Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
শলোমনের প্রতি।
72 ঈশ্বর রাজাকে আপনার মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করুন।
রাজার পুত্রকে আপনার ধার্মিকতা সম্পর্কে শিক্ষালাভ করতে সাহায্য করুন।
2 রাজাকে আপনার লোকদের প্রতি ন্যায্য বিচার করতে সাহায্য করুন।
আপনার দীন লোকদের প্রতি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিতে তাকে সাহায্য করুন।
3 সারা ভূখণ্ড জুড়ে শান্তি
ও ন্যায়বিচার থাকতে দিন।
4 রাজাকে দীন মানুষের প্রতি সুবিচার করতে দিন।
সহায় সম্বলহীনকে তিনি যেন সাহায্য করেন।
ওদের যারা আঘাত করে তাদের যেন উনি শাস্তি দেন।
5 যতদিন পর্যন্ত আকাশে চাঁদ থাকে এবং সূর্য প্রতিভাত হবে ততদিন যেন লোকেরা রাজাকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
লোকরা যেন তাকে চিরদিন ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
6 যে বৃষ্টি শস্যক্ষেতের ওপর ঝরে পড়ে, রাজাকে সেই বৃষ্টির মত হতে সাহায্য করুন।
যে জলধারা জমিতে পতিত হয়, তাকে সেই ধারার মত হতে সাহায্য করুন।
7 যতক্ষণ তিনি রাজা রয়েছেন ততদিন যেন সৎ লোকরা বিকশিত হয়।
যতদিন আকাশে চাঁদ রয়েছে ততদিন যেন শান্তি বজায় থাকে।
8 এক সমুদ্র থেকে আর এক সমুদ্র পর্যন্ত তার রাজত্বের বিস্তার হোক্।
ফরাৎ নদী থেকে পৃথিবীর দূর প্রান্ত পর্যন্ত যেন তাঁর রাজত্ব বজায় থাকে।
9 মরুভূমিতে যারা বাস করে তারা সবাই যেন তাঁর কাছে আনত হয়।
তাঁর সব শত্রুরা যেন মাটির ধূলোতে মুখ ঠেকিয়ে তাঁর কাছে অবনত হয়।
10 তর্শীশের রাজা এবং অন্যান্য দূরবর্তী রাজ্য যেন তাঁর জন্য উপহার বয়ে আনে।
শিবা ও সবার রাজারা যেন তার জন্য নৈবেদ্য বয়ে আনে।
11 সব রাজা যেন আমাদের রাজার কাছে নত হয়।
সব জাতি যেন তাঁর সেবা করেন।
12 আমাদের রাজা সহায় সম্বলহীনদের সাহায্য করেন।
আমাদের রাজা দরিদ্র অসহায় মানুষকে সাহায্য করেন।
13 দরিদ্র ও অসহায় মানুষ তাঁর ওপর নির্ভর করেন।
রাজা তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করেন।
14 সেই সব নিষ্ঠুর লোকরা যারা ওদের ক্ষতি করতে চেষ্টা করে, তাদের হাত থেকে রাজা ওদের রক্ষা করেন।
ওই সব দীন-দরিদ্র মানুষের জীবন রাজার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।
15 রাজা দীর্ঘজীবী হোন!
তিনি যেন শিবার কাছ থেকে সোনা গ্রহণ করেন।
সর্বদা রাজার জন্য প্রার্থনা কর।
প্রতিদিন তাকে আশীর্বাদ কর।
16 জমিগুলিতে যেন প্রচুর পরিমানে ফসল হয়।
পাহাড়গুলো যেন শস্যে ভরে ওঠে।
জমিগুলো যেন লিবানোনের মত উর্বর হয়ে ওঠে।
যেমন করে মাঠগুলো ঘাসে ভরে যায় তেমন করে যেন শহরগুলো মানুষে ভরে ওঠে।
17 রাজা যেন চিরদিনের জন্য বিখ্যাত হয়ে যান।
যতদিন সূর্য প্রতিভাত হবে, ততদিন যেন লোকরা তাঁর নাম মনে রাখে।
লোকরা যেন তাঁর আশীর্বাদ পায়
এবং সকলে যেন তাঁকে আশীর্বাদ করে।
18 প্রভু ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
একমাত্র ঈশ্বরই এমন আশ্চর্য কার্য করতে পারেন।
19 চিরদিন তাঁর মহিমাময় নামের প্রশংসা কর!
তাঁর মহিমা যেন সারা পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করে দেয়!
আমেন! আমেন!
20 (যিশয়ের পুত্র, দায়ূদের প্রার্থনাসমূহ এখানেই শেষ হলো।)
7 প্রভু বললেন,
“সুখী হও এবং যাকোবের জন্য গান গাও!
ইস্রায়েলের জন্য চিৎকার করো, ইস্রায়েল হল মহান রাষ্ট্র।
প্রশংসা কর এবং চিৎকার করে বলো:
‘প্রভু তাঁর লোকদের রক্ষা করেছেন!
ইস্রায়েলের যারা বন্দী হয়েছিল তাদের সবাইকে প্রভু রক্ষা করেছেন।’
8 মনে রেখো, আমি ইস্রায়েলকে
ঐ উত্তরের দেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
আমি উত্তরের বহু দূরের জায়গা থেকে
ইস্রায়েলীয়দের একত্রিত করব।
তাদের মধ্যে কিছু লোক থাকবে অন্ধ ও পঙ্গু।
কিছু মহিলা থাকবে গর্ভবতী।
কিন্তু অনেক অনেক মানুষ ফিরে আসবে সেখানে।
9 তারা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসবে
কিন্তু আমি তাদের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দেব।
আমি তাদের জলপ্রবাহের পাশ দিয়ে নেতৃত্ব দেব।
আমি তাদের মসৃণ রাস্তার ওপর নেতৃত্ব দেব
যাতে তারা হোঁচট না খায়।
আমি এরকম করব যেহেতু আমি ইস্রায়েলের পিতা
এবং ইফ্রয়িম আমার প্রথম সন্তান।
10 “জাতিসমূহ, প্রভুর কথাগুলি শোন!
সমুদ্রের ধারে দূর দেশগুলিতে এই বার্তা বল।
‘ঈশ্বর ইস্রায়েলের লোকদের ছড়িয়ে দিয়েছিলেন,
কিন্তু তিনি তাদের একত্র করে ফিরিয়ে আনবেন।
এবং তিনি তাঁর মেষপালের (লোকেদের) ওপর
নজর রাখবেন মেষপালকের মতো।’
11 প্রভু যাকোব পরিবারকে ফিরিয়ে আনবেন।
তিনি তাঁর লোকদের তাদের চেয়ে শক্তিশালী লোকদের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
12 সিয়োনের শিখরে উঠে আসবে ইস্রায়েলের মানুষ।
তারা আনন্দে উল্লাস করবে।
তাদের মুখমণ্ডলের ওপর আনন্দ ও সুখের দীপ্তি দেখা দেবে।
প্রভু যে সমস্ত ভালো জিনিষগুলি তাদের দেবেন সে সম্বন্ধে তারা খুশী হবে।
প্রভু তাদের শস্যসমূহ, নতুন দ্রাক্ষারস,
জলপাইয়ের তেল, মেষ এবং গরুসমূহ দেবেন।
ইস্রায়েলের লোকের
আর কোন সমস্যা থাকবে না।
তাদের জীবন হয়ে উঠবে একটি বাগানের মত
যাতে অনেক জল আছে।
13 যুবতীরা আনন্দে নৃত্য করবে।
যুবক ও বৃদ্ধরাও সেই নৃত্যে অংশ নেবে।
আমি তাদের শোককে আনন্দে পরিণত করব।
আমি ইস্রায়েলের লোকদের আরাম দেব
এবং দুঃখের বদলে তাদের আনন্দ দেব।
14 আমি তাদের যাজকদের প্রচুর খাদ্য দেব।
আমার লোকরা, আমি তাদের যে ভালো জিনিষগুলি দেব তাতে সন্তুষ্ট হবে।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
যীশুর পৃথিবীতে আগমন
1 আদিতে বাক্য[a] ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ছিলেন ঈশ্বর। 2 সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। 3 তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি। 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল। 5 সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি।
6 একজন লোক এলেন তাঁর নাম যোহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। 7 তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে। 8 যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। 9 প্রকৃত যে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
10 সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি। 11 যে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। 12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন। 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি। মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম।
14 বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি। সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন। 15 যোহন তাঁর সম্পর্কে মানুষকে বললেন, “ইনিই তিনি যাঁর সম্বন্ধে আমি বলেছি। ‘যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’”
16 সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পূর্ণ ছিলেন। আমরা সকলে তাঁর থেকে অনুগ্রহের ওপর অনুগ্রহ পেয়েছি। 17 কারণ মোশির মাধ্যমে বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুগ্রহ ও সত্যের পথ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এসেছে। 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি; কিন্তু একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International