Add parallel Print Page Options

মৃত বালিকার জীবন লাভ ও অসুস্থ স্ত্রীলোকের আরোগ্য লাভ

(মথি 9:18-26; লূক 8:40-56)

21 পরে যীশু নৌকায় আবার হ্রদ পার হয়ে অন্য পাড়ে এলে অনেক লোক তাঁর কাছে ভীড় করল। তিনি হ্রদের তীরেই ছিলেন। 22 আর সমাজগৃহের নেতাদের মধ্যে যায়ীর নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন 23 এবং অনেক অনুনয় করে তাঁকে বললেন, “আমার মেয়ে মর মর, আপনি এসে মেয়েটির ওপর হাত রাখুন যাতে সে সুস্থ হয় ও বাঁচে।”

24 তখন তিনি তার সঙ্গে গেলেন। বহুলোক তাঁর পেছন পেছন চলল, আর তাঁর চারদিকে ঠেলাঠেলি করতে লাগল।

25 একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। 26 অনেক চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

27 সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল। 28 সে মনে মনে ভেবেছিল, “যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।” 29 আর সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল যে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে। 30 যীশু সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলেন যে তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বার হয়েছে। তাই ভীড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?”

31 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আপনি দেখছেন, লোকরা আপনার ওপরে ঠেলাঠেলি করে পড়ছে, তবু বলছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল?’”

32 কিন্তু যে এই কাজ করেছে, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখতে লাগলেন। 33 তখন সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার প্রতি কি করা হয়েছে তা জানাতে তাঁর পায়ে পড়ল এবং সমস্ত সত্যি কথা তাঁকে বলল। 34 তখন যীশু তাকে বললেন, “তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভাল করেছে, শান্তিতে চলে যাও ও তোমার রোগ থেকে সুস্থ থাক।”

35 তিনি এই কথা বলছেন, সেই সময় সমাজগৃহের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে বলল, “আপনার মেয়ে মারা গেছে, গুরুকে আর কষ্ট দেবার কোন কারণ নেই।”

36 কিন্তু যীশু তাদের কথায় কান না দিয়ে যায়ীরকে বললেন, “ভয় করো না, কেবল বিশ্বাস রাখো।”

37 আর তিনি পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই যোহনকে ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না। 38 পরে তাঁরা সমাজগৃহের নেতার বাড়িতে এসে দেখলেন সেখানে গোলমাল হচ্ছে, কেউ কেউ শোকে চিৎকার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে। 39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা গোলমাল করছ ও কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে নি, সে ঘুমিয়ে আছে।” 40 এতে তারা তাঁকে উপহাস করল।

কিন্তু তিনি সকলকে বাইরে বার করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা, মা ও নিজের শিষ্যদের নিয়ে যেখানে মেয়েটি ছিল সেখানে গেলেন। 41 আর মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “টালিথা কুমী!” যার অর্থ “খুকুমনি, আমি তোমাকে বলছি ওঠ!” 42 মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল। তার বয়স তখন বারো বছর ছিল। তাই দেখে তারা সকলে খুব আশ্চর্য হয়ে গেল। 43 পরে তিনি তাদের এই দৃঢ় আদেশ দিলেন যাতে কেউ এটা জানতে না পারে; আর মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে বললেন।

Read full chapter