Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

M’Cheyne Bible Reading Plan

The classic M'Cheyne plan--read the Old Testament, New Testament, and Psalms or Gospels every day.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
আদি 23

সারার মৃত্যু

23 সারা 127 বছর বেঁচেছিলেন। কনান দেশের কিরিয়থ অর্ব অর্থাৎ‌ হিব্রোণ নগরে তাঁর মৃত্যু হল। অব্রাহাম ভীষণ দুঃখ পেলেন, সারার জন্যে অনেক কাঁদলেন। তারপর স্ত্রীর মৃতদেহ রেখে হেতের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেন। তিনি বললেন, “দেশ পর্যটন করতে করতে আপনাদের দেশে এসে আমি পরবাসী হিসেবে বাস করছি। ফলে আমার মৃত স্ত্রীকে কবর দেওয়ার মত আমার কোনও জায়গা নেই। আমি যাতে স্ত্রীকে কবর দিতে পারি তার জন্য দয়া করে আমায় খানিকটা জায়গা দিন।”

হেতেরা উত্তরে বলল, “মহাশয়, আমাদের মধ্যে আপনি ঈশ্বরের মহান নেতাদের একজন। আমাদের শ্রেষ্ঠ জমিতে আপনি আপনার মৃত স্ত্রীকে সমাধিস্থ করতে পারেন। আপনার স্ত্রীকে আপনি আপনার পছন্দমত জায়গাতে সমাধিস্থ করলে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না।”

অব্রাহাম উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের নমস্কার করলেন। অব্রাহাম তাঁদের বললেন, “আপনারা সত্যিই যদি আমার মৃত স্ত্রীকে কবর দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে চান তাহলে আমার হয়ে সোহরের পুত্র ইফ্রোণের সঙ্গে কথা বলুন। ইফ্রোণের ক্ষেতের শেষে যে মক্পেলার গুহাটা আছে সেটা আমি কিনতে চাই। ইফ্রোণ ঐ গুহার মালিক। যা দাম হয়, সবটাই আমি দেব। আমি চাই যে আমার স্ত্রীর কবরের জন্য যে ঐ জায়গা কিনছি আপনারা সবাই তার সাক্ষী থাকুন।”

10 যাদের সঙ্গে অব্রাহাম কথা বলছিলেন তাঁদের মধ্যে ইফ্রোণ উপবিষ্ট ছিলেন। এখন ইফ্রোণ অব্রাহামকে বললেন, 11 “না, মহাশয়, এখানেই ঐ ক্ষেত এবং গুহাটিও আমি আমার লোকেদের সামনে আপনাকে দেব। আপনি যাতে আপনার ইচ্ছা মত আপনার স্ত্রীকে সমাধিস্থ করতে পারেন সেজন্যে ঐ জমি, গুহা আমি আপনাকে দেব।”

12 তখন অব্রাহাম সমবেত হেতের লোকদের সবিনয় নমস্কার করলেন। 13 সকলের উপস্থিতিতে তিনি ইফ্রোণকে বললেন, “কিন্তু আমি ঐ জমির পুরো দাম আপনাকে দিতে চাই। আমার দেওয়া দাম আপনি দয়া করে গ্রহণ করুন, আমি নির্দ্ধিধায় আমার স্ত্রীকে কবর দিই।”

14 উত্তরে ইফ্রোণ অব্রাহামকে বললেন, 15 “মহাশয়, আমার কথা শুনুন। আপনার ও আমার কাছে 10 পাউণ্ড ওজনের রূপোর তো কোন দাম নেই। সুতরাং আপনি জমিটা নিন এবং সেখানে নিশ্চিন্তে আপনার স্ত্রীকে সমাধিস্থ করুন।”

16 অব্রাহাম বুঝতে পারলেন যে ইফ্রোণের কথার মধ্যেই জমিটার মূল্য উল্লিখিত রয়েছে। সুতরাং অব্রাহাম ঐ মূল্যই ইফ্রোণকে দিলেন। ইফ্রোণের জন্যে অব্রাহাম 10 পাউণ্ড রূপো ওজন করলেন এবং সেই রূপো বণিককে দিলেন।

17-18 সুতরাং ইফ্রোণের জমির স্বত্ত্বাধিকারীর পরিবর্তন হল। মম্রির পূর্বদিকে মক্পেলায় ঐ জমি অবস্থিত। এখন ঐ জমির স্বত্ত্বাধিকারী হলেন অব্রাহাম। তিনি ঐ জমির অন্তর্গত গুহা এবং সমস্ত বৃক্ষাদির স্বত্ত্বাধিকারী হলেন। সমস্ত নগরবাসী ইফ্রোণ ও অব্রাহামের মধ্যে ঐ চুক্তি সম্পাদন প্রত্যক্ষ করলেন। 19 তারপর অব্রাহাম মম্রির (হিব্রোণে) নিকটস্থ জমিতে অর্থাৎ‌ কনান দেশের এক গুহার মধ্যে তাঁর স্ত্রী সারাকে সমাধিস্থ করলেন। 20 অব্রাহাম হেতের জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ঐ জমি ও জমির মধ্যেকার গুহা কিনলেন। এখন ঐ জমি গুহা হল অব্রাহামের সম্পত্তি এবং ঐ জায়গা তিনি সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহার করতে লাগলেন।

মথি 22

নৈশ ভোজে আমন্ত্রিত লোকদের কাহিনী

(লূক 14:15-24)

22 দৃষ্টান্তের মাধ্যমে যীশু আবার তাদের বলতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, “স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে এই তুলনা দেওয়া যেতে পারে, একজন রাজা যিনি তাঁর ছেলের বিয়ের ভোজ প্রস্তুত করলেন। সেই ভোজে নিমন্ত্রিত লোকদের ডাকবার জন্য তিনি তাঁর দাসদের পাঠালেন, কিন্তু তারা আসতে চাইল না।

“রাজা আবার তাঁর অন্য দাসদের পাঠালেন, বললেন, ‘যারা নিমন্ত্রিত তাদের সকলকে বল, দেখ, আমার ভোজ প্রস্তুত, আমার বলদ ও হৃষ্টপুষ্ট বাছুরগুলো সব মারা হয়েছে, আর সব কিছুই প্রস্তুত। তোমরা বিবাহ ভোজে যোগ দিতে এস।’

“কিন্তু নিমন্ত্রিত লোকেরা তাদের কথায় কান না দিয়ে যে যার কাজে চলে গেল। কেউ বা তার ক্ষেতের কাজে গেল, আবার কেউ গেল তার ব্যবসার কাজে। অন্যরা রাজার সেই দাসদের ধরে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করল ও তাদের খুন করল। এতে রাজা খুব রেগে গেলেন, তিনি তাঁর সৈন্য পাঠিয়ে সেই খুনীদের মেরে ফেললেন, সৈন্যরা তাদের শহরটিও পুড়িয়ে দিল।

“এরপর রাজা তাঁর দাসদের বললেন, ‘বিয়ের ভোজ প্রস্তুত কিন্তু যারা নিমন্ত্রিত হয়েছিল তারা তার যোগ্য ছিল না। তাই তোমরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাও আর যত লোকের দেখা পাও, তাদের সকলকে এই ভোজে যোগ দেবার জন্য ডেকে আনো।’ 10 তখন সেই দাসরা রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে ভাল ও মন্দ যাদের পেল তাদের সকলকে ডেকে আনল। তাতে বিয়ে বাড়ির ভোজের ঘর অতিথিতে ভরে গেল।

11 “কিন্তু রাজা অতিথিদের সঙ্গে দেখা করতে এসে সেখানে একজন লোককে দেখতে পেলেন যে বিয়ে বাড়ির পোশাক পরে আসে নি। 12 রাজা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বন্ধু, বিয়ে বাড়ির উপযুক্ত পোশাক ছাড়াই তুমি কেমন করে এখানে এলে?’ কিন্তু সে চুপ করে থাকল। 13 তখন রাজা তাঁর পরিচারকদের বললেন, ‘এর হাত পা বেঁধে একে বাইরে অন্ধকারে ফেলে দাও, যেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষে।’

14 “কারণ অনেকেই আহুত, কিন্তু অল্পই মনোনীত।”

ইহুদী নেতারা যীশুকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করল

(মার্ক 12:13-17; লূক 20:20-26)

15 তখন ফরীশীরা সেখান থেকে চলে গেল, আর কেমন করে যীশুকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলা যায় সেই পরিকল্পনা করল। 16 তারা হেরোদীয়দের কয়েকজনের সঙ্গে নিজেদের কয়েকজন অনুগামীকে যীশুর কাছে পাঠাল। এই লোকেরা এসে বলল, “গুরু, আমরা জানি আপনি একজন সৎ‌ লোক। ঈশ্বরের পথের বিষয়ে সঠিকভাবে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আর কে কি বলে তার ধার ধারেন না কারণ লোকে কি ভাববে তাতে আপনার কিছু যায় আসে না। 17 তাহলে আপনার কি মত, কৈসরকে কর দেওয়া উচিত কি না?”

18 যীশু তাদের বদ মতলব বুঝতে পেরে বললেন, “ভণ্ডের দল আমাকে ফাঁদে ফেলতে চাইছ কেন? 19 যে টাকায় কর দেওয়া হয় তা আমাকে দেখাও।” তারা একটা রূপোর টাকা তাঁর কাছে নিয়ে এল। 20 তখন তিনি তাদের বললেন, “এর ওপরে এই মূর্তি ও নাম কার?”

21 তারা বলল, “রোম সম্রাট কৈসরের।”

তখন তিনি তাদের বললেন, “তবে যা কৈসরের তা কৈসরকে দাও, আর যা ঈশ্বরের তা ঈশ্বরকে দাও।”

22 তারা এই জবাব শুনে আশ্চর্য হয়ে গেল, তাঁকে আর বিরক্ত না করে সেখান থেকে চলে গেল।

কিছু সদ্দূকীর যীশুকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা

(মার্ক 12:18-27; লূক 20:27-40)

23 যাঁরা বলে পুনরুত্থান নেই, সেই সদ্দূকী সম্প্রদায়ের কিছু লোক সেই দিন যীশুর কাছে এসে তাঁকে একটি প্রশ্ন করলেন। 24 তাঁরা বললেন, “গুরু, মোশি বলেছেন যদি কোন লোক নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়, তবে তার নিকটতম আত্মীয়রূপে তার ভাই সেই বিধবাকে বিয়ে করবে ও তার ভাইয়ের হয়ে তার বংশ উৎপন্ন করবে।[a] 25 আমাদের জানা এক পরিবারে সাত ভাই ছিল। প্রথম জন বিয়ে করল, তার পরে সে মারা গেল। আর তার কোন সন্তান না থাকাতে, তার ভাই সেই বিধবাকে বিয়ে করল। 26 এই অবস্থা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও সপ্তম জন পর্যন্ত হল, তারা সেই স্ত্রীকে বিয়ে করল ও মারা গেল। 27 শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল। 28 এখন আমাদের প্রশ্ন হল, পুনরুত্থানের সময় ঐ সাত ভাইয়ের মধ্যে সেই স্ত্রী কার হবে, সকলেই তো তাকে বিয়ে করেছিল?”

29 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “তোমরা ভুল করছ, কারণ তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের পরাক্রম। 30 জেনে রাখো, পুনরুত্থানের পর লোকেরা বিয়ে করে না, বা তাদের বিয়েও দেওয়া হয় না, তারা বরং স্বর্গদূতদের মতো থাকে। 31 মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠার বিষয়ে তোমাদের ভালোর জন্য ঈশ্বর নিজে যে কথা বলেছেন, তা কি তোমরা পড়নি? 32 তিনি বলেছেন, ‘আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস‌্হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর।’(A) ঈশ্বর মৃতদের ঈশ্বর নন, কিন্তু জীবিতদেরই ঈশ্বর।”

33 সমবেত লোকেরা তাঁর এই শিক্ষা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেল।

কোন্ আদেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

(মার্ক 12:28-34; লূক 10:25-28)

34 ফরীশীরা যখন শুনলেন যে যীশুর জবাবে সদ্দূকীরা নিরুত্তর হয়ে গেছেন তখন তাঁরা দল বেঁধে যীশুর কাছে এলেন। 35 তাঁদের মধ্যে একজন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত যীশুকে ফাঁদে ফেলবার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন, 36 “গুরু, বিধি-ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে মহান আদেশ কোনটি?”

37 যীশু তাঁকে বললেন, “‘তোমার সমস্ত অন্তর ও তোমার সমস্ত প্রাণ ও মন দিয়ে তুমি তোমার প্রভু ঈশ্বরকে ভালবাসবে।’(B) 38 এটিই হচ্ছে সর্বপ্রথম ও মহান আদেশ। 39 আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে এরই অনুরূপ, ‘তুমি নিজেকে যেমন ভালবাস, তেমনি তোমার প্রতিবেশীকেও ভালবাসবে।’(C) 40 সমস্ত বিধি-ব্যবস্থা ভাববাদীদের সমস্ত শিক্ষা, এই দুটি আদেশের উপর নির্ভর করে।”

যীশু ফরীশীদের প্রশ্ন করলেন

(মার্ক 12:35-37; লূক 20:41-44)

41 ফরীশীরা তখনও সেখানে সমবেত ছিলেন, সেই সময় যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, 42 “খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমরা কি মনে কর? তিনি কার বংশধর?”

তাঁরা বললেন, “তিনি দায়ূদের পুত্র।”

43 যীশু তাদের বললেন, “তবে দায়ূদ কিভাবে পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় তাঁকে ‘প্রভু’ বলে সম্বোধন করেছেন? তিনি বলেছিলেন,

44 ‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,
যতক্ষন না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের নীচে রাখি
    ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস ও শাসন কর।’(D)

45 তাহলে, দায়ূদ যখন তাঁকে ‘প্রভু’ বলে সম্বোধন করেছেন, তখন তিনি কেমন করে তাঁর সন্তান হতে পারেন?”

46 কিন্তু এর উত্তরে কেউ একটি কথাও তাঁকে বলতে পারলেন না, আর সেই দিন থেকে কেউ তাঁকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করতেও সাহস করলেন না।

নহিমিয় 12

যাজক ও লেবীয়রা

12 1-7 সরায়, যিরমিয়, ইষ্রা, অমরিয়, মল্লুক, হটুশ, শখনিয়, রহূম, মরেমোৎ, ইদ্দো, গিন্নথোয়, অরিয়, মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্গা, শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়, সল্লূ, আমোক, হিল্কিয়, যিদয়িয় প্রমুখ যাজকেরা শল্টীয়েল ও যেশূয়ের পুত্র সরুব্বাবিলের সঙ্গে যিহূদায় ফিরে এসেছিলেন। এঁরা সকলেই যেশূয়র সময় যাজকদের নেতা ছিলেন বা নেতাদের আত্মীয় ছিলেন।

লেবীয়রা হলেন: যেশূয়, বিন্নূয়ী, কদ‌্মীয়েল, শেরেবিয়, যিহূদা ও মত্তনিয়। এই পুরুষরা এবং মত্তনিয়র আত্মীয়রা ঈশ্বরের প্রশংসা গীতের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন। লেবীয়দের দুই আত্মীয় বক্‌বুকিয় ও উন্নো কর্তব্যে থাকার সময় একে অপরের বিপরীত মুখে দাঁড়াতেন। 10 যেশূয় ছিলেন যোয়াকীমের পিতা, যোয়াকীম ইলিয়াশীবের, ইলিয়াশীব যোয়াদার, 11 যোয়াদা যোনাথনের ও যোনাথন যদ্দূয়ের পিতা ছিলেন।

12 যোয়াকীমের সময় যাজক পরিবারের নেতা ছিলেন নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা:

সরায় পরিবারের নেতা ছিলেন মরায়।

যিরমিয় পরিবারের নেতা ছিলেন হনানিয়।

13 ইষ্রা পরিবারের প্রধান ছিলেন মশুল্লম,

অমরিয় পরিবারের নেতা ছিলেন যিহোহানন।

14 মল্লূকীর পরিবারে নেতা ছিলেন যোনাথন।

শবনিয়ের পরিবারে নেতা ছিলেন যোষেফ।

15 হারীমের পরিবারের নেতা ছিলেন অদ্ন।

মরায়োতের পরিবারের নেতা ছিলেন হিল্কয়।

16 ইদ্দোর পরিবারের নেতা ছিলেন সখরিয়।

গিন্নথোনের পরিবারের নেতা ছিলেন মশুল্লম।

17 অবিয়ের পরিবারের নেতা ছিলেন সিখ্রি।

মিনিয়ামীনের ও মোয়দিয়ের পরিবারগুলির নেতা ছিলেন পিলটয়।

18 বিল‌্গার পরিবারের নেতা ছিলেন সম্মুয়।

শময়িয়ের পরিবারের নেতা ছিলেন যিহোনাথন।

19 যোয়ারীবের পরিবারের নেতা ছিলেন মত্তনয়।

যিদয়িয়ের পরিবারের নেতা ছিলেন উষি।

20 সল্লয়ের পরিবারের নেতা ছিলেন কল্লয়।

আমোকোর পরিবারের নেতা ছিলেন এবর।

21 হিল্কিয়ের পরিবারের নেতা ছিলেন হশবিয়।

নথনেল ছিলেন যিদয়িয় পরিবারের নেতা।

22 ইলিয়াশীব, যোয়াদার, যোহানন ও যদ্দূয়ের সময়ের লেবীয় ও যাজকদের পরিবারের নেতাদের নাম পারস্যরাজ দারিয়াবসের রাজত্বকালে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। 23 ইলিয়াশীবের পুত্র যোহাননের সময় পর্যন্ত লেবীয় উত্তরপুরুষদের পরিবার প্রধানের নাম ইতিহাস বইয়ে লেখা আছে। 24 এঁরা হলেন হশবিয়, শেরেবিয়, কদ‌্মীয়েলের পুত্র যেশূয় এবং তার ভাইরা। এরা সকলে প্রশংসা গীত গাইত এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিত। এক দল অন্য দলের বিপরীত মুখে দাঁড়াত এবং অন্য দলের প্রশ্নের উত্তর দিত রাজা দায়ূদ দ্বারা যেভাবে ওটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই অনুযায়ী।

25 মত্তনিয়, বক্‌বুকিয়, ওবদিয়, মশুল্লম, টল্‌মোন ও অক্কুব দরজার পাশের ভাঁড়ার ঘরগুলি পাহারা দিত। 26 যেশূয়র পুত্র ও যোসাদকের পৌত্র যোয়াকীমের সময় এই সমস্ত দ্বাররক্ষীরা কাজ করেছে। নহিমিয়ের শাসনকালে এবং যাজক শিক্ষক ইষ্রার সময়ে এরা কাজে বহাল ছিল।

জেরুশালেমের প্রাচীর উৎসর্গীকরণ

27 অতঃপর লোকরা জেরুশালেমের দেওয়ালটি উৎসর্গ করল। লেবীয়রা যেখানে থাকতেন সেখান থেকে দেওয়াল উৎসর্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জেরুশালেমে এলেন। তাঁরা ঈশ্বরের প্রশংসাগান করতে ও তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে এসেছিলেন। তাঁরা এসে খোল, করতাল এবং বীণা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজালেন।

28-29 গায়করাও সকলে জেরুশালেমের আশেপাশের শহরগুলি থেকে উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন। তাঁরা নিজেদের বসবাসের জন্য জেরুশালেমের আশেপাশে ছোট শহর বানিয়ে ছিলেন। তাঁরা নটোফাত, বৈৎ‌-গিল‌্গল, গেবা এবং অস্মাবৎ থেকে এসেছিলেন।

30 যাজকগণ ও লেবীয়রা প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের শুদ্ধ করলেন, তারপর লোকরা, ফটকসমূহ ও জেরুশালেমের প্রাচীরটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুদ্ধ করলেন।

31 আমি যিহূদার নেতাদের দেওয়ালের ওপরে উঠে দাঁড়াতে বললাম। এছাড়াও, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য বড় দু’টি গানের দলকে বেছে নিলাম। একটি দল ছিল দেওয়ালের ওপরে ডানদিকে ছাইগাদার ফটকের দিকে। 32 হোশয়িয় ও যিহূদার অর্ধেক নেতারা সেই গায়কদের অনুসরণ করলেন। 33 এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে গেলেন অসরিয়, ইষ্রা, মশুল্লম, 34 যিহূদা, বিন্যামীন, শময়িয় ও যিরমিয়। 35 শিঙা নিয়ে কয়েক জন যাজকও তাদের সঙ্গে গেলেন। আর গেলেন সখরিয়। (সখরিয় ছিলেন যোনাথনের পুত্র। এই যোনাথন আবার শময়িয়র পুত্র, যে কিনা মত্তনিয়ের পুত্র। আর মত্তনিয় হলেন, মীখার পুত্র, সক্কুরের পৌত্র ও আসফের পৌত্র।) 36 এদের মধ্যে ছিলেন আসফের ভাই শময়িয়, অসরেল, মিললয়, গিললয়, মায়য়, নথনেল, যিহূদা এবং হনানি। তাঁদের সঙ্গে ছিল ঈশ্বরের দূত দায়ূদ নির্মিত সব বাদ্যযন্ত্র। শিক্ষক ইষ্রা দেওয়াল উৎসর্গীকরণ উৎসবে যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন তাঁদের নেতৃত্ব দিলেন। 37 তাঁরা যখন ঝর্ণা ফটকের কাছে এলেন, তাঁরা সোজা হাঁটলেন এবং দায়ূদ নগরী পর্যন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলেন এবং তারপর তাঁরা জলদ্বারের দিকে গেলেন।

38 এদিকে গায়কদের অন্য দলটি বাঁদিকে রওনা হল। আমি ও বাকি অর্ধেক লোক তাদের পেছন পেছন গিয়ে দেওয়ালের চূড়োয় পৌঁছলাম। তারা তুন্দুরের দুর্গ ছাড়িয়ে চওড়া দেওয়ালের দিকে গেল। 39 তারপর তারা এই ফটকগুলি দিয়ে গেল: ইফ্রয়িমের দ্বার, পুরানো দ্বার, মৎস্যদ্বার, হননেলের দুর্গ ও হম্মেয়ার একশতর দুর্গ। তারপর তারা মেষ দ্বারের কাছে পৌঁছোল। তারা রক্ষীদের দ্বারের কাছে গিয়ে থামল। 40 তারপর এই দুই গায়কের দল ঈশ্বরের মন্দিরে তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালো, আমিও নিজের জায়গায় এসে দাঁড়ালাম। তারপর আধিকারিকদের অর্ধেক তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। 41 ইলীয়াকীম, মাসেয়, মিনিয়ামীন, মীখায়, ইলিয়ৈনয়, সখরিয় এবং হনানিয় ছিলেন যাজকদের নেতা এবং তাঁরা তাঁদের শিঙা নিয়ে যে যার জায়গায় উঠে দাঁড়ালেন। 42 এরপর এইসব যাজকগণও তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ালেন: মাসেয়, শময়িয়, ইলিয়াসর, উষি, যিহোনাথন, মল্কিয়, এলম ও এষর।

অতঃপর যিষ্রহিয়র পরিচালনায় এর দুটি দল গান শুরু করল। 43 ওই বিশেষ দিনটিকে উপলক্ষ করে যাজকরা বহু বলি উৎসর্গ করলেন। সকলেই খুশী ছিল কারণ ঈশ্বর সকলকে খুব খুশী করেছিলেন। এমন কি মেয়েদের ও তাদের বাচ্চাদেরও খুবই উত্তেজিত ও আনন্দিত দেখাচ্ছিল। বহু দূরের লোকরাও জেরুশালেম থেকে ভেসে আসা আনন্দের স্বর শুনতে পাচ্ছিল।

44 ভাঁড়ার ঘরের তত্ত্বাবধানের জন্য লোক ঠিক করার পর প্রতিশ্রুতি মতো লোকরা গাছের প্রথম ফল ও উৎপন্ন শস্যের দশ ভাগের এক ভাগ জমা করল। তত্ত্বাবধায়ক সেসব ফল ও ফসল ভাঁড়ারে তুলে রাখল। ইহুদীরা সকলেই দায়িত্বাধীন যাজক ও লেবীয়দের কাজে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছিল। তাই তারা মুক্তহস্তে ভাঁড়ারের জন্য উপহার বয়ে আনছিল। 45 যাজকগণ ও লেবীয়রা তাঁদের ঈশ্বরের সেবা করছিলেন। তাঁরা লোকদের শুচি করার জন্য অনুষ্ঠান সম্পাদন করলেন। গায়ক ও দ্বাররক্ষীরাও দায়ূদ ও শলোমনের নির্দেশ পালন করেছিল। 46 (বহুকাল আগে, দায়ূদ এবং সঙ্গীত দলের পরিচালক আসফের সময় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে অনেক প্রশস্তি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের গান রচনা করেছিলেন।)

47 সরুব্বাবিল ও নহিমিয়ের রাজত্বের সময়ে, ইস্রায়েলের লোকরা দ্বাররক্ষী ও গায়কদের দৈনিক ব্যয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। ইস্রায়েলীয়রা লেবীয়দের জন্য অর্থ সরিয়ে রাখতেন। লেবীয়রা হারোণের উত্তরপুরুষ যাজকদের জন্য সেই অর্থ রেখে দিয়েছিল।

প্রেরিত 22

পৌলের আত্মপক্ষ সমর্থণ

22 পৌল বললেন, “ভাইরা ও পিতৃতুল্য ব্যক্তিরা, এখন শুনুন, আমি আপনাদের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি!”

ইহুদীরা যখন পৌলকে ইহুদীদের প্রচলিত ইব্রীয় ভাষায় কথা বলতে শুনল, তারা শান্ত হল। তখন তিনি বললেন,

“আমি একজন ইহুদী, আমি কিলিকিয়ার তার্ষের শহরে জন্মেছি; কিন্তু এই শহরে আমি বড় হয়ে উঠেছি। গমলীয়েলের[a] চরণে বসে আমি আমাদের পিতৃপুরুষদের দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা শিক্ষালাভ করেছি। আজ আপনারা সকলে যেমন, তেমনি আমিও ঈশ্বরের সেবার জন্য উদ্যোগী ছিলাম। খ্রীষ্টের পথে যারা চলত তাদের আমি নির্যাতন করতাম, এমনকি কারো কারো মৃত্যুও ঘটিয়েছিলাম। স্ত্রী, পুরুষ সকলকেই আমি গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখতাম।

“মহাযাজক ও ইহুদী সমাজপতিরা সকলে এই কথার সত্যতা প্রমাণ দিতে পারেন। তাদের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে ইহুদী ভাইদের কাছে যাবার জন্য আমি দম্মেশকের পথে রওনা হয়েছিলাম। যীশুর অনুগামী যারা সেখানে ছিল তাদের গ্রেপ্তার করে জেরুশালেমে আনবার জন্য গিয়েছিলাম, যেন তাদের শাস্তি দেওয়া হয়।

পৌল তাঁর মন-পরিবর্তন সম্পর্কে বললেন

“আর একটা ব্যাপার ঘটল। আমি চলতে চলতে দম্মেশকের কাছাকাছি এলে, দুপুর বেলা হঠাৎ‌ আকাশ থেকে তীব্র আলোর ছটা আমার চারদিকে ছেয়ে গেল। আমি মাটিতে পড়ে গেলাম আর এক রব শুনলাম, ‘শৌল, শৌল, তুমি কেন আমায় নির্যাতন করছ?’

“আমি বললাম, ‘প্রভু, আপনি কে?’ তিনি আমায় বললেন, ‘যাকে তুমি নির্যাতন করছ, আমি সেই নাসরতীয় যীশু।’ যারা আমার সঙ্গে ছিল তারা সেই আলো দেখতে পেয়েছিল, কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর রব তারা শুনতে পায় নি।

10 “আমি বললাম, ‘প্রভু আমায় কি করতে হবে?’ প্রভু আমায় বললেন, ‘ওঠ, দম্মেশকে যাও। যে কাজের জন্য তোমাকে মনোনীত করা হয়েছে তা সেখানেই তোমাকে বলা হবে।’ 11 সেই তীব্র আলোর ঝলকে আমি অন্ধ হয়ে গেছিলাম। তাই আমার সঙ্গীরা আমার হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল।

12 “সেখানে অননিয় নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতেন। সেখানকার ইহুদীদের মধ্যে তাঁর সুনাম ছিল। 13 তিনি আমার কাছে এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টিশক্তি লাভ কর।’ আর সেই মুহূর্তে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।

14 “তিনি বললেন, ‘আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর তোমায় বহুপূর্বেই মনোনীত করেছেন, যাতে তুমি তাঁর পরিকল্পনা জানতে পার এবং সেই ধার্মিকজনকে দেখতে পাও ও তাঁর রব শুনতে পাও। 15 তুমি যা দেখলে ও শুনলে সকল লোকের কাছে সে বিষয়ে সাক্ষ্য দেবে। 16 এখন আর দেরী না করে ওঠ, বাপ্তিস্ম নাও আর তোমার পাপ ধুয়ে ফেল। উদ্ধার লাভের জন্য যীশুতে বিশ্বাস কর।’

17 “পরে আমি জেরুশালেমে ফিরে এসে যখন মন্দিরের চত্বরে প্রার্থনা করছিলাম, সেই সময় এক দর্শন পেলাম। 18 দর্শনে দেখলাম যীশু আমায় বলছেন, ‘শীঘ্র ওঠ! এখুনি জেরুশালেম থেকে চলে যাও! কারণ আমার বিষয়ে তুমি যে সাক্ষ্য দিচ্ছ, তারা তা গ্রহণ করবে না।’

19 “আমি বললাম, ‘প্রভু, তারা তো ভাল করেই জানে যে যারা তোমায় বিশ্বাস করে, তাদের গ্রেপ্তার করে মারধর করার জন্য আমি সমাজ-গৃহগুলিতে যেতাম। 20 যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানের রক্তপাত হচ্ছিল, তখন আমি সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে তার অনুমোদন করেছিলাম, আর যারা তাকে মারছিল তাদের পোশাক আগলাচ্ছিলাম।’

21 “তখন যীশু আমায় বললেন, ‘এখন যাও! আমি তোমাকে বহুদূরে অইহুদীদের কাছে পাঠাচ্ছি।’”

22 পৌল অইহুদীদের কাছে যাওয়ার কথা বললে লোকেরা তা আর শুনতে চাইল না। ইহুদীরা সকলে জোরে চিৎকার করে উঠল, “মার বেটাকে! একে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও! এ বেঁচে থাকার অযোগ্য!” 23 তারা যখন এভাবে চিৎকার করছে ও তাদের পোশাক খুলে ছুঁড়ে ফেলে বাতাসে ধুলো ওড়াচ্ছে, 24 তখন সেই সেনাপতি পৌলকে দুর্গের মধ্যে নিয়ে যেতে হুকুম দিয়ে বললেন, “একে চাবুক মেরে দেখ এ কি বলে, লোকেরা কেন এর বিরুদ্ধে এমনি করে চিৎকার করছে!” 25 সৈনিকরা যখন পৌলকে চাবুক মারার জন্য বাঁধছে তখন যে সেনাপতি সেখানে দাঁড়িয়েছিল পৌল তাকে বললেন, “একজন রোমান নাগরিকের বিচার করে তার কোন দোষ না পেলেও তাকে চাবুক মারা কি আইনসম্মত কাজ হবে?”

26 এই কথা শুনে সেই সেনাপতি তার ওপরওয়ালার কাছে গিয়ে বলল, “আপনি জানেন আপনি কি করতে যাচ্ছেন? এ লোকটা তো একজন রোমান।”

27 তখন সেই সেনাপতি পৌলের কাছে এসে বলল, “আমায় বল দেখি, তুমি কি রোমীয়?”

পৌল বললেন, “হ্যাঁ।”

28 তখন সেই সেনাপতি বলল, “এই নাগরিকত্ব লাভ করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।”

পৌল বললেন, “কিন্তু আমি জন্মসূত্রেই রোমীয়।”

29 যারা তাকে প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল তারা এই কথা শুনে পিছিয়ে গেল। সেনাপতিও ভয় পেয়ে গেল যখন বুঝতে পারল যে পৌল একজন রোমান নাগরিক, আর সে তাকে বেঁধেছে।

পৌল ইহুদী নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন

30 পরদিন ইহুদীরা কেন পৌলের ওপর দোষ দিচ্ছে তা জানবার জন্য রোমান সেনাপতি ইহুদীদের প্রধান যাজকদের ও মহাসভার সকল সভ্যকে জড়ো হতে হুকুম দিল; আর পৌলকে সেখানে তাদের মাঝে মুক্ত অবস্থায় হাজির করল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International