Revised Common Lectionary (Semicontinuous)
মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।
130 হে প্রভু, আমি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছি,
তাই সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
2 হে আমার প্রভু, আমার কথা শুনুন।
সাহায্যের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 হে প্রভু, আপনি যদি লোকদের তাদের পাপ সমূহের জন্য শাস্তি দেন
তাহলে কেউই আর জীবিত থাকবে না।
4 প্রভু আপনার লোকদের ক্ষমা করে দিন।
তাহলে আপনার উপাসনা করার মত লোক থাকবে।
5 প্রভু আমায় সাহায্য করবেন আমি এই প্রতীক্ষায় রয়েছি।
আমার আত্মা তাঁর জন্য প্রতীক্ষা করে।
প্রভু যা বলেন আমি তা বিশ্বাস করি।
6 আমি আমার প্রভুর প্রতীক্ষায় রয়েছি,
যেমন একজন প্রহরী সকাল হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকে।
7 হে ইস্রায়েল, প্রভুকে বিশ্বাস কর।
প্রকৃত প্রেম একমাত্র প্রভুতেই খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রভু আমাদের বারে বারে রক্ষা করেন
8 এবং প্রভু ইস্রায়েলকে তাদের সব পাপের জন্যই ক্ষমা করবেন।
27 পরদিন মাসের দোসরা। সেদিনও আবার দায়ূদের জায়গা খালি রইল। শৌল তাঁর পুত্র যোনাথনকে বললেন, “যিশয়ের পুত্রকে কাল দেখি নি, আজও দেখছি না কেন? অমাবস্যার উৎসবে সে আসছে না কেন?”
28 যোনাথন বলল, “দায়ূদ আমাকে বলেছিল ও বৈৎলেহমে যাবে। 29 সে বলেছিল, ‘আমি যাব, তুমি অনুমতি দাও। বৈৎলেহেমে আমার বাড়ির সকলে যজ্ঞে বলি দেবে। আমার ভাই যেতে বলেছে। আমি যদি তোমার বন্ধু হই তাহলে আমাকে তুমি যেতে দাও, ভাইদের সঙ্গে দেখা হবে।’ তাই ও রাজার টেবিলে খেতে আসে নি।”
30 শৌল যোনাথনের উপর খুব রেগে গেলেন। তিনি তাকে বললেন, “নির্বোধ, হতভাগা ক্রীতদাসীর পুত্র। আমি জানি তুমি দায়ূদের পক্ষে। তুমি, তোমার নিজের কলঙ্ক, তোমার মায়েরও কলঙ্ক। 31 যতদিন যিশয়ের পুত্র বেঁচে থাকবে, ততদিন তুমি না হবে রাজা, না পাবে রাজ্য। যাও, এক্ষুনি দায়ূদকে ধরে নিয়ে এসো কারণ সে মৃত্যুর সন্তান।”
32 যোনাথন বলল, “কেন দায়ূদকে মারতে হবে? সে কি করেছে?”
33 এই কথা শুনে শৌল যোনাথনের দিকে বল্লমটা ছুঁড়ে মারলেন। উদ্দেশ্য তাকেই মেরে ফেলা। এই থেকে যোনাথন বুঝতে পারল, তার পিতা দায়ূদকে সত্যি মেরে ফেলতে চান। 34 যোনাথন রেগে গেল। সে টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ল। পিতার ব্যাপারে সে এত মুষড়ে পড়ল আর এত রেগে গেল যে দ্বিতীয় দিনের ভোজ সভায় সে কিছু খেল না। তার রাগের কারণ, পিতা তাকে অপমান করেছিল এবং দায়ূদকে হত্যা করতে চায়।
দায়ূদ ও যোনাথন পরস্পরকে বিদায় জানাল
35 পরদিন সকালে দায়ূদের সঙ্গে যেমন ব্যবস্থা হয়েছিল সেভাবে যোনাথন মাঠে গেল। যোনাথন, একটা বালককে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। 36 সে বালকটিকে বলল, “যা, যে তীরগুলো আমি ছুঁড়ছি সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আয়।” বালকটি ছুটতে লাগল, আর যোনাথন তার মাথার উপর দিয়ে তীর ছুঁড়ল। 37 তীরগুলো যেখানে পড়েছে সে দিকে বালকটি ছুটে গেল। কিন্তু যোনাথন বলল, “তীর তো আরও দূরে।” 38 যোনাথন চেঁচিয়ে বলল, “তাড়াতাড়ি কর। তীরগুলো নিয়ে আয়। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকিস না।” বালকটি তীরগুলো কুড়িয়ে মনিবের কাছে এনে দিল। 39 কি হচ্ছে তার সে কিছুই বুঝল না। জানত শুধু যোনাথন আর দায়ূদ। 40 যোনাথন তীরধনুক বালকটির হাতে দিল। তারপর ওকে বলল, “যা! শহরে ফিরে যা।”
41 বালকটি চলে গেলে দায়ূদ পাহাড়ের ওপাশে লুকোনো জায়গা থেকে বেরিয়ে এলো। যোনাথনের কাছে এসে দায়ূদ মাটিতে মাথা নোয়ালেন। এরকম তিনবার তিনি মাথা নোয়ালেন। তারপর দুজন দুজনকে চুম্বন করল। দুজনেই খুব কান্নাকাটি করল। তবে দায়ূদই কাঁদলেন বেশী।
42 যোনাথন দায়ূদকে বলল, “যাও শান্তিতে যাও। প্রভুর নাম নিয়ে আমরা বন্ধু হয়েছিলাম। বলেছিলাম, তিনিই হবেন আমাদের দুজন ও পরবর্তী উত্তরপুরুষদের মধ্যে বন্ধুদের চিরকালের সাক্ষী।”
অশুচি আত্মায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে যীশু সুস্থ করলেন
(মার্ক 1:21-28)
31 এরপর যীশু গালীলের কফরনাহূম শহরে গেলেন। সেখানে তিনি বিশ্রামবারে তাদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। 32 তাঁর দেওয়া শিক্ষায় তারা আশ্চর্য হয়ে গেল, কারণ তাঁর শিক্ষা ছিল ক্ষমতাযুক্ত।
33 সেই সমাজগৃহে অশুচি আত্মায় পাওয়া একজন লোক ছিল, সে চিৎকার করে বলে উঠল, 34 “ওহে নাসরতীয় যীশু! আমাদের কাছে আপনার কি দরকার? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে, আপনি ঈশ্বরের পবিত্র ব্যক্তি!” 35 যীশু তাকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ করো! আর ওর মধ্য থেকে বার হয়ে যাও!” তখন সেই অশুচি আত্মা লোকটিকে সকলের মাঝখানে আছড়ে ফেলে দিয়ে তার কোন ক্ষতি না করে তার মধ্যে থেকে বার হয়ে গেল।
36 এই দেখে লোকেরা অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “এর মানে কি? সম্পূর্ণ ক্ষমতা ও কর্ত্তৃত্বের সঙ্গে তিনি অশুচি আত্মাদের হুকুম করেন আর তারা বার হয়ে যায়।” 37 তাঁর বিষয়ে এই কথা সেই অঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International