Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ কর না।” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।
75 হে ঈশ্বর, আমরা আপনার প্রশংসা করি!
আমরা আপনার প্রশংসা করি।
আপনি (আপনার নাম) খুব কাছাকাছি রয়েছেন এবং যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছেন লোকে তার কথা বলে।
2 ঈশ্বর বলেন, “আমি বিচারের সময় নির্দিষ্ট করব
এবং আমি ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করবো।
3 পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই কম্পমান এবং পতনোন্মুখ হতে পারে,
কিন্তু আমি ওদের দৃঢ় সংবদ্ধ করে রাখবো।
4 “কিছু লোক প্রচণ্ড গর্বিত।
‘ওরা ভাবে ওরাই শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ।’
5 কিন্তু আমি ওই লোকদের বলেছি, ‘মিথ্যা বড়াই করো না!
এত অহঙ্কারী হয়ো না!’”
6 পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই
যা একটা মানুষকে এতখানি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারে।
7 প্রভুই বিচারক।
কে গুরুত্বপূর্ণ হবে তা ঈশ্বরই স্থির করেন।
ঈশ্বর একজন ব্যক্তিকে তুলে নেন এবং তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন।
অন্যদিকে, তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে টেনে নামিয়ে দেন এবং তাকে গুরুত্বহীন করেন।
8 মন্দ লোকদের শাস্তি দিতে ঈশ্বর সর্বদাই প্রস্তুত।
প্রভুর হাতে একটা পেয়ালা আছে।
সেই পেয়ালাটি বিষাক্ত দ্রাক্ষারসে পরিপূর্ণ।
এই দ্রাক্ষারস (শাস্তি) তিনি মন্দ লোকদের ওপর ঢালবেন এবং শেষ বিন্দু পর্যন্ত তারা তা পান করবে।
9 এসব বিষয় সম্পর্কে আমি সর্বদাই লোকদের বলবো।
আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করবো।
10 ঈশ্বর বলেন, “মন্দ লোকদের শক্তি আমি হরণ করবো
এবং ভাল লোকদের আমি বেশী শক্তি দেবো।”
12 “ইয়োব, আমি তোমাকে লিবিয়াথনের পা,
তার শক্তি এবং তার চেহারার কথা বলবো।
13 কেউই তার চামড়ার দাম দিতে পারে না।
ওর চামড়া বর্মের মত শক্ত।
14 কোন লোকই জোর করে লিবিয়াথনের মুখ খোলাতে পারে না।
ওর মুখের দাঁত দেখলে লোকে ভয় পায়।
15 ওর পিঠের পেশী সারিবদ্ধ ভাবে
দৃঢ়সংবদ্ধ হয়ে আছে।
16 বর্মগুলি এত কাছাকাছি বসানো
যে ওগুলোর মধ্যে বাতাসও বইতে পারে না।
17 বর্মগুলি একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত।
বর্মগুলি এতই ঘন, সংবদ্ধ যে ওদের টেনে আলাদা করা যায় না।
18 লিবিয়াথন যখন হাঁচি দেয় তখন আলো ঝলক দিয়ে ওঠে।
ওর চোখ প্রত্যুষের আলোর মত জ্বলতে থাকে।
19 ওর মুখ থেকে লেলিহান অগ্নি বেরিয়ে আসে।
আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আসে।
20 ফুটন্ত কেটলির তলা দিয়ে যেমন জ্বলন্ত ঘাসের ধোঁয়া বার হয়,
লিবিয়াথনের নাক দিয়েও তেমনি ধোঁয়া বার হয়।
21 লিবিয়াথনের নিঃশ্বাসে কয়লা জ্বলে যায়,
ওর মুখ থেকে আগুনের শিখা বার হয়।
22 লিবিয়াথনের গলা ভীষণ শক্তিশালী,
লোকে তাকে ভয় পায় ও ছুটে পালিয়ে যায়।
23 ওর চামড়ায় কোন কোমল স্থান নেই।
তা যেন লোহার মত শক্ত।
24 লিবিয়াথনের হৃদয় পাথরের মত।
তা যেন যাঁতা কলের পাথরের মত শক্ত।
25 যখন লিবিয়াথন জেগে ওঠে, দেবতারাও তখন ভয় পান।
লিবিয়াথন যখন তার লেজ ঝাপটা দেয়, তখন তাঁরা সন্ত্রস্ত হন।
26 তরবারি, বল্লম বা বর্শা যা দিয়েই লিবিয়াথনকে আঘাত করা হোক্ না কেন তা প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে।
ওই সব অস্ত্র তাকে একদম আঘাত করতে পারে না।
27 লোহাকে লিবিয়াথন খড়কুটোর মত গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
পচা কাঠের মত সে কাঁসাকে ভেঙে দেয়।
28 তীরের ভয়ে লিবিয়াথন পালিয়ে যায় না।
ওর গা থেকে পাথর খড়কুটোর মতো ছিটকে চলে আসে।
29 যদি মুগুর দিয়ে লিবিয়াথনকে আঘাত করা হয়, তা যেন খড়ের টুকরোর মতো তার গায়ে লাগে।
লোকে যখন তার দিকে বল্লম ছোঁড়ে তখন সে হাসে।
30 লিবিয়াথনের পেটের চামড়া ধারালো খোলামকুচির মতো।
সে কাদার ওপর দাগ করে দিয়ে যায়, যেমন তক্তা দিয়ে ফসল মাড়াই করলে দাগ পড়ে—তেমন দাগ।
31 ফুটন্ত জলের মতো লিবিয়াথন জলকে নাড়া দেয়।
সে জলের ওপর ফুটন্ত তেলের বুদবুদের মতো বুদবুদ সৃষ্টি করে।
32 যখন লিবিয়াথন সাঁতার দেয় তখন সে তার পেছনে একটি চকচকে পথরেখা রেখে যায়।
সে জলকে ঝাঁকিয়ে দিয়ে যায় এবং জলকে ফেনায়িত করে।
33 পৃথিবীর কোন প্রাণীই লিবিয়াথনের মতো নয়।
সে ভয়শূন্য প্রাণী।
34 যে প্রাণী সব থেকে বেশী গর্ব করে, লিবিয়াথন তাকেও নীচু নজরে দেখে।
সে সমস্ত বুনো পশুদের রাজা এবং আমি (ঈশ্বর) লিবিয়াথন সৃষ্টি করেছি।”
যীশু শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিলেন
13 ইহুদীদের নিস্তারপর্বের ঠিক পূর্বে যীশু বুঝতে পারলেন, যে এই জগত ছেড়ে পিতার কাছে তাঁর যাবার সময় হয়ে এসেছে। যীশু পৃথিবীতে তাঁর আপনজনদের সব সময় ভালবেসেছেন। এবার তিনি তাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ দিলেন।
2 যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সান্ধ্য আহার করছিলেন। দিয়াবল ইতিমধ্যে শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদাকে প্ররোচিত করেছে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। 3 যীশু বুঝলেন যে পিতা তাঁকে সব কিছুর ওপর ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন, আর ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাচ্ছেন। 4 তখন তিনি ভোজের আসর থেকে উঠে দাঁড়ালেন, তাঁর উপরের জামাটা খুলে রেখে একটি গামছা কোমরে জড়ালেন। 5 তারপর গামলায় জল ঢেলে শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিতে লাগলেন, আর যে গামছাটি কোমরে জড়িয়ে ছিলেন সেটি দিয়ে তাঁদের পা মুছিয়ে দিতে লাগলেন।
6 এইভাবে তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলে পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি কেন আমার পা ধুইয়ে দেবেন?”
7 এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “আমি যা করছি, তুমি এখন তা বুঝতে পারছ না, কিন্তু পরে বুঝবে।”
8 পিতর তাঁকে বললেন, “আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।”
যীশু তাঁকে বললেন, “আমি যদি তোমার পা না ধুইয়ে দিই, তাহলে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে না।”
9 শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, আপনি কেবল আমার পা নয়, হাত ও মাথা ধুইয়ে দিন!”
10 যীশু তাঁকে বললেন, “যে স্নান করেছে তার পা ধোয়া ছাড়া আর কিছু দরকার নেই, আর তো সর্বাঙ্গ পরিষ্কার হয়েছে। তোমরাও পরিষ্কার হয়েছ, কিন্তু সকলে নও।” 11 যীশু জানতেন যে একজন তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই কারণেই তিনি বললেন, “তোমরা সকলে পরিষ্কার নও।”
12 তাদের পা ধোয়ানো শেষ করে তিনি আবার তাঁর উপরের জামাটি পরলেন ও টেবিলে তাঁর জায়গায় ফিরে এসে তাদের বললেন, “আমি তোমাদের প্রতি কি করলাম তা বুঝতে পারলে? 13 তোমরা আমায় ‘গুরু’ ও ‘প্রভু’ বলে থাকো; আর তোমরা তা ঠিকই বল, কারণ আমি তা-ই। 14 তাই আমি প্রভু ও গুরু হয়ে যদি তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তাহলে তোমাদেরও উচিত পরস্পরের পা ধোয়ানো। 15 আমি তোমাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম, যেন আমি তোমাদের প্রতি যেমন করলাম, তোমরাও তেমনি কর। 16 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, চাকর তার মনিবের থেকে বড় নয়, আর দূত তার প্রেরণকর্তার থেকে বড় নয়। 17 যেহেতু তোমরা এসব জান, এইগুলি পালন কর, তাহলে তোমরা সুখী হবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International