Book of Common Prayer
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
131 হে প্রভু, আমি অহঙ্কারী নই।
আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হবার ভান করি না।
এমন কি আমি বিরাট কিছু করবার চেষ্টাও করি না।
আমি নিজেকে এমন কোন ব্যাপারে জড়াই না, যা খুব বড় ও আমার অসাধ্য।
2 আমি শান্ত, আমার আত্মা শান্ত।
মায়ের কোলে পরিতৃপ্ত শিশুর মত
আমার আত্মা শান্তিতে মগ্ন।
3 ইস্রায়েল (তুমি) প্রভুকে বিশ্বাস কর।
তাঁকে এখন বিশ্বাস কর, তাঁকে চিরদিন বিশ্বাস কর!
মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।
132 প্রভু স্মরণে রাখবেন দায়ূদ কেমন কষ্ট পেয়েছিলেন।
2 দায়ূদ প্রভুর কাছে একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
দায়ূদ যাকোবের শক্তিমান ঈশ্বরের কাছে একটি বিশেষ প্রতিশ্রুতি করেছিলেন।
3 দায়ূদ বলেছিলেন, “আমি আমার বাড়িতে যাবো না,
আমি আমার বিছানায় শোব না।
4 আমি ঘুমোতে যাব না।
আমি আমার চোখকে বিশ্রাম দেবো না।
5 যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি যাকোবের শক্তিমান ‘একজনের’ জন্য একটি বাসস্থান খুঁজে পাই
ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ওই সবের কোন কিছুই করবো না!”
6 আমরা ইফ্রাথায় সে সম্পর্কে শুনেছি।
কিরিয়ৎ যিয়ারিমে আমরা সাক্ষ্য সিন্দুক খুঁজে পেয়েছি।
7 চল আমরা পবিত্র তাঁবুতে যাই।
চল আমরা সেই চৌকিতে উপাসনা করি যেখানে প্রভু তাঁর পা রাখেন।[a]
8 হে প্রভু, আপনি এবং আপনার শক্তির সিন্দুক[b] উত্থান করুন
এবং বিশ্রাম স্থানে ফিরে আসুন।
9 হে প্রভু, আপনার যাজকরা ধার্ম্মিকতায় সজ্জিত।
আপনার নিষ্ঠাবান অনুগামীরা প্রচণ্ড সুখী।
10 আপনার সেবক দায়ূদের ভালোর জন্য,
আপনার মনোনীত রাজাকে বাতিল করবেন না।
11 প্রভু দায়ূদের কাছে একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; প্রভু দায়ূদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রভু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দায়ূদের পরিবার থেকেই রাজারা আসবে।
12 প্রভু বলেছেন, “দায়ূদ, যদি তোমার সন্তানরা আমার চুক্তি এবং যে বিধিসমূহ আমি তাদের শিখিয়েছি
তা মানে তাহলে সর্বদাই তোমার পরিবারের কোন একজন, তোমার নিজের বংশধর, রাজা হবে।”
13 তাঁর মন্দিরের স্থান হিসেবে প্রভু সিয়োনকে মনোনীত করেছেন।
তাঁর গৃহ (মন্দির) হিসেবে তিনি সেই স্থানই চেয়েছিলেন।
14 প্রভু বলেছিলেন, “চিরদিনের জন্য এটাই আমার স্থান হবে।
আমার থাকার স্থান হিসেবে আমি এই জায়গাকে মনোনীত করেছি।
15 প্রচুর খাদ্য দিয়ে আমি এই শহরকে আশীর্বাদ করবো।
এমনকি দরিদ্র মানুষরাও প্রচুর খাদ্য পাবে।
16 আমি যাজকদের পরিত্রাণ দিয়ে সজ্জিত করবো।
আমার অনুগামীরা সুখী হবে।
17 এই স্থানে আমি দায়ূদকে শক্তিশালী করবো।
আমার দ্বারা মনোনীত রাজার জন্য আমি একটি প্রদীপ দেব।
18 দায়ূদের শত্রুদের আমি লজ্জায় ঢেকে দেবো।
কিন্তু দায়ূদের রাজ্যকে আমি বাড়িয়ে তুলবো।”
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের গানের অন্যতম।
133 যখন ভাইরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে একত্রিত বসে
তখন সেটা কত সুন্দর ও মনোরম।
2 এটা যেন সেই সুগন্ধি তেলের মত যে তেল হারোণের মাথায় ঢালা হয়েছে
এবং তার মাথা থেকে মুখ ও দাড়ি বেয়ে তার বিশেষ বস্ত্রে গড়িয়ে পড়েছে।
3 এটা হর্ম্মোণ পর্বত থেকে আগত মৃদু বৃষ্টির মত যেটা সিয়োন পর্বতের ওপর ঝরে পড়ছে।
কারণ সিয়োনে প্রভু তাঁর আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, অনন্তকালের জীবনের আশীর্বাদ।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
134 তোমরা প্রভুর দাসরা
যারা সারা রাত ধরে মন্দিরে তাঁর সেবা কর!
2 সেবকগণ দুহাত তুলে
তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
3 প্রভু সিয়োন থেকে তোমাদের আশীর্বাদ করুন।
প্রভু আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
135 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নামের প্রশংসা কর!
হে প্রভুর দাসগণ, তাঁর প্রশংসা কর!
2 তোমরা যারা প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে আছো,
আমাদের ঈশ্বরের মন্দিরের আঙিনায়, তারা তাঁর প্রশংসা কর।
3 প্রভুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি ভালো।
তাঁর নামের প্রশংসা কর, কারণ তা অত্যন্ত মনোরম।
4 প্রভু যাকোবকে মনোনীত করেছেন।
ইস্রায়েল ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত।
5 আমি জানি প্রভু মহান!
আমাদের প্রভু সব দেবতাদের চেয়ে মহান!
6 স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, সমুদ্র বা গভীর মহাসাগরে
ঈশ্বর যা চান তাই করতে পারেন।
7 ঈশ্বরই, সারা পৃথিবীতে মেঘ সৃষ্টি করেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ সৃষ্টি করেন
এবং ঈশ্বরই বাতাস সৃষ্টি করেন।
8 ঈশ্বর, মিশরবাসীদের প্রথম সন্তান এবং সেখানকার পশুদের প্রথম শাবককে ধ্বংস করেছিলেন।
9 ঈশ্বর, মিশরে অনেক চমৎকার ও অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
এমনকি ফরৌণ এবং তার আধিকারিকদের জন্যও ঈশ্বর এইসব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর অনেক জাতিকে পরাজিত করেছিলেন।
অনেক শক্তিশালী রাজাকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
11 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
বাশনের রাজা ওগকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
কনানের সব রাজ্যগুলিকে ঈশ্বর পরাস্ত করেছিলেন।
12 এবং তাদের ভূখণ্ডগুলি প্রভু ইস্রায়েলকে দিয়েছেন।
তাদের ভূখণ্ড প্রভু তাঁর লোকদের দিয়েছেন।
13 প্রভু আপনার নাম চিরদিন ধরে বিখ্যাত থাকবে!
প্রভু মানুষ আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে।
14 প্রভু জাতিগুলিকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
কিন্তু প্রভু তাঁর সেবকদের প্রতি সদয় ছিলেন।
15 অন্যান্য লোকদের দেবতারা শুধুই সোনা ও রূপোর মূর্ত্তি।
ওদের দেবতারা নিছকই মানুষের হাতের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
16 ওই মূর্ত্তিগুলোর মুখ ছিলো কিন্তু কথা বলতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগুলোর চোখ ছিলো কিন্তু দেখতে পেতো না।
17 ওই মূর্ত্তিগুলোর কান ছিলো কিন্তু শুনতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগূলোর নাক ছিলো কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারতো না।
18 যে লোকগুলো ওই মূর্ত্তিগুলো তৈরী করেছে তারাও ওই রকম হয়ে যাবে!
কেন? কারণ ওরা বিশ্বাস করে যে মূর্ত্তিগুলোই ওদের সাহায্য করবে।
19 হে ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ, প্রভুর প্রশংসা কর!
হে হারোণের পরিবার, প্রভুর প্রশংসা কর!
20 হে লেবীয় পরিবার প্রভুর প্রশংসা কর!
হে প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
21 সিয়োন থেকে, তাঁর গৃহ জেরুশালেম থেকে,
প্রভু প্রশংসা প্রাপ্ত হন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
4 তারপর রাজা যোশিয়, প্রধান যাজক হিল্কিয়, অন্যান্য যাজকদের, মন্দিরের দাররক্ষী প্রভুর মন্দির থেকে বাল মূর্ত্তি, আশেরা ও নক্ষত্রদের পূজা ও আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত থালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র বার করে আনতে নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি এইসব কিছু জেরুশালেমের বাইরে কিদ্রোণের উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে সেই ছাই বৈথেলে নিয়ে এলেন।
5 যিহূদার রাজারা হারোণের পরিবারের বাইরের কিছু কিছু সাধারণ লোককে যাজক হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। এইসব ভ্রান্ত যাজকরা জেরুশালেম ও যিহূদার সর্বত্র মূর্ত্তিদের জন্য বানানো উচ্চস্থানে বাল মূর্ত্তিকে, সূর্যকে, চাঁদকে, এবং নক্ষত্ররাজির উদ্দেশ্যে ধুপধূনো দিতো। যোশিয় এইসব আচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
6 তারপর প্রভুর মন্দির চত্বর থেকে আশেরার মূর্ত্তির জন্য পোঁতা সমস্ত খুঁটি উপড়ে তুলে শহরের বাইরে কিদ্রোণ উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে, সেই ছাই সাধারণ মানুষদের কবরে ছড়িয়ে দিলেন।
7 এরপর যোশিয় প্রভুর মন্দির চত্বরের ভেতরে বসবাসকারী পুরুষদেহ ব্যবসায়ীদের ঘরগুলো ভেঙে ফেললেন। গণিকারাও এইসব ঘরগুলো ব্যবহার করত এবং আশেরার মূর্ত্তির প্রতি তাদের আনুগত্য জানাতে ছোট ছোট ছাউনি টাঙাতো।
8-9 সে সময় যাজকরা যিহূদার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে বসবাস করত এবং জেরুশালেমে প্রভুর মন্দিরের বেদীতে বলিদান না করে মূর্ত্তিসমূহের জন্য সর্বত্র বানানো উঁচু বেদীগুলোয় বলিদান করতো ও ধুপধূনো দিত। গেবা থেকে বের্শেবা পর্যন্ত সব জায়গাতেই এই বেদীগুলো ছিল। যাজকরা জেরুশালেমের মন্দিরে তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার পরিবর্তে সাধারণ লোকদের সঙ্গে যেখানে খুশী বসে খামিরবিহীন রুটি খেত। যোশিয় সমস্ত যাজকদের জেরুশালেমে আসতে বাধ্য করে, সমস্ত উঁচু বেদী, নগরদ্বারের বাঁ পাশের যাবতীয় বেদী সবই ভেঙে দিয়েছিলেন।
10 হিন্নোম সোন উপত্যকার তোফতে মোলকের মূর্ত্তির উদ্দেশ্যে লোকরা বেদীতে নিজেদের ছেলেমেয়েকে আগুনে আহুতি দিত। যোশিয় এই পাপ আচরণ বন্ধ করার জন্য এই বেদী এমন ভাবে ভেঙে দিয়েছিলেন যাতে তা আর ব্যবহার করা না যায়। 11 যিহূদার আগের রাজারা প্রভুর মন্দিরের প্রবেশপথে নথন মোলক নামে এক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর ঘরের পাশে সূর্য দেবতাকে সম্মান জানানোর জন্য একটা ঘোড়ায় টানা রথ তৈরী করে দিয়েছিলেন। যোশিয় সেই রথের ঘোড়াগুলো সরিয়ে রথটাকে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
12 আগেকার রাজারা আহসের বাড়ির ছাদে এবং মনঃশি প্রভুর মন্দিরের দুটো উঠোনেই মূর্ত্তিসমূহের পূজোর জন্য যে বেদীগুলো বানিয়েছিলেন, যোশিয় সেই সব বেদী টুকরো টুকরো করে ভেঙে, ভাঙা টুকরোগুলো কিদ্রোণ উপত্যকায় ফেলে দেন।
13 রাজা শলোমনও অতীতে জেরুশালেমের কাছে বিনাশ পাহাড়ের দক্ষিণে এই ধরণের কিছু উঁচু বেদী বানিয়েছিলেন, যেখানে সীদোনীয়দের ঘৃণ্য মূর্ত্তি অষ্টোরতের পূজার জন্য এইসব বেদী ব্যবহার করা হত। এছাড়াও মহারাজ শলোমন মোয়াবীয়দের কমোশ ও আমোনীয়দের মিল্কম প্রমুখ ঘৃণ্য মূর্ত্তির জন্য যে সমস্ত উঁচু বেদী বানিয়েছিলেন, যোশিয় সে সমস্তই ভেঙে দিয়েছিলেন। 14 তিনি যাবতীয় স্মৃতিফলক, আশেরার খুঁটি ভেঙে দিয়ে সে সব জায়গায় নরকঙ্কাল ছড়িয়ে দেন।
15 নবাটের পুত্র যারবিয়াম ইস্রায়েলকে পাপ আচরণের পথে ঠেলে দিয়েছিলেন। তিনি বৈথেলে যে উচ্চস্থান বানান যোশিয় তা ভেঙে ধূলোয় মিশিয়ে, আশেরার খুঁটিতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। 16 যোশিয় পর্বতের আশেপাশে তাকিয়ে অনেক কবরখানা দেখতে পেলেন। লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে মৃত মানুষের হাড় তুলিযে এনে, যোশিয় সেই সমস্ত হাড় যজ্ঞবেদীতে পুড়িয়ে, যজ্ঞবেদী অশুচি করে দেন। ভাববাদীদের মুখ দিয়ে প্রভু, যারবিয়াম যখন সেই বেদীর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনই এইসব ভবিষ্যৎবাণী করিয়েছিলেন।
যোশিয় চারপাশে তাকিয়ে সেই ভাববাদীদের সমাধিস্থল দেখতে পেলেন।
17 যোশিয় প্রশ্ন করলেন, “ওটা কিসের ফলক?”
শহরের লোকরা তাঁকে উত্তর দিলো, “এটা সেই যিহূদা থেকে আসা ভাববাদীর কবর। আপনি বৈথেলের বেদীতে যা করলেন তা তিনি বহু দিন আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন।”
18 যোশিয় তখন বললেন, “দেখো ওঁর কবরে যেন কোন রকম হাত না পড়ে। ওঁকে শান্তিতে থাকতে দাও।” তখন লোকরা শমরিয়ার সেই ভাববাদীর সমাধিস্থল যে ভাবে ছিল, সে ভাবেই অবিকৃত অবস্থায় রেখে দিল।
19 শমরিয়ায় শহরগুলোয় মূর্ত্তিসমূহের বেদীর আশেপাশে যে সমস্ত মন্দির গড়ে উঠেছিল যোশিয় সেগুলোও ভেঙে দিয়েছিলেন। ইস্রায়েলের আগেকার রাজারা এই সমস্ত মন্দির বানিয়ে প্রভুকে খুবই অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন। যোশিয় এইসব মন্দিরের দশা বৈথেলের বেদীর মতোই করেছিলেন।
20 যোশিয় শমরিয়ার উচ্চস্থানের সমস্ত যাজকদেরই হত্যা করলেন। তিনি বেদীর ওপরে মানুষের অস্থি পোড়ালেন। এইভাবে তিনি পূজার জায়গা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
যিহূদার লোকদের নিস্তারপর্ব উদ্যাপন
21 এরপর যোশিয় সমস্ত লোকদের নির্দেশ দিলেন, “বিধিপুস্তকে যেভাবে লেখা আছে, সেভাবে তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের জন্য নিস্তারপর্ব উদ্যাপন কর।”
22 ইস্রায়েলে বিচারকদের শাসনকালের পর আর কেউ এভাবে নিস্তারপর্ব উদ্যাপন করেনি। ইস্রায়েল বা যিহূদার আর কোন রাজাই আগে কখনও এত সমারোহের সঙ্গে নিস্তারপর্ব পালন করেন নি। 23 যোশিয়র রাজত্বের 18তম বছরে লোকরা এই নিস্তারপর্ব পালন করেছিল।
24 যিহূদা ও জেরুশালেমে লোকরা প্রেতসাধনা, ডাকিনী-পিশাচ-তন্ত্রসাধনা, মূর্ত্তিপূজা প্রভৃতি যেসব ঘৃণ্য পাপ আচরণ করত, যাজক হিল্কিয়র খুঁজে পাওয়া বিধি অনুসারে যোশিয় এসবই সমূলে উৎপাটন করেন।
25 এর আগের আর কোন রাজাই যোশিয়র মত ছিলেন না। যোশিয় কায়মনোবাক্যে, সমস্ত হৃদয় ও শক্তি দিয়ে প্রভু ও মোশির বিধি অনুসরণ করে জীবনযাপন করেছিলেন। এখনো পর্যন্ত কোন রাজাই তাঁর মত শাসন করেন নি।
পবিত্র আত্মা হতে বরদান
12 আমার ভাই ও বোনেরা, আমি চাই যে তোমরা সঠিকভাবে এগুলি বুঝে নাও। 2 তোমরা জান, যখন তোমরা অবিশ্বাসী ছিলে, তখন তোমরা বোবা প্রতিমাগুলির দিকেই পরিচালিত হতে। 3 তাই আমি তোমাদের বলছি যে, ঈশ্বরের আত্মার প্রেরণায় কেউ কথা বললে সে কখনও, “যীশু অভিশপ্ত” একথা বলতে পারে না। আবার পবিত্র আত্মার প্রেরণা ছাড়া কেউ বলতে পারে না, “যীশুই প্রভু।”
4 আবার নানা প্রকার আত্মিক বরদান আছে, কিন্তু সেই একমাত্র পবিত্র আত্মাই এইসব বরদান দিয়ে থাকেন। 5 নানা প্রকার সেবার কাজও আছে, কিন্তু আমরা সকলে একই প্রভুর সেবা করি। 6 কর্ম সাধনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, কিন্তু সেই একই ঈশ্বর সব রকম কাজ সকল মানুষের মধ্যে করান।
7 মঙ্গলের জন্য প্রত্যেকের কাছে আত্মার দান প্রকাশ করা হয়েছে। 8 সেই আত্মার দ্বারা একজনকে প্রজ্ঞার বাণী বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়, অন্যজনকে জ্ঞানের বাণী বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়। 9 আবার একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা বিশ্বাস দেওয়া হয়, অন্যজনকে রোগীদের সুস্থ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। 10 আবার কাউকে অলৌকিক কাজ করার পরাক্রম, ভাববানী বলার ক্ষমতা, বিভিন্ন আত্মাকে চিনে নেবার ক্ষমতা, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা বা সেই সব ভাষার তর্জমা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। 11 কিন্তু এইসব কাজ সেই এক আত্মাই সম্পন্ন করেন এবং কাকে কি ক্ষমতা দেবেন তা তিনিই স্থির করেন।
মৃত মেয়ের জীবনদান ও অসুস্থ স্ত্রীলোকের আরোগ্যলাভ
(মার্ক 5:21-43; লূক 8:40-56)
18 যীশু যখন তাদের এসব কথা বলছিলেন, সেই সময় সমাজ-গৃহের নেতাদের একজন তাঁর কাছে এসে নতজানু হয়ে বললেন, “আমার মেয়েটা এই মাত্র মারা গেল, আপনি এসে তাকে একটু স্পর্শ করুন তাহলে সে বেঁচে উঠবে।”
19 তখন যীশু উঠে তাঁর সঙ্গে গেলেন, আর তাঁর শিষ্যরাও তাঁর সঙ্গে চললেন।
20 পথে যাবার সময় একজন স্ত্রীলোক যীশুর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাকের খুঁট স্পর্শ করল, সে বারো বছর ধরে রক্তস্রাবে কষ্ট পাচ্ছিল। 21 সে মনে মনে ভাবল, “আমি যদি যীশুর পোশাক কেবল ছুঁতে পারি, তাহলেই ভাল হয়ে যাব।”
22 যীশু ঘুরে দাঁড়ালেন আর তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, “বাছা, তুমি মনে সাহস রাখো, তোমার বিশ্বাসই তোমায় সুস্থ করল।” তখন থেকে স্ত্রীলোকটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।
23 যীশু সেই নেতার বাড়িতে পরে গিয়ে দেখলেন, যারা করুণ সুরে বাঁশি বাজায় তারা রয়েছে আর লোকরা চিৎকার করে কাঁদছে। 24 যীশু বললেন, “তোমরা বাইরে যাও। মেয়েটি মরে নি, ও তো ঘুমিয়ে আছে।” লোকগুলো এই কথা শুনে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগল। 25 লোকদের ঘর থেকে বার করে দেওয়া হলে, যীশু ভেতরে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরলেন, তাতে সে উঠে বসল। 26 এই ঘটনার কথা সেই অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International