে যায়। 25 কিন্তু সেই ব্যক্তি প্রকৃত সুখী যে ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা, যা মানুষের কাছে মুক্তি নিয়ে আসে তা ভালভাবে অধ্যয়ন করতে থাকে ও তা পালন করে এবং যা শ্রবন করে তা ভুলে যায় না, এই বাধ্যতা তাকে সুখী করে তোলে।

উপাসনার প্রকৃষ্ট পথ

26 যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে ধার্মিক মনে করে, অথচ নিজের মুখ না সামলায়় তবে সে নিজেকে ঠকায়, তার “ধার্মিকতা” মূল্যহীন। 27 যে ধার্মিকতা ঈশ্বর বিশুদ্ধ ও খাঁটি হিসেবে অনুমোদন করেন তা হল অনাথ ও বিধবাদের দুঃখ কষ্টে দেখাশোনা করা এবং নিজেকে পৃথিবীর মন্দ প্রভাব থেকে দূরে রাখা।

আমোষ 8

পাকা ফলের দর্শন

প্রভু আমাকে এই রকম দেখালেন: আমি দেখলাম এক ঝুড়ি গ্রীষ্মের ফল। প্রভু আমায় বললেন, “আমোষ তুমি কি দেখছ?”

আমি বললাম, “এক ঝুড়ি গ্রীষ্মকালীন ফল।”

তখন প্রভু আমায় বললেন, “আমার লোক ইস্রায়েলের পরিণাম এসে গেছে। আমি আর তাদের পাপ উপেক্ষা করব না। মন্দিরের গানগুলি শবযাত্রার করুণ গানে পরিণত হবে।” প্রভু আমার সদাপ্রভুই আমায় এই কথাগুলো বলেছেন। “চারিদিকে শবদেহ, নীরবে লোকে সেই সব শব দেহ বহন করে এনে স্তূপ করে ফেলে রাখবে।”

ইস্রায়েলের ব্যবসায়ীরা কেবল টাকা উপায়ে উৎসাহী

তোমরা যারা অসহায় লোকদের দাবিয়ে চলো,
    যারা এই দেশের দরিদ্র লোকদের ধ্বংস করতে চেষ্টা করছ, আমার কথা শোন!
তোমরা ব্যবসায়ীরা বলে থাক,
    “কখন অমাবস্যা গত হবে যাতে আমরা আবার বেচাকেনা করতে পারি?
কখন বিশ্রামদিন শেষ হবে
    যাতে আমরা গম এনে বেচতে পারি?
তখন আমরা দাম বাড়াতে পারব
    এবং মাপের পাত্র ছোট করতে পারব।[a]
আমরা ওজনের হের ফের করে
    লোক ঠকাতে পারব।
গরীবরা তাদের ঋণ শোধ করতে পারবে না।
    তাই আমরা তাদের ক্রীতদাসের মত কিনে নেব।
ওই সব অসহায় লোকদের
    আমরা এক জোড়া জুতোর দামে কিনে নেব।
আমরা মাটিতে পড়ে যাওয়া
    গম বিক্রি করব।”

প্রভু তার নামে প্রতিশ্রুতি করলেন, “যাকোবের গর্ব।”

“এইসব লোকরা যে সব কাজ করেছে তা আমি কখনই ভুলে যাব না।
সমস্ত দেশ ঐসব বিষয়ের জন্য কেঁপে উঠবে।
    দেশে বসবাসকারী প্রতিটি লোক মৃতদের জন্য এন্দন করবে।
মিশরের নীল নদের মত সমস্ত দেশ উথাল—পাতাল করবে।”

প্রভু আরও বলেছেন:
    “সেই সময় আমি সূর্যকে দুপুরবেলাতেই অস্তগত করব।
    আকাশ পরিষ্কার থাকলেও পৃথিবীকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করব।
10 তোমাদের ছুটির দিনগুলোকে মৃতদের জন্য শোকের দিনে পরিণত করব।
    তোমাদের সমস্ত গানগুলি (মৃতদের জন্য) বিলাপ গীতে পরিণত হবে।
প্রত্যেক লোককে শোকবস্ত্র পরাব
    ও প্রত্যেকের মাথায় টাক পড়াব।
একমাত্র পুত্রের বিয়োগের
    শোকের মত শোক করাব।
আর শেষটা বড় তিক্ত হবে।”

ঈশ্বরের কথার জন্য প্রবল আকুতির সময় আসছে

11 প্রভু বলেছেন:

“দেখ, এমন দিন আসছে
    যখন দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।
লোকে তখন রুটির জন্য ক্ষুধিত
    বা জলের জন্য পিপাসিত হবে না।
    না, লোকে প্রভুর বাক্যের জন্য ক্ষুধিত হবে।
12 লোকে ঈশ্বরের বাক্যের জন্য
    মৃত সাগর থেকে ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত
    এবং উত্তরের দেশ থেকে পূর্বের দেশ পর্যন্ত ঘুরে বেড়াবে।
লোকরা প্রভুর বাক্যের খোঁজে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবে
    কিন্তু তা পাবে না।
13 সেই সময় সুন্দর, তরুণ ও তরুণীরা
    তৃষ্ণায় অজ্ঞান হয়ে পড়বে।
14 তারা শমরিয়ার পাপের[b] নামে শপথ করেছিল,
এই বলে,
    ‘হে দান, আমরা তোমার দেবতার নামে শপথ করেছি।’
    ‘আমরা তোমার দেবতা বের্-শেবার নামে শপথ করছি।’
কিন্তু তারা পড়ে যাবে
    এবং আর কখনো উঠতে পারবে না।”

লূক 3

যোহনের প্রচার

(মথি 3:1-12; মার্ক 1:1-8; যোহন 1:19-28)

তিবিরিয় কৈসরের রাজত্বের পনের বছরের মাথায়

যিহূদিয়ার রাজ্যপাল ছিলেন পন্তীয় পীলাত।

সেই সময় হেরোদ ছিলেন গালীলের শাসনকর্তা

এবং তাঁর ভাই ফিলিপ ছিলেন যিতুরিয়া ও ত্রাখোনীতিয়ার শাসনকর্তা,

লুষাণিয় ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা।

হানন ও কায়াফা ছিলেন ইহুদীদের মহাযাজক। সেই সময় প্রান্তরের মধ্যে সখরিয়র পুত্র যোহনের কাছে ঈশ্বরের আদেশ এল। আর তিনি যর্দনের চারপাশে সমস্ত জায়গায় গিয়ে প্রচার করতে লাগলেন যেন লোকে পাপের ক্ষমা লাভের জন্য মন ফেরায় ও বাপ্তিস্ম নেয়। ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তকে যেমন লেখা আছে:

“প্রান্তরের মধ্যে একজনের কন্ঠস্বর ডেকে ডেকে বলছে,
‘প্রভুর জন্য পথ প্রস্তুত কর।
    তাঁর জন্য চলার পথ সোজা কর।
সমস্ত উপত্যকা ভরাট কর,
    প্রতিটি পর্বত ও উপপর্বত সমান করতে হবে।
আঁকা-বাঁকা পথ সোজা করতে হবে
    এবং এবড়ো-খেবড়ো পথ সমান করতে হবে।
তাতে সকল লোকে ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখতে পাবে।’”(A)

তখন বাপ্তিস্ম নেবার জন্য অনেক লোক যোহনের কাছে আসতে লাগল। তিনি তাদের বললেন, “হে সাপের বংশধরেরা! ঈশ্বরের কাছ থেকে যে ক্রোধ নেমে আসছে তা থেকে বাঁচার জন্য কে তোমাদের সতর্ক করে দিল? তোমরা যে মন ফিরিয়েছ তার ফল দেখাও। একথা বলতে শুরু করো না, যে ‘আরে অব্রাহাম তো আমাদের পিতৃপুরুষ’ কারণ আমি তোমাদের বলছি এই পাথরগুলো থেকে ঈশ্বর অব্রাহামের জন্য সন্তান উৎপন্ন করতে পারেন। গাছের গোড়াতে কুড়ুল লাগানোই আছে, যে গাছ ভাল ফল দিচ্ছে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”

10 তখন লোকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “তাহলে আমাদের কি করতে হবে?”

11 এর উত্তরে তিনি তাদের বললেন, “যদি কারো দুটো জামা থাকে, তবে যার নেই তাকে যেন তার থেকে একটি জামা দেয়; আর যার খাবার আছে, সেও অন্যের সঙ্গে সেইরকম যেন ভাগ করে নেয়।”

12 কয়েকজন কর আদায়কারীও বাপ্তাইজ[a] হবার জন্য এল। তারা তাঁকে বলল, “গুরু, আমরা কি করব?”

13 তখন তিনি তাদের বললেন, “যতটা কর আদায় করার কথা তার চেয়ে বেশী আদায় কোরো না।”

14 কয়েকজন সৈনিকও তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “আমাদের কি হবে? আমরা কি করব?”

তিনি তাদের বললেন, “কারো কাছ থেকে জোর করে কোন অর্থ নিও না। কারো প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করো না। তোমাদের যা বেতন তাতেই সন্তুষ্ট থেকো।”

15 লোকরা মনে মনে আশা করেছিল, “যোহনই হয়তো তাদের সেই প্রত্যাশিত খ্রীষ্ট।”

16 তাদের এই রকম চিন্তার জবাবে যোহন বললেন, “আমি তোমাদের জলে বাপ্তাইজ করি, কিন্তু আমার থেকে আরো শক্তিশালী একজন আসছেন, আমি তাঁর জুতোর ফিতে খোলবার যোগ্য নই। তিনিই তোমাদের পবিত্র আত্মায় ও আগুনে বাপ্তাইজ করবেন। 17 কুলোর বাতাস দিয়ে খামার পরিষ্কার করার জন্য কুলো তাঁর হাতেই আছে, তা দিয়ে তিনি সব শস্য জড়ো করে তাঁর গোলায় তুলবেন আর অনির্বাণ আগুনে তূষ পুড়িয়ে দেবেন।” 18 আরো বিভিন্ন উপদেশের মাধ্যমে লোকদের উৎসাহিত করে যোহন তাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করতেন।

যোহনের কর্মের সমাপ্তি

19 শাসনকর্তা হেরোদ তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিযাকে বিয়ে করেছিলেন, এরজন্য এবং এছাড়াও তাঁর আরো অনেক অন্যায় কাজের জন্য যোহন হেরোদকে তিরস্কার করলেন। 20 তাতে হেরোদ যোহনকে বন্দী করে কারাগারে পাঠালেন আর এইভাবে তিনি তাঁর অন্য সব দুষ্কর্মের সঙ্গে এইটিও যোগ করলেন।

যীশু যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম নিলেন

(মথি 3:13-17; মার্ক 1:9-11)

21 লোকেরা যখন বাপ্তিস্ম নিচ্ছিল সেই সময় একদিন যীশুও বাপ্তিস্ম নিলেন। বাপ্তিস্মের পর যীশু যখন প্রার্থনা করছিলেন, তখন স্বর্গ খুলে গেল, 22 আর স্বর্গ থেকে পবিত্র আত্মা কপোতের মতো তাঁর ওপর নেমে এলেন। তখন স্বর্গ থেকে এই রব শোনা গেল, “তুমি আমার প্রিয় পুত্র, তোমার ওপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”

যোষেফের বংশ পরিচয়

(মথি 1:1-17)

23 প্রায় ত্রিশ বছর বয়সে যীশু তাঁর কাজ শুরু করেন। লোকেরা মনে করত তিনি যোষেফেরই ছেলে।

যোষেফ হলেন এলির ছেলে।

24 এলি মত্ততের ছেলে।

মত্তত্ লেবির ছেলে।

লেবি মল্কির ছেলে।

মল্কি যান্নায়ের ছেলে।

যান্না যোষেফের ছেলে।

25 যোষেফ মত্তথিয়ের ছেলে।

মত্তথিয় আমোসের ছেলে।

আমোস নহূমের ছেলে।

নহূম ইষ্‌লির ছেলে।

ইষ্‌লি নগির ছেলে।

26 নগি মাটের ছেলে।

মাট মত্তথিয়ের ছেলে।

মত্তথিয় শিমিয়ির ছেলে।

শিমিয়ি যোষেখের ছেলে।

যোষেখ যূদার ছেলে।

27 যূদা য়োহানার ছেলে।

যোহানা রীষার ছেলে।

রীষা সরুব্বাবিলের ছেলে।

সরুব্বাবিল শল্টীয়েলের ছেলে।

শল্টীয়েল নেরির ছেলে।

28 নেরি মল্কির ছেলে।

মল্কি অদ্দীর ছেলে।

অদ্দী কোষমের ছেলে।

কোষম ইল‌্মাদমের ছেলে।

ইল‌্মাদম এরের ছেলে।

29 এর যিহোশূর ছেলে।

যিহোশূ ইলীয়েষরের ছেলে।

ইলীয়েষর যোরীমের ছেলে।

যোরীম মত্ততের ছেলে।

মত্তত লেবির ছেলে।

30 লেবি শিমিয়োনের ছেলে।

শিমিয়োন যূদার ছেলে।

যূদা যোষেফের ছেলে।

যোষেফ যোনমের ছেলে।

যোনম ইলিয়াকীমের ছেলে।

31 ইলিয়াকীম মিলেয়ার ছেলে।

মিলেয়া মিন্নার ছেলে।

মিন্না মত্তথের ছেলে।

মত্তথ নাথনের ছেলে।

নাথন দায়ূদের ছেলে।

32 দায়ূদ যিশয়ের ছেলে।

যিশয় ওবেদের ছেলে।

ওবেদ বোয়সের ছেলে।

বোয়স সলমোনের ছেলে।

সলমোন নহশোনের ছেলে।

33 নহশোন অম্মীনাদবের ছেলে।

অম্মীনাদব অদমানের ছেলে।

অদমান অর্ণির ছেলে।

অর্ণি হিষ্রোণের ছেলে।

হিষ্রোণ পেরসের ছেলে।

পেরস যিহূদার ছেলে।

34 যিহূদা যাকোবের ছেলে।

যাকোব ইস‌্হাকের ছেলে।

ইস‌্হাক অব্রাহামের ছেলে।

অব্রাহাম তেরূহের ছেলে।

তেরূহ নাহোরের ছেলে।

35 নাহোর সরূগের ছেলে।

সরূগ রিয়ুর ছেলে।

রিয়ু পেলগের ছেলে।

পেলগ এবরের ছেলে।

এবর শেলহের ছেলে।

36 শেলহ কৈননের ছেলে।

কৈনন অর্ফক্ষদের ছেলে।

অর্ফক্ষদ শেমের ছেলে।

শেম নোহের ছেলে।

নোহ লেমকের ছেলে।

37 লেমক মথূশেলহের ছেলে।

মথূশেলহ হনোকের ছেলে।

হনোক যেরদের ছেলে।

যেরদ মহললেলের ছেলে।

মহললেল কৈননের ছেলে।

38 কৈনন ইনোশের ছেলে।

ইনোশ শেথের ছেলে।

শেথ আদমের ছেলে।

আদম ঈশ্বরের ছেলে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International