Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
128 প্রভুর প্রত্যেকটি অনুগামীই সুখী।
ঈশ্বর যেভাবে চান তারা সেইভাবেই বাঁচে।
2 যার জন্য তুমি পরিশ্রম করছো তা তুমি উপভোগ করবে।
তুমি সুখী হবে এবং তোমার ভাল হবে।
3 গৃহে তোমার স্ত্রী ফলদায়ী দ্রাক্ষালতার মতই হবে।
তোমার সন্তানরা তোমার পোঁতা জলপাই গাছের মতই তোমার টেবিলের চারপাশে থাকবে।
4 এইভাবেই প্রভু তাঁর অনুগামীকে তাঁর প্রকৃত আশীর্বাদ দেবেন।
5 সিয়োন থেকে প্রভু তোমায় আশীর্বাদ করুন।
সারা জীবন ধরে জেরুশালেমে তুমি তাঁর আশীর্বাদ উপভোগ কর।
6 তুমি যেন তোমার নাতি-নাতনিদের দেখার জন্য দীর্ঘ জীবন লাভ কর।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক।
প্রতিশ্রুতি সম্বন্ধে সাবধান থেকো
5 যখন ঈশ্বরের উপাসনা করবে তখন সতর্ক থাকবে। ঈশ্বরকে বোকার মত নৈবেদ্য দেওয়ার থেকে তার কথা শোনা অনেক ভালো। যে মূর্খ সে নিজের অজ্ঞাতেই অন্যায় কাজ করে ফেলে। 2 ঈশ্বরকে প্রতিশ্রুতি দিলে সে সম্বন্ধে সতর্ক থেকো। ঈশ্বরকে কিছু বললে সাবধানে বলো। আবেগ চালিত হয়ে হঠাৎ কোন কথা দিয়ে ফেলো না। ঈশ্বর বাস করেন স্বর্গে আর তুমি পৃথিবীতে। তাই ঈশ্বরকে তোমার সামান্য কিছু কথাই বলা উচিৎ। এই প্রবাদটি সত্য যে:
3 দুঃস্বপ্ন যেমন অনেক দুঃশ্চিন্তা সঙ্গে নিয়ে আসে,
মূর্খ তেমনই একরাশ শব্দ নিয়ে আসে।
4 তুমি ঈশ্বরকে কোন প্রতিশ্রুতি দিলে তা অবশ্যই রক্ষা করবে। তোমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে দেরী কোরো না। ঈশ্বর মূর্খদের প্রতি প্রসন্ন নন। তুমি ঈশ্বরকে যা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ তা দাও। 5 প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালন না করতে পারার থেকে প্রতিশ্রুতি না দেওয়া ভাল। 6 তাই তোমার কথা যেন তোমার পাপের কারণ না হয়। যাজককে এটা বলো না, “আমি যা বলেছি তার অর্থ এই নয়!” তুমি যদি এরকম কর তাহলে ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হয়ে তুমি যার জন্য কাজ করেছ তা ধ্বংস করে ফেলবেন। 7 তোমার অর্থহীন স্বপ্ন ও অহঙ্কার যেন তোমার বিপদ না ডেকে আনে। তুমি অবশ্যই ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করবে।
প্রতিটি শাসকের ওপর একজন শাসক আছেন
8 কিছু দেশে দেখা যায় যে দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কঠিন পরিশ্রম করছে। এটা দরিদ্র মানুষদের প্রতি সুবিচার নয়। এটা তাদের স্বার্থবিরোধী। কিন্তু বিস্মিত হয়ো না। যে শাসক এই মানুষদের ওপর জোর খাটাচ্ছে, তার ওপরে জোর খাটানোর জন্য রয়েছে আরো একজন শাসক। 9 রাজাও তার লাভের ভাগ পায়। দেশের ধনসম্পদ তাদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়।[a]
ঐশ্বর্য দিয়ে সুখ কেনা যায় না
10 যে ব্যক্তি টাকা ভালোবাসে সে কখনও তার কাছে যা টাকা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারবে না। যে ঐশ্বর্য ভালোবাসে সে যতই পাক না কেন সন্তুষ্ট হতে পারবে না। এসবই অর্থহীন।
11 যে ব্যক্তির যত সম্পদ আছে, সেই সম্পদ ব্যয়ের জন্য তত “বন্ধুও” আছে। তাই ধনী ব্যক্তির প্রকৃত অর্থে কোন লাভই হয় না। সে শুধুই তার সম্পদের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে।
12 যে ব্যক্তি সারাদিন কঠিন পরিশ্রম করে সে ঘরে ফিরে শান্তিতে ঘুমোয়। সে সামান্য কিছু খেলো বা না খেয়ে থাকল সেটা বিষয় নয়। কিন্তু যে ধনী ব্যক্তি সে সম্পদ রক্ষার দুশ্চিন্তায় রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারে না।
13 আমি সূর্যের নীচে এক দুঃখজনক ঘটনা লক্ষ্য করেছি। একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে। কিন্তু এর পরিণাম হয় সমস্যামূলক। 14 এরপর কোন এক অঘটনে সে সব কিছু হারায়, এর ফলে সন্তানকে দেওয়ার মতো তার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
15 একজন মানুষ খালি হাতে মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয়। আর সে যখন মারা যায়, সে একই ভাবে রিক্ত অবস্থায় বিদায় নেয়। সে ফল লাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করে কিন্তু মারা গেলে কোন কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না। 16 এটা দুঃখজনক যে একজন মানুষ যে ভাবে পৃথিবীতে আসে সে ভাবেই সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। এভাবে “হাওয়ার পেছনে ছুটে” সে কি পায়? 17 সে কেবল মাত্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ পায়। শেষ পর্যন্ত সে হয়ে পড়ে হতাশ, বিরক্ত ও ক্ষিপ্ত!
তোমার কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নাও
18 একজন ব্যক্তির পক্ষে সব চেয়ে ভাল সূর্যের নীচে খাদ্য, পানীয় ও তার কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া। ঈশ্বর তাকে জীবন দিয়েছেন এবং এটাই তার সর্বস্ব।
19 যদি ঈশ্বর একজন ব্যক্তিকে ধনসম্পদ ও সেটা ভোগ করার ক্ষমতা দেন তবে তার তা অবশ্যই ভোগ করা উচিৎ, কারণ তা হল ঈশ্বরের উপহার। সেই ব্যক্তি অবশ্যই তার প্রাপ্ত জিনিসগুলি স্বীকার করবে এবং তার কাজ উপভোগ করবে, এ হল ঈশ্বরের উপহার। 20 একজন ব্যক্তি বেশী বছর বাঁচে না। তাই তাকে সারা জীবন এগুলি মনে রাখতে হবে। ঈশ্বর যা করতে চাইবেন তাই তিনি করবেন।
ইহুদীরা যীশুর বিষয় বোঝে নি
21 তিনি তাদের আর একবার বললেন, “আমি যাচ্ছি, আর তোমরা আমার খোঁজ করবে; কিন্তু তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে। আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না।”
22 তখন ইহুদীরা বলছিল, “তিনি কি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন? কেন তিনি বললেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না’?”
23 যীশু তাদের বললেন, “তোমরা এই নিম্নলোকের আর আমি উর্দ্ধলোকের। তোমরা এজগতের, আমি এ জগতের নই। 24 তাই আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে। তোমরা যদি বিশ্বাস না কর যে আমিই তিনি, তবে তোমরা তোমাদের পাপের জন্যই মরবে।”
25 তখন তারা জিজ্ঞেস করল, “তুমি কে?”
যীশু তাদের বললেন, “আমি যা, তা তো শুরু থেকেই তোমাদের বলে আসছি। 26 তোমাদের বিষয়ে বলার ও বিচার করার অনেক কিছুই আমার আছে। যা হোক্, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য। আর আমি তাঁর কাছ থেকে যা কিছু শুনি, পৃথিবীর মানুষের কাছে তাই বলি।”
27 তারা বুঝতে পারে নি যে, তিনি তাদের কাছে পিতার বিষয়ে বলছেন। 28 তখন যীশু তাদের বললেন, “যখন তোমরা মানবপুত্রকে উঁচুতে তুলবে, তখন জানবে যে আমিই তিনি এবং আমি নিজের থেকে কিছুই করি না। পিতা যেমন আমায় শিখিয়েছেন, আমি সেরকমই বলছি। 29 আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তিনি আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে একা ফেলে রাখেন নি, কারণ আমি সব সময় সন্তোষজনক কাজই করি।” 30 যীশু যখন এইসব কথা বললেন তখন অনেকেরই তাঁর ওপর বিশ্বাস হল।
যীশু পাপ থেকে মুক্তি লাভের কথা বললেন
31 ইহুদীদের মধ্যে যাঁরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, তাদের উদ্দেশ্যে যীশু বললেন, “তোমরা যদি সকলে আমার শিক্ষা মান্য করে চল তবে তোমরা সকলেই আমার প্রকৃত শিষ্য। 32 তোমরা সত্যকে জানবে, আর সেই সত্য তোমাদের স্বাধীন করবে।”
33 তারা তাঁকে বলল, “আমরা অব্রাহামের বংশধর। আর আমরা কখনও কারোর দাসে পরিণত হই নি। আপনি কিভাবে বলছেন যে আমাদের স্বাধীন করা হবে?”
34 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি-যে ক্রমাগত পাপ করে চলে, সে পাপের দাস। 35 কোন দাস পরিবারের স্থায়ী সদস্য হয়ে থাকতে পারে না; কিন্তু পুত্র পরিবারে চিরকাল থাকে। 36 তাই পুত্র যদি তোমাদের স্বাধীন করে, তবে তোমরা প্রকৃতই স্বাধীন হবে। 37 আমি জানি তোমরা অব্রাহামের বংশধর; কিন্তু তোমরা আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছ, কারণ তোমরা আমার শিক্ষাগ্রহণ করো না। 38 আমি আমার পিতার কাছে যা দেখেছি সেই বিষয়েই বলে থাকি, আর তোমরা তোমাদের পিতার কাছ থেকে যা যা শুনেছ তাই তো করে থাক।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International