Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
লামদ
89 হে প্রভু, আপনার বাণী চিরকাল থাকে।
আপনার বাণী স্বর্গে চিরকালের জন্য থাকে।
90 চিরদিনের জন্যই আপনি বিশ্বস্ত।
প্রভু, আপনি এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এখনও তা রয়েছে।
91 এখনও পর্যন্ত এই পৃথিবী যে অস্তিত্বশীল রয়েছে, তার কারণ আপনার বিধি।
এই পৃথিবী আপনার বিধিকে একজন ক্রীতদাসের মতই মান্য করে।
92 আপনার শিক্ষামালাগুলো যদি আমার কাছে বন্ধুর মত না হত
তাহলে আমার দুর্গতিই আমায় শেষ করে দিতো।
93 আমি আপনার আজ্ঞাগুলি কখনই ভুলবো না,
কারণ সেগুলো আমাকে বাঁচতে দিয়েছে।
94 প্রভু, আমি আপনারই, তাই আমাকে রক্ষা করুন!
কেন? কারণ আপনার আজ্ঞাগুলি মানতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি।
95 দুষ্ট লোকরা আমায় ধ্বংস করতে চেয়েছিলো।
কিন্তু আপনার চুক্তি আমাকে জ্ঞানী করেছে।
96 আপনার বিধি ছাড়া
সব কিছুরই সীমা আছে।
11 বারূক যখন পড়ছিল তখন গমরিয়ের পুত্র মীখায় শুনছিল। গমরিয় ছিল শাফনের পুত্র। 12 মীখায় যখন পুঁথির সব বার্তা শুনল, তখন সে রাজপ্রাসাদের সচিবের ঘরে গেল। সেই ঘরে তখন রাজপরিবারের সমস্ত সভাসদরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সভাসদদের নামগুলি হল: রাজার আপ্ত সহায়ক ইলীশামা, শময়িয়ের পুত্র দলায়, অক্বোরের পুত্র ইল্নাথন, শাফনের পুত্র গমরিয়, হনানিয়ের পুত্র সিদিকিয় এবং অন্যান্য রাজসভার সভাসদরাও সেই ঘরে উপস্থিত ছিলেন। 13 পুঁথি থেকে বারূক যা কিছু পড়ে শুনিয়েছিল তা সব মীখায় গিয়ে সভাপারিষদদের বলেছিল।
14 তখন সেই সভাসদরা বারূকের কাছে যিহূদীকে পাঠাল। যিহূদী ছিল নথনিয়ের পুত্র এবং শেলিমিয়ের পৌত্র। শেলিমিয়ের পিতার নাম ছিল কূশি। যিহূদী বারূককে বলেছিল: “তুমি যে খাতাটি পাঠ করেছিলে সেই খাতাটি নিয়ে আমার সঙ্গে চলো।”
বারূক সেই খাতা সঙ্গে নিয়ে যিহূদীর সঙ্গে সভাপরিষদদের কাছে গেল।
15 রাজার সেই সভাসদরা বারূককে বললেন, “এখানে বসো এবং পুঁথিতে লেখা বাণীগুলি পড়ে শোনাও।”
সুতরাং বারূক খাতায় লেখা বাণীগুলি পাঠ করতে শুরু করল।
16 রাজার সভাসদরা সমস্ত বাণীগুলি শুনলেন এবং তারপর তারা ভয়ে একে অন্যের দিকে তাকালেন। তাঁরা বারূককে বললেন, “রাজা যিহোয়াকীমকে আমাদের এই খাতার সম্বন্ধে জানানো উচিৎ।” 17 তখন তাঁরা বারূককে একটি প্রশ্ন করলেন, “আচ্ছা বারূক বলো তো এই খাতায় যে বাণী তুমি লিখেছো তা তুমি কোত্থেকে পেলে? যিরমিয় তোমাকে যে সব জিনিসের কথা বলেছিল সে সব কি তুমি লিখেছিলে?”
18 বারূক উত্তর দিল, “হ্যাঁ! যিরমিয় আমাকে বলে গিয়েছে আর কালি দিয়ে সেই বাণী খাতায় আমি লিখে নিয়েছি।”
19 তখন রাজার পারিষদরা বারূককে বললেন, “তুমি আর যিরমিয় গিয়ে আত্মগোপন করে থাকো কিন্তু কোথায় আত্মগোপন করবে তা কাউকে জানিও না।”
20 তখন পারিষদরা ইলীশামার ঘরে সেই খাতাটি তুলে রেখে রাজা যিহোয়াকীমের কাছে গিয়ে সব খুলে বললেন।
21 সব শুনে রাজা যিহোয়াকীম খাতাটি নিয়ে আসার জন্য যিহূদীকে পাঠালেন। যিহূদী ইলীশামার ঘর থেকে পুঁথিটি নিয়ে এলো। তারপর সে রাজাকে এবং তার চার পাশের দাঁড়িয়ে থাকা কর্মচারীদের পুঁথিতে লেখা বাণীগুলি পড়ে শোনাতে লাগল। 22 এটা ঘটেছিল নবম মাসে, সুতরাং রাজা যিহোয়াকীম তাঁর শীতকালীন আবাসে বসেছিলেন। ঘরকে উষ্ণ রাখার জন্য তার সামনে তখন আগুন জ্বলছে। 23 যিহূদী আস্তে আস্তে খাতা থেকে লিপিবদ্ধ করা বাণী পড়ে যেতে থাকল। কিন্তু সে দুই বা তিন অনুচ্ছেদ পড়ার পরই রাজা তার কাছ থেকে খাতা ছিনিয়ে নিয়ে ছুরি দিয়ে খাতা থেকে পাতাগুলি কেটে কেটে আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দিতে লাগলেন। এইভাবে পুরো খাতাটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। 24 এবং রাজা যিহোয়াকীম ও তাঁর অনুচররা এই বাণী শুনেও ভীত হল না। শোকের চিহ্ন হিসেবে তারা তাদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলল না।
25 ইল্নাথন, দলায় এবং গমরিয় চেষ্টা করেছিল রাজার সঙ্গে কথা বলার যাতে তিনি খাতাটি না পোড়ান। কিন্তু রাজা তাদের কথা শোনেননি। 26 বরং উল্টে রাজা যিরহমেল, সরায় এবং শেলিমিয়কে আদেশ দিলেন ভাববাদী যিরমিয় এবং লিপিকার (লেখক) বারূককে গ্রেপ্তার করতে। যিরহমেল হল যুবরাজ ও সরায় হল অস্রীয়েলের পুত্র এবং শেলিমিয় হল অব্দিয়েলের পুত্র। কিন্তু তারা কেউই বারূক এবং যিরমিয়কে খুঁজে বার করতে পারল না। কারণ প্রভু তাদের লুকিয়ে রেখেছিলেন।
পৌলের আনন্দ
2 তোমাদের হৃদয়ে আমাদের স্থান দিও। আমরা কারও ক্ষতি করি নি, কাউকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যাই নি, কাউকে ঠকাই নি। 3 আমি তোমাদের দোষী করতে একথা বলছি তা নয়; আমরা তোমাদের এত ভালবাসি যে আমরা মরি তো একসঙ্গে মরব, বাঁচি তো একসঙ্গেই বাঁচব। 4 তোমাদের ওপর আমার বড় আস্থা আছে আর তোমাদের নিয়ে আমার খুবই গর্ব। আমাদের সমস্ত কষ্টের মধ্যে তোমাদের কাছ থেকে আমি যথেষ্ট উৎসাহ পেয়েছি, তাই আমার মনে বড় আনন্দ।
5 যখন আমরা মাকিদনিয়াতে এসেছিলাম, তখনও আমাদের দৈহিকভাবে বিন্দুমাত্র বিশ্রাম হয় নি। কারণ আমরা সব দিক থেকে কষ্ট পেয়েছিলাম, বাইরে ছিল ঝগড়াঝাটি ও মনে ছিল ভয়। 6 তবুও ঈশ্বর যিনি নিরাশ প্রাণে সান্ত্বনা দেন, তিনি তীতকে নিয়ে এসে আমাদের সান্ত্বনা দিলেন। 7 কেবল তীতের আসার জন্য নয়, তোমরা তাকে যে সান্ত্বনা দিয়েছ তার জন্যও। তিনি আমাদের জানিয়েছেন আমাদের দেখার জন্য তোমাদের কত গভীর আগ্রহ রয়েছে। তোমরা যা করেছ তার জন্য তোমরা কি পরিমাণ দুঃখিত এবং আমার জন্য তোমাদের আগ্রহের কথাও তীত আমাদের জানিয়েছেন। এর ফলে আমি আরও আনন্দিত হয়েছি।
8 যদিও আমার চিঠি তোমাদের কিছু সময়ের জন্য দুঃখ দিয়েছে তবু অনুশোচনা করি না, কারণ প্রথমে অনুশোচনা করলেও আমি দেখছি যে সেই চিঠি তোমাদের মনে মাত্র কিছুকালের জন্য ব্যথা দিয়েছে। 9 এখন আমি আনন্দ করছি, তোমরা মনে ব্যথা পেয়েছিলে বলে নয়, কিন্তু তোমাদের সেই দুঃখ ও ব্যথা তোমাদের জীবনকে পরিবর্তিত করেছে বলে। ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারেই তোমরা দুঃখ পেয়েছিলে, তাই আমাদের দ্বারা তোমাদের কোনরকম ক্ষতি হয় নি; 10 কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে দুঃখ মানুষের হৃদয়ে ও জীবনে অনুতাপ আনে আর তা মুক্তির দিকে নিয়ে যায় এবং তাতে আমাদের দুঃখ করার কিছু নেই। কিন্তু এই জগতের দেওয়া দুঃখ মানুষকে অনন্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। 11 দেখ, ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে যে দুঃখ তোমাদের হয়েছে, তা তোমাদের কত মঙ্গল করেছে, তোমাদের কত আন্তরিক করে তুলেছে। নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করার জন্য তোমাদের কত ইচ্ছা হয়েছিল, তোমাদের মনে কত ক্রোধ ও ভয় জেগেছিল, আমাদের দেখার জন্য তোমাদের কত আগ্রহ হয়েছিল, তোমাদের মনে কত দরদ এসেছিল, অন্যায়ের শাস্তি দেবার জন্য তোমাদের কত ইচ্ছা হয়েছিল। সবকিছুতেই তোমরা প্রমাণ করেছ যে সে বিষয়ে তোমরা নির্দোষ। 12 আমি তোমাদের কাছে চিঠি লিখেছিলাম বটে, কিন্তু যে অন্যায় করেছে বা যার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তাদের জন্য নয়, বরং তোমাদের লিখেছিলাম যাতে ঈশ্বরের সামনে আমাদের প্রতি তোমাদের যে এই আনুগত্য আছে তা উপলদ্ধি করতে পার।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International