Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Beginning

Read the Bible from start to finish, from Genesis to Revelation.
Duration: 365 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
লূক 2-3

যীশুর জন্ম

(মথি 1:18-25)

সেই সময় আগস্ত কৈসর হুকুম জারি করলেন যে, রোম সাম্রাজ্যের সব জায়গায় লোক গণনা করা হবে। এটাই হল সুরিয়ার রাজ্যপাল কুরীণিয়ের সময়ে প্রথম আদমশুমারি। আর প্রত্যেকে নিজের নিজের শহরে নাম লেখাবার জন্য গেল।

যোষেফ ছিলেন রাজা দায়ূদের বংশধর, তাই তিনি গালীল প্রদেশের নাসরৎ থেকে রাজা দায়ূদের বাসভূমি বৈৎলেহমে গেলেন। যোষেফ তাঁর বাগ্দত্তা স্ত্রী মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে নাম লেখাতে চললেন। এই সময় মরিয়ম ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা যখন সেখানে ছিলেন, তখন মরিয়মের প্রসব বেদনা উঠল। আর মরিয়ম তাঁর প্রথম সন্তান প্রসব করলেন। তিনি সদ্যোজাত সেই শিশুকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে জড়িয়ে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখলেন, কারণ ঐ নগরের অতিথিশালায় তাঁদের জন্য জায়গা ছিল না।

মেষপালকরা যীশুর সম্পর্কে শুনলেন

সেখানে গ্রামের বাইরে মেষপালকরা রাতে মাঠে তাদের মেষপাল পাহারা দিচ্ছিল। এমন সময় প্রভুর এক স্বর্গদূত তাদের সামনে উপস্থিত হলে প্রভুর মহিমা চারদিকে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিল। এই দেখে মেষপালকরা খুব ভয় পেয়ে গেল। 10 সেই স্বর্গদূত তাদের বললেন, “ভয় নেই, দেখ আমি তোমাদের কাছে এক আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছি। এই সংবাদ সকলের জন্য মহা আনন্দের হবে। 11 কারণ রাজা দায়ূদের নগরে আজ তোমাদের জন্য একজন ত্রাণকর্তার জন্ম হয়েছে। তিনি খ্রীষ্ট প্রভু। 12 আর তোমাদের জন্য এই চিহ্ন রইল, তোমরা দেখবে একটি শিশুকে কাপড়ে জড়িয়ে একটা জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখা হয়েছে।”

13 সেই সময় হঠাৎ‌ স্বর্গীয় বাহিনীর এক বিরাট দল ঐ স্বর্গদূতদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে বললেন,

14 “স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমা,
    পৃথিবীতে তাঁর প্রীতির পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।”

15 স্বর্গদূতরা তাদের কাছ থেকে স্বর্গে ফিরে গেলে মেষপালকরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “চল, আমরা বৈৎলেহমে যাই, প্রভু আমাদের যে ঘটনার কথা জানালেন সেখানে গিয়ে তা দেখি।”

16 তারা সেখানে ছুটে গেলে মরিয়ম, যোষেফ এবং সেই শিশুটিকে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শোওয়া অবস্থায় দেখল। 17 মেষপালকেরা শিশুটিকে দেখতে পেয়ে, সেই শিশুটির বিষয়ে তাদের যা বলা হয়েছিল সেকথা সকলকে জানাল। 18 মেষপালকদের মুখে ঐ কথা যারা শুনল তারা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেল। 19 কিন্তু মরিয়ম এই কথা মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে সব সময় এবিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। 20 এরপর মেষপালকরা তাদের কাছে যা বলা হয়েছিল সেই অনুসারে সব কিছু দেখে ও শুনে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে ঘরে ফিরে গেল।

21 এর আট দিন পরে সুন্নত করার সময়ে শিশুটির নাম রাখা হল যীশু। মাতৃগর্ভে আসার আগেই স্বর্গদূত তাঁর এই নাম রেখেছিলেন।

যীশুকে মন্দিরে আনা হল

22 মোশির বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে শুচিকরণ অনুষ্ঠানের সময় হলে তাঁরা যীশুকে জেরুশালেমে নিয়ে গেলেন, যেন সেখানে প্রভুর সামনে তাঁকে উৎসর্গ করতে পারেন। 23 কারণ প্রভুর বিধি-ব্যবস্থায় লেখা আছে, “স্ত্রীলোকের প্রথম সন্তানটি যদি পুত্র হয়, তবে তাকে ‘প্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হবে,’”[a] 24 আর প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে, “এক জোড়া ঘুঘু অথবা দুটি পায়রার বাচ্চা উৎসর্গ করতে হবে।”(A) সুতরাং যোষেফ এবং মরিয়ম সেইমত কাজ করবার জন্য জেরুশালেমে গেলেন।

শিমিয়োন যীশুকে দেখলেন

25 জেরুশালেমে সেই সময় শিমিয়োন নামে একজন ধার্মিক ও ঈশ্বরভক্ত লোক বাস করতেন। তিনি ইস্রায়েলের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। পবিত্র আত্মা তাঁর ওপর অধিষ্ঠান করছিলেন। 26 পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাঁর কাছে একথা প্রকাশ করা হয়েছিল যে প্রভু খ্রীষ্টকে না দেখা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হবে না। 27 পবিত্র আত্মার প্রেরণায় তিনি সেদিন মন্দিরে এসেছিলেন। যীশুর বাবা-মা মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতে যীশুকে নিয়ে সেখানে এলেন। 28 তখন শিমিয়োন যীশুকে কোলে তুলে নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন,

29 “হে প্রভু, তোমার প্রতিশ্রুতি অনুসারে তুমি তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় দাও।
30 কারণ আমি নিজের চোখে তোমার পরিত্রাণ দেখেছি।
31     যে পরিত্রাণ তুমি সকল লোকের সাক্ষাতে প্রস্তুত করেছ।
32 তিনি অইহুদীদের অন্তর আলোকিত করার জন্য আলো;
আর তিনিই তোমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য সম্মান আনবেন।”

33 তাঁর বিষয়ে যা বলা হল তা শুনে যোষেফ ও মরিয়ম আশ্চর্য হয়ে গেলেন। 34 এরপর শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করে যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “ইনি হবেন ইস্রায়েলের মধ্যে বহু লোকের পতন ও উত্থানের কারণ। ঈশ্বর হতে আগত এমন চিহ্ন যা বহু লোকই অগ্রাহ্য করবে। 35 এতে বহু লোকের হৃদয়ের গোপন চিন্তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। যা যা ঘটবে তাতে তোমার হৃদয় বিদীর্ণ হবে।”

হান্না যীশুকে দেখলেন

36 সেখানে হান্না নামে একজন ভাববাদিনী ছিলেন। তিনি আশের গোষ্ঠীর পনুয়েলের কন্যা। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। বিবাহের পর সাত বছর তিনি স্বামীর ঘর করেন, 37 তারপর চুরাশি বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বৈধব্য জীবনযাপন করেছিলেন। মন্দির ছেড়ে তিনি কোথাও যেতেন না; উপবাস ও প্রার্থনাসহ সেখানে দিন-রাত ঈশ্বরের উপাসনা করতেন।

38 ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি তাঁদের দিকে এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে আরম্ভ করলেন; আর যারা জেরুশালেমের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তাদের সকলের কাছে সেই শিশুটির বিষয় বলতে লাগলেন।

যোষেফ ও মরিয়মের গৃহে প্রত্যাবর্তন

39 প্রভুর বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে যা যা করণীয় তা সম্পূর্ণ করে যোষেফ ও মরিয়ম তাঁদের নিজেদের নগর নাসরতে ফিরে গেলেন। 40 শিশুটি ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠতে লাগলেন ও বলিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। তিনি জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন, তাঁর ওপরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছিল।

বালক যীশু

41 নিস্তারপর্ব[b] পালনের জন্য তাঁর মা-বাবা প্রতি বছর জেরুশালেমে যেতেন। 42 যীশুর বয়স যখন বারো বছর, তখন তাঁরা যথারীতি সেই পর্বে যোগ দিতে গেলেন। 43 পর্বের শেষে তাঁরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বালক যীশু জেরুশালেমেই রয়ে গেলেন, এবিষয়ে তাঁর মা-বাবা কিছুই জানতে পারলেন না। 44 তাঁরা মনে করলেন যে তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। তাঁরা এক দিনের পথ চলার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে তাঁর খোঁজ করতে লাগলেন। 45 কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁরা যীশুর খোঁজ করতে করতে আবার জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।

46 শেষ পর্যন্ত তিন দিন পরে মন্দির চত্বরে তাঁর দেখা পেলেন। সেখানে তিনি ধর্ম শিক্ষকদের সাথে বসে তাঁদের কথা শুনছিলেন ও তাঁদের নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন। 47 যাঁরা তাঁর কথা শুনছিলেন তাঁরা সকলে যীশুর বুদ্ধি আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া দেখে অবাক হয়ে গেলেন। 48 যীশুর মা-বাবা তাঁকে সেখানে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তাঁর মা তাঁকে বললেন, “বাছা, তুমি আমাদের সঙ্গে কেন এমন করলে? তোমার বাবা ও আমি ভীষণ ব্যাকুল হয়ে তোমার খোঁজ করে বেড়াচ্ছি।”

49 যীশু তখন তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন আমার খোঁজ করছিলে? তোমরা কি জানতে না যে যেখানে আমার পিতার কাজ, সেখানেই আমাকে থাকতে হবে?” 50 কিন্তু তিনি তাঁদের যা বললেন তার অর্থ তাঁরা বুঝতে পারলেন না।

51 এরপর তিনি তাঁদের সঙ্গে নাসরতে ফিরে গেলেন, আর তাঁদের বাধ্য হয়ে রইলেন। তাঁর মা এসব কথা মনের মাঝে গেঁথে রাখলেন। 52 এইভাবে যীশু বয়সে ও জ্ঞানে বড় হয়ে উঠলেন, আর ঈশ্বর ও মানুষের ভালবাসা লাভ করলেন।

যোহনের প্রচার

(মথি 3:1-12; মার্ক 1:1-8; যোহন 1:19-28)

তিবিরিয় কৈসরের রাজত্বের পনের বছরের মাথায়

যিহূদিয়ার রাজ্যপাল ছিলেন পন্তীয় পীলাত।

সেই সময় হেরোদ ছিলেন গালীলের শাসনকর্তা

এবং তাঁর ভাই ফিলিপ ছিলেন যিতুরিয়া ও ত্রাখোনীতিয়ার শাসনকর্তা,

লুষাণিয় ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা।

হানন ও কায়াফা ছিলেন ইহুদীদের মহাযাজক। সেই সময় প্রান্তরের মধ্যে সখরিয়র পুত্র যোহনের কাছে ঈশ্বরের আদেশ এল। আর তিনি যর্দনের চারপাশে সমস্ত জায়গায় গিয়ে প্রচার করতে লাগলেন যেন লোকে পাপের ক্ষমা লাভের জন্য মন ফেরায় ও বাপ্তিস্ম নেয়। ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তকে যেমন লেখা আছে:

“প্রান্তরের মধ্যে একজনের কন্ঠস্বর ডেকে ডেকে বলছে,
‘প্রভুর জন্য পথ প্রস্তুত কর।
    তাঁর জন্য চলার পথ সোজা কর।
সমস্ত উপত্যকা ভরাট কর,
    প্রতিটি পর্বত ও উপপর্বত সমান করতে হবে।
আঁকা-বাঁকা পথ সোজা করতে হবে
    এবং এবড়ো-খেবড়ো পথ সমান করতে হবে।
তাতে সকল লোকে ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখতে পাবে।’”(B)

তখন বাপ্তিস্ম নেবার জন্য অনেক লোক যোহনের কাছে আসতে লাগল। তিনি তাদের বললেন, “হে সাপের বংশধরেরা! ঈশ্বরের কাছ থেকে যে ক্রোধ নেমে আসছে তা থেকে বাঁচার জন্য কে তোমাদের সতর্ক করে দিল? তোমরা যে মন ফিরিয়েছ তার ফল দেখাও। একথা বলতে শুরু করো না, যে ‘আরে অব্রাহাম তো আমাদের পিতৃপুরুষ’ কারণ আমি তোমাদের বলছি এই পাথরগুলো থেকে ঈশ্বর অব্রাহামের জন্য সন্তান উৎপন্ন করতে পারেন। গাছের গোড়াতে কুড়ুল লাগানোই আছে, যে গাছ ভাল ফল দিচ্ছে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”

10 তখন লোকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “তাহলে আমাদের কি করতে হবে?”

11 এর উত্তরে তিনি তাদের বললেন, “যদি কারো দুটো জামা থাকে, তবে যার নেই তাকে যেন তার থেকে একটি জামা দেয়; আর যার খাবার আছে, সেও অন্যের সঙ্গে সেইরকম যেন ভাগ করে নেয়।”

12 কয়েকজন কর আদায়কারীও বাপ্তাইজ[c] হবার জন্য এল। তারা তাঁকে বলল, “গুরু, আমরা কি করব?”

13 তখন তিনি তাদের বললেন, “যতটা কর আদায় করার কথা তার চেয়ে বেশী আদায় কোরো না।”

14 কয়েকজন সৈনিকও তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “আমাদের কি হবে? আমরা কি করব?”

তিনি তাদের বললেন, “কারো কাছ থেকে জোর করে কোন অর্থ নিও না। কারো প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করো না। তোমাদের যা বেতন তাতেই সন্তুষ্ট থেকো।”

15 লোকরা মনে মনে আশা করেছিল, “যোহনই হয়তো তাদের সেই প্রত্যাশিত খ্রীষ্ট।”

16 তাদের এই রকম চিন্তার জবাবে যোহন বললেন, “আমি তোমাদের জলে বাপ্তাইজ করি, কিন্তু আমার থেকে আরো শক্তিশালী একজন আসছেন, আমি তাঁর জুতোর ফিতে খোলবার যোগ্য নই। তিনিই তোমাদের পবিত্র আত্মায় ও আগুনে বাপ্তাইজ করবেন। 17 কুলোর বাতাস দিয়ে খামার পরিষ্কার করার জন্য কুলো তাঁর হাতেই আছে, তা দিয়ে তিনি সব শস্য জড়ো করে তাঁর গোলায় তুলবেন আর অনির্বাণ আগুনে তূষ পুড়িয়ে দেবেন।” 18 আরো বিভিন্ন উপদেশের মাধ্যমে লোকদের উৎসাহিত করে যোহন তাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করতেন।

যোহনের কর্মের সমাপ্তি

19 শাসনকর্তা হেরোদ তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিযাকে বিয়ে করেছিলেন, এরজন্য এবং এছাড়াও তাঁর আরো অনেক অন্যায় কাজের জন্য যোহন হেরোদকে তিরস্কার করলেন। 20 তাতে হেরোদ যোহনকে বন্দী করে কারাগারে পাঠালেন আর এইভাবে তিনি তাঁর অন্য সব দুষ্কর্মের সঙ্গে এইটিও যোগ করলেন।

যীশু যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম নিলেন

(মথি 3:13-17; মার্ক 1:9-11)

21 লোকেরা যখন বাপ্তিস্ম নিচ্ছিল সেই সময় একদিন যীশুও বাপ্তিস্ম নিলেন। বাপ্তিস্মের পর যীশু যখন প্রার্থনা করছিলেন, তখন স্বর্গ খুলে গেল, 22 আর স্বর্গ থেকে পবিত্র আত্মা কপোতের মতো তাঁর ওপর নেমে এলেন। তখন স্বর্গ থেকে এই রব শোনা গেল, “তুমি আমার প্রিয় পুত্র, তোমার ওপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”

যোষেফের বংশ পরিচয়

(মথি 1:1-17)

23 প্রায় ত্রিশ বছর বয়সে যীশু তাঁর কাজ শুরু করেন। লোকেরা মনে করত তিনি যোষেফেরই ছেলে।

যোষেফ হলেন এলির ছেলে।

24 এলি মত্ততের ছেলে।

মত্তত্ লেবির ছেলে।

লেবি মল্কির ছেলে।

মল্কি যান্নায়ের ছেলে।

যান্না যোষেফের ছেলে।

25 যোষেফ মত্তথিয়ের ছেলে।

মত্তথিয় আমোসের ছেলে।

আমোস নহূমের ছেলে।

নহূম ইষ্‌লির ছেলে।

ইষ্‌লি নগির ছেলে।

26 নগি মাটের ছেলে।

মাট মত্তথিয়ের ছেলে।

মত্তথিয় শিমিয়ির ছেলে।

শিমিয়ি যোষেখের ছেলে।

যোষেখ যূদার ছেলে।

27 যূদা য়োহানার ছেলে।

যোহানা রীষার ছেলে।

রীষা সরুব্বাবিলের ছেলে।

সরুব্বাবিল শল্টীয়েলের ছেলে।

শল্টীয়েল নেরির ছেলে।

28 নেরি মল্কির ছেলে।

মল্কি অদ্দীর ছেলে।

অদ্দী কোষমের ছেলে।

কোষম ইল‌্মাদমের ছেলে।

ইল‌্মাদম এরের ছেলে।

29 এর যিহোশূর ছেলে।

যিহোশূ ইলীয়েষরের ছেলে।

ইলীয়েষর যোরীমের ছেলে।

যোরীম মত্ততের ছেলে।

মত্তত লেবির ছেলে।

30 লেবি শিমিয়োনের ছেলে।

শিমিয়োন যূদার ছেলে।

যূদা যোষেফের ছেলে।

যোষেফ যোনমের ছেলে।

যোনম ইলিয়াকীমের ছেলে।

31 ইলিয়াকীম মিলেয়ার ছেলে।

মিলেয়া মিন্নার ছেলে।

মিন্না মত্তথের ছেলে।

মত্তথ নাথনের ছেলে।

নাথন দায়ূদের ছেলে।

32 দায়ূদ যিশয়ের ছেলে।

যিশয় ওবেদের ছেলে।

ওবেদ বোয়সের ছেলে।

বোয়স সলমোনের ছেলে।

সলমোন নহশোনের ছেলে।

33 নহশোন অম্মীনাদবের ছেলে।

অম্মীনাদব অদমানের ছেলে।

অদমান অর্ণির ছেলে।

অর্ণি হিষ্রোণের ছেলে।

হিষ্রোণ পেরসের ছেলে।

পেরস যিহূদার ছেলে।

34 যিহূদা যাকোবের ছেলে।

যাকোব ইস‌্হাকের ছেলে।

ইস‌্হাক অব্রাহামের ছেলে।

অব্রাহাম তেরূহের ছেলে।

তেরূহ নাহোরের ছেলে।

35 নাহোর সরূগের ছেলে।

সরূগ রিয়ুর ছেলে।

রিয়ু পেলগের ছেলে।

পেলগ এবরের ছেলে।

এবর শেলহের ছেলে।

36 শেলহ কৈননের ছেলে।

কৈনন অর্ফক্ষদের ছেলে।

অর্ফক্ষদ শেমের ছেলে।

শেম নোহের ছেলে।

নোহ লেমকের ছেলে।

37 লেমক মথূশেলহের ছেলে।

মথূশেলহ হনোকের ছেলে।

হনোক যেরদের ছেলে।

যেরদ মহললেলের ছেলে।

মহললেল কৈননের ছেলে।

38 কৈনন ইনোশের ছেলে।

ইনোশ শেথের ছেলে।

শেথ আদমের ছেলে।

আদম ঈশ্বরের ছেলে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International