Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
2 ইস্রায়েল এই কথা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।
17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।
17 কিন্তু সীষরা পালিয়ে গেল। সে একটা তাঁবুতে এলো। সেই তাঁবুতে যায়েল নামে একজন স্ত্রীলোক বাস করত। তার স্বামীর নাম ছির হেবর। হেবর ছিল কেনীয় সম্প্রদায়ের লোক। তার পরিবার হাৎসোরের রাজা যাবীনের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করত। সীষরা যায়েলের তাঁবুর দিকে ছুটে যাচ্ছিল। 18 সীষরাকে ছুটে আসতে দেখে যায়েল তার তাঁবু থেকে বেরিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলো। যায়েল সীষরাকে বলল, “আমার তাঁবুতে আসুন। কোন ভয় নেই।” সীষরা যায়েলের তাঁবুতে ঢুকলো। যায়েল একটা কম্বল দিয়ে তাকে ঢেকে দিলো।
19 সীষরা বলল, “আমি তৃষ্ণার্ত। দয়া করে আমায় এক গ্লাস জল দিন।” একটা চামড়ার বোতলে যায়েল দুধ রাখত। সীষরাকে দুধ খাইয়ে যায়েল আবার তাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিল।
20 সীষরা যায়েলকে বলল, “তাঁবুর দরজার পাশে আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, ভেতরে কেউ আছে কি না, বলবেন ‘না কেউ নেই।’”
21 কিন্তু যায়েল তাঁবু খাটানোর একটা গোঁজ আর একটা হাতুড়ি পেয়ে গেল। তারপর চুপিচুপি সীষরার কাছে গেল। সীষরা খুবই ক্লান্ত ছিল, তাই সে ঘুমাচ্ছিল। যায়েল গোঁজটা সীষরার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে দিল। গোঁজটা তার মাথার মধ্যে ঢুকে বেরিয়ে এসে মাটিতে ঢুকে গেল। সীষরা মারা গেল।
22 আর ঠিক তখনই বারক সীষরার খোঁজে যায়েলের তাঁবুর কাছে এলো। যায়েল তাঁবুর বাইরে বেরিয়ে বারককে বলল, “ভেতরে আসুন। যাকে খুঁজছেন তাকে দেখাচ্ছি।” বারক যায়েলের সঙ্গে ভেতরে এল। দেখল সীষরা মরে মাটিতে পড়ে আছে। তার মাথার ভেতর গোঁজ ঢুকে আছে।
23 সেদিন ঈশ্বর ইস্রায়েলের লোকদের হয়ে কনানদের রাজা যাবীনকে পরাজিত করলেন।
24 কেনীয় হেবরের পত্নী—যায়েল তার নাম।
সর্বোত্তমা মহীয়সী নারী, প্রণাম তারে প্রণাম।
25 সীষরা চাইল জল;
জল নয়, যায়েল তাকে দুধের পাত্র এগিয়ে দিল।
রাজারই পক্ষে মানায় তেমন পাত্র।
তাতে ক্ষীর ননী সাজিয়ে দিল যায়েল।
26 যায়েল তার হাত বাড়ালো, তাঁবু খাটানোর গোঁজ হাতে পেলো।
ডান হাত বাড়ালে কর্মকারের হাতুড়ি উঠে এলো।
তারপর সে সীষরার মস্তকে আঘাত হানল।
সে হাতুড়ির আঘাতে তার কপালের দুই পাশের মধ্য দিয়ে একটা ছিদ্র করল।
27 যায়েলের পায়ে মাথা গুঁজে দিয়ে
পড়ে গেল সীষরা।
ভূতলশায়িত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
এক চরম বিপর্যয়।
28 “সীষরার মা জানালা থেকে উঁকি দেয়।
সীষরার মা পর্দা সরিয়ে তাকায় আর কাঁদে,
‘সীষরার রথ ফিরতে দেরী করে কেন?
কেন আমি এখন অবধি তার মালগাড়ীর শব্দ শুনছি না?’
29 “তার প্রজ্ঞাবতী দাসী উত্তর দিল,
ব্যাকুলা মায়ের দেখ এই দুর্গতি।
30 দাসীটি বলল, ‘আমি নিশ্চিত তারা যুদ্ধে জিতেছে,
এবং এখন তারা তাদের লুটের প্রচুর দ্রব্যসামগ্রী
নিজেদের মধ্যে ভাগ করছে।
প্রত্যেক সৈন্য নেবে দু একটি করে রমণী
এবং বিজয়ী সীষরা হয়তো পরবার জন্য
দু-একটি রঙীন সুতোর কাজ করা পোশাক পাবে।’
31 “ওগো প্রভু, যেন এভাবেই মরে তোমার শত্রুরা।
যারা তোমায় ভালবাসে তারা যেন প্রভাত সূর্যসম শক্তি অর্জন করে।”
এইভাবেই 40 বছর সে দেশে শান্তি বিরাজ করছিল।
একটি স্ত্রীলোক এবং বিশাল নাগ
12 তারপর স্বর্গে এক মহৎ ও বিস্ময়কর সঙ্কেত দেখা গেল। একটি স্ত্রীলোককে দেখা গেল, সূর্য যার বসন, যার পায়ের নীচে ছিল চাঁদ, আর বারোটি নক্ষত্রের এক মুকুট তার মাথায়। 2 স্ত্রীলোকটি গর্ভবতী, প্রসব বেদনায় সে চিৎকার করছিল।
3 এরপর স্বর্গে আর এক নিদর্শন দেখা দিল। এক প্রকাণ্ড নাগ দেখা গেল, যার রঙ ছিল লাল, তার সাতটি মাথা, দশটি শিং আর সাতটি মাথায় সাতটি মুকুট। 4 সে তার লেজ দিয়ে আকাশের এক তৃতীয়াংশ নক্ষত্র টেনে নামিয়ে এনে পৃথিবীর ওপর ফেলল। যে স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করার অপেক্ষায় ছিল, সেই নাগটি তার সামনে দাঁড়াল, যেন স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করার সঙ্গে সঙ্গে সে তার সন্তানকে গ্রাস করতে পারে।
5 স্ত্রীলোকটি এক পুত্র সন্তান প্রসব করল, যিনি লৌহ দণ্ড দিয়ে সমস্ত জাতিকে শাসন করবেন। তার সন্তানকে ঈশ্বরের সিংহাসনের কাছে নিয়ে যাওয়া হল; 6 আর সেই স্ত্রীলোকটি প্রান্তরে পালিয়ে গেল, সেখানে ঈশ্বর তার জন্য একটি স্থান প্রস্তুত করে রেখেছিলেন, সেখানে সে বারশো ষাট দিন পর্যন্ত প্রতিপালিতা হবে।
7 এরপর স্বর্গে এক যুদ্ধ বেধে গেল। মীখায়েল ও তার অধীনে অন্যান্য স্বর্গদূতরা সেই নাগের সঙ্গে যুদ্ধ করল। সেই নাগও তার অপদূতদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগল; 8 কিন্তু সাপ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না, তাই তারা স্বর্গের স্থান হারালো। 9 সেই বিরাট নাগকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলা হল। এই বিরাট নাগ হল সেই পুরানো নাগ যাকে দিয়াবল বা শয়তান বলা হয়, সে সমগ্র জগতকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যায়। সেই নাগ ও তার সঙ্গী অপদূতদের পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলা হল।
10 তখন আমি স্বর্গে এক উচ্চস্বর শুনতে পেলাম, “এখন আমাদের ঈশ্বরের জয়, পরাক্রম, রাজত্ব, ধ্বনি ও তাঁর খ্রীষ্টের কর্তৃত্ত্ব এসে পড়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে কারণ আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যে দোষারোপকারী, তাকে নীচে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সে দিন রাত আমাদের ঈশ্বরের সামনে তাদের নামে দোষারোপ করত। 11 তারা মেষশাবকের রক্তে ও নিজের নিজের সাক্ষ্য দ্বারা সেই নাগকে পরাস্ত করেছে। তারা নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে খ্রীষ্টের জন্য মৃত্যুবরণ করতে প্রস্তুত ছিল। 12 তাই স্বর্গ এবং সেখানে বসবাসকারী তোমরা সকলে আনন্দ কর! কিন্তু পৃথিবী ও সমুদ্রের কি দুর্দশাই না হবে, কারণ দিয়াবল তোমাদের কাছে নেমে এসেছে। সে রাগে ফুঁসছে, কারণ সে জানে যে তার আর বেশী সময় বাকী নেই।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International