Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
7 এটা একটা খুবই চমৎকার ব্যাপার যে পাহাড় থেকে বার্তাবাহক সুসংবাদ নিয়ে এসেছে। বার্তাবাহকের ঘোষণাটিও চমৎকার, “সেখানে শান্তি বিরাজ করছে। রক্ষা পাচ্ছি আমরা। তোমাদের ঈশ্বর আমাদের রাজা!”
8 নগরের দ্বাররক্ষীরা চিৎকার করছে।
তারা একত্রিত হয়ে পুনরায় আনন্দে মেতেছে!
কেন? কারণ তারা সকলেই সিয়োনে প্রভুর প্রত্যাবর্তন দেখেছে।
9 জেরুশালেম তোমার ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িতে আবার সুখ আসবে।
তোমরা সবাই একসঙ্গে আনন্দিত হবে।
কেন? কারণ প্রভু আবার জেরুশালেমের প্রতি উদার হবেন।
প্রভু তাঁর লোকদের উদ্ধার করবেন।
10 প্রত্যেক জাতির ওপর প্রভু তাঁর পবিত্র ক্ষমতা দেখাবেন।
প্রত্যেক জাতি দূরে থেকেও দেখতে পাবে ঈশ্বর তাঁর লোকদের রক্ষা করছেন।
একটি প্রশংসা গীত
98 প্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান গাও,
কারণ তিনি নতুন নতুন আশ্চর্য কার্য করেছেন!
তাঁর পবিত্র ডান বাহু
আবার তাঁকে বিজয় এনে দিয়েছে।
2 প্রভু জাতিগুলোর নিকট তাঁর উদ্ধার করার শক্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রভু তাদের তাঁর ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করেছেন।
3 ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভুর বিশ্বস্ততা তাঁর অনুগামীরা স্মরণ করে।
দূরদূরান্তের দেশও আমাদের ঈশ্বরের ত্রাণশক্তি দেখেছে।
4 পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ, প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দধ্বনি দাও।
শীঘ্রই প্রশংসা গীত শুরু কর!
5 হে বীণা, প্রভুর প্রশংসা কর।
বীণার সুর প্রভুর প্রশংসা কর।
6 ভেঁপু ও বাঁশি বাজাও
এবং আমাদের রাজা প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দ ধ্বনি দাও!
7 সমুদ্র এবং পৃথিবী এবং যেখানে যা কিছু আছে
সবাই যেন উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠে।
8 হে নদীসমূহ, তোমরা হাততালি দাও!
হে পর্বতরাজি, তোমরা একসঙ্গে গেয়ে ওঠো!
9 প্রভুর সামনে গান গাও
কেননা তিনি বিশ্বকে শাসন করতে আসছেন।
তিনি ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে এই বিশ্বকে শাসন করবেন।
তিনি সততার সঙ্গে লোকদের শাসন করবেন।
ঈশ্বর তাঁর পুত্রের মাধ্যমে কথা বলেছেন
1 অতীতে ঈশ্বর ভাববাদীদের মাধ্যমে বহুবার নানাভাবে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 2 এখন এই শেষের দিনগুলোতে ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আবার কথা বললেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের দ্বারাই সমগ্র জগত সৃষ্টি করেছেন। তাঁর পুত্রকেই সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন। 3 একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার ও তাঁর প্রকৃতির মূর্ত প্রকাশ। ঈশ্বরের পুত্র তাঁর পরাক্রান্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছু ধরে রেখেছেন। সেই পুত্র মানুষকে সমস্ত পাপ থেকে শুচিশুদ্ধ করেছেন। তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানপাশের আসনে বসেছেন। 4 ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এমন এক নাম দিয়েছেন যা স্বর্গদূতদের নাম থেকে শ্রেষ্ঠ; আর স্বর্গদূতদের তুলনায় তিনি হয়ে উঠেছেন আরো মহান।
5 কারণ ঈশ্বর ঐ স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে কখন বলেছিলেন,
“তুমি আমার পুত্র;
আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।”(A)
আবার ঈশ্বর কখনই বা স্বর্গদূতদের বলেছেন,
“আমি তার পিতা হব
আর সে আমার পুত্র হবে।”(B)
6 আবার তাঁর প্রথম পুত্রকে যখন তিনি জগতে নিয়ে এলেন তখন ঈশ্বর বললেন,
“ঈশ্বরের সমস্ত স্বর্গদূতরা তাঁর উপাসনা করুক।”[a]
7 স্বর্গদূতদের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“আমার স্বর্গদূতদের আমি তৈরী করি বায়ুর মতো করে
আর আমার সেবকদের আগুনের শিখার মতো করে।”(C)
8 কিন্তু তাঁর পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন হবে চিরস্থায়ী;
আর ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তুমি তোমার রাজ্য শাসন করবে।
9 তুমি ন্যায়কে ভালবাস এবং অন্যায়কে ঘৃণা কর।
এই কারণে তোমার ঈশ্বর তোমাকে পরম আনন্দ দিয়েছেন;
তোমার সঙ্গীদের থেকে তোমায় অধিক পরিমাণে দিয়েছেন।”(D)
10 ঈশ্বর একথাও বলেছেন:
“হে প্রভু, আদিতে তুমিই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ;
স্বর্গ তোমারই হাতের সৃষ্টি।
11 সেসব একদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে; কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী।
সেসব পোশাকের মতো পুরানো হয়ে যাবে।
12 তুমি সেসব পোশাকের মতো গুটিয়ে রাখবে;
আর পোশাকের মতো সেগুলির পরিবর্তন হবে।
কিন্তু তোমার কোন পরিবর্তন হবে না,
তোমার অনুগ্রহ শেষ হবে না।”(E)
যীশুর পৃথিবীতে আগমন
1 আদিতে বাক্য[a] ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ছিলেন ঈশ্বর। 2 সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। 3 তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি। 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল। 5 সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি।
6 একজন লোক এলেন তাঁর নাম যোহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। 7 তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে। 8 যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। 9 প্রকৃত যে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
10 সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি। 11 যে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। 12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন। 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি। মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম।
14 বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি। সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International