Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
পরিচালকের প্রতি: গিত্তীৎ সহযোগে দায়ূদের একটি গীত।
8 হে প্রভু, আমাদের সদাপ্রভু, সারা পৃথিবীতে আপনার নামই সব থেকে মহিমান্বিত!
আপনার নাম স্বর্গলোক জুড়ে আপনার প্রশংসা এনে দেয়।
2 শিশু ও দুগ্ধপোষ্যদের মুখ থেকে আপনার প্রশংসা গীত বেরিয়ে আসে।
আপনার শত্রুদের নীরব করে দেওয়ার জন্য আপনি ওদের মুখে এইসব শক্তিশালী গান দিয়েছেন।
3 আপনি নিজের হাত দিয়ে যে স্বর্গ সৃষ্টি করেছেন তার দিকে চেয়ে দেখি।
আপনার সৃষ্টি করা চাঁদ এবং তারা দেখি এবং আমি বিস্মিত হই।
4 “লোকরা আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
কেন আপনি তাদের কথা স্মরণ করেন?
কেন লোকরা আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
আপনি তাদের দিকে তাকিয়েই বা দেখেন কেন?”
5 কিন্তু মানুষ আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ!
আপনি মানুষকে প্রায় দেবতার মত করেই বানিয়েছেন।
এবং গৌরব ও সম্মান দিয়ে আপনি মানুষকে মহিমান্বিত করেছেন।
6 আপনি যা যা সৃষ্টি করেছেন তার দায়িত্ব আপনি মানুষের হাতেই দিয়েছেন।
সব কিছুই আপনি মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
7 মেষ, গবাদিপশু সহ অন্যান্য বন্য জন্তুদের ওপরে মানুষ কর্ত্তৃত্ব করেছে।
8 আকাশের পাখী
ও জলের মাছের ওপর কর্ত্তৃত্ব করেছে।
9 হে প্রভু, আমাদের সদাপ্রভু, সমগ্র বিশ্বে আপনার নামই সব থেকে মহিমান্বিত।
জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা
4 পুত্রগণ, তোমাদের পিতার শিক্ষাসমূহ মনোযোগ সহকারে শোন। মনোযোগ দিলে তবেই এই হিতোপদেশগুলি বুঝতে পারবে! 2 কেন? কারণ আমার এই উপদেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শিক্ষামালা কখনও ভুলে যেও না।
3 এক সময় আমিও তোমাদের মত যুবক ছিলাম! আমি আমার পিতার ছোট পুত্র এবং আমার মাতার একমাত্র সন্তান ছিলাম। 4 এবং আমার পিতা আমাকে এই জিনিসগুলি শিখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “আমি যা বলি তা মনে রেখো। আমার আদেশ পালন কর, তাহলে বাঁচতে পারবে! 5 বিবেচনাশক্তি এবং জ্ঞান লাভ করো! কখনও আমার কথা ভুলো না। সর্বদা আমার উপদেশ মেনে চলবে। 6 জ্ঞান থেকে দূরে সরে থেকো না। তাহলে জ্ঞান তোমাকে রক্ষা করবে। জ্ঞানকে ভালোবাসো এবং জ্ঞান তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
7 “তুমি যে মূহুর্ত থেকে জ্ঞান অর্জন করার সংকল্প করেছ তখন থেকেই জ্ঞানের পর্ব শুরু হয়েছে। অতএব তোমার সমস্ত প্রয়াস ব্যবহার করে, এমনকি তোমার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির বিনিময়েও জ্ঞান অর্জন করবার চেষ্টা করো! তাহলে তুমি ক্রমশঃ বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। 8 জ্ঞানকে ভালোবাস, জ্ঞানই তোমাকে মহান করে তুলবে। জ্ঞানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলো এবং জ্ঞান তোমাকে সম্মান এনে দেবে। 9 জ্ঞানই সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু যা তোমার জীবনে ঘটতে পারে।”
বালক যীশু
41 নিস্তারপর্ব[a] পালনের জন্য তাঁর মা-বাবা প্রতি বছর জেরুশালেমে যেতেন। 42 যীশুর বয়স যখন বারো বছর, তখন তাঁরা যথারীতি সেই পর্বে যোগ দিতে গেলেন। 43 পর্বের শেষে তাঁরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বালক যীশু জেরুশালেমেই রয়ে গেলেন, এবিষয়ে তাঁর মা-বাবা কিছুই জানতে পারলেন না। 44 তাঁরা মনে করলেন যে তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। তাঁরা এক দিনের পথ চলার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে তাঁর খোঁজ করতে লাগলেন। 45 কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁরা যীশুর খোঁজ করতে করতে আবার জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
46 শেষ পর্যন্ত তিন দিন পরে মন্দির চত্বরে তাঁর দেখা পেলেন। সেখানে তিনি ধর্ম শিক্ষকদের সাথে বসে তাঁদের কথা শুনছিলেন ও তাঁদের নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন। 47 যাঁরা তাঁর কথা শুনছিলেন তাঁরা সকলে যীশুর বুদ্ধি আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া দেখে অবাক হয়ে গেলেন। 48 যীশুর মা-বাবা তাঁকে সেখানে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তাঁর মা তাঁকে বললেন, “বাছা, তুমি আমাদের সঙ্গে কেন এমন করলে? তোমার বাবা ও আমি ভীষণ ব্যাকুল হয়ে তোমার খোঁজ করে বেড়াচ্ছি।”
49 যীশু তখন তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন আমার খোঁজ করছিলে? তোমরা কি জানতে না যে যেখানে আমার পিতার কাজ, সেখানেই আমাকে থাকতে হবে?” 50 কিন্তু তিনি তাঁদের যা বললেন তার অর্থ তাঁরা বুঝতে পারলেন না।
51 এরপর তিনি তাঁদের সঙ্গে নাসরতে ফিরে গেলেন, আর তাঁদের বাধ্য হয়ে রইলেন। তাঁর মা এসব কথা মনের মাঝে গেঁথে রাখলেন। 52 এইভাবে যীশু বয়সে ও জ্ঞানে বড় হয়ে উঠলেন, আর ঈশ্বর ও মানুষের ভালবাসা লাভ করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International